আমার ডান হাতের তর্জনী ছুঁয়ে দিতে চাইলে তোমাকে জানতে হবে কেন আমি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে দুধ চা খাই না, আদা চা খাই। জানতে হবে প্রচণ্ড জ্বরে কিছুই মুখে তুলতে না পারা একলা বালক কেন চিনি গোলানো পানিতে ভিজিয়ে ব্রেড খেতে চায়। তোমাকে জানতে হবে ফুটবল মাঠে খেলতে নামার সময় বালকের কোন হাতের মুঠোয় ধরা থাকে নিরন্তর সাথী ভেনটোলিন ইনহেলার।
আমার বাহু জড়িয়ে ধরতে চাইলে তোমাকে জানতে হবে লিওনেল মেসি কোন পায়ে শট নেয় গোলপোস্টে।
এই দফায় আওয়ামীলীগের বা জোট সরকারের ব্যার্থতা কি কি?
বিডিয়ার বিদ্রোহ ১ নম্বরে।
যদিও আমি বিশ্বাস করি না আওয়ামীলীগ এর পিছনে ছিলো। কিনবা এর কোন নেতা ছিলো। যদিও নানকের নাম বার বার এসেছে।
বিভিন্ন গুম খুন নিউজে এসেছে।
বিশেষ করে ইলিয়াস আলী এমপির ঘটনা।
আমি এর পিছনে রাজপুত্রের হাত দেখতে পাই।
কালো বিড়াল আর আবুল হোসেনের সাকোর কথা বিশেষ করে বলার কিছু নাই।
প্রায় ৪ মাস বাসার মুখ দেখিনা। তাই পরিবারের প্রতি একটা আলাদা টান অনুভব করছি গত ৩ দিন ধরে। অনাকাংখিতভাবে, আরও ভালভাবে বলতে গেলে আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ২ তারিখ ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। ১ তারিখ রাতে রওনা দেব বলে ঠিক করলাম। ২৩ তারিখ টিকেট কাটতে যাবো স্টেশনে। ১২টা পর্যন্ত ক্লাস করে যেই বাসে উঠতে যাচ্ছি,তখনি এক বন্ধু কল করল।”দোস্ত,খবর তো খারাপ।” “ক্যান,কি হইসে?” “২ ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর বলে টিকেট নাকি নাই।”
রাত ৯.১৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল। জহির বসে আছে বিছানায়।
তার মোবাইলটা বেজে ওঠে হঠাৎ। হাতে নিয়ে দেখে মা কল দিয়েছে গ্রাম থেকে। সে কলটা কেটে দিয়ে নিজেই কলব্যাক করে।
– হ্যালো, মা।
– হ্যালো বাবা কেমন আছিস রে?
– আমি খুব ভাল আছি মা। তোমার শরীর এখন কেমন? রাশেদ আর মিলি কেমন আছে?
– আমার শরীর এখন একটু ভাল। রাশেদ আর মিলি পড়ছে।
২০০২ থেকে ২০০৮।আমার ক্যাডেট লাইফ।ভালোয় মন্দে মিশিয়ে কেটেছে জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর এই ছয়টি বছর।যেকোন ক্যাডেটের এই ছয়টি বছর কাটে অনেক ঘটনাবহুল।আমিও ব্যাতিক্রম না,মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ক্যাডেট লাইফ একটু বেশিই উরা-ধুরা।কলেজের গল্প করতে কার না ভালো লাগে?ছয় বছরের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে আমার এই সিরিজ ‘ক্যাডেট কলেজ কড়চা’।আগেই বলে নেই ঘটনাগুলো ক্রমানুসারে সাজানো নয়।যেটা আগে মনে আসবে সেটাই লিখবো আগে।
(ডিসক্লেইমারঃধূমপান ক্যানসার সহ নানা প্রকারের দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হতে পারে)
বয়স তখন ১৩ কি ১৪।ক্লাস এইটের কোন এক ছুটি।দুই দুষ্টু (ক্যাডেট)বন্ধুর প্ররোচনায় সিগারেটে হাতেখড়ি।আমার ভাব তখন দেখে কে?২ দিনে মনে হলো অনেক বড় হয়ে গেছি।অসম্ভব(!)স্মার্ট লাগতে লাগলো নিজেকে।তার উপর বিলবোর্ডে নেভির প্যাকেট সামনে রেখে জাহিদ হাসানের ছবি,লেখা “শেষ পর্যন্ত সিগারেটটা ধরেই ফেললাম”।ভ্যাকেশনে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খেতাম বাথরুমে,অনেক রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে।মাঝে মাঝে মিসটাইমিং হয়ে যেত।আম্মা বলতো রাতদুপুরে নাকি বিড়ির গন্ধ পায়।নানী এগিয়ে আসতো আমাকে বাঁচাতে,বলতো পাশের বাসার আঙ্কেল রাতে বিড়ি খায়।
সবার মতোই আমিও পত্রপত্রিকা পড়ি। সময় পেলে বেশ খুঁটিয়েই পড়ি। অনেক সময়ই দেশের চলমান ঘটনাগুলোতে বিশেষত রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে হতাশ হই। আমি নিশ্চিত যে এটা আমি একা নই, আরো অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এ মাসের প্রথম দিকে যখন মিশরে সামরিক বাহিনী জনসমর্থন সাঙ্গ করে নির্বাচিত ইসলামিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে ক্ষমতাচ্যুত করে – সংবাদমাধ্যমে তার গতিপ্রকৃতি খেয়াল করছিলাম আর মনে হচ্ছিল এ যেন আমাদের দেশের ‘ওয়ান ইলেভেন’
ফেসবুকে বইপড়ুয়া বলে একটা গ্রুপ আছে। শাহাদুজ্জামানের বইয়ের খবরটা সেখান থেকেই পাই। লেখক হিসেবে শাহাদুজ্জামান এমনিতেই পছন্দের তালিকায় আছেন তার উপরে বইটা যখন ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখা তখন আর তার উপর নজর না দিয়ে পারি নাই। ক্যাডেট কলেজ নিয়ে যেখানে যা পাই পড়ি, নিজের অভিজ্ঞতার সাথে অন্যদেরটা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তাই আজিজে বইটা চোখে পড়তেই কিনে ফেললাম। এরপর শুধু চুপচাপ পাতা উলটে যাওয়া।
বন্ধু দিবস ও তো রয়েছে এর প্রমাণ দিতে যে বন্ধুত্ব কতোটা প্রয়োজনীয় জীবনে।
প্রাণিজগতে কি বন্ধু আছে? মানে বন্ধুত্বের চল আছে? দল বেধে অনেকে চলে বটে কিন্তু তাকে কি বন্ধুত্ব বলা চলে! জৈবিক কারণে কোন কোন প্রাণি জোড়া বাধে, সন্তান উৎপাদন করে, কেউ ভালোবাসে, কেউ বাসে না। তবে মায়েরা বোধকরি ভালোইবাসেন। বাবারা কখনো সখনো সন্তানকে মেরে উদরপুর্তিও করেন।
শাহবাগে আবেগ চুরি গেল
চেতনা জমা নিয়ে সুদ তুলল
তথাকথিত দেশপ্রেমিকের দল।
ওরা ভুলে যায়
আমার চেতনা শুধু তিন শব্দেই নয়
বুকের ভেতর পুষে রাখছি রাগ
শরীর জুড়ে আমার বাংলাদেশ
হৃদয় আমার পূর্ণ শাহবাগ।
…………
সুদখোরদের জবাব দিতে হবে
চেতনাচোরদের জবাব দিতে হবে।
– এই ছেলে এই……………………।
কিছুটা অবাক রাত ২টা বাজে এমন সময় এইভাবে কোন মেয়েলী স্বরের ডাক নিশ্চয়ই কেউ আশা করবে না। ঘুরে তাকাতেই দেখলাম হলুদ কামিজ আর সবুজ সালোয়ার পরিহিতা আমাকে তার কাছে এগিয়ে যেতে অনুরোধ করছেন না ঠিক আদেশ দিচ্ছেন। কিছুটা ভয় পাওয়া স্বাভাবিক একে রাত তার উপর কমলাপুর রেলস্টেশন আশে পাশে আর কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। তবে যে ধারণাটা মনে আসছিল তা সত্যি হবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
আমাদের গল্পটা শীতের শেষের দিকে এক বিকেলের। ম্যাড়মেড়ে, ক্লান্ত কিংবা ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে বসে থাকার কোন বিকেল নয় সেটা। ঝরা পাতার মর্মর শব্দ আর ঠান্ডা বাতাসের শো-শো আওয়াজের সাথে উজ্জ্বল হলদে রোদে ভরা সে বিকেল। এমন সময়ে মনে হয় না কারো ইচ্ছে করে লেপ-কম্বল গায়ে ঘরে বসে থাকতে। বরং ইচ্ছে হয় গরম কাপড় গায়ে চড়িয়ে পকেটে দু’হাত ঢুকিয়ে একলা পথে হাঁটতে। আমি তাই পথে বেড়িয়ে পড়ি।
-ফ্রি তে নাকি কিছুই পাওয়া যায় না।মূল্য দিতে হয়।এইজন্যই বোধহয় তোমার আমার মাঝে অতটা …ইউ নো ..’ম্যাটেরিয়াল ‘ নাই! তোমাকে পেতে আমার ওয়েট করা ছাড়া আরতো কিছুই করতে হয় নি!
-কে বলছে? তোমার সবসময় ফোনে কথাবলা বন্ধুদের কেউ? ….অফকোর্স উইদাউট মিনিং এনি ডিজরেস্পেক্ট টু দেম!তোমার বন্ধুদেরতো আবার সমালোচনা করা নিষেধ! দেবতাকূল!
-হুম! তুমি কি আমাকে খোঁচা দিলা? ইন অ্যান “অ্যাটেম্পট টু টীজ ”
জীবনে প্রথম কোন বই পড়েছিলাম মনে নেই। ঠাকুরমা’র ঝুলি হবে হয়তো। তবে সবচেয়ে বেশী পড়েছি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই। এটা নিশ্চিত।
আজ অনেকে বলছে স্যারের মৃত্যুদিবস!!! আমার প্রশ্ন স্যার মারা গেলেন কিভাবে??
তাঁর কি মৃত্যু আছে? একজন হুমায়ূন আহমেদ কি মরনশীল কেউ? এই নষ্ট পৃথিবী কে স্যারের দেহ ত্যাগ করেছে…কিন্তু স্যার তো আমাদের মাঝেই আছেন! পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগুনিত হিমু-মিসির আলী-শুভ্র-রুপা-মাজেদা খালা-মহাজ্ঞানী ফিহা-মজিদ-রমনা থানার ওসি-পাংখাপুলার রশীদ-তিতলী-কংকা-মুনা-বাকের ভাই-সৈয়দ বংশের পোলা-বদি-ধনু শেখ-মুহিব-বাদল-আতাহারদের মাঝেই স্যার চিরকাল থাকবেন!
একজন আলেম বুজুর্গ ব্যক্তিকে ৯০বছরের জেল !!! আল্লাহর লানত পরবে। গজব আসবে, গজব। অতিশয় বৃদ্ধ, অসুস্থ, মৃতপ্রায় একজন আলেম মানুষের ওপর বড় জুলুম !!! আল্লাহ আমাদের এই অন্যায় থেকে রক্ষা করুন।
মানলাম আদালতে ওনার শাস্তি হইছে ৯০ বছরের জেল। সরকারের হয়ত কিছুই করার নাই, সবই আদালতের রায়। তাই বলে উনার জন্য তো সরকার এই ৯০বছর সামান্য আরাম আয়েসের ব্যবস্থা করতে পারে। পিজি তে ওনাকে এটাচ বাথ ওয়ালা কেবিন দেয়া হয়েছে এজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সরকারের প্রতি।