অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৯ : প্রসঙ্গ ‘হাকুল্লা’

অনেক দিন বাদে ব্লগর ব্লগর নিয়ে হাজির হলাম।
জীবিকার সাথে জীবনের সমঝোতায় আজকাল ক্লান্ত হয়ে যাই সহজেই। ব্যস্ত রুটিনের বেড়াজালে ক’দিন আগে বন্ধু ‘মইন’ এর সাথে ক্লাবে দেখা। ও বললো – “যোবা’র বইটা পড়ছস? জোস লেখে কিন্তু।ফেসবুকে তো ও রেগুলার দারুন দারুন স্ট্যাটাস দেয়।” … নজরুল হাউসে আমাদের পিঠাপিঠি ব্যাচের যোবা’র সাথে আমার খাতির এর জায়গা হলো – বাস্কেটবল। দুর্দান্ত খেলে। ‘মেকা’ রি-ইউনিয়নে গেলে বাস্কেট গ্রাউন্ডে ওর সাথে খেলতে গেলেই ফিরে পাই ফেলে আসা দিনের আমেজ।।

বাসায় ফিরে ম্যালা দিন বাদে ফেসবুকে ঢু মারলাম। খুঁজে খুঁজে ওর পেইজে গেলাম। ক’খানা স্ট্যাটাস পড়ে থ হয়ে গেলাম। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ওর এক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করলাম –

নিজেরে বিরাট বেকুব বেকুব লাগতেছে ভাই। দৈনিক কমা ফেসবুকে আসি না বলেই বোধকরি তোমার লেখাগুলো আড়ালে পড়ছিল। ক্ষমা চাই। দোওয়াও চাই – ভাই তোর ‘হুক শটের বিরাট পাংখা হয়ে গেছি কইলাম…।।

যা হোক, ক’দিন বাদেই আমার ছোট ভাই মামুন (ম,ক,ক, ২৮) এর থেকে যোবা’র লেখা ‘হাকুল্লা’বইটা নিয়ে এক বসায় পড়ে ফেললাম। চমতকার লেখনী – সাবলীল গল্প বলার ধরন- শব্দগুলো ফ্রেম হয়ে হয়ে ভেসে ওঠে মানস পটে। সব মিলিয়ে সমসাময়িক পারিপার্শিক প্রেক্ষাপটে অনবদ্য একটা প্লট। মনে মনে স্বপ দেখতে শুরু করেছি যে – একদিন আমার টাকা হলে আমার ছবি বানানোর হাতে খড়ি হবে ‘হাকুল্লা’ ইনশাআল্লাহ যদি যোবা’র আপত্তি না থাকে

আমি গল্পের কাহিনী সম্পর্কে বলে আপনাদের আগ্রহ বিন্দু মাত্র কমাতে চাই না। ক্যাডেট কলেজ ক্লাব এর রিসেপশন এ থাকছে ‘হাকুল্লা’ ছাড়াও ওর প্রথম বইটি – ‘ওসি-হতনামা’।
আপনি নিজে পড়ুন আর আপনার পরিচিতদের এ খবরটা দিবেন দয়া করে। এর পেছনে আমার আরেকটি লজিক আছে। খেয়াল করবেন- যোবায়েদ ওর দ্বিতীয় বইটি নিজেই প্রকাশ করেছে। এ সাহসী প্রয়াস’কে আমি আন্তরিক সাধুবাদ জানাই।

আজকাল ই-বুক আর অডিও বুক এর যুগেও কিছু মানুষ আছেন যারা হার্ড কপি বই সংগ্রহে রাখেন – পড়েন।
প্রিন্ট করা বইয়ের পাতায় পাতায় একটা বিশেষ গন্ধ থাকে; সাদা পৃষ্টায় কালো রঙের অক্ষর গুলো লেখক অনেক মমতায় শব্দবন্দী করেন।
লেখকের সেই ভালবাসা’কে সম্মান দেখাতে আমার আজকের এ ব্লগর ব্লগর এর অবতারনা।
পোস্ট’টি পড়ে যাদের সময় নষ্ট হলো – তাদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিলাম। আর আগ্রহী পাঠকদের জন্য নীচে ‘হাকুল্লা’ প্রচ্ছদ শীর্ষক ছবিটাও যোগ করলাম।।

৬,৫০৫ বার দেখা হয়েছে

১টি মন্তব্য “অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৯ : প্রসঙ্গ ‘হাকুল্লা’”

  1. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    এক বন্ধুর অনুরোধে 'হাকুল্লা' সম্পর্কিত প্রচ্ছদে লেখকের সারাংশটুকু মন্তব্য আকারে জুড়ে দিলামঃ

    ‘হাকুল্লা’ দুই তরুণের গল্প। দুই মেরুর দুই তরুণ।
    একজন সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা তরুণের সাথে আরেকজন সুযোগ হীনতায় ভোগা তরুণের হঠাৎ কাটানো এক সন্ধার গল্প এই হাকুল্লা।
    ও হ্যা, ‘হাকুল্লা’ এক তরুনীর ভালোবাসারও গল্প। আবার এক ভেঙে যাওয়া সংসার এরও গল্প।
    সব থাকার পরেও অনেক কিছু না থাকার গল্প।

    www.jobaedhasan.com
    www.facebook.com/jobaed.hasan


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।