কেন বিধি

কেন বিধি কেন বানালেনা মোরে,

হিমালয় চুড়া পাহাড়ের করে?

দিনের বেলায় বরফ সাগরে

রাতের বেলায় ছবি!

বুকে নিয়ে তবে শত শত ব্যথা,

অবলা থাকত না বলা যা কথা,

বলতাম না’ক কথা সব যথা,

হয়ে কোন এক কবি।

 

কেন বিধি মোরে নদী করলে না?

নিজ আঁখিজলে ভিজে আনমনা,

বিস্তারিত»

মনে করো আমি

মনে করো আমি পাথর সমান, বুকেতে বিঁধে না কিছু,

ঝরনার পানি বয়ে যায় শুধু, ফেলে মোরে একা পিছু,

ঝরনারে আমি বলিনি কখনো, “একটু দাঁড়াও বন্ধু”,

কারণ তার যে মহৎ লক্ষ্য, গড়তে হবে যে সিন্ধু।

 

মনে করো আমি শত বছরের অশোক কিম্বা বট,

শতবছরেতে মাথায় হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত জট,

বলিনি তবুও পথের পাশ-কে,

বিস্তারিত»

রাজাকারের জ্বালায় বাঁচিনা: একদিকে পাকিস্তানি রাজাকার, আরেকদিকে ভারতীয় রাজাকার

 

রাজাকারের জ্বালায় বাঁচিনা: একদিকে পাকিস্তানি রাজাকার, আরেকদিকে ভারতীয় রাজাকার

 

আমি সেই সব মানুষদেরকে খুঁজি যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে। বাংলাদেশকেই ভালোবাসে, দেশের নাম করে অন্য দেশকে নয়। কিন্তু প্রায়ই হোচট খেতে হয়। অনেককেই দেখি পাকিস্তানের স্তুতি পাঠ করছে। আবার অনেককে দেখি ভারত মাতার বন্দনা করছে।

এই পাকিস্তান প্রীতিওয়ালাদের অনেকেই ‘৭১-এ সরাসরি রাজাকার ছিল। এই রাজাকারদের একটি গ্রুপ আমার দেশপ্রেমিক চাচাকে পিটিয়ে তক্তা বানিয়েছিল,

বিস্তারিত»

উত্তাল সাগর, উদ্বেল নদী, সোনার মাটি, প্রাণের দেশ (পর্ব – ২)

উত্তাল সাগর, উদ্বেল নদী, সোনার মাটি, প্রাণের দেশ

———————————— ডঃ রমিত আজাদ

পর্ব – ২

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা

 

বাংলাদেশের দৃশ্যমান সমস্ত শিলাই পাললিক অথবা স্তরিভূত শিলা। বিভিন্ন স্থানে খনন ও জরিপ চালানোর ফলে ভূতাত্বিক বিবরণ জানা গিয়েছে। দেশের অন্তর্গত চট্টগ্রামের পূর্বাংশ, সিলেট ও ময়মনসিংহের কিছু অংশ ছাড়া প্রায় সমস্তই সমতলভূমি।

বিস্তারিত»

মৃত্যু

এত সত্য, এত স্পষ্ট, এত প্রশ্নাতীত,
সে যে নির্মম,নিষ্ঠুর, বড় মর্মান্তিক।
ধড়ের মাঝে আত্মাটা বলতো সঠিক,
কতক্ষন বাস করে? মৃত্যু সুনিশ্চিত,
জেনেও কেন যে মোরা করি না বিহিত!
শুন্যজ্ঞান করি তারে, কিসের হিড়িক
পড়েছে হৃদয়ে মম, হারিয়েছি দিক
কোথায় আজকে সবে হয়েছি পতিত?

কাদায় পড়েছি মোরা, হৃদয় কাদায়
কালো হয়ে গেছে তবু, এত বেখবর!
রয়েছি আমরা আজ যে মরিচীকায়
সেখানেই খুড়ে যাই নিজের কবর।

বিস্তারিত»

বাঁচুক সবাই মানুষ হয়ে

সদরঘাট,ঢাকা

সকালে ঘুম থেকে জেগেই কোন কাজ না করার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলল মহসিন। আশে পাশে কেউ নেই,আগোছালো কাঁথা,বালিশ স্তূপ হয়ে রয়েছে। মহসিনের পাশে যারা ঘুমায় তারা বেশিরভাগই রিক্সা চালায়,সাত সকালে উঠেই কাজে চলে যায়। ঢাকা শহরে মনে হয় কম খরচে এর থেকে ভালো ঘুমানোর ব্যবস্থা আর নেই। বুড়িগঙ্গা নদীর উপর কাঠের লম্বা ঘর,উপরে টিনের চালা,রাত প্রতি ২০ টাকা,কাঁথা বালিশ বিছানোই থাকে,টাকা দিয়ে ঢুকে শুয়ে পড়লেই হয়।

বিস্তারিত»

উত্তাল সাগর, উদ্বেল নদী, সোনার মাটি, প্রাণের দেশ

 

উত্তাল সাগর, উদ্বেল নদী, সোনার মাটি, প্রাণের দেশ

———————————— ডঃ রমিত আজাদ

 

বিশ্বের উচ্চতম অবিচল পর্বতমালা হিমালয় থেকে, বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত কয়েক শত নদীর তরঙ্গভঙ্গে উদ্বেল এই অদ্ভুত সুন্দর সবুজ সোনার মাটির জীবন কাহিনী তার ক্ষেত্রফলের মত ছোট নয়। যদিও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালে অর্থাৎ সময়ের বিচারে এই সেদিন, কিন্তু তার ইতিহাস মূলতঃ কয়েক হাজার বছরের পুরাতন।

বিস্তারিত»

ঈদ মোবারক, ঈদ এর সালামি চাই

এই নিয়ে ২য় বারের মতো আমি ৩০ টা রোজা রাখতে সক্ষম হলাম আল্লাহর রহমতে। ছোট বেলায় আব্বু আম্মু রোজা রাখতে দিতো না কষ্ট হবে বলে । উনাদের কাছে শুনতাম প্রথম এবং শেষ রোজা রাখলে পুরো রোজা হয়ে যেতো । আবার এক দিনে নাকি ২ বার ইফতারি করা যায় । কলেজে যাবার পড়েও সব রোজা রাখা হয় নি । তবে কলেজে থাকাকালীন রমজান এর ৪০-৪২ দিনের ছুটি খুব উপভোগ করতাম ।এখন রুয়েটে পড়ি ।

বিস্তারিত»

ভাইরাস

একখানা ভাইরাস নিলাম,
জেনে শুনে বুঝে,
শরীরে শিরায় শিরায়,
পাঠিয়ে দিলাম।
কি করবিই বা আর?
জানি তো।
তোর যা আছে,
তা দিয়েই বাধঁবি
আপন ঘর
একটু না হয় এই আমাকেই
করবি খরচ, ভাঙ্গবি মাঝ থেকে।
এরপর একসময়
বিদায় নিবি, দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে
ধরবি অন্য কাউকে।
তার আগে কটা দিন-
সুখ-জ্বালাই পেলাম না হয়
তোর কাছে থেকে।

বিস্তারিত»

রহস্যময় মহাবিশ্ব ও চিরন্তন জীবন জিজ্ঞাসা -৫, ৬

রহস্যময় মহাবিশ্ব ও চিরন্তন জীবন জিজ্ঞাসা –৫, ৬
————————————–ডঃ রমিত আজাদ

অপার রহস্যে ঘেরা আমাদের এই মহাবিশ্ব। আর তার মধ্যে রহস্যময় একটি সত্তা আমরা – ‘মানুষ’। এই দু’য়ের সম্পর্কও কম রহস্যময় নয়। মহাবিশ্বের বিবর্তন বা বিকাশের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ফলাফল মানুষ, সেই মানুষই আবার গভীর আগ্রহ নিয়ে অধ্যয়ন ও পর্যবেক্ষণ করছে তার চারপাশের মহাবিশ্বটিকে। কি এই মহাবিশ্ব? আমরা কারা? কি সম্পর্ক মহাবিশ্বের সাথে আমাদের অথবা আমাদের সাথে মহাবিশ্বের?

বিস্তারিত»

স্মৃতিকথাঃ রোজা পর্ব

এই লেখাটার শুরু হয়েছিল পুরো একমাস আগে, রোজার শুরুতে। আজ রোজা শেষ কিন্তু লেখা আলসেমির কারনে লেখা এখনো শেষ করতে পারিনি, তাও এক রোজা বেশি অর্থাৎ পুরো ৩০ রোজা পেয়েও না। আজকের চাঁদ দেখার খুশীতে ভাবাভাবি বাদ দিয়ে দিলাম পোস্ট করে। পোস্টের বাকি অংশ বেঁচে থাকলে হয়ত আগামী রোজায় আবার দিব, সে হিসেবে এটাকে একটা বাৎসরিক পোস্ট হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে। আর পুরো পোস্ট জুড়ে নিতান্তই নিজের কিছু স্মৃতি নিয়ে প্যাঁচাল পেড়েছি,

বিস্তারিত»

যাচ্ছে জীবন – ৬

এই ব্লগটা লেখার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারী মাসে। ইউটিউবে একটা খবর দেখে ব্লগটা লিখব ঠিক করেছিলাম, তারপর যথারীতি আর লেখা হয় নাই। জীবনে এমন কিছু ব্যস্ততা নেই যে একদিন এক ঘন্টা বের করে নিয়ে ব্লগটা লিখতে বসতে পারতাম না। তারপর ও এতোদিন লেখা হল না। কিছুদিন আগে যেমন ঠিক করলাম ফেসবুকে বহুত সময় নষ্ট হয়, তো মারলাম ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট একদম ডিলিট। মন ফুরফুরা যে ওই ফেসবুকের সময়টুকু বই পড়ে অথবা সিনেমা দেখে কাটানো যাবে,

বিস্তারিত»

‘নাম নেই’ এমন একটা ব্লগ

বুঝতে পারছি না কি শিরোনাম দিয়ে লিখবো, কি লিখবো সেটাও। কিন্তু খুব ইচ্ছে করছে অনুভূতিগুলা সিসিবিতে শেয়ার করতে। আবার গুছিয়ে লেখার মতো সময় এবং শক্তি কোনটাই নেই। ভ্রমন শেষে হয়তো অনেক কথাই ভুলেও যাবো। এর কারণ হলো- পথে এতো এতো নতুন কিছু দেখছি যে, আগেরটার থেকে পরেরটাকে আরও বেশি আকর্ষণীয়, সুন্দর, নয়নাভিরাম মনে হচ্ছে। শুধু সুন্দর না, বলা উচিত ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’-

গতকাল লস এঞ্জেলস থেকে একটা সাড়ে চার ঘণ্টা ড্রাইভ করে (ঘন্টায় মোটামুটি ৮০ মাইল বেগে) লাস ভেগাস পৌঁছলাম।

বিস্তারিত»

ছাত্র রাজনীতি ও বিব্রতকর কিছু প্রশ্ন

এই লেখাটা যখন শুরু করার জন্য কি বোর্ডে আঙ্গুল চালাই তখন দেখলাম দুজন সদস্য ও জনাকয়েক ভিজিটর রয়েছেন সিসি ব্লগে। একজন সদস্য আমি আর আরেকজন ব্লগ অ্যাডজুটান্ট। ক্যাডেট কলেজের ছয় বছর অ্যাডজুটান্ট নামক প্রাণিটি হাড় মজ্জায় যে ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছিলো তা আজো যায়নি। আজো অ্যাডজুটান্ট নামধারী কাউকে দেখলেই হয়। হৃদকম্প বেড়ে যায় নয়তো কয়েকটা মিস করি। অ্যাডজুটান্টরা বা সামরিক বাহিনীর লোকেরা যে ততটা ভীতিপ্রদ না তা প্রথম বুঝতে পারি ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পরে।

বিস্তারিত»

আমেরিকার বুনো পশ্চিমে সপ্তাহব্যাপী মোটরযাত্রা

আর ত্রিশ ঘন্টা পর শুরু করবো প্রায় ২৪০০ মাইলের মোটরযাত্রা। লস এঞ্জেলস থেকে বের হয়ে I-15 এবং I-70 ধরে নেভাদা ও ইউতাহ হয়ে ডেনভার (কলোরাডো)। আমেরিকান সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে পেপার প্রেজেন্ট করার (রথ দেখা) উছিলায় একটু ঘোরাঘুরি (কলা বেচা) আর কি…। ডেনভারে দুইদিন অবস্থান করে I-25 এবং I-40 ধরে সান্তা ফে এবং আলবুকুয়ের্ক (নিউ মেক্সিকো) ও গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (এরিজোনা) হয়ে আবার লস এঞ্জেলস। মোট সাত দিনের ভ্রমন।

বিস্তারিত»