প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৮: মাই নেম ইজ খান)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৫)

 

আমার শহরের বেশিরভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভারই পাকিস্তানি। কখনো কখনো ফোন করে ট্যাক্সি ডেকে আনলে ড্রাইভার এসে সালাম দিয়ে উর্দুতে কথা বলা শুরু করেন, সেলামালেকুম খাঁসাব, ক্যায়সি হেয় আব? কাঁহা যাইয়ে? ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলি আমি বাঙালী, তেমন একটা উর্দু জানিনা। তাঁরা তখন আকাশ থেকে পড়েন, বলেন, আমরা আর তোমরা তো প্রায় একই –

বিস্তারিত»

ভালবাসার একাল…সেকাল

‘ ভালোবাস মানুষেরে

যদি চাও তুমি তারে’ –

প্রেমিক শিল্পীর এই গান হৃদয়ে জাগরুক রয়েছে… আজীবন থেকেও যাবে। মানুষকে তো মানুষই ভালোবাসবে। আর আমরা এই কাজটি করার কথা ভাবলেই সর্বাগ্রে বিপরীত লিঙ্গের কথাই মনে করি।

যুগে যুগে এই ভালোবাসা তাঁর নিজস্ব রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আবির্ভুত হয়েছে।

কেমন ছিল ভালবাসার যুগীয় রুপান্তর?

একটা সময় ছিল যখন কেউ ‘ভালবাসার জন্য দুরন্ত ষাড়ের চোখে লাল রুমাল’

বিস্তারিত»

বোধোদয়

ছাদ ঢালাই গতকাল শেষ হল।

ক’টা দিন যা গেলো! বছর খানেক ছোটাছুটি করেও হয়তো এতোটা ক্লান্ত হতেন না আশরাফ। একতলা এই বাড়িটা তার কাছে একটা অবসেসন! একটা স্বপ্ন! যা আজ বাস্তবে রূপ পেলো। কম তো কষ্ট করেননি। তারপরও ফ্রেশ একটা সন্তুষ্টির অনুভূতির বদলে মনের ভিতরে কিসের যেন একটা কাঁটা বিঁধে থাকার অনুভূতি পাচ্ছেন।

নতুন বানানো সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেলেন। ছাদের চারপাশে শক্ত মাটি দিয়ে বাঁধের মতো বানানো হয়েছে।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৫)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন: পরিবেশ পরিচিতি (১ম ভাগ)

একদিন স্কুল থেকে ফিরে গোধূলি জানালো যে তাদের ক্লাসে একটা নতুন মেয়ে এসেছে, নাম লীয়াহ। কয়েকদিন পরেই পরিচয় হল লীয়াহর বাবা অ্যান্ডির সাথে। ভদ্রলোক পেশায় অর্থপেডিক সার্জন, (তাঁকে আমি ফাজলামো করে মাঝে মধ্যে বাংলায় হাড়-কবিরাজ বলে ডেকে থাকি) । আমাদের মিডল্যান্ডস এলাকায় বেশ নাম ডাক ওয়ালা কনসালটেন্ট। আদিতে নাইজেরিয়ান, দীর্ঘদিন স্লোভানিয়াতে ছিলেন। গায়ে গতরে নেহায়েত মন্দ না,

বিস্তারিত»

দ্য লাস্ট পেইন্টিং

আজিজ মিসির আর রেবেকার ডিভোর্স হয়েছিল পনের বছর আগে । সেটার একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ও ছিল।দেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে মিসির নিজের ছবি, আর্ট কম্পিটিশন নিয়ে এতোটা ব্যস্ত থাকত। বড় লোকের মেয়ে রেবেকা যদিও ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, কিন্তু ওর ওকে সময় না দেয়াতে সে ধীরে ধীরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে মিসিরের উপরে।
রেবেকার বাবা-মা যদিও মেয়ের বিয়েটা মেনে নিয়েছিলেম, কিন্তু তাঁরা চাইতেন ভার্সিটি থেকে চারুকলায় গ্রাজুয়েট মিসির ছবি আঁকা ছেড়ে দিয়ে একটা সরকারি জবে ঢুকে যাক।

বিস্তারিত»

টুবিতা মালা

১। (ভূমিকা)
আপন মনে,  গেলাম  বুনে, টু-লাইনের কবিতা
– আদর করে নাম দিয়েছি ‘টুবিতা’।।

 

২। (গৌরচন্দ্রিকা)

আমি বলি, আমারেও ধরিলো কি ও রোগে?
ছড়া কেটে ঘুরি কেন কবিদের সড়কে!

 

৩। (হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে)
গল্প থেকে মানুষগুলো নামিয়ে দিতেন বাস্তবে,
হঠাত বলে গেলেন চলে, ‘আজ এখানেই থাক তবে’

 

বিস্তারিত»

বাড়ি ফেরা

বাসায় ফেরার দিনে সময়টা খুব দ্রুত কেটে যায়। সকল কাজকর্ম অন্যদিনের তুলনায় একটু আগেই শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে হয়। করেও।একটু তাড়া থাকেই। সহকর্মীদের মৃদু হাসি…আসন্ন কোনো ষড়যন্ত্রের আভাস কি? যার উৎপত্তি ওদের যার যার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে।

বাইরে বের হতে হতে সোয়া সাতটা বেজে যায়। অন্যরা আরো পনের মিনিট আগেই বের হয়েছে। অফিস গেটের সামনের চায়ের দোকানগুলোতে অলস আড্ডা দিচ্ছে কেউ কেউ।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি । আমরা সাত দিনের শিক্ষাসফরে । জলপাই রঙের লক্কর ঝক্কর মার্কা কলেজ বাসে করে বেরিয়েছি । দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে বাসের ভেতর যেন । নিজেদের বোঁটকা গন্ধে নিজেদেরই নাড়ি উল্টে আসে । আমরা যারা ষড়যন্ত্র করে পেছনের সিটগুলো দখল করেছিলাম, তাদের বাইরের মানুষদের বিরক্ত করেই সময় কেটে যেত । পাশ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল যাচ্ছে,ওমনি আমরা  “ও ভাই!

বিস্তারিত»

নক্ষত্রেরা ফিরে গেছে

সারাদিন কর্মব্যস্ত। সেই সাড়ে পাঁচটার পর নিজের বলে কিছু সময় পাওয়ার শুরু। আসলেই কি নিজের সময় বলে কিছু রয়েছে ওর জীবনে। অফিস আওয়ারের পরে বাসায় সময় দেয়া। বাসা বলতে বাসাই। এখনো যখন বাড়ি হয়ে উঠেনি, বাসাই বলতে হচ্ছে। ছোট্ট একটি শান্তির নীড়… কিন্তু ওর বাসাটা ছোট ঠিকই, তবে শান্তি রয়েছে কিনা… সেটি পরীক্ষার বিষয়। পাখির বাসা দেখে দেখে সেরকম একটা বাসার কল্পনা করেছে। কিন্তু পাখি কখন বাসা বাঁধে?

বিস্তারিত»

আমেরিকা আবিষ্কার (ভানু ই প্রথম)

উপস্থাপক: আচ্ছা ভানুবাবু, কানাঘুষা শুনলাম আপনি নাকি দাবী করেছেন যে, কলম্বাস নয় আপনিই প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন?

ভানু: কি কইতাছেন কানাঘুষা! না না, এগুলা আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য কেউ কেউ বইলা থাকেন। আমি কানাঘুষায় বিশ্বাসী না, আমি পাবলিকের কানে ঘুসা মাইরা মাইরা তত্ত্বকথা ঢুকাইতে বেশি পছন্দ করি।

উপস্থাপক: সে কি? আপনি এরকম মাস্তানদের মত গায়ের জোরে …
ভানু: আরে রাখেন আপনার গায়ের জোর!

বিস্তারিত»

ভাই রে ভাই!

আমি তখন অনেক ছোট, খুলনা শহর তখনও সিটি কর্পোরেশন হয়নি। তো, সেবার খুলনা পৌরসভার ইলেকশনে আমাদের পাশের বাড়ীর দবীর চাচা(ছদ্মনাম) কমিশনার পদে দাঁড়ালেন। তাঁর মার্কা হল উড়োজাহাজ, এরোপ্লেন। খুলনার আঞ্চলিক টানে অনেকেই বলতেন “আইরো পেলেন” – মানে বাঁকা প্লেন, কিছু দুষ্টু লোকেরা আবার ওটাকে “আইঢ়ে পেলেন” বলেও ডাকতেন (একথার অর্থ এখানে লেখা যাবে না)।

প্রতিদিন বিকালে পাড়ার ছেলেপুলেরা “তোমার ভাই – আমার ভাই,

বিস্তারিত»

খপ্পরে পড়া

আমাদের কলেজ জীবনে বন্ধুদের মাঝে “খপ্পরে পড়া” নামে একটা বাগধারা বহুল প্রচলিত ছিল। প্রচলিত বাংলায় কথাটি এক ধরনের বাজে, নেতিবাচক এবং ক্ষেত্র বিশেষে নোংরা অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন “ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়া”, “নারীখেকোর খপ্পরে পড়া” কিংবা “বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে পড়া”, ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের কাছে কথাটা সাধারণ্যে প্রচলিত অর্থের চেয়ে অনেক খানি ভিন্ন, কোন প্রকার নোংরামির সংশ্রবহীন, কিছুটা তামাসা মিশ্রিত মজাদার একটা অর্থ বহন করত। অনেক সময় “জীবনে একটু বৈচিত্র আনার আশায়”

বিস্তারিত»

বাঙ্গালনামা

অনেক অনেক দিন আগের কথা। রাম-রাবণের যুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। স্বর্ণলঙ্কা পুড়ে ছাই। বিজয়ীরা কেউ রং ছিটাচ্ছে, কেউ পটকা ফোটাচ্ছে, কেউবা আবার রংমহলে আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা। চারিদিকে বিজয়ী পক্ষের বীরদেরকে নানান মাপের পুরষ্কার প্রদান ও গ্রহনের ছড়াছড়ি চলছে। আনন্দ আর উত্তেজনার আতিশয্যে দেবতাগনও একফাঁকে কয়েকজনকে অমর বর দিয়ে দিলেন। একবার এই বর পেলে তাঁকে আর কোনোদিন মরতে হবে না। হনুমান থেকে শুরু করে বিভীষণ পর্যন্ত অনেকেই পেয়ে গেলেন সেই অমূল্য বর।

বিস্তারিত»

হৃৎপ্রাচীর

মাঝে মাঝে এমন ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ দিন আসে। ভোরের আলোর মোলায়েম পরশ থাকে না। স্লেটের মতো ছাইমাখা আকাশ ভয়ঙ্কর থমথমে চোখে চেয়ে থাকে। তার নিচেই ধাতব শীতল বাতাস এলোমেলো ঘুরতে থাকে। এমন দিনে রাস্তায় বেরুলে কোন মানুষ দেখবে না, দেখবে সারি সারি মৃত মুখ, নিস্প্রভ আলোহীন অবয়বে হেঁটে যাচ্ছে। সূর্যহীন আকাশের কারণে অবয়বগুলোর কোন ছায়া পড়ে না মাটিতে। তারা যেন মসৃণ কালো রাস্তার পাশ দিয়ে কিছুটা পিছলে পিছলে চলে যেতে থাকে।

বিস্তারিত»