ভোজন বিলাসি ঘুম, নাকি উল্টা-টা?

নেটের লাইন ছিল না, একটু আগে আসলো। এই লেখাটা তখনই দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম কই? যাই হোক, সিরিজের মাঝখানে একটা বদখত পোস্ট দেবার কারণে নিজেই নিজের ব্যান পেপারে আগেই সিগনেচার করে রাখছি। বাকিটুকু সদস্যবৃন্দের দয়া/করুণা/দান/ব্লা-ব্লা-ব্লা…

শুয়ে আছি অন্ধকারে। ক্যাডেট কলেজে আগে কারেন্ট চলে গেলে জেনারেটর দিত। এখন আর দেয় না। শুধু যদি প্রেপ চলে তখন দেয়। ইভনিং প্রেপ/ নাইট প্রেপ বন্ধ থাকলে নো জেনারেটর।

বিস্তারিত»

গোধু্লি কথন – ৩

গোধু্লি কথন – ১
গোধু্লি কথন – ২

২৯/৩/২০০৪,

এ’কদিন কলম ধরতে একটুও ইচ্ছে করেনি। আসলে ডাইরী লেখাটা আমার ধাতে নেই। অনেকে কিভাবে যে রুটিন মেনে প্রতিদিনের দিনলিপি টুকে রাখে এটা আজো আমার বোধগম্য হয়নি, হবেও না। সম্ভবত আমি বেশ অগোছালো ধরনের।

শুনেছি মারা যাবা আগে মানুষের মাঝে নাকি অদ্ভুত সব ভাবনা কাজ করে,

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

বর্ষাকাল কিংবা বসন্তকাল কবিদের কাছে খুব রোমান্টিক মনে হলেও আমার কাছে চরম বিরক্তিকর।

প্রথমত, বর্ষা একটা নোংরা ঋতু। বৃষ্টি হয়ে রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়, বাইরে বের হওয়াই দুস্কর। আর যদি সেটা এমন হয় যে রাস্তায় জমা পানি আর ড্রেনের পানি একাকার, তাহলে তো নোংরামির চুড়ান্ত। আর এখন তো মোবাইল ফোনের যুগ। বৃষ্টি থেকে দামি মোবাইল সেটটা বাঁচানোর জন্যেও কত রকম কাহিনী করা লাগে।

বিস্তারিত»

ভূতবাজি

(এই লেখাটা পড়তে হইলে অ্যান্টেনা ইত্যাদি টেস্টিং করা যাইবো না। স্যরি জিহাদ, তুহিন এবং আরো যারা পোস্ট দেইখাই অ্যান্টেনা শানাইতে শানাইতে আসবা! এইটা পুরা স্পন্টেনিয়্যাস লেখা। আমার হাজারো পাগলামি চেষ্টার একটা। মাঝে মাঝে হাতের দশ আঙুল মটকে কী-বোর্ডটা টেনে নিয়ে খটাখট লিখতে শুরু করি। নিতান্তই প্রকৃতি বা মাতা ডাক না দিলে লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘাড় তুলি না। শেষমেশ যা দাঁড়ায়, সেটাকে হালকা ঘষা/ এবং চলটা উঠে গেলে কিঞ্চিৎ মাজা দেই।

বিস্তারিত»

গোধূলি কথন- ২

গোধূলি কথন- ১

১২/৩/২০০৪,

বিকেলবেলাটা আমার সবসময়ই প্রিয়। জানালার ফাঁক দিয়ে যখন সূর্যের শেষ সম্ভাষণটুকু আমার হাতের উপর এসে পড়ে, খুব ভালো লাগা একটা অনুভূতি হয়। একটা অজানা মিষ্টি আবেশে ছেয়ে যায় চারপাশে। অবশ্য আজকাল জানালার পাশে বসা হয়ে উঠেনা। ব্যস্ততা নয়, কায়িক অবসাদ আজকাল সে সুযোগ দেয় না। বিছানা থেকে একা একা বেশ কষ্ট হয়। তাই বিকেলটা এখন বালিশে মাথা ঠেকিয়েই কাটে।

বিস্তারিত»

এই আমরা ১৫…….সব কিছুর উর্দ্ধে আমরা এক ও অবিচ্ছিন্ন… রেড ওয়ারিয়র্স……।।

“সেই সাত জন নেই আজ
টেবিলটা তবুও আছে
সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই…………
একই সে বাগানে আজ
ফুটেছে নতুন কলি
শুধু সেই সে দিনের মালি নেই………।।”

মান্না দে’র সেই কালজয়ী গানটা যখনই মনে আসে তখন আমার মনে পড়ে যাই সেই দিনের কথা। ক্যাডেট কলেজের শেষের দিকে একটা ছুটির দিনে হুনাইন হাউসের সামনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় বেঞ্চের উপর বসে আমরা ক্যাডেট কলেজের ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করছিলাম।

বিস্তারিত»

একটা হওয়া না হওয়া নিয়ে খানিক বাচালতা কিংবা আজীবন ভেবে আমি যা ভেবে পেয়েছি

sleepingmuse
অ.তুমি শুরু করলেই হয়?
এভাবে হবে না কিছুই – যেমন টের পাই
আমার ভেতরে শব্দগুলো হতাশ হয়ে তাকায়
মাথা নেড়ে তারা খুব ম্রিয়মাণ হয়
ধুস্‌শালা! নষ্টমানুষ একটা!
স্ফটিক-বিম্বে বন্দী করছে আমাদের।

আ.কী নিরালম্ব আমাদের ঘুম!
ওভাবেও হবে না- তারা বলে, যখনই আমি সুঁই সুতো দিয়ে বাঁধতে গ্যাছি
“শুয়োরের ছাও,

বিস্তারিত»

আমার লেখা……?

ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।। বেশ কিছুদিন আগেই এই ব্লগের সদস্য হয়েছি। খুব ভালো লাগছে সবার লেখা পড়ে। কিন্তু নিজে কিছু লেখার সাহস পাচ্ছি না। যত গুলো লেখা পড়লাম আমার কাছে মনে হলো সবগুলোই আসাধারণ। সবাই অনেক ভালো লেখে। অনেক সুন্দর সুন্দর গল্পো, কবিতা, রম্য রচনা, ভ্রমন কাহিনি, ক্যাডেট জীবনের ঘটনা ইত্যাদি অনেক ধরনের লেখা পড়লেই মনে হয় সবাই বুঝি প্রফেশনাল লেখক।

সত্যি কথা বলতে কি,

বিস্তারিত»

সিগারেট, ব্যর্থ প্রেমিক

ভেবে দেখ সিগারেট, তুমি আজ ব্যর্থ প্রেমিক;
ফর্সা কাগজে মোড়া তামারং তোমার হৃদয়,
ছিল তামাক সুবাসে ভরা। সুদৃশ্য প্যাকেটে বসে,
জানতেনা জগতের ভালোবাসা-প্রেম-পরিণয়।
আচম্‌কা এল এক রূপবতী লাইটার নারী,
বাহারী রঙের দেহে তার রূপ বাসনা জাগায়।
তার উদরে গ্যাসের বিষ, চক্‌মকি পাথরের দাঁত,
ঠোঁটে তার প্রেমের আগুন; সেই প্রেম হৃদয় পোঁড়ায়।

বিস্তারিত»

গোধূলি কথন -১

ভার্সিটি থেকে ফিরছি, বেশ ফুরফুরে মেজাজে। যাক আজকের পরীক্ষাটাও ভালো ভাবেই শেষ হয়েছে, এবার কয়েকদিনের জন্য ঘুম আর বাউন্ডুলেপনা। তওসিফ বলছিল জাফলং যাবার কথা, মন্দ হয় না। তিথিটা গেলে বোধহয় খুব জমতো, তবে মনে হয় না বাসা থেকে পারমিশন পাবে। এসব অগোছালো কথাবার্তা ভাবতে ভাবতেই বাসার গেটের সামনে কেবলি পৌঁছেছি, আরেব্বাপ এই ভেজাল আবার শুরু করলো কে !!! ছোট ভাইটা খুশি মনে পুরনো কাগজ, সংবাদপত্র,

বিস্তারিত»

‘পরানের গহীন ভিতর’- সিসিবি স্মৃতিচারণ সঙ্কলন (সংশোধিত)

অবশেষে অনেক প্রতীক্ষার পর প্রকাশিত হলো সিসিবির প্রথম ই-বই ‘পরানের গহীন ভিতর’।
প্রথমবার বলে এতে শুধুমাত্র ক্যাডেট কলেজ নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলি থেকে বাছাই করে লেখা রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভিন্নধর্মী লেখাগুলিকে নিয়ে আরো সঙ্কলন প্রকাশের ইচ্ছা সিসিবি প্রকাশনা পরিষদের রয়েছে।

প্রথমবারের অনভিজ্ঞতার কারণে এতে হাজারো রকমের ভুল রয়েছে । আমরা সবার কাছে এর জন্যে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আশাকরি সিসিবির সকল সদস্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

বিস্তারিত»

ল্যাম্পপোস্ট

ল্যাম্পপোস্ট,
ন্যুব্জঘাড়ে, কতনা রোদ বৃষ্টি সয়ে!
দাঁড়ায়ে রয়েছ তুমি রাস্তার পাশে,
কোন এক গূঢ় অভিলাষে।
তোমাকে দেখেনা কেউ,
তবু মানুষের পথে তুমি ঢেলে দাও
অবিরাম পথ চলা আলো।
পোকাদের প্রবল বিরোধ, বয়স্ক মলিন খোলস;
সব বাঁধা ভেদ করে উজ্জ্বল তোমার হৃদয়,
অন্ধকারে মিলে যাওয়া পথ চিরে এনে দেয়
মানুষের চলার ঠিকানা।

বিস্তারিত»

অশিরোনাম গ্রন্থনা

…তাকিয়ে থাকার মাঝে এক নিপুণ শিল্প অনেকটাই বিমূর্ত হয়ে লুকিয়ে থাকে। শুধুমাত্র দু’চোখ মেলে তোমার দিকে চেয়ে থাকা যায়। সেই নিস্তরঙ্গ চোখে জল-কাদা-রোদ লেগে ঝাঁঝরা রাতের ঝাঁঝ জমে, আর সেভাবেই তাকিয়ে থাকায় ক্লান্ত না হয়ে খুশি হই আমি।…

…সকালে চোখ মেলতেই বুকের ওপর থেকে জোড়া পায়রা উড়ে গেল! ধবল জোড়া কবুতরে থাকে অদ্ভুত শিহরণ, পায়রার বুকে এমন শুভ্রতা বিকিরিত হয়; এবং আমি বুঝে উঠি এই সকল প্রেম,

বিস্তারিত»

ফেইড-লেদার জুতো

আজ ছুটির দিন সকালে বেরোতে হলো কাজে। এমনিতে আমার ঘুম ভেঙে উঠতে উঠতে বেলা চড়ে যায়। কিন্তু আজকে চাকরির টান, পেটের গান। তাই সকালেই মশারি ভাঙলাম। ধুম ধাশ ঠাশ ধড়ক্কাট ঠুশ। এমন করেই চারকান ছেড়ে মশারিটা ভেঙে পড়ল, যেভাবে ফিনিক্স বিল্ডিংটা ধ্বসে গিয়েছিল, যেভাবে মার্কিন ইকনোমি চুরমার হয়ে ভেঙে পড়ছে! আমি খুশি হই! কিন্তু আজ দপ্তরে খুটখাট করে কাজ করতে হবে সারাদিন। বাতিগুলোও নিশ্চয়ই বিরক্ত হবে!

বিস্তারিত»

এই পথ আমাদেরওঃ এই শহরের আমি ও কয়েকজন

ইটের পাশেই ঘাস, মাটি, ধুলো। সিরামিকের ইটের গাঁথুনি, বিন্যস্ত ঘাট। এই হ্রদের পাশে নগর। বা এই নগরের পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে গেছে প্রাগোতীত হ্রদ। নীল ছিল এর পানি বোধহয় এক কালে। এখন শ্যাওলাটে ময়লা; পলিথিন, এবং প্লাস্টিকের বোতল। সজ্জা স্বভাবতই নাগরিকের উচ্ছিষ্ট দিয়ে। এবং এই নগরযাপিত সকল ময়লা ধারণ করছে হ্রদ, নিজের বুকে। খানিকটা নীরবেই এর বুকের ওপরে শহুরে সেতুমালার সেলাই, আমরা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছি কবেই!

বিস্তারিত»