ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিঃশ্বাস
[আগের চিঠিটি এখানে]
প্রিয় পুণ্ডরীক,
তোমার চিঠি আমাকে চমকে দিলো এতো বছর পর। বিরিশিরি গিয়েছিলাম একটি রেসিডেন্সিয়াল আর্ট এ্যাপ্রিসিয়েশন ওয়ার্কশপ করাতে। দুদিন আগে ফিরে দেখি অমুক বিলের চিঠি, তমুক দাওয়াতের কার্ডে লিভিং রুমের চায়ের টেবিলে খামের স্তূপ। আজ সেগুলো ঘাটতে গিয়ে অপ্রত্যাশিত তোমার এই চিঠি আমাকে ভীষণ আশ্চর্য করলো। সত্যি বলতে কি, এই চিঠিটির জন্য আমি অনেক বছর অপেক্ষা করে কাটিয়েছি। আমি জানতাম, তুমি আমার উপর রাগ করে ছিলে। আশায় ছিলাম, একদিন তোমার অভিমান ভাঙবে। বুঝতে পারছি না, চিঠির জন্য ধন্যবাদ দেয়া ঠিক হবে কিনা। তবুও ধন্যবাদ!
ঢাকা নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগছো ধারণা করলাম দূর থেকে তোমার চিঠি পড়ে। জেনে রেখো, তুমি যে ঢাকাকে রেখে গিয়েছিলে সে আজ পচে গিয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থের হানাহানি, নির্লজ্জ লোভ এবং হিংসা চরিতার্থ করে করে ইঁদুর দৌড়ে ক্লান্ত ঢাকা আজ এক প্রৌঢ় অ্যাজমা রোগীর মতো দিবারাত্রি শ্বাস কষ্টে ঘোঁত ঘোঁত করে। তুমি ভাল আছো, তোমাকে এসব দেখতে হচ্ছে না। সুতরাং ঢাকা নিয়ে মনের সব খচখচানি ঝেড়ে ফেলো নিঃসংকোচে। ঢাকা একটি ব্যর্থ শহর আমার জন্য। এই শহরের জানা আছে আমার জীবনের প্রথম সবকিছু। আবার দেখো, এই শহরকে ঘিরেই আমার সব ব্যর্থতা পরাজয়। হয়তো তোমারও। এই ঘুণে ধরা শহর কি আর দিতে পারবে আমাদের দীর্ঘশ্বাস ছাড়া! ঢাকা শহর তো আর শুধু ইট কাঠ পাথরের দালানকোঠা, গাড়িঘোড়া এবং ব্যস্ত বড় সড়ক নয়। ঢাকা ধারণ করে সহস্র মানব-মানবীর আবেগ-অনুরাগ এবং কষ্ট-হতাশার জীবন। জানো, আমাদের র্যাংকিন স্ট্রীটের সেই পুরনো দোতলা বাড়ীটি আর এখন নেই। যেখানে তুমি আসতে আমার জন্য। অনেক বছর হলো সেটি ভেঙ্গে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ি বানানো হয়েছে। আমি না করেছিলাম। কিন্তু আমার দু’পয়সা মতামতের কি মূল্য আছে বলো। তুমি তো জানতে, বাড়ীটি ঘিরে আমার অনেক আবেগ জড়িয়ে ছিল। আজ বুঝি, আবেগ আসলে বেঁচে থাকে স্মৃতিতে, ইট-সুরকির ইমারতে নয়।
ইয়োরোপের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এক অর্থে। ইয়োরোপ আমাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে নতুন এক মানুষ করে গড়ে দিয়েছে। একটা লম্বা সময় পাশ্চাত্য দেশীয় ভব্যতাকে রপ্ত করার অনুশীলন করে গিয়েছিলাম অনবরত। আমি সত্যি হতে চেয়েছিলাম পাশ্চাত্যের মতো – পরিশ্রমে, রুটিনে, আবেগে! পাশ্চাত্য হতে পারলাম না শেষপর্যন্ত। বঙ্গদেশে জন্ম হয়েই তো যতো যন্ত্রণা হলো। আমার ভেতরের কত আমি যে তিলে তিলে মরে গেলো। বুঝলে, মাটির গন্ধ কোনদিন যায় না মন থেকে। কী এক জীবন – না হলাম ঘরের, না হলাম ঘাটের। আমার ক্লান্ত লাগে। মনে হয়, এ জীবন আমার না! কিন্তু আগের জীবন ফিরে চাওয়া কি খুব ভাল লাগার?
তুমি লিখেছো, জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলেছো। প্লিজ হারিয়ে ফেলোনা! তুমি ফেললে হয়না। তোমাকে রাখতে হবে। তুমিই পারো শুধু রাখতে! আমরা (তুমি না) সব শ্যাওলার মত। নদীর জলে ভাসতে থাকি, আটকে যাই কোথাও কোথাও, হারিয়ে যাই দিনশেষে… তুমি হারিও না! জানি না, আমার নিজের জীবনকে অনেক ভারি মনে হয়। এবং আসলেই কোন অর্থ খুঁজে পাই না। সব ফালতু মনে হয়। হুমায়ূন আজাদ বলেছেন না, “শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথও অর্থহীন…!” অর্থ খুঁজতেও আর ইচ্ছা করে না। নেভিলের কাছে তোমার পুরনো অভিযোগ শুনে এলাম, তোমাকে সবসময় বেশি করে ওভার এস্টিমেট করতাম। করলাম না হয়! কি এমন! কাউকে তো আর করিনি। পারফেকশনিষ্টের ভান ধরে সবাইকে বরং আন্ডার এস্টিমেট করি!
মায়ের স্বাস্থ্য ভাল নেই। আমি যে কেমন আছি তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আমার আর ভাল থাকা হলো না। চাইলেও মন ভাল থাকে না। আমি যদি তাড়াতাড়ি মরে যেতাম! তাহলে আর এ জীবনের দায় বয়ে বেড়াতে হতো না। ভাল থাকা খুব কঠিন জানো। তোমার কথাই ঠিক। আলাদা হয়েও যদি সুখের দেখা না পেলাম। তাহলে কার কি লাভ হলো? তুমি ছাড়া একটা সময় আমার খুব কষ্ট হতো। কিন্তু কষ্ট হলেও কিছু কাজ কেন করতে হয়? আমি সবকিছুর জন্য নিজের দোষ দেই। আমি চাইনি এমন হোক। কেন হলো? আমি খুব অধৈর্য হয়ে পড়েছিলাম। একসময় আমাদের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে ভেবেছিলাম সেটি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা বৃথা। আমি ভেবেছিলাম একসাথে থাকার জন্য যদি জোর করি তাহলে পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে পড়বে। তারচেয়ে হয়তো একটু মুক্ত হাওয়া আমাদের ভাল থাকতে সাহায্য করবে। কিন্তু সেই ভাল থাকা আর হয়ে উঠলো না। আমার এখনো খুব দুঃখ হয় ভাবলে সব কেন এমন হয়ে গেলো!
জীবন খুব ম্যাজিকাল। আজ চৈত্র সংক্রান্তি এবং তোমাকে এতদিন পর আবার আজই লিখছি আমি। তোমার সাথে সখ্যতার প্রথম বছরে এমনই এক চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় রিকশায় একসাথে ফেরার পথে আবৃত্তি করেছিলাম “প্রহর শেষে আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস”। সেদিন আমি জানতাম না ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য কি রেখেছিল। তবে, আমাদের পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা-বোধ ছিল, সেটা আমার কাছে এখনো মূল্যবান। আমি জানি তোমার কাছেও। জীবনের গল্পগুলো কত অন্যরকম হবার কথা ছিল। মাঝে মাঝে ভাবি, আমি নিজেই কি আমার মনের মতো?! সে যাক, তোমার সাথে যোগাযোগের যে নতুন সেতু স্থাপিত হলো তা যেন জীবনে এক পশলা দখিনো হাওয়ার মতো অনুভব করলাম। আমি আর মোটেই সেই একগুঁয়ে, জেদি, খ্যাপাটে মেয়েটি নই, যে সারাক্ষণ তোমার জীবন এক সূতার উপর ঝুলিয়ে রাখতো। তোমার বিশ্বাস নাও হতে পারে। তবে আমার বাহ্যিক বদলে যাওয়াটা সত্যি। অবসর পেলে লাতিন শহরে তোমার জীবনের গল্প আমাকে লিখো দু’কলম।
সুন্দর থাকো। ভালো থাকো। নির্ভাবনায় থাকো।
আজ শেষ করছি। পূবের এই উদ্বোধনে পশ্চিমেরও বোধন হোক। শুভ নববর্ষ।
জারুলফুল
র্যাংকিন স্ট্রীট, ঢাকা
পাদটীকা:
ক. পাবলো পিকাসোর ব্লু পিরিয়ডের চিত্রকলাটি কেমন এক অন্তহীন শূন্যের দিকে দৃষ্টি, নাম – Femme aux Bras Croisés, ১৯০১ সালে আঁকা। ইন্টারনেট থেকে।
খ. আগের চিঠির ব্লগটিতে শান্তা আপার পরামর্শ মতো এটাতে একাধিক স্থানের নাম যথাসম্ভব কমিয়ে ধীর গতি ধরে রাখার চেষ্টা করলাম। তার পরিবর্তে হাই ভোল্টেজ ইমোশনের উপর গুরুত্ব দেয়া হলো।
এই জীবনে এমন চিঠি পোয়ার কায়দা কানুন এখনো শিখতের্লাম্না! লেখা সরেস হয়েছে। সত্য বলতে প্তহম লেখার তুলনায় একটু ধীর লয়ের একটু আবেগ জড়ানো। উপাদেয়।
অফটপিকঃ পিকাসোর ঐ ছবিটা নিয়ে অনেকগুলো গল্প আছে শুনেছি। কেমন যেন বিষণ্ন ছবি; হয়তো নীল রঙের তীব্রতাটাই বিষণ্নতার প্রতিফলন। :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বড় হ। শেখার কিছু নাই। ভুল করলেই বরং পাবার সম্ভাব্যতা বাড়বে।
পিকাসোর এইটা খুবই বিখ্যাত পেইন্টটিংস। ব্লু পিরিয়ড ১৯০১ থেকে ১৯০৫ সালে সব ছবিই নীল বিষন্নতার। সাহস করে আমার আগডুম-বাগডুম লেখাতে দিয়ে দিলাম।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
🙁
:guitar:
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আপনার কাছে একটা লং কোর্স করা দরকার। পেইন্টিং, ভালোবাসা, চিঠি লেখালেখি এইসব নিয়া
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এফ এম মেথড - অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীদ্বারা পরিচালিত!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
শুভ নববর্ষ রাব্বী। এইরকম একটা চিঠি লেখা ভালোবাসাই জীবনে এলো না!! 😛
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমার জীবনেও না 😛
শুভ নববর্ষ আপনাকেও।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
তোমার এই চিঠিটা খুব পছন্দ হয়েছে (কেমন জানি নার্সিসিস্টের মতো শোনাচ্ছে, শেষে আমার নাম লিখেছো তো তাই)।
ইমোশনের উপর জোর দেওয়াতে চিঠিটা একটা মেয়ের লেখা বলে বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। তবে আরেকটু মেয়েলি ছোঁয়া আ্না যেত। যেমন ভূমিকাতে আরেকটু আবেগ - চিঠি পাওয়ার বিস্ময় নিয়ে আরো কিছু লাইন। #৪ প্যারায় যেমন আবেগকে ছোঁয়া গেছে।
মেয়েটা তার ফ্ল্যআটে বোধহয় একা থাকে না। অন্তত কাজের মানুষ সাথে থাকে। এই লাইনটায় মনে হলো 'তমুক দাওয়াতের কার্ডে লিভিং রুমের চায়ের টেবিলে খামের স্তূপ।'
দেখা যাক ঘটনা কী দাড়ায়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ধন্যবাদ শান্তা'পা। নার্সিসিষ্টের মতো ভাবার কিছু নাই 🙂
পরামর্শ আশাকরি কাজে লাগবে অন্য লেখায়। এবার যে পাশ করলাম তাতেই আমি খুশি। মেয়েটার কারেটার যখন চিন্তা করি তখন তার মা তার সাথে এমন একটা ছবি ছিল মাথায়। এইটা নিয়ে যদি বড় প্লট চিন্তা করি আরো দুই একটি চরিত্র নিশ্চিতভাবে আনা যায়।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আমার কেন জানি আগেরটা বেশি পছন্দ হইসিলো...অনেক অনেক জায়গার জন্যই বোধহয়, কেমন একটা ইন্টারন্যাশনাল ভাব আসছিল... 🙁
তোমার হয়তোবা দেশে দেশে বেড়াবার ইচ্ছে 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
তোমার লেখাটা সাবলীল, খুব উপভোগ করলাম , শুভ নববর্ষ |
শুভ নববর্ষ শাহআলম ভাই। কেমন আছেন?
আপনাকে দেখে পাঁচ নম্বর টেবিলের অনেক মজার স্মৃতিই মনে পড়লো 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
লিখে যা রে রাব্বী, বড় হলে তুই অনেক বড় লেখক হবি :khekz:
বড় হপো না বস, আপনার মতো ছোট থাকপো 😛
আমার বন্ধুয়া বিহনে
অসাধারণ লেখা রাব্বী ভাই। চিঠি বরাবরই ভাব প্রকাশের এক অনন্য মাধ্যম, এর আবেগ সঞ্চালনের ক্ষমতাও অদ্বিতীয়। আপনি সেই মাধ্যম দিয়ে যেভাবে গল্পটা বললেন তার জবাব নেই। :boss: ।
বুদ্ধদেব এর 'সবিনয় নিবেদন' এর কথা মনে পড়ে গেল :dreamy:
ধন্যবাদ শহীদ।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
বেশী ভালো লাগে নাই, মোটামুটি মার্কা লাগছে আরকি।
ইউরোপরে মাথায় তুইলা বংগদেশরে গালি দিছ এইজন্য তোমারে কইষা মাইনাস।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আয়-হায়! কন কি? না, ইউরোপরে মাথায় তোলা হয়নাই। বঙ্গদেশ না শুধু ঢাকা নিয়া হতাশা প্রকাশ করেছে। সেটাও প্রতীকি।
আর চিঠিতো আমি লেখি নাই, লিখছে জারুলফুল 😀
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আগের চিঠির উত্তর ... :boss: :boss:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এক আঁটি ধনেপাতা বন্ধু 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
sorbonash!! manusher jibone emon jeno na ghote.. 🙁
জীবন তার নিজের ছন্নছাড়া নিয়ম মেনে চলে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আহা! চিঠি পড়তে পাই না কতো কতো দিন, কেউ চিঠিও লেখে না। চিঠি লেখার সিস্টেমটাই উঠে গেলো দুনিয়া থেকে। এখন সব ইমেইল আর এসেমেস 🙁 🙁
পরপর দুইটাই পড়ে ফেললাম। আরো আসুক, ভাই! 🙂
আর ফেসবুকের কথা কে বলবে?
ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ। সময় পেলেই লিখে ফেলবো।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আগেরটায় ফাঁকিবাজি কইরা কিছু লিখি নাই।
একসাথে দুইটা পড়ে দারুণ লেগেছে। এই লেখাটি আলাদাভাবে ভালো লেগেছে। আগেরটায় স্থান নামের চাপে বুঝতে একটু কষ্ট হইছিলো এই আর কি..।
সিরিজ চলতে থাকুক রাব্বী ভাই।
মাঝেমাঝে ফাঁকি দেয়া ভাল। তাতে মন ফ্রেশ থাকে 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
জারুলফুল আমার প্রিয় একটি ফুল। এই নামকরণ অসাধারণ হয়েছে।ঢাকা আর দিল্লীর পথে পথে একসময় জারুলগাছ গুনে গুনে দিন কেটেছে।
আমি আবার প্রেমপত্রে প্রেমপত্রে উন্মাতাল সময় কাটিয়েছি একসময়, দিবস রজনী শুধু লিখেই যাচ্ছি আর খামবন্দী করছি।
সামিয়ার মতো, আমিও আগের লেখাটাকে এগিয়ে রাখবো। তবে এ লেখা বাস্তবতাকে বেশি ছুঁয়ে গেছে।
একটা কথা: চিঠিতে বাংলা শব্দের সচেতন চয়ন বড়ই ভালো লাগলো, একটি শিল্পিত মনন আছে চরিত্রটির এমনটা বু্ঝতে অসুবিধা হচ্ছেনা।এবং সেই সুত্রে 'বন্ধুর ক্যাপাসিটিতে' শব্দগুলো একটু বেমানান লাগছে।মনে হচ্ছে ইনি আসলে কথাটি অনুক্ত রাখতেই পছন্দ করতেন, বা উক্ত করলেও কোন বাংলা শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেন।
জারুল আমারো খুব প্রিয় ফুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গ্রীষ্মে যেন জারুল ফুলে ফুলে ছেঁয়ে যায়। আপনার উন্মাতাল সময়ের কাব্য পড়তে পারলে মন্দ হতো না। আপনারও তাহলে আগেরটি বেশি ভাল লেগেছে!
এমন পরামর্শ খুব কাজের। অমন শব্দবন্ধ বা এভাবে না বলা - পরিবর্তন করে দিচ্ছি। নিরন্তর ধন্যবাদ!
আমার বন্ধুয়া বিহনে