কোন এক ছুটির দিনে এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত। খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডার পরপর যেটা হয়, ডিভিডি কালেকশন নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। বন্ধুটির বড়ভাই বেশ উদার এবং কালেক্টিভ মানুষ। আমরা একটা ঢাউস ব্যাগ খুলে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ডিভিডি দেখছি। কোনটা দেখা হয়ে গেছে আর কোনটা দেখা লাগবে সেটাও হিসাব করছি। এমন সময় পরপর অনেকগুলো ডিভিডি দেখলাম একই। একজন কে জানি বললো, এটা একটা সিরিজ। আমি আগ্রহের বশে বললাম, এত দিন মুভি দেখেছি। এখন সিরিজ দেখতে হয়, কী জিনিস।
সেই হলো শুরু। যে ডিভিডিগুলো হাতে নিয়েছিলাম সেগুলো ছিল ফ্রেণ্ডস-এর। একসাথে দশ সীজন-এর দশটা ডিভিডি। একটানা দিনরাত জেগে দেখলাম। হাসতে হাসতে শ্যাষ কথাটা যে আসলেই সত্যি সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম।
এর পরে কত সিরিজ যে এল গেল। কোনটা ভাল লেগেছে, কোনটা পুরাই ফালতু, কোনটা দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। আর কোনটার একটা এপিসোড মিস হলে হন্যে হয়ে নেট ঘেঁটে ডাউনলোড করে দেখার পরেই শান্তি হয়েছে!
ব্লগে মাইনুল ভাই একদিন আওয়াজ দিছিলেন, সিরিজ নিয়ে পোস্ট দেয়ার। তারপরে আমিও ভুলে গেছি, মনে পড়লেও আলসেমিতে করা হয়নি। সেদিন ওনার পোস্ট দেখে মনে হলো আমিও একটা পোস্ট দেই। মন্তব্যে অনেক অনেক সিরিজের কথা এসেছে। আমি আমার পছন্দের তিনটা সিরিজের কথাই লিখছি।
House M.D.
সিরিজটার নামটাই অদ্ভুত। শুনলে মনে হয় বাড়িঘর। আবার এম.ডি. বুঝাচ্ছে এটা কোন ডাক্তারের নাম। কিন্তু মানুষের নাম হাউস- এটা কেবল আমেরিকানদের মত জাতের পক্ষেই সম্ভব। ডাক্তারের পুরো নাম ড. গ্রেগরি হাউস। নামের চেয়েও বিদঘুটে তার কাজকর্ম। হাঁটেন একটু খুড়িয়ে খুড়িয়ে, পায়ের শিরায় স্ট্রোক করে পেশীর অনেকখানি অংশ কেটে ফেলে দিতে হয়েছিল। সেইসময় থেকেই তার পায়ে সারাক্ষণ ব্যথা। ব্যথা কাটানোর জন্য হরদম গিলছেন পেইনকিলার “ভাইকোডিন”, একেবারে মুড়ি মুড়কির মতই। ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও, হাসপাতালের ভিতরে সাদা কোট পরেন না। তার কাছে যেসব রোগী আসে, সেগুলো এমনই বিদঘুটে কেস, অন্য সব ডাক্তার যেখানে হাল ছেড়ে দেয়, সেখান থেকেই তার কাজ শুরু! হাসপাতালের ডীন আবার বেশ সুন্দরী, কিন্তু কঠোর মহিলা। তার সাথে হাউসের আগে একটা “কিছু” ছিল বলে আন্দাজ পাওয়া যায়। ;;;
হাউসের ডিপার্টমেন্টের নাম “ডিফারেনশিয়াল ডায়াগনস্টিক”। একটা কম প্রচলিত পদ্ধতি নিয়ে কাজ কারবার। ডাক্তারের চিন্তাভাবনা যেমন দেখি, তারা রোগীর লক্ষণ, উপসর্গ শুনে একটা ফরম্যাটে ফেলে দেন। কয়েকটা আন্দাজ রোগ বাছাই করে কিছু টেস্ট করান, তারপরে যে রোগটা মিলে যায়, সেটার জন্য ওষুধ দেন। হাউসের কাজ এর থেকে পুরোপুরি আলাদা। এমন এমন রোগী আসে, যাদের কোন উপসর্গ নাই, অথচ হৃৎপিণ্ড বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! বা, হঠাৎ করেই একজন চোখে দেখতে পারছেন না, অথচ অন্ধত্বের কোন লক্ষণই নাই! এইরকম কুলকিনারাহীন এক একটা সমস্যা এক এক এপিসোডে সমাধান হয়। খুবই উত্তেজনার পর্বগুলো, মাঝে মাঝে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়েই রোগীর জীবন বাঁচাতে হয়। সিরিজটির বর্তমানে পঞ্চম সীজন চলছে। এখন পর্যন্ত কাহিনী “ঝুলে নাই”, অবাস্তব মেলোড্রামা নাই, পারষ্পরিক টানাপোড়েন, “টু বি কন্টিনিউড” (এইটা আরেক সিরিজের মূল আকর্ষণ(!) “Heores”) নাই। এক পর্বেই গল্প শেষ, মাঝে একটা দুইটা পর্ব মিস করলেও সমস্যা নাই।
The Big Bang Theory
আমি হাসির সিরিয়ালকে এতটা বৈষয়িক হতে খুব কম দেখেছি। বেশির ভাগ কমেডি বা সীট-কমগুলো ধীরে ধীরে মূল লক্ষ থেকে সরে যায় বলেই মনে হয়েছে। নির্ভেজাল হাস্যরস, এবং সেইসাথে দুর্দান্ত সংলাপ (অবশ্যই প্রাসঙ্গিক) এই সিরিজটার মূল শক্তি। চারজন পদার্থবিজ্ঞানী বন্ধু এবং তাদের প্রতিবেশী সুন্দরীকে নিয়ে এর গল্প। লেনার্ড, শেলডন একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে। তাদের আরো দুই বন্ধু ক্ষীণাঙ্গ হাওয়ার্ড এবং ভারতীয় রাজ কুত্রাপলি। মাঝে মাঝেই সংলাপে নানারকম রেসিস্ট মন্তব্যকে পরিহাস করা হয়। হাওয়ার্ডের ইহুদি হওয়া, মায়ের সাথে ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত বসবাস করাটা যেমন পঁচানি খায়, তেমনি অতিরিক্ত শুচিবাইয়ের জন্য শেলডনও কম ধরা খায় না! এরই মাঝে লেনার্ড এবং শেলডনের পাশের ফ্ল্যাটে এসে ওঠে পেনি। এক চীজকেকের দোকানের ওয়েইট্রেস, এবং নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়ে। স্বভাবতই যথেষ্ট সুন্দরী এবং বোকা প্রকৃতির। আমরা ডাম্ব-ব্লণ্ড মেয়েদের নিয়ে যে জোকগুলো শুনি, সেগুলোর নিখুঁত উদাহরণ। এখন এই সিরিজটির দ্বিতীয় সীজন শেষ হয়েছে। একমাত্র সমালোচনা এই যে মাঝে মাঝে উদাহরণগুলো খুব বেশি “তত্ত্বীয়” বা জারগনে ভরা থাকে। তবুও রসাস্বাদনে তেমন সমস্যা হবে না!
Smallville
তিনটি সিরিজের মধ্যে এটাই সবচেয়ে পুরনো। এখন মোট আট সীজন শেষ হয়েছে। স্মলভীলের কাহিনী হল সুপারম্যানের ছোটবেলা। তার হাইস্কুলের সময় থেকে বড় হয়ে ওঠা। আমি যখন প্রথম দেখতে শুরু করি, তখন এতটা মজা লাগেনি। যদিও ক্লার্ক কেন্ট, লেক্স লুথার, লানা ল্যাঙ এই তিন চরিত্র আগে থেকেই পরিচিত। যারা সুপারম্যানের কমিক্সের ফ্যান তারা নিশ্চয়ই লাফ দিয়ে উঠেছেন। মুভিগুলো দেখা থাকলেই এদের চেনা যায়। সাথে ছিল ক্লার্ক কেন্টের পালক বাবা-মা মার্থা কেন্ট এবং জোনাথন কেন্ট। শুরু থেকেই ক্লার্কের বড় হয়ে ওঠা, নিজের এক একটা শক্তির সাথে পরিচিত হয়ে ওঠার ব্যাপারগুলো ঘটতে থাকে। সেইসাথে শুরু হয় লেক্স লুথারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার নানা তরিকা। সেই সাথে প্রতি পর্বে নতুন নতুন কাহিনী, ক্রিপটোনাইটের প্রভাবে, রেডিয়েশনে মানুষের মাঝেও কেউ কেউ কোন অ্যাবিলিটি পেয়ে গেলে তাকেও শায়েস্তা করা দেখতে ভালই লাগে। এই সিরিজে মূল কমিক্সের বাইরে কিছু চরিত্র এসেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্লোয়ি সুলিভান। মেয়েটি ক্লার্কের খুবই ভাল বন্ধু, নানা বিপদেআপ দে তাকে সাহায্য করে, চরম কম্পিউটার নার্ড এবং ক্লার্কের বাবা-মা ছাড়া একমাত্র সে-ই জানে যে ক্লার্ক একজন ক্রিপ্টোনিয়ান। চতুর্থ সীজনে জানা গেল, এই ক্লোয়ির কাজিন হল আমাদের লইস লেইন। তারপরে সিরিজটির মজা আরো বেড়ে গেছে। লেক্সের বাবার রোলটাও জন গ্লোভার দারুণ করেছেন। লায়নেল লুথার তিন-চার সীজন পর্যন্ত মেইন “ভিলেন”। লেক্স তখনও বদমায়েশিতে হাত পাকায় নাই।
====
সবগুলো সিরিজেরই ডিভিডি এখন ঢাকায় পাওয়া যায়। এছাড়া নেটেও এপিসোড ধরে ধরে পাওয়া যায়। সুতরাং দেখার কোনই সমস্যা নাই। আশা করি এই সিরিজগুলো সবাইকে ততটাই আনন্দ দিবে যতটা আমাকে দিয়েছে।
1st :tuski: :tuski: :tuski: :awesome: :awesome:
:clap: :clap: :teacup: :teacup:
😀
১ম?
উরেব্বাস, এতো দেখি ডিজিটাল ফটো ফিনিশং
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আসলেই সেরাম অবস্তা! 😕
আমার তো বিগ ব্যাং থিওরী দেখতে মন চাইতেছে।
তোমার বর্ণনাভঙ্গী খুব ভালো লাগল। :clap: :clap:
এখন পর্যন্ত আমার দেখা একমাত্র সিরিজ ফ্রেন্ডস। এখনও টিভিতে মাঝে মাঝে দেখি। 🙂
তানভীর ভাই,বিগব্যাং মিস কইরেন না... :just: সিরাম.... :thumbup: :thumbup:
অনটপিক : পেনিরে পাইতে মঞ্চায় :guitar: :guitar: :guitar:
তানভীর ভাই, ফ্রেণ্ডস আসলেই সেরার সেরা। আমি তো দেখতে দেখতে ভাজাভাজা করে ফেলছি। সবাই এটা দেখেছে বলে আমি আর প্রমোট করলাম না। তবে এখানে বিগ ব্যাঙ দেখতে পারেন। যাদের কিছু মিছু পদার্থবিজ্ঞান আর গণিতে আগ্রহ আছেন, তারা খুবই মজা পাবেন! B-)
বন্য, পেনিকে পাওয়ার আপাতত কোন সহজ সমাধান নাই। তবে তোমাকে একটা সিরিজ রেকমেণ্ড করিঃ "8 Simple Rules (of Dating My Teenage Daughter)"। এটাতে পেনি আছে, আরো কম বয়েসি, একেবারে টিন-এজার! ;;; ;;; ;;;
সিরিজটা শেষ হয়েছে ২০০৫ এ সম্ভবত। নেটে পুরাটাই পাইবা, মোট চার সীজন। দেখার পরে আমাকে থ্যাঙ্কু দিয়া যাইয়ো! 😀
“8 Simple Rules (of Dating My Teenage Daughter)” এইটা কিছু দেখছি... ঐ মাইয়াই কি বিগ ব্যাং এ তাইলে তো আরো তাড়াতাড়ি দেখা লাগে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ঐ সিরিজের বড়ো মেয়েটাই পেনি। বিগ ব্যাংয়ের সেরা আকর্ষণ! ;;; তাড়াতাড়ি দেখ!
আমি থার্ড 🙂 🙂 🙂
হাউস দেখতাম... বিগ ব্যাং থিওরী দেখতে হবে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হাউস এখন সেইরকমের জমায়ে ফেলছে। বেশিরভাগ সিরিজ পাঁচ সিজন পরে ঝুইলা যায়। কিন্তু হাউজ দিন দিন জমাট টেনশন হইয়া যাইতেছে। সময় পেলে দেখে নিস।
বিগ ব্যাং থিওরী জটিল ...... স্মলভীল, লস্ট আর হাউস শুরু করেছিলাম কিন্তু ধরে রাখিনি ...... দেখি আবার শুরু করতে হবে ......
মাইনুল ভাই, আপনার উৎসাহতেই পোস্ট দিলাম। লস্ট আমার কাছে একেবারেই ভুয়া লাগছে। তবে স্মলভীল আর হাউস অনেক জোশ। দেখতে পারেন। :thumbup:
হাউজ এমডি দেখা হয় নাই। তবে ডাক্তারদের নিয়ে আরেকটা দেখছি: গ্রেস অ্যানাটমি। পুরাটা না অবশ্য, প্রথম দুই সিজন। ভালই লাগছিল।
বিগ ব্যাং আমার ফেভারিট। এর উপরে কিছু নাই। সেইরকম।
স্মলভিল প্রথম সিজন দেখছিলাম, পরে আর দেখা হয় নাই। আসলে টিন এজ সময়টাই সবচেয়ে ভাল লাগছে। ওরা একটু দায়িত্ববান হয়ে যাওয়ার পর কেন জানি আর চালায়া যাইতে পারলাম না।
গ্রে'স অ্যানাটমি মূলত ড্রামা। প্রথম দিকে ভালই ছিল, পরে টিপিক্যাল আমেরিকান খাচ্রামি শুরু করছে। এর সাথে ও, তার সাথে সে "ঈয়ে" করে বেড়াচ্ছে। x-( x-(
বিগব্যাং রক্স! :thumbup: :thumbup:
স্মলভীলের ব্যাপারে অবশ্য তোমার পর্যবেক্ষণ ঠিকই আছে। আমি একটু বিরক্তও হইছি মূল কাহিনীর বারোটা বাজানোর কারণে। কিছু কিছু জিনিশ কমিক্সে একেবারেই নাই, সেগুলোকে চুইংগামের মত টানছে, এটা খারাপ লাগছে। :no:
"ইয়ে" মানে কি?জানতে মঞ্চায় :-B
এইগুলা যদি ইশারাতে না বুঝো তাইলে বিয়ের পরে :just: ধরা খাইবা! 😛
Amar kan jani prison break ar heroes sara ektao vallage nai. 🙁
24 tai ase ekhon dekhar moto.
fringe,lost,life,kyle xy deksilam 1,2 season. But ar utshaho pai nai.
যে দুইটার কথা বললা, সেই দুটা তো মোটামুটি একই ক্যাটাগরির সিরিজ। অন্য ধরানার গুলোও দেখ। মজা লাগবে! :hug:
আমি লস্ট আর কাঈল XY দেখেছি দুই সীজন। ভালো লাগে নাই। ফ্রিঞ্জ আর লাইফ দেখিনি।
আরে হিরোজ ফ্যান ......... :hug: :hug: :hug:
ইউরেকা ট্রাই করে দেখতে পারো ...... কমেডি আর সায়েন্স ফিকশন - দুই টেস্ট পাইবা। আমার মাথায় কেন জানি ডক্টর হু ঢুকে গেসে, প্রথম দুই সিজন ডাউনলোড হয়ে গেলে তারপরে স্মল্ভীল ডাউনলোড দেবো।
প্রিজন ব্রেক তো মনে হয় শেষ করে দিসে ৪র্থ সিজনেই। তবে ২৪ জটিল, একবার দেখা শুরু করলে থামা খুব কষ্ট।
বিগব্যাং রক করে। বস 30 rock দেখছেন। ঝটিল আছে 🙂
30 ROCK অতি জটিল সিরিজ। টিনা ফে আর এলেক বল্ডুইন ফাটাফাটি অভিনয় করেন। আমি গত সীজনটা দেখিনি যদিও। দেখতে হবে নেক্সটে :guitar: :guitar:
প্রথমেই অবাক হইছি হাউজ এমডি এর নাম দেখে। I am a big big fan of House MD. আমার ধারনা মতে বাংলাদেশে ফ্রেন্ডস, লস্ট, বিগ ব্যাং, প্রিজন ব্রেক এর চাপে হাউজ তেমন পাত্তা পায়না। 30 Rock is good. কেউ যদি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন পছন্দ তাহলে NCIS দেখা যেতে পারে। হাউজ এর মতো এনসিআইএস এও ইনভেস্টিগেশন এর পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড এ ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ইন্টারেস্টিং।
কারো যদি স্পেস ফ্যান্টাসী থাকে তাহলে স্টার ট্রেক। স্টার ট্রেক হলো টিভি সিরিজ এর বিগেস্ট ফ্রানচাইজ।
NCIS এর নাম এই ১ম শুনলাম... দেখতে হবে... আমি CSI (সব গুলাই) ভালা পাই...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আরিফ ভাই, আমিও খেয়াল করেছি যে হাউসের ফ্যান খুবই কম। আমরা কয়েক বন্ধু খুব সিরিজগুলো ফলো করি এবং আমরা সবাই এক বাক্যে মেনে নিয়েছি যে ইনভেস্টিগেটিভ থ্রিলারে হাউসের সমকক্ষ নাই! 😀 😀
NCIS নাম শুনেছি, দেখা হয়নি। তবে আপনি যখন রেকমেন্ড করছেন, দেখবো।
আর স্টার ট্রেক সিম্পলি অ-সা-ধা-র-ণ! :clap:
স্মলভীল দেখতাম এক সময়। আমি ১টা পর্ব দেখার পর, ক্লার্ক এর মা'এর ভুমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন তাকে দেখলাম খুব চিনা লাগে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সিরিজে ক্লার্ক এর মা' যিনি, সে সুপারম্যান ৩ ম্যুভি তে সুপারম্যানের এক্স গার্লফ্রেন্ড হিসেবে অভিনয় করেছেন। 😀
আকাশ ভাইয়া ভাল লেগেছে, বিগব্যাং মনে হয় দু-একটা পর্ব দেখেছিলাম।
সময় কথায়? সিসিবি কে যে হারে সময় দিচ্ছি, টিভি কে আর সময় দেওয়া হয়ে উঠছেনা।
টু এন্ড হাফ ম্যান, ফ্রেইসার ভাল লাগতে পারে তোমার।
পোস্টটা তো আন্দালিবের, এইখানে আমি কিভাবে আসলাম বুঝতেছি না, :-/ :-/
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আবারো মিস্টেক ... 😀
আন্দা ভাইয়ার নাম লিখতে গিয়া আকাশ হয়ে গেছে। 🙁
ফাজিল আকাশ ভাইয়াটা দেখি আমারে জ্বালাচ্ছে খুব। 😛
আমি ফাজিল 😮 😮 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
থ্যাঙ্কু আকাশ ভাইয়া ... ভাবিকে বলে দেও্যার জন্যে। 😀
😀 😀
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দিহান ভাবী, ক্লার্কের মায়ের চরিত্রে অভিনয় যিনি করেন তিনি আসলে সুপারম্যান ৩-এ "লানা ল্যাঙ" এর চরিত্রটি করেছিলেন। (স্মলভীলে লানা'র চরিত্র করছে ক্রিস্টিন ক্রুয়েক।) আর তাকে আমার আসলেই ভাল লাগে। ৬ষ্ঠ সীজনের পরে তিনি স্মলভীল ছেড়ে দিয়েছেন, এটাতে কষ্ট পাইছিলাম! 🙁
কষ্ট কার জন্যে পেয়েছিলে, আন্দালিব ভাইয়া? ক্রিস্টিন ক্রুয়েক এর জন্যে? 😛
ভাইয়া বিরাট ধরা খাইলাম ... স্যরি ... 🙁
নাহ, ক্রিস্টিন ক্রুয়েককে ভালো লাগে না। শেষের দিকে (৮ম সীজনে) পুরা পেইন হয়ে গেছিল।
আমার ক্লার্কের মায়ের রোল করা এনেট ও'টুল-কে দারুণ লাগে। সুপারম্যান ৩ দেখে বালক বয়সে প্রেমে পড়ছিলাম। 😡 বড় হয়ে দেখলাম তিনি এখনও কী চমৎকার আছেন। স্মলভীলে তার রোলটাও দারুন বুদ্ধিমান, ক্লার্ককে সবসময় ভালো ভালো সাজেশন দিতেন! :dreamy: :dreamy:
কি যে দিনকাল পড়লো!! বড়ভাইরা আজকাল সেধে ক্রেডিট দিলেও নিতে চায় না :grr: :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
দেইখ্যা কিছু শেখ... ( ক্লাসমেটের ক্রেডিট তাই ওর টা ওর কাছে পাঠায়া দিলাম... তা না হইলে... 😛 )
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি অবশ্য দেখে কেবল এইটুক শিখলাম 😛 😛 ঃ
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
😡 😡
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
রকিব ভাইয়া, বড়দের কাছ থেকে ভাল জিনিস'ই শিখছ। কিপ ইট আপ !!! 😛
আকাশ ভাইয়া রাগছ কেন? আমরা আমরা'ই না? 😀
ধন্যবাদ দোস্ত! :hug: :hug:
ভাবিসাব, আপনি কিন্তু কিঞ্চিৎ ধরা খাইছেন! ;))
আমার কথা শুনে মারতে আইসেন না, কিন্তু আমার কেন যেন স্মলভিল পুরাই ভুয়া লাগছে।
ভুয়া লাগতেই পারে, মারতে যামু ক্যান??
স্মলভীল সিরিজটা এত ভাল লাগার কারণ মূলতই ছোটবেলায় পড়া সুপারম্যানের কমিক্স। এত বেশি স্মৃতি জড়িয়ে আছে, সেগুলো যখনই কিছু কিছু মিলে যেত খুব ভালো লাগত!
সিরিজটা কিন্তু তেমন খারাপ না, নাহলে ৮ সীজন চলা চাট্টিখানি কথা না! :thumbup:
বিগ ব্যাং দেখতে হবেতো । ১ম সিজনটা ডাউনলোড শেষ, এবার ২য়টা শুরু করেছি । স্মলভিল, হাউস দুইটাই খাপছাড়া ভাবে দেখছি, তেমন মজা লাগেনাই । কেউকি ফায়ারফ্লাই(সাই-ফাই) দেখছে নাকি?
আদনান, বিগ ব্যাং ডাউনলোড করতে চাই। লিঙ্ক দিতে পারবি এখানে?
রেপিডশেয়ার হলে পারবা না। 🙁
আমিতো টরেন্ট ইউয করি । তোকে বাসায় গিয়ে টরেন্ট ফাইলটা মেইল করে দিবনে । অথবা মিনিনোভা/পাইরেট বে থেকে টরেন্ট ফাইলটা ডাউনলোড করে নিতে পারিস ।
তানভীর ভাই, www.releaselog.com এই সাইটে দেখতে পারেন। সিরিজের নাম লিখে সার্চ দিলে এপিসোড ধরে ধরে ডাউনলোড করতে পারবেন। সব এপিসোডের জন্য র্যাপিড, নেটলোড, মেগা-আপ্লোড,ফাইল ফ্যাক্টরি এসব সাইটের লিঙ্ক আছে। আমি র্যাপিড থেকে নামাই না। অন্যগুলোর লিঙ্ক থেকে নামাই।
থ্যাঙ্কু আন্দালিব......এই সাইটও এখানে ব্লক করা। নাহ...দুনিয়ায় শান্তি নাই। 🙁
তানভীর, অফিসে বসে দেখতে চাইলে www.sidereel.com বা www.videostic.com ব্যবহার করে দেখতে পারো। সাইডরিল মুলত লিঙ্কের কালেকশন সাইট। এইখানে কোনো সিরিয়ালের (নতুন গুলো) কোনো এপিসোডের অনেক লিঙ্ক পাবা। আর ভিডিওস্টিকে তুমি সরাসরি দেখতে পারবা, তবে আমি নামাতে পারিনি। যদি ভিডিওস্টিক থেকে নামানোর সিস্টেম পাও, আমাকে জানিয়ো।
মইনুল ভাই, অফিসে বসে তো দেখা সম্ভব না, দেখি ডাউনলোডের কোন সিস্টেম বের করতে পারি কিনা। থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
খুব সহজে, অফিসে এখনও ব্লক হয়নি এমন সাইট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে গুগলে প্রথমে সার্চ দেনঃ the big bang theory s01e01 rapidshare netload megaupload filefactory
আমি এভাবে সার্চ দেই, আমার ইউনিতেও অনেক সাইট ব্লক, এজন্য। দিয়ে যে সাইটগুলো পাবেন সেখান থেকে বেছে নেন। s01e01 এর জায়গায় যে সীজনের যে এপিসোড নামাইতে চান সেটা দিয়ে নেন। তাহলেই হবে। :thumbup: