গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আমি গত প্রায় দুই দশক ধরে গ্রামীন ফোনের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করি। গ্রাহক সেবা বা মানজনিত সমস্যা, কলরেট বা ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য ইত্যাদি সত্ত্বেও অন্য নেটওয়ার্কে যাই নি শুধুমাত্র পুরনো নম্বরটি অনেকের কাছে আছে দেখে। কেননা, এটা এখন আমার পরিচয়ের অংশ হয়ে গেছে। (পরিতাপের বিষয় গ্রামীন কর্তৃপক্ষ একবারও সামান্য সৌজন্য কল করে ধন্যবাদ পর্যন্ত দেয় নি! এত পুরনো গ্রাহক হবার কারণে এতটুকু তো আশা করতেই পারি!)

যা হোক,

বিস্তারিত»

কোটা বন্ধ!

দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীগন আন্দোলন করিয়া সরকারী চাকুরি হইতে সর্বপ্রকার কোটা প্রথাকে উচ্ছেদ করিয়াছেন জানিতে পারিয়া অতিশয় আহ্লাদিত হইলাম। এতদিনে সরকারি চাকুরিতে কেবলই মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাহাদের সন্তানাদি অথবা নারীকুলের একচ্ছত্র আধিপত্য বিরাজ করিত। এক্ষনে সেই উপদ্রব বিদূরিত হইলো।
দিব্যচক্ষে বেশ দেখিতে পাইতেছি – সরকারী দপ্তরসমূহ মেধাবীতে সয়লাব হইয়া গিয়াছে। নিত্যকার দাপ্তরিক কর্মকান্ডে তাহারা ক্রমাগত মেধার স্বাক্ষর রাখিয়া সরকারী বিভাগসমুহকে শণৈ শণৈ উন্নতির চরম শিখরে লইয়া যাইতেছেন।

বিস্তারিত»

মরিচীকা

মরিচীকা
মো ও খা ও।

উড়তে উড়তে উড়ে গেছি বহুদূর
সুদুর নীলিমা জুড়ে দিকহীন রোদ্দুর
প্রান্তর পাড় হয়ে  দাঁড় ফেলে
কালা পানি সাতারে ঢেঁকুর গিলে।
ঐযে আকাশ সেত কিছু নয়, শুন্য
চাঁদ যে কত সুন্দর খানা খন্দ পূর্ণ
বাতাস বাতাস নয় সে তোলে ঝড়
প্রেম কি সে প্রেম প্রবাহ প্রলয়ঙ্কর।

আছারিল জননী জঠর পিয়াতক
মাতোয়ার মহুয়া রসে ঢেউ পাঁক,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে – ছয়

নীলার জন্য ছয়টি গোলাপ।
ঠিক ছয়টি মাসই ছিলো আমাদের
দেখা-কথা-প্রেম-ভালবাসা।

একটা হলুদ গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস শুধু বন্ধুই ছিলাম।
একটা গোলাপী গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস বন্ধুর চেয়েও বেশী।
দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
যে দুই মাস প্রেম আচ্ছন্ন করে ছিলো।
বাকী দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
আমি নিশ্চিত ছিলাম ঐ দুই মাস
এটা কোন প্রেম নয়,

বিস্তারিত»

আরআইপি

রঞ্জন ক্লাবের বারে এসে বসেছে মিনিট দশেক হয়েছে। আজ আসার ইচ্ছেই ছিল না। অথচ আজ তার মনের যা অবস্থা, তাতে বারে বসে স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা না করে বরং পান করলেই ভালো লাগত। তার পরও রঞ্জন আসতে চায়নি। দুপুর থেকে মনের ভেতর কান্না ভর করেছে। দুবার কেঁদেওছে। বেশ জোরেই। লাভ হয়নি। ভেবেছে নকীবের বাসায় গিয়ে ওর বৌয়ের সঙ্গে দেখা করে আসবে। রীমা এখন কী করছে,

বিস্তারিত»

বসন্ত তুমি

বসন্ত তু‌মি
ওবায়েদুল্লাহ

প্রকৃ‌ত পরাণ ছিল না কোন কালে
তু‌মি ছাড়া,
বিবসনা ছিল সুর ফাগু‌নের গান‌ে
‌মন দি‌শেহারা।
ফু‌টিল শাখা‌তে ফুল মৌভরা মুকুল
কা‌পে মধুবন,
গুন্জ‌রি ক‌লি কো‌লে ভ্রমর আকুল
সুখ আহরন।
শিমুল পলাশ সে‌জে‌ছে লাল ‌দেহভর
‌পোড়ায় পরাণ,
সর‌ষের মাঠ উন্মনা প‌ড়ে হলুদ শ‌াড়ি‌
প্রেম ভরা গান।

তোমার‌ি প্রে‌মে ব‌হিল মলয় দ‌ক্ষি‌নে
গা‌হি কুহুতান,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গতার মন্ত্রী ও রাগ কমানোর পার্ক

একটি জাতির একাকী অথবা নিঃসঙ্গ মানুষগুলোর জন্য একজন মন্ত্রী থাকবেন এবং তিনি সবার একাকীত্ব ঘোচাতে এগিয়ে আসবেন–এ কথা হঠাৎ শুনলে খুব স্বাভাবিক মনে হবে না। অন্তত আমরা– বাঙালিরা তো মানতেই চাইবো না যে মানুষ একাকী বোধ করতে পারে।
সম্প্রতি ব্রিটেনে একজন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে–একাকীত্বের মন্ত্রী। বাংলায় নিঃসঙ্গতা এবং একই কথা কিনা আমি জানি না, তবে সে দেশে ‘লোনলিনেস’ এবং ‘অ্যালোন’ এক কথা নয়।

বিস্তারিত»

“এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প” পড়ার জন্য ধন্যবাদ

এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প ২০১৬ তে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর আমি যে পাঠক-প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা লেখক হিসেবে আমার হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছে। চেনা-অচেনা পাঠক আমায় জানিয়েছেন যে উপন্যাসটি পড়ে তাঁদের ভাল লেগেছে। যাঁরা আমার এই বইটি পড়েছেন তাঁদের জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এ গল্পের ঘটনাগুলো এতো দ্রুত ঘটছে যে অনেকেই শুধু ঘটনাগুলোর ওপরই মনোনিবেশ করেছেন। ক্যাডেটরা কি করে তাই দেখেছেন। অনেকে ক্যাডেট কলেজে ইতিহাস বলে গন্য করেছেন।

বিস্তারিত»

ফুটবলে আইসল্যান্ডের উত্থানঃ আমাদের জন্য শিক্ষা

মাত্র ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের দেশ আইসল্যান্ড ফুটবলের দুনিয়ায় কোন মতেই ‘মিনোস’ এর চেয়ে বেশি কিছু হবার কথা নয়। একটি সময় পর্যন্ত তারা ‘পুঁচকে’ই ছিল। তবে, সব হিসেব বদলে যায় গত ইউরোতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় দল হতে তাদের বেশি সময় লাগেনি। তাদের অর্জন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায় লোকসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা লাভ করার পর।

বিস্তারিত»

ডিজিটাল অঘটন

মনে আছে, কয়েক মাস আগে আমাদের ঢাকা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকরা তাদের গাড়ি আর না চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন? গত ২৭ নভেম্বর থেকে তাদের অটোরিকশা আর রাস্তায় নামাবেন না বলে পূর্ববার্তা দিয়েছিলেন। তার অর্থ হচ্ছে, সাধারণ যাত্রীরা তাদের অফিস বা কর্মস্থলে যেতে এবং কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে আর অটোরিকশা চেপে যেতে পারবে না।

এমন ধর্মঘটের পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল। আমি তাদের দাবিগুলো খুব মন দিয়ে দেখেছিলাম।

বিস্তারিত»

দীর্ঘস্থায়ী হোক আমাদের গ্রন্থাগারগুলো

আমরা যখন স্কুলে পড়ছিলাম, সেটা প্রায় ৭০’র দশকের কথা। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময়, আমাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান ছিল সেখানকার গ্রন্থাগার। জেনেছিলাম তখন সেখানে ৪০ হাজারেরও বেশি বই ছিল। ‘লাইব্রেরি ক্লাস’ বলে আমাদের একটি ক্লাসই ছিল– সেখানে অন্যান্য বই থেকে ক্লাসের পড়া আরও ভালো করে জানা ছিল উদ্দেশ্য। যখনই কোনও শিক্ষক অনুপস্থিত থাকতেন অথবা অসুস্থ্ থাকতেন, তার ক্লাসের বদলে আমাদের অন্য কোনও ক্লাস হতো না।

বিস্তারিত»

রোহিঙ্গা ইস্যুঃ সংকট নাকি সম্ভাবনা?!

কক্সবাজারের ‘দর্শনীয়’ জিনিসের তালিকায় নতুন সংযোজন রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা পল্লী। বিশেষ করে উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এই ‘জিনিস’ প্রচুর পরিমাণে মিলবে। স্যুভনির পণ্য তালিকাতেও বেশি কিছু নতুন আইটেম যোগ হয়েছে। যেমন- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (UNHCR) ছাপ মারা কম্বল, তাঁবু, ডাল, কৌটা বা টিনজাত খাবার, এমনকি ত্রাণের তরল দুধও! শোনা গেছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই দুধ পানে অভ্যস্ত নয়। প্রাপ্ত দুধ দিয়ে অনেককে হাত-মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে কাপড় ধুতেও (জ্বি,

বিস্তারিত»

টেলিভিশনে বিষয়বস্তুর খোঁজে

দু’হাজার দুই কী তিন সালের কথা। গিয়েছি এক বিদেশি রেডিওতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। রেডিওটি খবর-নির্ভর এবং সঠিক খবর দেয় বলে খ্যাতি আছে। ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন দু’জন – একজন বাঙালি এবং একজন পাকিস্তানি। বাঙালি আমার কাছে জানতে চাইলেন আমাকে যদি সেখানে চাকরি দেওয়া হয়, আমি নতুন কী করতে পারবো। আমি উত্তর দিয়েছিলাম, ‘জনমুখী কিছু অনুষ্ঠান চালু করতে হবে এবং সঙ্গীতের একটি প্রোগ্রাম প্রয়োজন।’ তিনি আমার দিকে চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন।

বিস্তারিত»

নিজের জন্যে শ্রদ্ধার্ঘ

কি? কি বললেন? নিজের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ লিখবেন। মানে আপনি আপনার জীবন-গাঁথা লিখে রেখে যাবেন আপনার মৃত্যুর পর পত্রিকায় ছাপার জন্য? কি বলছেন এসব? যা-তা, একেবারে! আপনার মাথাটা পুরোটাই গিয়েছে! মরনের ইচ্ছে হয়েছে নাকি আপনার?
ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সবাই আমি যদি বলি আমার মৃত্যু-পরবর্তী শ্রদ্ধার্ঘ আমি নিজেই লিখে রেখে যাব।
চিন্তাটি মাথায় এলো কয়েকদিন আগে যখন আমি আমার মায়ের জন্য একটি শ্রদ্ধার্ঘ লিখতে চাইছিলাম।

বিস্তারিত»

মতিউর রহমান স্যার

আজকে কেন জানি হঠাৎ অংকের মতিউর রহমান স্যারকে বারবার মনে পড়ছে। একেবারেই কাদামাটির অন্তর, প্রাতঃস্মরণীয় মানুষ, পরম শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। আমাদেরকে তিনি নিজের সন্তানদের মতই দেখতেন।

স্যারের একটা অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। কোন একজনকে ধমক দিতে হলে তিনি বলতেন, “ইডিয়েটস!”, আর একাধিক জন হলে বলতেন “ইউ ইডিয়েট!” গনিতের লোক বলেই বোধহয় গ্রামারের নাম্বারকে খুব একটা তোয়াক্কা করতেন না। তাঁর একটি কথা আমার মাথায় আজও ঘোরে (এবং আমি সবসময় অনুসরণ করার চেষ্টা করি) সেটা হল,

বিস্তারিত»