হিচকক অধিকাংশ সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে বানিয়েছেন দেখে আমরা ভুলেই যাই যে তিনি আসলে ব্রিটিশ এবং ইংল্যান্ড বানানো সিনেমাগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন দ্য থার্টি-নাইন স্টেপস এ হিচককীয় সিনেমার প্রধান সব বৈশিষ্ট্যই পূর্ণরূপ পেয়ে গিয়েছিল। হিচককীয় থ্রিলারের মূল বৈশিষ্ট্য- গতি, পরম সুন্দরী ব্লন্ড নায়িকা, নির্দোষ নায়কের গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে যাওয়া। এই তিনটি বৈশিষ্ট্যই ৩৯ স্টেপসে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। মিথ্যা অভিযোগ মাথায় নিয়ে নায়কের পালিয়ে বেরানো পরবর্তীতে হিচককের অনেক সিনেমায় এসেছে- স্ট্রেঞ্জারস অন আ ট্রেইন, দ্য রং ম্যান, ভার্টিগো, নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট এবং দ্য ম্যান হু ন্যু টু মাচ। তবে গতির দিক দিয়ে এই সিনেমা একেবারে অনন্য। এত চমৎকারভাবে কাজটা করেছেন যে অনেক সময় নির্বাক ও সবাক সিনেমার সীমারেখা ধূসর হয়ে যায়।
স্পয়লার অ্যালার্ট শুরু
রিচার্ড হ্যানে নামক এক কানাডীয় নাগরিক বর্তমানে লন্ডনে বাস করছে। লন্ডনের এক মিউজিক হলে ‘মিস্টার মেমরি’ নামক এক শ্রুতিধরের স্ট্যান্ডআপ বিনোদনে বিনোদিত হচ্ছিল সে। এমন সময় প্রেক্ষাগৃহে গুলির শব্দ, হুড়োহুড়ি করে সবাই বেরিয়ে আসে। হ্যানে বের হতে সাহায্য করে অ্যানাবেলা স্মিথ নামের একটি মেয়েকে যে পরবর্তীতে তার বাড়িতে যাওয়ার আগ্রহ দেখায়। বাড়িতে আসার পর অ্যানাবেলা নিজেকে একজন স্পাই বলে দাবী করে, বাড়ির সামনের রাস্তায় সত্যিই দুজন লোক হাঁটাহাটি করছে দেখে হ্যানে তা মেনে নিতে বাধ্য হয়। ইংল্যান্ড থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হতে চলেছে, নাম থার্টি নাইন স্টেপস, বিষয় অ্যারোনটিক্স। ঘুমনোর আগে অ্যানাবেলা স্কটল্যান্ডের মানচিত্র চায় এবং জানায় যে বিষয়টার সমাধানের জন্য তাকে স্কটল্যান্ডে বসবাসরত একজনের সাথে অবশ্যই দেখা করতে হবে যার একটি আঙুল অর্ধেক কাঁটা। কিন্তু রাত পোহানোর সুযোগ না দিয়েই অ্যানাবেলা নিহত হয়। ভোরে হ্যানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, লক্ষ্য স্কটল্যান্ডের সেই গ্রাম যেখানে আধা-আঙুলওয়ালার সাক্ষাৎ মিলবে। কিন্তু এর মধ্যে লন্ডনের সব পত্রিকায় ফলাও করে এক বেনামী (অ্যানাবেলা) নারীর হত্যা-সংবাদ প্রকাশিত হয়, হত্যার জন্য দায়ী করা হয় যথারীতি বাড়ির মালিক রিচার্ড হ্যানেকে। খুনের দায় মাথায় নিয়ে ইংল্যান্ডের মহামূল্যবান তথ্য দেশের ভেতর রাখতে ছুটে বেড়ায় হ্যানে, তার সাথে সাথে ক্যামেরা।
কাহিনী বেশি বলে দেয়া ঠিক না জানি, তবে এও ঠিক যে সুন্দরীর হদিস না দিয়ে বন্ধ করে দেয়াও ঠিক না। স্কটল্যান্ডের ট্রেনে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হ্যানে। পুলিশ আসতে দেখে একটি কামরায় ঢুকে পড়ে, ভেতরে কেবল একটি মেয়ে ছিল- পামেলা। কোন কথা না বলে ডার্লিং বলে চুমু খেতে শুরু করে হ্যানে, তরুণ দম্পতির প্রেমলীলা ভেবে পুলিশ কামরায় ঢুকতে না চেয়েও ঢুকে পড়ে। আর সাথে সাথে পামেলা ধরিয়ে দেয় হ্যানেকে। সে যাত্রা পালাতে সক্ষম হয় সে, কিন্তু পামেলার সাথে তার এটাই শেষ দেখা নয়, ব্লন্ড চুল হয়ত আমাদেরকে আগেই সে বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিল। গোয়েন্দা ভেবে আধা আঙুলওয়ালার ব্যক্তিগত চরদের কাছে হ্যানেকে ধরিয়ে দিতে গিয়ে হ্যানের সাথে হ্যান্ডকাফের বাঁধনে জড়িয়ে যায় পামেলা। সিনেমার অনেকটা সময় এই হ্যান্ডকাফ নিয়েই একসাথে ঘুরে বেড়াতে হয় হ্যানে ও পামেলাকে।
স্পয়লার অ্যালার্ট শেষ
১৯৩০-এর দশকে যুক্তরাজ্যের সিনেমার জন্য আইন ছিল অবিবাহিত নারী-পুরুষকে এক বিছানায় শোয়া অবস্থায় দেখানো যাবে না। এই বেরসিক নিয়মের বেড়াজাল থেকে বেরোনর যুক্তি হিসেবেই হয়ত হিচককের হ্যান্ডকাফ উদ্ভাবন। উপন্যাসে এটা থাকার সম্ভাবনা খুব কম, কারণ সিনেমাটা উপন্যাসের খুবই লুজ অ্যাডাপ্টেশন। ব্যাপার হচ্ছে- দুজনের হাত হ্যান্ডকাফ দিয়ে একসাথে বাঁধা, হোটেলে মাত্র একটা রুম খালি, সে রুমে আবার একটিমাত্র বিছানা- কোন নিস্তার নেই। শুরুতে এক বিছানায় শুতে বাধ্য হলেও দেখা যায় হ্যানে বালিশে মাথা রেখে শুয়ে আছে, আর পামেলা আছে আধাশোয়া অবস্থায়। যৌন আবেগে আলতো হানা দেয়ার সূচনাটাও তখন থেকে করেছিলেন হিচকক। হাত বাঁধা অবস্থায় পায়ের স্টকিং খুলতে হয় পামেলাকে, সেই সুযোগে হ্যানের হাত ছুঁয়ে যেতে থাকে পামেলার পুরো পা। সিনেমায় প্রশ্নটা উত্থাপন করা না হলেও দর্শকদের মনে হয়ত প্রশ্নটা না এসে পারেই না- তারা টয়লেটে গিয়েছিল কিভাবে?
গতির গুণগান আগেই করেছি। হিচকক ছাড়া এমন গতিময় নৈপুণ্য আর কারও পক্ষে দেখানো সম্ভব বলে মনে হয় না। বেশ কিছু দৃশ্য নির্বাক যুগের সিনেমার মত একটু ফাস্ট ফরওয়ার্ড করে দেয়া, ঠিক যতটুকু ফরওয়ার্ড করলে গতি এবং কমেডি দুই উদ্দেশ্যই চরিতার্থ হয়। কাজটা সবচেয়ে বেশি করা হয় ধাওয়ার দৃশ্যগুলোতে। গ্রামে আশ্রয়দাতার বাড়ি থেকে পালানোর সময়কার দৃশ্যটি সবচেয়ে মনকাড়া। লং শটে অনেক দূরে হ্যানের চলমান মূর্তি দৃশ্যমান, পেছন থেকে ধাওয়া করছে পুলিশ। গতির পিঠে গতি জুড়ে দিয়ে কি যেন এক মোহের জন্ম দেয় হিচকক। এমন ক্লাসিক দৃশ্যগুলোই বোধহয় তার সবচেয়ে বড় অর্জন।
তবে শুধু ফাস্ট-ফরওয়ার্ডের কথা বললে গতির প্রতি অবিচার করা হবে। মনে হয় সিনেমার একেবারে শুরুতে মিউজিক হলের দৃশ্য থেকে শুরু করে শেষে লন্ডন প্যালাডিয়ামের দৃশ্য পর্যন্ত সিনেমাতে অপ্রয়োজনীয় একটি দৃশ্যও নেই, আরও ভাল করে বলা যায়, যতো কম শট দিয়ে উদ্দেশ্য সাধন করা যায় ততোটাই করেছেন হিচকক। দৃশ্যের মধ্যে তো গতি থাকেই, তার উপর আবার দৃশ্যান্তরে যাওয়ার উদ্ভাবনী সব কাট। ট্রেনের হুইসলের কথাটা না বললেই নয়। পরদিন ভোরে গৃহ পরিচারিকা হ্যানের ঘরে অ্যানাবেলার লাশ দেখে যে চিৎকার করে সেটা শেষ হতে না দিয়েই কাট করে হিচকক চলে যান ট্রেনের দৃশ্যে- টানেল থেকে তীব্র হুইসল দিয়ে ট্রেন বেরোচ্ছে। পরিচারিকার চিৎকারের সাথে হুইসলের শব্দের পার্থক্য করা বেশ কষ্টকর ঠেকে। এই কাটে এক ঢিলে দুই পাখি মরেছে- প্রথমত পরিচারিকার চিৎকারটা বিকট ও সার্থকভাবে দেখানো গেল এবং দ্বিতীয়ত সেই চিৎকারের সাথে হিচককের চিরাচরিত আবেগ-হরণকারী কমেডিটাও উঠে আসল।
নির্দোষের অভিযুক্ত হওয়া, সেই অপরাধ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেরানো এবং অপরাধের মূল কারণটাকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা- এই থিম হিচককের এত প্রিয় ছিল কেন? কারণ, হয়ত এর মাধ্যমে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে কিছু পরীক্ষা চালানো যায়। তার পরিচয় এবং অনন্যতা নিয়ে সূক্ষ্ণ পরীক্ষা চালানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ। মৃত্যু এবং প্রকাশিত হয়ে পড়ার ভয় প্রতিটি মানুষকে আজীবন তাড়া করে। দুটি ভয় একসাথে একটি নির্দিষ্ট মানুষের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে হিচকক তাকে অনন্য করে তোলেন, অতি সাধারণ মানুষকে কিছু সময়ের জন্য করে ফেলেন অনন্যসাধারণ।
ক্যামেরাকে অদ্ভুত ও উদ্ভাবনী উপায় ব্যবহার করতে না পারলে হিচকক কোনদিন হিচকক হতে পারতেন না। এই সিনেমার বিখ্যাত হই অ্যাংগল শটের কথাই ধরা যাক। উপর থেকে অনেক নিচের দৃশ্য দেখানোকে বলে হাই অ্যাংগল শট, এটা দিয়ে খুব সার্থকভাবে অতল গহ্বরের দৃশ্য দেখানো যায় যে অতল গহ্বর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে মানব জীবনের গভীর ভয় ও পতনের। ফোর্থ ব্রিজের পিলারের পেছনে লুকিয়ে থাকার সময় হ্যানে নিচের দিকে তাকিয়ে এমনই একটি দৃশ্য দেখে। অতল গহ্বর দৃশ্যের সবচেয়ে সার্থক ব্যবহার অবশ্য আমরা দেখেছি পরবর্তীতে হিচককের ভার্টিগো সিনেমায়। এছাড়া সিনেমার ক্যামেরা মানুষের সাবজেক্টিভিটি কত নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরে তা দেখে হিচকক নিজেই বোধহয় মুগ্ধ হতেন, সেই মুগ্ধতা দিয়ে বিহ্বল করতেন দর্শকদেরকে। ট্রেনে এবং রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয়ার সময় ক্যামেরাকে হ্যানের সাবজেক্টিভ পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখানো হয়।
হিচককের সিনেমার আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল- মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্র এবং সেই সূত্রে সিনেমা ও বাস্তবতার মিল-অমিল। ৩৯ স্টেপস থিয়েটারে শুরু হয়ে থিয়েটারেই শেষ হয়। দুই বারই থিয়েটারের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাঁধাগ্রস্ত হয়, কিন্তু প্রথমবার মঞ্চে কিছু ঘটেনি। শেষবারের ঘটনায় মঞ্চ এবং গ্যালারির দর্শকের মধ্যে অদৃশ্য সীমারেখাটি ঘুঁচে যায়। গ্যালারির দর্শক মঞ্চের নাট্যায়িত ঘটনার উপর হস্তক্ষেপ করে। বলা যায় এভাবে বাস্তব-অবাস্তবের পার্থক্য ঘুঁচে যায়, বা মঞ্চের অবাস্তবতার সাথে সিনেমার বাস্তবতার কোন বিভেদ থাকে না, মঞ্চের ঘটনাই সিনেমার বাস্তব জগতের অংশ হয়ে যায়। নর্থ বাই নর্থওয়েস্টেও এমনটি দেখা যায়- সিনেমার শেষে মেকি বুলেটকে প্রতিস্থাপিত করে সত্যিকারের বুলেট, অভিনয়কে প্রতিস্থাপিত করে বাস্তব জীবন। সিনেমার কাছে থিয়েটারের নাজুক অবস্থা পরিষ্কার হয়ে যায় এই সিনেমায়। ক্লাইম্যাক্সের সময় নিরাপত্তার জন্য বা শেষ পার্থক্যরেখাটি বজায় রাখার জন্য মঞ্চের পর্দা ফেলে দেয়া যায়, একজন এসে দর্শকদের বলতে থাকে, দয়া করে আসন গ্রহন করুন সবাই, অ্যালার্মিং কিছু হয়নি। আসলে ক্লাইম্যাক্স সিনেমার সাথে বাস্তবতার পার্থক্য যতোটা ঘুঁচিয়ে দিতে চায় এমন নিরাপত্তার পর্দা বা বাণীর মাধ্যমে হিচকক তা পুরোপুরি হতে দেন না। এর সাথে সাইকো-তে খুনের দৃশ্যে বাথটাবের পর্দা পরে যাওয়ার তুলনা করা যেতে পারে।
সিনেমায় হিচকক এমন একটি চরিত্র জুড়ে দেন যা কিছুটা হলেও তার পরিচালক সত্ত্বাকে প্রতিনিধিত্ব করে। ৩৯ স্টেপসে অধ্যাপক জর্ডান তেমনই একটি সারোগেট পরিচালক। জর্ডান সিনেমায় জন্ম-মৃত্যুর নিয়ন্তা সাজতে চায়, ঠিক যেভাবে হিচকক তার সিনেমার জগতে কে বাঁচবে, কে মরবে, কে কষ্ট পাবে তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। সিনেমার পরম নির্মাতা বা ওটার বিষয়ে হিচককের ভাবনাগুলো এমন চরিত্রের মাধ্যমে আরও অনেক সিনেমায় প্রকাশিত হয়েছে, যেমন নর্থ বাই নর্থওয়েস্টের অধ্যাপক, ভার্টিগোর প্রহেলিকাময় গেভিন এলস্টার, রোপ-এর ব্রেন্ডন, নটরিয়াস-এর প্রেসকট ইত্যাদি। সিনেমার প্রেমিক জুটিকে এই সারোগেট পরিচালকের হাত থেকে বাঁচতে হয়, নিয়ন্ত্রণের শিকল ভেঙে মুক্ত হতে হয়। বাস্তব জীবনে মানুষ যেমন সমাজ, মনস্ততত্ত্ব বা বাস্তবতার নিয়ন্ত্রণ ভেঙে মুক্ত হতে চায়, তেমনি সিনেমার প্রেমিক-যুগল নিয়ন্তার বাঁধন থেকে আলগা হতে চায়। সিনেমার সারোগেট নিয়ন্তার সাথে আসল নিয়ন্তা তথা হিচককের পার্থক্য কেবল এই যে, সারোগেট সাহেবের হিচককের মত মানবতাবোধ ও ভালবাসার প্রতি বিশ্বাস নেই।
মানব জীবনে নিরাপত্তাহীনতা, শূন্যতা বা দৈবাধীনতা হিচকককে খুব ভাবাতো নিশ্চয়ই। সিনেমা কিভাবে এই দৈবাধীন সত্ত্বাকে ফুটিয়ে তুলতে পারে এবং সেই সূত্রে তার জীবনকে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা এবং অর্থ দিতে পারে তা নিয়েই আজীবন পরীক্ষা চালিয়েছেন চলচ্চিত্রের মাস্টার, আলফ্রেড হিচকক।
হিচককের রিভিউ তো এমনই হওয়া চাই ! সাবাশ !
ধন্যবাদ 🙂
অনেক দিন ধরেই মুভিটা হার্ড ডিস্কে ছিল, দেখা হচ্ছিল না। পোস্টটা দেখেই মুভিটা দেখে ফেললাম। দারুন লেগেছে। তবে এরপরে তোমার রিভিউ পড়ে বুঝলাম আমি কত সাধারন ভাবে মুভি দেখি, কত দারুন জিনিষই সেভাবে খেয়াল করিনি, কিছু কিছু জায়গা পরে আবার দেখেছি।
মুভি এবং রিভিও দুটোই অনেক ভাল লেগেছে। :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাল লাগল আহসান ভাই যে আপনি রিভিউ এসেছে দেখেই তাড়াহুড়ো করে সিনেমাটা দেখে ফেললেন। হিচককের মধ্যে আসলেই অন্য রকম একটা ব্যাপার আছে যে কারণে তার সিনেমা নিয়ে অনেক কিছু লেখা যায়।
মার্কিন ক্রিটিক রজার ইবার্ট যথার্থভাবেই বলেছেন, হিচককের সিনেমা শট বাই শট রিমেক করে কোন ভাল সিনেমা বানানো যাবে না, কারণ তার সিনেমায় শটের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল শটগুলোর মাঝের অদৃশ্য সংযোগটা...
আমার কাছেও ছবিটা আছে। দেখে ফেলতে হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ