যাচ্ছে জীবন – ৬

এই ব্লগটা লেখার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারী মাসে। ইউটিউবে একটা খবর দেখে ব্লগটা লিখব ঠিক করেছিলাম, তারপর যথারীতি আর লেখা হয় নাই। জীবনে এমন কিছু ব্যস্ততা নেই যে একদিন এক ঘন্টা বের করে নিয়ে ব্লগটা লিখতে বসতে পারতাম না। তারপর ও এতোদিন লেখা হল না। কিছুদিন আগে যেমন ঠিক করলাম ফেসবুকে বহুত সময় নষ্ট হয়, তো মারলাম ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট একদম ডিলিট। মন ফুরফুরা যে ওই ফেসবুকের সময়টুকু বই পড়ে অথবা সিনেমা দেখে কাটানো যাবে, কিন্তু সীনা টান টান করে প্যারেডে দাড়িয়েই আছি এখনো প্যারেড করা শুরু করতে পারলাম না।

অথচ বছরটা ভালোই শুরু করেছিলাম। এই বছরে আমার New Year’s Resolution ছিল প্রতি সপ্তাহে দেড় থেকে দুইটা বই পড়ে শেষ করা। মহা উদ্যোগ নিয়ে amazon থেকে ২০ – ২৫ টা বই কিনে যাত্রা শুরু করলাম। George R R Martin এর A Songs of Ice and Fire সিরিজ শেষও করে ফেললাম, তারপর থেকেই দেখি আস্তে আস্তে পড়ার স্পীড কমে আসা শুরু হল। বইয়ে ধুলো জমছে কিন্তু আমার একটা বই পড়া আর শেষই হচ্ছে না। প্রতিদিন ট্রেনে বসে বই পড়া বাদ দিয়ে ঝিমাতে থাকি, আর বাসায় বসে থাকলে হাজার চিন্তা মাথায় ভীড় করা শুরু করে। তখন বই পড়া বাদ দিয়ে শুধু ওয়েবে ব্রাউস শুরু করি, অথবা রাগী রাগী সব পাখিগুলোকে দিয়ে শুয়োরগুলো কে মেরে মেরে আনন্দ লাভ করি।

আজব সমস্যায় আছি, যদি ধরে নেই আমার আয়ুকাল ৭০ বছর তবে অর্ধেক জীবনতো পার করেই দিলাম কিন্তু কত বই পড়া হল না, কত ভালো ভালো সিনেমা দেখা হল না। জীবনের প্রথম কালটা আমরা পার করি, জীবনে ভালো করার প্রস্তুতি নিয়ে। তারপর চলে দৌড়ে আগে থাকার প্রতিযোগিতা। আর মধ্যভাগে এসে এখন মনে হচ্ছে নিজের মতো করে কিছুই করা হল না। কয়েকদিন পরে আরো সব দায়িত্ব বাড়বে, তখনতো আরও কিছু করা হবে না। এই সমস্যাই কি মিড লাইফ ক্রাইসিস?


প্রচুর সিনেমা দেখার ইচ্ছা থাকলেও ইদানীং কালে কলকাতার বাংলা ছবিগুলোই খালি দেখা হচ্ছে। একে একে দেখে ফেলেছি ‘তখন তেইশ’ ‘চারুলতা’ ‘ আবার অরণ্যে’ বির্তকের ঝড় তোলা ‘গান্ডু’। কিন্তু বরাবর সন্দীপ রায়ের ‘ফেলুদা’ সিরিজের ছবির ধারে কাছে যাই নাই। সত্যজিৎ রায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে আমার মনে যে ফেলুদা কে একেছে তাতে দাগ ফেলতে চাই নাই।

কিন্তু সন্দীপ রায় যখন ঘোষণা দিল ‘রয়েল বেংগল রহস্য’ নিয়ে সিনেমা বানাবে তখন মনে হল নাহ এইবার দেখাই লাগবে। ‘রয়েল বেংগল রহস্য’ ফেলুদা সিরিজে আমার সবচেয়ে প্রিয় বই। ‘রয়েল বেংগল রহস্য’ দেখার প্রস্তুতি হিসাবে সন্দীপ রায়ের পরিচালিত ‘গোরস্থানে সাবধান’ দেখলাম, বোঝার চেষ্টা তার কাছ থেকে আমি কি ধরনের ছবি আশা করতে পারি। ছবির শুরুতেই একগাদা স্পনসরের নাম, সাথে যোগ হয়েছে পশ্চিমবংগ সরকারও। ভাবলাম যাক সন্দীপ রায় এর আর যাই হোক ছবি বানাতে টাকার অভাব হবে না। কিন্তু সিনেমা দেখার সময় বুঝলাম সেই স্পনসরদের খুশি রাখতে ফেলুদা সিধু জ্যাঠার কাছে সাহায্য নিলেও, আবার ছুটতে হয় একটা বিশেষ সাইবার ক্যাফেতে। কিংবা ফেলুদা বাইরে গেলে যেদিকে তাকায় সেইদিকেই দেখতে পায় আইডিয়া মোবাইলের ব্যানার ঝুলছে। ‘কিয়া আইডিয়া স্যার জী’।

সত্যজিৎ রায় জয়বাবা ফেলুনাথ নিয়ে সিনেমা বানানোর গল্পে বলেছিলেন কিভাবে উনি কাশীর গলিতে ‘রিংকু শাড়ী হাউসের’ সব পোস্টার খুলেছিলেন। বাবা যেখানে কখনো তাঁর ছবির জন্য মাথা নোয়ান নাই, সেখানে ছেলে এসে বাবার লেখা কাহিনী নিয়ে তা বিজ্ঞাপন চিত্র বানিয়ে ছেড়ে দিলেন। সিনেমার আরো দূ্র্বল দিক আছে তা নিয়ে আর নাই বা বললাম।

তারপরও দেখতে বসলাম রয়েল বেংগল রহস্য। ফেলুদা এসে নামল স্টেশনে যথারীতি তড়িৎবাবু উপস্থিত ফেলুদা কে মহীতোষ বাবুর বাড়িতে নেবার জন্য। তিনি মোবাইল দিয়ে কল দিলেন মহীতোষ বাবুকে জানাতে ফেলুদা পৌছিয়েছে, ভাগ্যিস তড়িৎবাবু বলে বসেন নাই ‘এখানে আইডিয়া ছাড়া আর কোন মোবাইল এর কানেকশন পাওয়া যায় না’। কিন্তু ধাক্কা লাগল যখন মহীতোষ বাবু কে দেখলাম, এমন একজন কে বাছাই করা হল যে গল্পের মহীতোষ বাবুর ধারে কাছে যায় না। যে জমিদার বাড়ীর সামনে দেখানো হল সিনেমার শুরুতেই খুব সম্ভবত তার পিছনে কোন জংগল নাই, সেই জন্যে আরেক বাড়ী পিছন থেকে দেখানো হল। তাও বাড়ীটার যদি সামনে এবং পিছনে একই রঙ হতো তবে হয়তো বুঝা যেত না, কিন্তু পরিচালক মনে হয় এখানে টাকা বাঁচিয়েছেন।

রয়েল বেংগল রহস্যে বৃষ্টির জোরালো এক ভূমিকা ছিল, অথচ সিনেমায় ফেলুদা না বললে আমরা তা হয়তো জানতামই না। সত্যজিৎ রায় একবছর অপেক্ষা করেছিলেন কাশবনের ফুলের জন্য, উনার ছেলে মনে হয় একেই বলে শুটিং এর সেই ঘটনা পড়ে নাই। আরো অনেক ত্রুটি লেখা যায়, আমার ক্ষমতা থাকলে একটা কেস ঠুকে দিতাম এইভাবে এতো সুন্দর একটা বই থেকে এরকম একটা সিনেমা বানানোর জন্য। আর যাই করি অদূর ভবিষ্যতে আমি সন্দীপ রায়ের কোন সিনেমা দেখছি না। ‘হাতিয়ার সবার হাতে মানায় কি?’ তিন পুরুষ যার অসাধারন গুনী ছিল চর্থুত পুরুষে এসে যে গুণ বেগুন হয়ে যায় তা সন্দীপ রায়ের হাতে প্রমাণ হল। এখন বলতেই হয় লালমোহন বাবুর ভাষায় ‘তাং মাত করো, তাং মাত করো, কাফি হো গ্যায়া’।

ইংরেজীর হান্নান স্যার কে যারা পেয়েছে তারা জানে, স্যার পরীক্ষার খাতা পুরা লাল করে ফেলত মার্কিং এর দাগ দিয়ে। আর পাশ দিয়ে অসাধারণ সব কমেন্ট লেখা থাকত। কারো হাতে লেখা না বুঝা গেলে লেখা থাকত ‘কি লিখেছিশ কিচ্ছু বুঝতে পারশি না, দেখা করবি’ কেউ ভুল ট্রান্সলেশন করলে লেখা থাকত ‘বাচ্চু এটা তুই কি করেছিশ, কিচ্ছু হয়নি’। তো একবার স্যার এসেছেন আমাদের তিন কি চার ব্যাচ সিনিয়রদের পাক্ষিক পরীক্ষার খাতা দিতে। তো সব শেষের খাতাটা নিয়ে তিনি বলে উঠলেন ‘এই খাতায় হেগেছিশ কে?’ (স্যার চাঁপাইয়ের এই জন্যে সব স শ হয়ে যাচ্ছে)। তো যার খাতা সেইটা সে তখন টয়লেটে ছিল, ফিরে এসে দরজায় দাঁড়িয়ে দেখে স্যার তার খাতা দেখাচ্ছে। সে দরজা থেকে দাড়িয়েই বলল ‘স্যার আমি স্যার’। স্যার ভাবছে যে সেই সিনিয়র ভাই বুঝি ক্লাসে ঢুকতে চাইছে তো স্যার বললেন ‘তুই আয়। কিন্তু এই খাতায় হেগেছে কে?’ তো সেই ভাই আবার বললেন ‘স্যার আমি স্যার’ তো স্যার আবার বললেন ‘তোকে তো আশতে বল্লাম, কিন্তু এই খাতায় হেগেশে কে?’ অনেক বার বলার পরে স্যার বুঝতে পারলেন যে ওই খাতা সেই সিনিয়র ভাইয়ের।

কে বলতে পারবে বিশ্বের কোন শহর অবসবাস যোগ্যতার এক নাম্বারে অবস্থান করছে? উত্তরটা দিতে ইচ্ছা করছে না। স্যার যদি এখন আমাদের জিজ্ঞাসা করে ‘ঢাকা শহরটাতে হেগেছে কে?’ আমাদের সমস্বরে বলা উচিত ‘আমরা সবাই স্যার’। কিন্তু আমরা কেউই তা স্বীকার করছি না একজন আরেকজনের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখাই। কেউ শহরটার উন্নতির জন্য কিছু করছে বলেও মনে হয় না।

ইংল্যান্ডে দশ বছর হল আমার। গত দশ বছর দেশের বাইরে ঈদ করেছি। ঢাকা ছেড়ে, আমার বাপ মা, ভাই কে ছেড়ে এই ঈদ একদম ভালো লাগে না। এই বছর সুযোগ পেলাম দেশে ঈদ করার। নাহ রোজার ঈদ করা হবে না, কিন্তু কোরবানীর ঈদে দেশে যাওয়ার জন্য টিকেট কাটছি। এখন দিন গোনা কবে অক্টোবর মাস আসবে, আকাশে উড়োজাহাজ দেখলেই মনে হয় কবে আমি ওরকম একটায় চড়ে বসব। এইতো আর দুই মাস মাত্র…
সবাইকে ঈদ মোবারক

৮৫৩ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “যাচ্ছে জীবন – ৬”

  1. মাজহার (০৬-১২)

    দেশে আসেন, ঈদ করেন। আমাদের মত যারা এখনো নৌকায় পাল টানাই নি, তাদের জন্যে দোয়া করবেন।

    রাগী রাগী সব পাখিগুলোকে দিয়ে শুয়োরগুলো কে মেরে মেরে আনন্দ লাভ করি।

    এ্যাংগ্রি বার্ডস। :awesome:


    MH

    জবাব দিন
  2. সামিয়া (৯৯-০৫)

    দেশে আসা মাত্র ফোন করবেন, সবাই এসে এসে চলে যায়, আমাদের আর দেখা করা হয় না। আমরা সমুদ্র পাড়ের রাজপুত্র আর রাজকন্যাকে একটু দেখে যাবো।
    লেখা চমৎকার পেলাম। কি চমৎকার স্বাদু একটা লেখা।

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    রয়েল বেঙ্গল রহস্যের বাঘের কথা বললেন না সামি ভাই? সন্দীপ রায়ের ফেলুদা টিভি সিরিজটাই বরং অনেক ভাল ছিল ওর করা মুভিগুলো থেকে, কিন্তু অনেক খুঁজেও সেটা পাচ্ছি না কোথাও।

    অক্টোবরে দেশে আসেন, সিসিবির বিশাল একটা জিটুজি হোক... (আমি ঐ সময় দেশে আসছি কিনা 😛 )

    লেখা ভাল লাগলো , আশা করি পরের পর্বের জন্য আবার ছমাস অপেক্ষা করতে হবে না 🙂


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • সামি হক (৯০-৯৬)

      আকাশ বাঘটাকে কিন্তু আমি ভালো পাইসি, ভালো অভিনয় করছে বাঘটা 😀 । কিন্তু বাঘের কথা বলি নাই কারণ সে তো ক্ল্যাইম্যাক্স সিনে বলে দিলে সবাই যেনে যাবে। আমি সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় টিভির সিরিয়াল দেখি নাই দেখি আমাদের ফোরামে পাওয়া গেলে দেখব।

      ইনশাল্লাহ বিশাল জিটুজি যদি হয় দেখা হবেই।

      আর পরের পর্ব দেখা যাক কখন আসে। তবে ঈদের নাটক নিয়ে লেখার একটা প্ল্যান আছে। (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
  4. রাব্বী (৯২-৯৮)

    লেখাটা পড়তে বেশ ঝরঝরে লাগলো। ফেসবুক থেকে দূরে এসে কেমন মনে হচ্ছে? সন্দীপ রায় ধারাবাহিকভাবে হতাশ করে চলছে। আবার অরণ্যেতে ভাবলাম গৌতম ঘোষ হয়তো নিরাশ করবে না কিন্তু অরণ্যের দিনরাত্রির সাথে কোন তুলনাই চলে না। রয়েল বেঙ্গল রহস্য এবং বাকিগুলা দেখতে যেয়েও মনে হয়েছে যে থাক একটা অন্যকিছু দেখে নিই আগে। তাই আর দেখা হয় নাই।

    ঈদ মোবারক!


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
    • সামি হক (৯০-৯৬)

      রাব্বী ধন্যবাদ। ফেসবুক থেকে দূরে এসে সমস্যা একটাই হয়েছে আমার ভাই আমার ভাইস্তার ছবি দেয় ফেসবুকে, সেই ছবিগুলা দেখা হচ্ছে না।

      সন্দীপ রায় তার বাবার সাথে থেকেও যদি কিছু না শেখে তো সেটা তার ব্যর্থতা। ভালো করছ না দেখে, আমার যেমন এখন মনে হয় কেন দেখলাম।

      তোমার লেখা পাই না কেন অনেকদিন? ঈদ কেমন করলা?

      জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    দের মে আয়া তো দুরস্ত আয়া।
    শনি- রবিবার আমার উপর স্টিমরোলার যায় তাই তোর লেখা পড়া হয়ে ওঠেনি।
    ভালো হইছে।
    সন্দীপ রায়ের ছবিতে কিছু যে সমস্যা আছে অস্বীকার করছি না।
    আমাদের দেশের সিনেমার প্রেক্ষাপটে ফেলুদা নিয়ে টিভি সিরিয়াল হয় কিন্তু সিনেমা না।
    এই সব ছবি দেখবে কে?
    এর চেয়ে নায়ক-নায়িকার ধিতাং ধিতাং নাচ কি আরো বেশি উপভোগ্য।
    আমি এখনো রয়েল বেঙ্গল দেখি নাই।
    লিঙ্ক দিস।
    সত্যজিত আমারও অনেক প্রিয় পরিচালক।
    কিন্তু তাঁর ছবি কতটুকু ব্যাবসাসফল ছিলো তাতে সন্দেহ আছে।
    এটা ঠিক যে কলকাতার ভালো ভালো হলগুলোতে তাঁর ছবি আগাম বুকিং হয়ে যেতো।

    তুই আইপ্যাডে বই পড়া শুরু কর। রাগী পাখি, আর বই, গান একসাথে চলবে।

    তুই কি শামসুল হকের পরাণের গহীণ ভিতর পড়েছিস?
    একটা কবিতার লাইন এটা গক্ষুর লতাইয়া উঠে গাভীর দুধ খাবার জন্য।
    আমাদের দেশের শাসকরা হইলো সেই গোক্ষুর।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • সামি হক (৯০-৯৬)

      ছবি দেখবে না বলে যে ভালো ছবি বানানো যাবে না তা তো না। সন্দীপ রায়ের স্পন্সরের তো অভাব হচ্ছে না ছবি বানানোর জন্য, তার মানে ছবির খরচ নিয়ে কোন চিন্তা নাই। এতো সুযোগ পেয়েও সে যদি না পারে ছবি বানাতে সেক্ষেত্রে না বানানোই ভালো। আর ভালো ছবি বানানো হলে আমার মনে হয় না দেখার লোকের অভাব হবে।

      পরাণের গহীন ভিতরে পড়া হয় নাই। আমাদের শাসকরা গোক্ষুর কিন্তু আমরা গাভী হয়ে থেকে তাদের কে কতদিন সুযোগ দিব সেটা আমাদের হাতেই। আমরা সবাই আমি নিজে মুখেই বলে যাই কাজের বেলায় কেউই নাই

      জবাব দিন
  6. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    গান্ডু মুভিটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। জীবনের এক টুকরো স্ন্যাপশট।

    আর কলকাতার বেশ অনেক মুভিতেই দেখি মুভির ভেতরে ভেতরে প্রচুর বিজ্ঞাপনী কথা প্রমোট করে। রিলায়েন্স ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে নেও। ফালতুর একশেষ।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।