ফ্ল্যাশ ফিকশন বা অনুগল্পের সাথে আমার পরিচয় আরনেস্ট হেমিংয়ের হাত ধরে।তার সেই বিখ্যাত “For sale: baby shoes; never worn” – মাধ্যমে। এমন একটি মাস্টার ক্লাস দিয়ে সাহিত্যের এই শাখায় আমার অবতারনা হলেও গভীরের স্বাদ আমি সঠিকভাবে এখনো আস্বাদন করতে পারিনি। প্রথমত,সংখ্যার এর অপ্রতুলতা যা বাংলাসাহিত্যে একে বারেই নগন্য। দ্বিতীয়ত, ছোট গল্পের সাথে তার সংমিশ্রণ। ছোট গল্পের সাথে সংমিশ্রণ এই জন্য বলছি, অনুগল্পের সঠিক আকার নিয়ে আসলেই আমি এখনো দ্বীধাগ্রস্ত।
বিস্তারিত»সিসিবির সাথে সুখবর *টি শেয়ার করছি!
বছর দেড়/দুই আগেও এই ব্লগটি লেখার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না!
সিসিবিতে সেসময় ‘ঠাণ্ডা প্রতিশোধ‘ নামে একটি ওয়েস্টার্ন গল্প লেখা শুরু করেছিলাম। আমার স্বভাব হচ্ছে লেখা পুরোটা (বা অনেকখানি) শেষ করে তারপর ব্লগে দেয়া শুরু করি। এতে করে নিয়মিত লেখা দেয়া সম্ভব হয় এবং যে দুই-একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমার লেখা পড়েন তাদের কাছেও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। যাই হোক, সিসিবিতে কয়েকটি পর্ব দিয়ে আমি পুরো গল্পটি আমি সেবা প্রকাশনী বরাবর পাঠিয়ে দেই।
বিস্তারিত»সাংহাইয়ের পথে পথে-১
আপনি যদি ঘুরতে ঘুরতে কখনো সাংহাই চলে আসেন তবে প্রথমে কোথায় যাবেন? চোখবন্ধ করে চলে যান ইউয়ন গার্ডেন (ইউ গার্ডেন)। আধুনিক রমরমা এত আকর্ষণ থাকতে কেন আমি আপনাকে প্রথমেই একটি ক্ল্যাসিকাল বাগানবাড়ির কথা বলছি তার অবশ্য কারণ আছে।
‘ইউ গার্ডেন দ্যা ফরবিডেন সিটি’ ওল্ড সাংহাইয়ের উত্তর-পূর্বের অ্যানরেন ঝিতে অবস্থিত। তদানিন্তন মীং সম্রাজ্যের সরকারী কর্মকর্তা প্যান ইউনডন বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের সুখ ও শান্তি নিশ্চিত করতে এটি তৈরি করেন।
ফেসবুক বন্ধ করা ও খুলে দেবার পরে …
[ফেবু বন্ধ করার পরে] –
শুনিয়া আঁতেল সবে করে ধিক্-ধিক্,
কোথাকার গণ্ডমূর্খ পাষণ্ড নাস্তিক!
ফেবু নাকি হতে পারে অশান্তির আকর
একথা কেমন করে করিব স্বীকার!
জগৎ-বিখ্যাত মোরা ‘জ্ঞান-অন্ত’ জাতি –
জবান বাঁধিয়া দিবে! দুপুরে ডাকাতি!
[ফেবু পুনর্বার খুলে দেবার পরে] –
সভাস্থ সবাই ভাসে আনন্দাশ্রুনীরে,
বিস্তারিত»সুন্দরবনে বন্য প্রাণির আনাগোনা বন্ধ করা হোক!
পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকায় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভবন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। বর্তমানে মোট ভূমির আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. (বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. -এর আয়তনসহ) এবং নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারার আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি.।
বিস্তারিত»কেটলি আছে, চা কই?
কাজের কারণে দেশের নানা জেলায় যেতে হয়। কখনও রেলগাড়িতে, কখনও বাসে, কখনও বিমানে। দু-তিন দিন করে থাকাও হয়। হোটেলে থেকে কাজ করা বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। হোটেলগুলোর স্থাপত্যকলা চমৎকার, থাকার রুমগুলো ঝকঝকে, আসবাবপত্র অপূর্ব, গোসলখানা আরামদায়ক! সুইমিং পুল আছে, শরীরচর্চার জন্য জিম আছে। কোথাও-কোথাও আবার বারও আছে। মনে হয় পারলে হোটেলেই থেকে যাই। ঢাকায় ফেরার দরকার নেই।
তবে প্রায় প্রতিটি হোটেলেই আপ্যায়নের অভাব। আর এতেই ভাটা পড়ে আমার উৎসাহে।
জীবন’টা তাহলে এমনই!
বছর আটেক আগে এ’পাড়ায় থাকতে এসে খুবই খুশি! এমন একটা পাড়ায় আমি থাকবো; ভাবাই যায় না। অনেক বড়-বড় মানুষের বাড়ি এ’পাড়ায়। ভালোই আছি; জীবন চলে যাচ্ছে; ধীরে-ধীরে প্রতিবেশীদের সাথে পরিচিত হচ্ছি। বেশ কদিন চলে গেলো। এ’পাড়ার বাসিন্দা হিসেবে মনের মধ্যে একটা ভাব এসেছে খেয়াল করলাম। নিজেকে বড়-বড় লাগে। চললো জীবন।
সিনেমায় যেমনটা ঘটে, ঠিক তেমনি করেই আমার সুখ আর বেশিদিন সইলো না। এ’পাড়ায় আমার প্রথম কুরবানী ঈদের নামাজ সেরে আসার পথে দেখি আমার প্রতিবেশি মুনির সাহেব (সত্যিকার নাম নয়) ঠিক রাস্তার মাঝখানে পশু ফেলে কুরবানী করছেন।
কলেজ জীবনের সাতকাহন (গ্যাং অব চোর) – শেষ পর্ব
“এই! আপনাঁরা এখানে কীঁ করশেন ষ্যার?”
– সাইদ বিশ্বাস স্যারের ট্রেডমার্ক আওয়াজ। উপরে তাকিয়ে দেখি, হ্যাঁ তিনিই। বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের ঠিক উপরে দোতলার বারান্দা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঈশ! টাইমিংটা একটু এদিক সেদিক হলেই ওনার শ্যেনদৃষ্টিটা এড়ানো যেত। জানি, এসময়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। মাথার ভিতরে ঢ্যাঢ্যাং ঢ্যাঢ্যাং করে ছয় বছর আগে শোনা সিএইচএম শহিদ ওস্তাদের অমোঘ বানী বাজতে লাগলো,
বিস্তারিত»পেস লাইক ফায়ার!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ পোস্টটি কিন্তু বি শা ল বড়। একাধিক পর্বে দিলে ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যাবে বলে একবারেই দিলাম। বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!
————-
১ ডিসেম্বর, ১৯৭৯।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। দুটো কারণে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল- কেরি প্যাকার ওয়ার্ল্ড সিরিজের পর এই দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পূর্ণ শক্তিতে ফিরেছে এবং প্রথমবারের মতন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের আক্রমণভাগে বিখ্যাত চারজন ত্রাস পেসারের সমন্বয় ঘটেছে,
বিস্তারিত»কলেজ পালিয়ে
একেবারে শাদামাটা একটা ক্লাশ ইলেভেন কাটাচ্ছিলাম। ম্যাড়মেড়ে, নিস্তরঙ্গ। সেই কাক ভোরে ওঠোরে, পিটি করোরে, ব্রেকফাস্ট, ক্লাশ, মিল্কব্রেক, ক্লাশ, লাঞ্চ, আফটারনুন প্রেপ, টি, গেইমস, প্রেয়া্র, প্রেপ ডিনার, টিভি, রাত দশটা, লাইটস অফ, ঘুম।
এই যদি হয় জীবন তাহলে ইলেভেনে উঠলাম কেন? প্রতিবছর ক্লাশ ইলেভেন কত কিছু করে ! ইলেভেন্থ ইনটেকতো দেয়ালে চিকা টিকা মেরে কলেজ থেকেই বেরিয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাঁচজনকে কলেজ ফিরিয়ে আনেনি।
হায় অস্ট্রেলিয়া! ওহ অস্ট্রেলিয়া!!
১।
আজকে অস্ট্রেলিয়ান সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় আপাদমস্তক কালো কাপড় পড়া এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে গুলিক করে একজন পুলিশ আইটি (IT) বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে সেখানে প্রহরার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল কনস্টবেলদের গুলিতে আক্রমণকারী প্রাণ হারায়। এটি কোন নাশকতার ঘটনা কি না- সে ব্যাপারে পুলিশ এখনো কিছু জানে না। তদন্ত চলছে। আক্রমণকারীর পরিচয় এখনো জানা যায় নি। নিহত আইটি বিশেষজ্ঞের পরিচয়ও আপাতত মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয় নি।
বিস্তারিত»আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা
স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded
হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া,
ডক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (ভূমিকা পর্ব)
ভানুঃ (গুনগুন করে নিজের মনে কীর্তন গাইছে)
ভজো দুহাত তুলিয়া ভজো কাঞ্চন গোঁসাই …
তাঁর জোরে সবাই তোমায় বাপ ডাকবে ভাই …
ওরে থাকলে তিনি ট্যাঁকের মাঝে বুকে বাড়ে বল …
স্ত্রী পুত্র ভাই বন্ধু তোমার পদতল …
ওরে টাকাই ধর্ম টাকাই কর্ম কলিযুগের সার …
সত্য নিষ্ঠা আইন কানুনের মাথায় ঝাঁটা মার …
ভজো দুহাত তুলিয়া…
আগন্তুকঃ আরে আরে দেখি,
বিস্তারিত»মলিন ঈদ মোবারকঃ দায় নিতে হবে সৌদি আরবকেই!
১। মুসলিম জাহানের অঘোষিত এবং স্বঘোষিত অভিভাবক সৌদি আরব ২০১৪ সালে সামরিক খাতে ব্যয় করেছিল ৮০.৮ বিলিয়ন ডলার (৭৬.২ বিলিয়ন ইউরো)। যা কিনা আগের বছরের চেয়ে ১৭% বেশি।
সারা বিশ্বজুড়ে সিরিয়া শরণার্থী ইস্যুটি যখন ‘টক অব দ্যা মোমেন্ট’ তখন সৌদি বাদশাহ, যুবরাজ, আমির, উজির, নাজির…সবাই ভোগ বিলাসে ব্যস্ত। শুধু সৌদি আরবই নয়, মুসলমানদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও আই সি’র ও তেমন কার্যক্রম নেই। কেবল সিরিয়া ইস্যু নয়,
বিস্তারিত»একটা ‘ধন্যবাদ দিবস’ চালু করলে কেমন হয়?
কয়েক বছর আগেকার কথা। মতিঝিলে একটি অনেক উঁচু ভবনে লিফটে করে উঠে নামার সময় লিফট-ম্যানকে ‘ধন্যবাদ’ দিতেই তিনি আমার হাত খপ করে চেপে ধরে বলেছিলেন, ‘আপনাকেও ধন্যবাদ; আমার কুড়ি বছরের কর্ম-জীবনে আপনিই প্রথম আমার কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন’। আমার এক ধন্যবাদে এই মানুষটির খুশি দেখে আমি ঠিক করেছিলাম মানুষকে আরও বেশি-বেশি করে ধন্যবাদ দিতে হবে। এই মানুষটির সঙ্গে আমার যেমন মনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল, তিনি যেমন আমার মনের ইতিবাচক দিকটি দেখতে পেয়েছিলেন,
বিস্তারিত»