শুভ জন্মদিন…

শুভ জন্মদিন “মিলেনিয়াম” ইনটেক (২০০০-২০০৬ ইনটেক)।আজকে ২০০০-২০০৬ ইনটেক এর ক্যাডেট কলেজে ১ম যাবার দিন। তার মানে আমাদের জন্মদিন।আজ থেকে ঠিক এক দশক আগে আজকের এই ২৫শে মে তে নতুন করে জন্ম হয়েছিল একদল কিশোর-কিশোরীর।হ্যা ঠিকই পড়েছেন,আমার কাছে এইদিনটি নতুন করে জন্ম নেয়ার মতই।
শুভ জন্মদিন… বন্ধুরা আমার। :party: :hug: :thumbup: 😡
আজ স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে প্রথমদিনে দুই চোখ ভরা জল নিয়ে ভয়ে ভয়ে কলেজে গিয়েছিলাম এবং এতোগুলো অপরিচিত মুখ দেখে আবার মায়ের সাথেই ফিরে যেতে চেয়েছিলাম।

বিস্তারিত»

অপরিচিতা (শেষ পর্ব)

লঞ্চ থেকে নামার সময় দেখি পুনম ঘুমাচ্ছে।ডেকে তুলে দিলাম।

ট্র্যাভেল এজেন্সির মাইক্রোতে করে আমাদেরকে আবার নিয়ে যাবার কথা। তাই করল তারা।আবার কলাতলি ফিরে এলাম। বাসের টিকেট করলাম। এবার দশটা টিকেট। বাস রাত সোয়া দশটায়।

আমরা খেয়ে নিলাম বৈশাখী রেস্টুরেন্টে। লিয়া আর পুনম ওয়েটিং রুমে বসল। আমরা বাইরে ঘুরতে বের হলাম।
সাড়ে সাতটার মত বাজে। এখনো অনেক সময় বাকি আছে। সবাই ভাবছি কি করা যায়।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৮

১। গত ডিসেম্বরে এফসিসি রিইউনিয়নে আমরা ব্যাচেলর পার্টি গিয়েছিলাম মাইক্রো নিয়ে।আসার সময় টাকা পয়সার হিসাব নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে মতবিরোধ।দুইজনই জাহির করছে সেই ভাল বুঝে হিসাব কিতাব(অবশ্য দুইটাই আর্টস পার্টি হওয়ায় আমরাও খুঁচাচ্ছি)। একজন বললো,জ়ানিস?আমি একাউন্টিং এ মেজর ছিলাম।আরেকজন কে ত তার উপরে পার্ট নিতেই হইব।সে বললো তুই যদি মেজর হস তাইলে আমি কর্ণেল।অবশ্য একাউন্টিং এ কর্ণেলই শেষপর্যন্ত জয়ী।হবেইনা বা কেন, কর্ণেল এর সাথে কি মেঈঈঈঈজাআআর পারে?

বিস্তারিত»

একজন পর্বতারোহী ও কিছু কথা ৬

02-12-09
আজ দুই দিন পর ডাইরি লেখার জন্য একটু টাইম পেলাম। বেইস ক্যাম্পের জীবনটা সব মৌলিক চাহিদায় এসে আটকে গেছে, তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই যেন আপাতত শুধু আদেশ পালন করা ছাড়া। কিছুটা যম্বি টাইপের ভাব চলে এসেছে আমার মধ্যে হটাত হটাত মনে হয়। তবে, বিকালের লেকচার ক্লাস শেষ হওয়ার পরে ফ্রি টাইম ঘোষণা করা হলে মনের মধ্যে এক অন্য ধরণের আনন্দ অনুভব করি ,

বিস্তারিত»

মডারেট মুসলিম

[সন্মানিত পাঠকদের প্রতি বিনীত অনুরোধঃ এ বেলা ব্যস্ততা থাকলে নিবন্ধটা পড়া শুরু না করার জন্যে বিশেষ অনুরোধ রইলো। নিবন্ধটা অনেক বড়। বিশ্লেষনগুলোও কিছুটা সুক্ষ্ণ। কাজেই হাতে খানিকটা সময় নিয়েই নিবন্ধটা পড়া শুরু করার জন্যে সবিশেষ অনুরোধ রইলো।]

প্রথমেই পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার ইচ্ছাকৃত কিঞ্চিত অসততার জন্যে। কেননা, এই নিবন্ধটার আরও যথার্থ শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল, ‘মডারেট ধার্মিক’। তবে আজ-কালকের বাজারে প্রচার মাধ্যমগুলোর বানিজ্যিক সফলতায় ‘মুসলিম’ শব্দটার গন্ধ থাকাটা এতটাই জরুরী ও অপরিহার্য হয়ে পড়েছে যে,

বিস্তারিত»

একাত্তরের একলব্য

মহাভারতের একলব্যের গল্প আমরা অনেকেই জানি।তৎকালীন সময়ের শ্রেষ্ঠ অস্ত্রগুরু ছিলেন দ্রোণাচার্য যিনি কেবল উচ্চবংশীয় রাজপুত্রদের যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা দিতেন।দুর্যোধন থেকে অর্জুন-মহাভারতের শ্রেষ্ঠ বীরগণ অধিকাংশই এঁর শিষ্য।শূদ্র বংশীয় রাজপুত্র একলব্য দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রশিক্ষা করতে চাইলে নিম্নবর্ণের অজুহাতে তিনি তাকে প্রত্যাখ্যান করেন।

ভগ্নহৃদয় একলব্য পরবর্তীতে গভীর জঙ্গলে দ্রোণাচার্যের মূর্তি গড়ে সেটিকে গুরুর সম্মানে পূজা করে নিজে নিজেই কঠোর প্রশিক্ষণে আত্মনিয়োগ করেন।এভাবে বহুদিন কেটে যায়-ঘটনাক্রমে একদিন দ্রোণাচার্য তাঁর শ্রেষ্ঠ ছাত্র অর্জুনসহ বাকিদের নিয়ে সেই বনে হরিণ শিকার করতে আসেন।তাঁর পোষা কুকুরটি হরিণের পিছু পিছু বনের ভিতরে ছুটে যেতে যেতে একসময় হারিয়ে যায়।কুকুরের কান্নার শব্দ শুনে দ্রোণাচার্য এবং তাঁর শিষ্যরা বনের ভেতরে একটি কুটীরের কাছে উপস্থিত হয়ে দেখেন-সাতটি তীরের মাধ্যমে কুকুরটিকে পাশের অশ্বথ গাছের সাথে এমনভাবে গেঁথে ফেলা হয়েছে যে তার গায়ে বিন্দুমাত্র আঁচড় লাগেনি কিন্তু সেটি কোনভাবেই নড়াচড়া করতে পারছেনা।

বিস্তারিত»

ঊনত্রিশ-‘দ্যা টুয়েন্টি নাইন’: কার্ডের একটি খেলা!!

(ডিসক্লেইমারঃ যারা টুয়েন্টি নাইন খেলার নিয়ম জানেন না, তাদের কাছে এই পোষ্ট বিরক্তিকর লাগতে পারে। আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

-‘ট্যাঁ ট্যাঁ ট্যাঁ…’
-‘কিরে হালা, অমন করস ক্যান?’
-‘সানাই বাজাই…খিকজ…’
-‘শিট্‌, তোর কাছে ম্যারেজ আছে?’
-‘আবার জিগায়…খেলা তাইলে তেইশে এ গেল গা…’
-‘কোন ব্যাপার না, এমন টেকনিক্যাল খেলা দিমু…’
-‘মামা, এই খেলা তুলতে টেকনিক্যাল না এক্কেবারে গাবতলী টাইপ খেলা দিতে হইব…মু হা হা…’

আমি শুভর দিকে বোঝার চেষ্টা করলাম ওর হাতের কি অবস্থা,

বিস্তারিত»

রাজনৈতিক ছড়া- ‘ছাত্রনেতা’

এক চুমুকে চা শেষ করে, কষে দেবো বক্তৃতা
হাত-পা খিঁচে, ঝাড়বো কেশে- রাজনীতির ঐ ছককথা।
ডিম-পরোটা, ডাল-ভাজি, সাথে কলিজা আর লটপটি
সকাল বেলার নাস্তা আমার, মিষ্টি-ঝালে চটপটি।
পেটটি আমার খালি গেলে- হারিয়ে ফেলি কথার খেঁই
কথার ঝাঁঝে আগুন জ্বালাই- পড়লো পেটে খাবার যেই।
‘আগুন জ্বালো’, ‘আগুন জ্বালো’- জ্বালাই আগুন চারিধার
দিচ্ছে আলো প্রদীপখানা, গোড়ায় কিন্তু অন্ধকার।
মাস পেরিয়ে বছর গেলো,

বিস্তারিত»

দুই দাড়িওলা-ফ্রয়েড ও মার্ক্সের গোপন প্রেম ও আমাদের চিঠিঃ পুরোনো প্রেমিকার নতুন প্রেমিকটিকে

জেগে আছে ঝাউপাতা আর সব বাদামী প্রেমিকেরা

এখন তীব্র নীল হয়ে কবির লেখার খোরাক জোগায়

মৃদু আলো জ্বেলে মৌমাছিরা জোনাক সেজেছে

কবিদের কাছে তার প্রিয় আবদার

“মেঘ থেকে জল এনে দাও,ভাত ফোটাই”

অতঃপর দরোজার কাছে অবহেলে পড়ে থাকা পুরোনো জুতো,ময়লা মোজা,ভাঙা ডাস্টবিন ভরা ছুড়ে ফেলা কাগজের দলা,দেয়ালে এটে থাকা ডিম ভরা পেটের কুৎসিত টিকটিকি,পুরোনো বছরের ক্যালেন্ডার আর মাকড়সার জালে অন্ধকার ছাদ,নিচে ঘুণে ধরা কাঠের টেবিলের উপর নিউজপ্রিন্ট কাগজ নিয়ে কবি লিখছেন তার পুরোনো প্রেমিকার নতুন প্রেমিকটিকে-

“এসো,আমরা পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে বসি

অথবা একটা ট্রেঞ্চ খুড়ে-যে রকমভাবে

যুদ্ধরত সৈনিকেরা শত্রুর মুখোমুখি কাঁধ ঠেকিয়ে দাঁড়ায় সাহসী

অথবা পলিড্যামাস ভাইদের মত-দু’জনে পাশাপাশি সিংহাসনে

মুখ্যত আমরা তো আসলে একজন নারীকে শাসনের ব্যাপারে কথা বলবো

আমার পুরোনো প্রেমিকার নতুন প্রেমিক-অথবা ভৃত্য

আমি কঠিন কবিতা লিখবো না,কবিতার নামে আসলে তোমাকে

একটি ম্যাসেজ পৌছে দিচ্ছি,সহস্র বছরের পূর্বপুরুষেরা যেরকম

আমাদের দিয়ে গেছেন পথনির্দেশিকা,সহজ চলার পথ অথবা

একটি সার্বজনীন মেড ইজি সলিউশান।

বিস্তারিত»

শেষ কথা…

ভ্যাকেশন শেষ!
ভাবতেই কেমন জেন লাগছে, এই ছুটিটা যে কিভাবে শেষ হয়ে গেল…খুব অবাক লাগছে।আবার ফিরে যাচ্ছি সেই চিরচেনা ম.গ.ক.ক এর প্রাঙ্গনে।আমার চিরচেনা হাউস, ডাইনিং হল আর ক্লাসরুমগুলা, কেন যানি বুঝিনা, আমার এতো বড় হয়ে যাবার পর ও কেনো জানি যেতে ইচ্ছা করেনা। আগে মাকে বলতাম, কান্নাকাটি করতাম, এখন তা ও পারিনা।
যা হোক, এবার তো ১২, পড়াশোনা করতে হবে অনেক, ছ্যাঁকা যা খাওয়ার খেয় ফেলছি…আর চাইনা!

বিস্তারিত»

স্ট্যান্ডিং এট দ্যা এজ (লাস্ট ডেইজ ইন ক্যাডেট কলেজ)

ক্যাডেট লাইফটা শেষ হয়ে গেল।কাল আমাদের আর্টস এর এক্সাম শেষ হলো।সায়েন্সের শেষ হবে ১৮ তারিখ!এখন খালি মাস্তি আর মাস্তি।এতদিন কলেজে আমরা একা ছিলাম,আগামীকাল কলেজ আসবে।এভাবেই বোধহয় সব শেষ হয়!২৪ তারিখ মনে হয় আমাদের বিদায়!পুরাটা ক্যাডেটলাইফ এত্ত বাজে লাগতো,ইদানিং কেন যেন যেতে ইচ্ছে করে না!আগে ভাবতাম কবে মুক্তি পাবো,এখন মনে হয় না জানি কোথায় গিয়ে পড়ি।সত্যি খুব মায়া লেগে গেছে।এই ব্লক,কম্পিউটার ল্যাবে ফাঁকি দিয়ে বসে থাকা,লাইব্রেরী তে পড়া,রাত ৩ টা ৪ তা পর্যন্ত জেগে কার্ড খেলা,চান্স পেলেই করিডোর ক্রিকেট!ক্যাডেটরা যে কত নতুন নতু খেলা আবিষ্কার করে।ইদানিং প্রতিদিন রাতে টিভি রুমে খেলা দেখতে যাই!সাউন্ড অফ,পয়েন্টে পয়েন্টে গার্ড দাড় করিয়ে খেলা দেখার এই এডভেঞ্চার আর কই পাবো?জীবনে কোনোদিন কাঠাল খাই না বাসায়।গত সপ্তাহে একাই একটা আস্ত কাঠাল শেষ করেছি প্রতিযোগীতা দিয়ে।চুরি করা কাঠাল বলে কথা!এটা কি চুরি?হাউজের সামনে একটা আম গাছে আম নাই!অথচ এই জীবনে আর কোনোদিন গাছ থেকে পেড়ে কাচা আম খাওয়ার আনন্দটাই পাবো না!ক্যাডেট কলেজের প্রতি মায়া গুলোর সোর্স খুব সিম্পল!তবুও একে এড়াই কি ভাবে?

বিস্তারিত»

হোওয়াইট চ্যাপেল এবং ব্রীক লেন আরেক বাংলাদেশ

[৭৫,জেটল্যান্ড স্ট্রীট]

[সেন্ট পিটারস কলেজ,লন্ডন]

এই পর্বে আমাদের বাঙ্গালীদের নিয়ে কিছু কথা বলবো,

আমার জানামতে TIER-4(ইউ কের ইমিগ্রেশন এর নতুন নিয়ম) এ ৭০০০০ হাজার বাঙ্গালী ছাত্র আসে। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, দক্ষিণ এশিয়া, চীন, আফ্রীকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের অনেক স্টুডেন্ট এখানে আসে। এত লোক কিন্তু জব এর অর্ধেক ও নাই।

বিস্তারিত»

Band ও আমাদের কিছু কথা

২০০৫ সাল… প্রথম ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেট হিসেবে ঢুকেছিলাম। ক্যাডেট হিসেবে বলছি কারণ আমার চাচা ক্যাডেট হওয়ায় এর আগে অনেক বার আমার চাচার Parents day তে গিয়েছিলাম। কাডেট কলেজে যাওয়ার পর ২ বছরের ভেতরে Music, স্পেশালী Band এর প্রতি বেশ আগ্রহী হয়েছি। যখন আমরা ক্লাস নাইনে তখন গীটার শেখা শুরু করলাম… আমাদের কয়েকজনের স্বপ্ন ছিল ICCLMM এ পারফর্ম করব। আমরা সেভাবে আমাদের কাজ চালাতে লাগলাম। এস.এস.সি পরিক্ষার পর ক্লাস ইলেভেন এ আমরা Principal কে Request করে Band Function করতে চাইলাম।

বিস্তারিত»

সেন্ট পিটারস কলেজ,লন্ডন

৭৫,জেটল্যান্ড স্ট্রীট এর পর থেকে…।

ভাইয়ার সাথে বাসায় আসার পর খুব ভালো লাগলো। একটা অন্য ধরণের পরিবেশ। ভাইয়া আছে, ভাবি আছে এবং একটা ছোট্ট মেয়ে আছে। গোসল করে খাওয়া দাওয়া করলাম।
ভাই-ভাবি কিছু নিয়ম কানুন বললো, যেমন- কালোদের নিগ্র বলা যাবেনা ব্ল্যাক বলতে এধরণের কিছু কথাবার্তা। তারপর সন্ধায় বের হলাম এলাকা ঘুরে দেখার জন্য ভাইয়ার সাথে।
গিয়ে আমার মাথা নষ্ট।

বিস্তারিত»

বাচ্চা মজার কাচ্চা হাসির ……

গত সপ্তাহে মুরতজা ভাইয়ের লেখা একটা পোস্টে বাচ্চাদের নিয়ে একটা কমেন্টে ওনার মেজাজ বিলা করে দেয়ায় উনি ঠাডায়া …… যাই হোক, দুঃখের কথা
আর চিন্তা না করি। মনে হলো বিলা হয়ে যাওয়া মেজাজ ঠান্ডা করার জন্যে বাচ্চাদের নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দেই।

প্রথম ঘটনাটা আমার এক কাজিনের। তার তখন ৩-৪ বছর বয়েস আর আমি তখন বুয়েটে ২য় লেভেলে। চাহিবামাত্র চকলেটের সাপ্লাই করতে রাজি থাকায় এবং কার্টুন আর কম্পিউটার গেমস সম্পর্কে ভালো আগ্রহ থাকায় বাচ্চা মহলে তখন বেশ জনপ্রিয় ছিলাম।

বিস্তারিত»