Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ একটি অণু+ প্রকাশনা ১ম সংস্করণ

ব্লগের নামকরণ কৃতজ্ঞতায়ঃ নূপুরদা এবং জুনাদা

বাঙালীর হুজুগ শিল্প।

গতবছর দশ ডলার দিয়ে একটি স্যান্ডউইচ টোস্টার কিনেছিলাম। এরপর এইবেলা, ওইবেলা, সারাবেলা, অবেলা স্যান্ডউইচ চলেছে মাসখানেক। মন খারাপ? স্যান্ডউইচ। উদাস লাগে? স্যান্ডউইচ। দেশে ভালোবাসা নাই? স্যান্ডউইচ।

এবছর গ্রীষ্মে আবিষ্কার করলাম প্যানকেক নামক খাদ্যটি বানানো বেশ সহজ। আবারো সারাবেলা, অবেলা প্যানকেক চললো মাসদুয়েক। শালার করলাম না আজকে রাতের ডিনার বলেই ডিম, দুধ, ময়দা, বেকিং পাউডারের কৌটা হাতে।

আইস বাকেট, রাইস বাকেট, মপ বাকেট (নিত্যদিনের কর্মসঙ্গী), বাকেটহেড (চমৎকার গীটার বাজায় কিন্তু) চারিদিকে শুধু বালটি আর বালটি (কি জানি বলে pun intended!)

বিবর্তন
গত তিনমাসে দুই দক্ষিণ ভারতীয় সহকর্মীর পাল্লায় পড়ে খাদ্যাভাস মাইকেল মধুসূদন থেকে সরাসরি অবিভক্ত ভারত-বাঙলা ও শেষে বিভক্ত বাঙলায় এসে পড়লো। সেদিন মারাঠি ছেলে প্রসাদ চিড়া ভিজিয়ে ঝাল দিয়ে রান্না করে নিয়ে এলে লাফ দিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়েছিলাম। পরের সপ্তাহে আমি দই, চিড়া, কলা কচলে খাওয়া শুরু করলে ওরা মূর্ছা যায় যায় অবস্থা। বললাম, “দাদারা উত্তর-পূর্বে ভ্রমন কর। কলকাতায় এ খাবার না পেলে নাম পাল্টে ফেলবো।”

জাতীয় ব্যর্থতা
ফেইসবুকের জ্বালাময়তা ভাল লাগছে না। দলীয় ঘেউঘেউ আর শুনতে চাই না। কত সহজে বিভক্ত হই আমরা। কবে মানুষ হবো? কবে?!

১৩ টি মন্তব্য : “Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ একটি অণু+ প্রকাশনা ১ম সংস্করণ”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    অণু+ রিলিজ দিয়ে দিলি... ২০১২ এ স্বাগতম... 😉 😛

    বিভক্তি জিনিসটা অস্বাভাবিক নয়। তবে জাতীয় ইস্যুতে- বিশেষ স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে বিভক্তি শুধু দুঃখজনকই নয়, একেবারেই অগ্রহণযোগ্য!


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অভিনন্দন!
    mocha with a K!
    গ্রেট স্টার্ট।
    দক্ষিণ ভারতীয় খাবার মানেই হলো নারকেল, দই আর চালের গুঁড়া। আমি একবেলার বেশি দুই বেলা খেতে পারিনা। পেটে সয়না। তবে মাঝে মধ্যে ভালোই লাগে। আরেকটা জিনিস হইলো পৃথিবীর যাবতীয় জিনিসের চিপ্স বানানো। কলার চিপ্স যে কেম্নে খায় কে জানে

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      প্রতি খাবারের পরে দই দিয়ে ভাত খাবেই। আর আক্ষরিক অর্থে যেকোন কিছুর পিকেল বানাইতে ওস্তাদ এরা। যেটা আশা করি নাই সেটা হলো এদের ঝাল খাবার ক্ষমতা। তেলেঙ্গানা তথা গোটা হায়দেরাবাদ মরিচের জন্য বিখ্যাত। সহকর্মীর পিতা নিজে মরিচ কৃষক। আমার প্রায় লবন মরিচবিহীন খাদ্যাভ্যাসের একটু একটু করে বারোটা বাজিয়েছে এই ছেলে।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  3. সামিউল(২০০৪-১০)

    সিরিজ চালু হয়ে গেছে 😀
    চলতে থাকুক। ভাল্লাগছে খুব - বালটি =))
    আমিও ভাবছি বহুদিন ধরেই একটা "হাবিজাবি" কিংবা "বকরবকর " সিরিজ শুরু করবো। আইলসেমি করে আর হচ্ছে না।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।