কালি-কলম কাহিনী/এই সময়

বা দিক থেকে Croco Rome Dile, Jinhao x250, Jinhao x750, Jinhao 992, Mini Pen without brand name (blue color), Traditional pen F002, KAIDULI এবং BAOER 516

আমার কালি কলমের “এই সময়” শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। কি মনে করে KAIDULI নামক ব্র্যান্ডের একটা কলম কিনলাম যাতে Piston টাইপের ইংক কনভার্টার আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়েই। কারন রাবারের Bladder যুক্ত Squeeze টাইপ ইংক কনভার্টার আমার কাছে একেবারেই সেকেলে মনে হত। তারপর কিনলাম BAOER 516 ঐ বছরই একই জায়গা সেই নিউমার্কেট থেকে। লিখে যা আরাম…। সেকেলে ইংক কনভার্টার থাকা সত্ত্বেও এরপর কিনলাম এক নাম না জানা (কলমের গায়ে কোন Brand Name খোদাই করা নেই) গাঢ়হ‌্ নীল রং এর ছোট একটা কলম।

বিস্তারিত»

কাহলিল জিবরান পড়তে বসে মনে উঁকি দেয়া কিছু টুকরো ভাবনা


“Your children are not your children.
They are the sons and daughters of Life’s longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.”
Kahlil Gibran

১৯৯২-এ যখন আমাদের বিয়ে হয়, আমি তখন সদ্য সাতাশে। উনি তখনো একুশ পেরোননি।
বিয়ের ষষ্ঠ দিনে আমরা সংসার করতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেই মহানগরের চেয়ার কোচে।

বিস্তারিত»

‘নতুন কাপড়’ আন্দোলন শুরু হোক

অনেক দিন আগের কথা। ১৯৭৭ সাল। আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। আমার পর আরও এক ভাই ও দু’বোন। আমরা সবাই ছোট্ট শিশু তখন। ঈদ এলে আনন্দই ছিল অন্যরকম। বিশেষ করে ঈদের কাপড়। নতুন কাপড় পরার আশা আমাদের সবাইকে আচ্ছন্ন করে রাখতো। পাড়ার সব ছোট ছেলে-মেয়ের জন্য তাদের বাবা-মা রোজার সময়ই নতুন কাপড় কিনে আনতেন। বড়রা আমাদের জন্য কাপড় কিনছেন বা দর্জির কাছে তৈরি করাতে দিচ্ছেন, আর আমাদের মধ্যে আনন্দের নদী বয়ে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

আমি আমাকেই বেশী ভালবাসি

আমি আমাকেই বেশী ভালবাসি
—————————

আমি আমার চেয়ে কাউকে বেশি ভাল কি বাসি? মনে হয় না। আমি একটু স্বার্থপর গোছের মানুষ। নিজে খুশি হলেই মনে হয় গোটা দুনিয়া বুঝি আনন্দিত। কিন্ত আমার আসে পাশে কত মন খারাপ মানুষের ঢল। আমি যে তাদের কষ্ট বুঝতে পারিনা তা কিন্ত না। আমি খানিক পাশ কাটিয়ে চলি। আমার মাথায় হাজার ভাবনার কোনটা যে কখন আমাকে শাসন করবে আমি নিজেও তা জানিনা।

বিস্তারিত»

আম বৃত্তান্ত

তখন আমি ক্লাস ইলেভেন এ। একাডেমিক ব্লকে ক্লাস টেন বি ফর্মের কোনায় শেডের পাশে একটা ছোট আম গাছ ছিল। গাছে লিচুর চেয়ে সাইজে সামান্য বড় আম গুলো অনেকদিন ধরে চোখে চোখে রাখি, কবে পাকবে। তো আমগুলো কেবল মাত্র পাকা শুরু হয়েছে। এক বৃহস্পতিবার মিল্কব্রেকের পর কোনো এক স্টেজ কম্পিটিশনের সময় অডিটোরিয়াম থেকে পালিয়ে গিয়ে শেডে উঠলাম, সাথে বন্ধু শাহাদুজ্জামান। দুজন মিলে গাছ ছাফা করে দিলাম।

বিস্তারিত»

সমুদ্রপারের পাড়ায় পাড়ায় ( লুনসারের লৌহ পাহাড়)

সমুদ্রপারের পাড়ায় পাড়ায়

লুনসারের লৌহ পাহাড়

আমার ব্যক্তিগত মত হল পৃথিবীতে স্বাধীনতা বা স্বাধিকারের জন্যে যুদ্ধই হল শুধুমাত্র ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ।  অন্য সকল যুদ্ধই অনৈতিক এবং মানুষের জন্যে অকল্যাণকর। প্রথম ধরনের যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সনে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ। এক অলৌকিক তাড়নায় সমগ্র বাংলার মানুষেরা গ্রথিত হয়েছিল হিরন্ময় কোন এক সুত্রে। গড়ে তুলেছিল বিস্ময়কর প্রতিরোধ। হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে। আমি ঐ সময়টাতে ক্লাস ওয়ানে পড়া এক শিশু।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৯

হুহুন্নারা হারিয়ে গেল কালের চক্রে

ভূপৃষ্ঠ থেকে চৌত্রিশ হাজার ফুট ওপর থেকে এবারের ক্যাডেট কথিকা লিখছি। অস্ট্রেলিয়ায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি। যেতে যেতে ভাবছি, সাবেকী লোকজন কত সুখেই না ছিল। ছয় বেহারা শতেক বার হুহুন্না বললেই পৌঁছে যাওয়া যেতো বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির ঘাটে। তাদের পাসপোর্ট ভিসা কিংবা বেনজোডায়াজেপিনের দরকার পড়তো না। আধুনিক নাগরিক জীবন বড় জটিল! আমেরিকার দক্ষিন কোণ থেকে পশ্চিম তীরে পৌঁছুতে বিমানে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা লেগে গেল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৮

পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ

প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়ির পেছনে ছিল জাম গাছটা। পাখিরা পাকা জাম ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে বিচি ফেলতো এদিক ওদিক। কপাল ভাল থাকলে বেইসবল গ্রাউন্ডে দুটো চারটে আস্ত জামও পাওয়া যেতো। দেলোয়ারা ক’দিন ধরেই ভাবছিল প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ এড়িয়ে কি করে জামগুলো সাবাড় করা যায়। জাম বেশী দিন গাছে থাকে না, তাই যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। সমস্যা হলো,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকা: পর্ব সাত

নিলুফার ম্যাডাম

ধবধবে ফর্সা, ঈষৎ পৃথুলা নিলুফার ম্যাডাম প্রায়শঃ নীল শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আমাদের ইংরেজী পড়াতে আসতেন। ম্যাডাম আমাদের পার্ট টাইম শিক্ষক। তিনি ময়মনসিংহের স্হানীয় বাসিন্দা। আমাদের কলেজের শিক্ষকেরা প্রায় সকলেই বড় বেশী সাদামাটা সাজপোশাক করতেন, ঠোঁটে আলতো লিপস্টিক কি চোখে কাজলের সামান্য রেখা ছাড়া কেউ বাড়তি কোন প্রসাধন করতেন না। নিলুফার ম্যাডাম আমাদের একঘেয়ে কলেজ জীবনে ঝলমলে গ্ল্যামার নিয়ে এলেন!

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৬

‘ফালা দাও’ সমাচার

শাজাহান আলী স্যার ক্লাসে এসেই বললেন,
‘ক্যাডেটস্, তোমরা এখন এখনই বর্ষণমুখর সন্ধ্যা নিয়ে একটা রচনা লিখে ফালা দাও দেখি।’
স্যারের ‘ফালা দাও’টি একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটদের মাঝে খানিক আলোড়ন সৃষ্টি করলো। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে কী যেন বলাবলি করে নিল। স্যার ক্যাডেটদের দুষ্টুমি অনুধাবন করতে পারলেন বলে মনে হলো না। তিনি সময় কাটানোর জন্য চেয়ারখানা টেনে একটা বই নিয়ে বসলেন।

বিস্তারিত»

একজন রোজ আপু

তখনকার দিনে ক্যাডেট কলেজে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ছিল না। বদ্ধ ঘরের ঘুলঘুলির মধ্য দিয়ে কালেভদ্রে বসন্ত বাতাস ঢোকার মত ক্যাডেটদের জীবনে খুশির হাওয়া বয়ে আনত হলুদ খামে ভরা এক একটি চিঠি। আর সে চিঠি যদি আসত অপ্রত্যাশিত কারো কাছ থেকে তাহলে তো কথাই নেই। ফোনে বলা কথাগুলো বার বার শোনা যায় না, কিন্তু চিঠির এক একটি লাইনের দিকে তাকিয়ে অবলীলায় পার করে দেয়া যায় শত শত প্রেপ টাইম।

বিস্তারিত»

অনুকথন স্মৃতিচারণঃ নকশীকাঁথার মাঠ

অনুকথন স্মৃতিচারণঃ নকশীকাঁথার মাঠ

আমার একটা কাঁথা আছে; তিনটা শাড়ির লেয়ার দিয়ে বানানো। তিনটা শাড়িই ছিল এম্ব্রয়ডারিতে ভরা সুতি শাড়ি। অনেক স্মৃতিবিজড়িত এই কাঁথাটা। এটার মূল্য আমার কাছে অনেক। জড়িয়ে নিয়ে থাকি, ঘ্রাণ নেই। অন্যরকমের একটা ছোঁয়া পাই। বাইরের দিকের শাড়ি দুটো আমার স্ত্রীর, যেগুলো আমি তাকে আমাদের বিয়ের সময় দিয়েছিলাম। ভেতরের লেয়ারে যে শাড়িটা আছে সেটা সবচেয়ে স্মৃতিবিজড়িত। আমার মায়ের অনেক শখের একটা শাড়ি ছিল সেটা।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৫

রনজিৎ কুমার বণিক স্যার ক্লাসে এসে বললেন, ক্যাভিয়ার চিনো নাকি তোমরা? আমরা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে এর ওর মুখের দিকে তাকাই, ক্যাভিয়ার চিনবো কি; ক্যাভিয়ারের নামই তো শুনি নাই জীবনে! বণিক স্যার ঈষৎ বরিশালের টানে আমাদের ইংরেজী সাহিত্য পড়ান। তাঁর কপালের উত্তরে সুস্পষ্ট টাক, শ্যাম বর্ণ গায়ে বেশ একটা তেল চকচকে আভা। মধ্য তিরিশের বণিক স্যার ক্লাসে নানা উপায়ে আমাদের বিনোদিত করেন। ক্যাভিয়ার শব্দটির মাঝে বেশ একটা বিলাত বিলাত গন্ধ আছে,

বিস্তারিত»

#ক্যাডেট_জীবন ১

ক্যাডেট কলেজের এক বড় ভাইয়ের কলেজে থাকাকালীন গল্প জানলাম সেদিন। নাম না বলি। ধরুন তিনি জয় ভাই। তাঁরা যখন অষ্টম শ্রেনীতে, বাংলার এক শিক্ষক এলেন কলেজে। বয়ষে তরুণ; পড়ান খুব ভাল।

জয় ভাইয়েরই এক বড় ভাই, নবম শ্রেনীর, তাঁকে জানালেন যে সেই শিক্ষক বিশ্ববদ্যালয়ে পড়াকালীন এক তরুণীর প্রেমে পড়ে বিতাড়িত হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে ক্যাডেট কলেজে এসে বনবাস নিয়েছেন। জয় ভাই অত্যন্ত পুলকিত হলেন।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৪

উনিশশো তিরাশি সালের মে মাসে এমজিসিসির প্রথম প্যারেন্টস ডে অনুষ্ঠিত হলো। আমাদের বন্ধুদের মাঝে যাদের বড় ভাই ক্যাডেট কলেজে পড়তো তারা প্যারেন্টস ডে সম্পর্কে জানতো ভাল। আমরা যারা প্যারেন্টস ডে সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলাম তারা হাউস মাস্টার স্যারের বক্তৃতা থেকে অনেক কিছু জানলাম। করিমউদ্দীন স্যার সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন যে পুরুষ এবং মহিলারা একসাথে বসে ক্যাডেটদের সাথে গল্প গুজব করতে পারবে না, অর্থাৎ বাবা উত্তরে বসলে মাকে বসতে হবে দক্ষিণে।

বিস্তারিত»