ব্লগে ঢুকবো না ঢুকবো না করেও শেষ পর্যন্ত ঢুকলাম। বেশ কিছুদিন ধরে প্যারেডে ছিলাম না। তাই বলে সিসিবিকে ‘টা… টা…. বাই…. বাই’ জানিয়ে দিয়েছি এমন ভাবলে ভুল হবে। জানালাটা খুলি প্রতিদিনই। দেখি কে কি করছে, কি লিখছে, কাজের অবসরে পড়িও অনেক লেখাই। গত কয়েকদিন ধরে যে ধর্ম নিয়ে আবার একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে তাও নজর এড়ায়নি। আমার কি কিছু বলা বা করা উচিত- এমনও ভেবেছি। আবার ভাবি, কি দরকার! আমি কিছু বললে সেটা সবাই মানবে কেন? আর ধর্মের বিষয়ে আমারও একটা স্পষ্ট অবস্থান আছে। কেউ কেউ ভাবে, রায়হান, মুহাম্মদ বা অর্ণবের প্রতি আমার এ কারণে পক্ষপাত আছে। কারণ আমি সংশয়বাদী।
কিন্তু স্ত্রী বলি সবচেয়ে ঘণিষ্ট বন্ধু বলি নাসমিন, ধর্মপরায়ন। ওর ধর্ম পালন নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। ২৫ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, ওকে সংশয়বাদী করার কোনো মিশনে আমি কখনো নামিনি। আমার বাসায় মিলাদ হয়। আমিই সেটার আয়োজন করি। প্রতিবছর বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে। আমিও তাতে সামিল হ্ই। আমি তখন বাবাকে স্মরণ করি। তার সঙ্গে আমার সুখের স্মৃতিগুলো মনে করি। মিলাদের আয়োজন পরিবারে, সমাজের অধিকাংশ বা ৯৯ ভাগ ধার্মিক মানুষকে একসঙ্গে করে। আমি পরিবার বা সমাজের রীতির বাইরে যেতে পারি না। আমি তো তা চাইও না। আমি আমার পরিবার ও সমাজকে ভালবাসি, তাদের বিশ্বাসকে সম্মান করি। আমাদের একমাত্র ছেলেটা বুঝের বয়সের আগেই মুসলমান হয়েছে। পরিবারে ধর্মের চর্চা আছে বলেই। আমি ওর ওপরও জোর করে আমার মত চাপিয়ে দিইনি। আমি চাই, ও পড়াশুনা করবে ধর্ম, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সাহিত্য সব। বুঝবে নিজের মতো করে। আমি ওকে পড়াশুনা করতে, বুঝতে সাহায্য করবো। বাবা-ছেলে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক করবো। তারপর ওর সিদ্ধান্ত সে নিজেই নেবে। সিসিবির ক্ষেত্রেও আমি একই নীতি অনুসরণ করে চলেছি।
সবাই বুঝতে পারছে, এতো লম্বা ভূমিকা কেন? অনেকেরই ভ্রু কুঁচকাবে জানি। প্রকাশ্যে না লিখলেও মনে মনে বলবে, সিনিওরিটির সুযোগ নিয়ে আমি বাহবা পাওয়া বা অনেকের প্রশংসা পাওয়ার জন্য নিরপেক্ষতার ভাব নিচ্ছি। ভাবুক তারা, আপত্তি নেই। সমালোচনাকে সহ্য করার মানসিকতা অর্জন যে কি কঠিন তা কি কেউ ভেবে দেখেছে? সিসিবির জুনিয়ররা অনেকেই আমাকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে- আমি এটা অবশ্যই উপভোগ করি। আমার সিনিয়র কারো স্নেহ পেলেও গলে যাই। ক্যাডেট কলেজ থেকে বেরুনোর পর আমাদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়রের সম্পর্কটা থাকে। তবে কোনো সিনিয়র যদি ভুল বলে বা অন্যায় করে অথবা মুর্খের মতো আচরণ করে সেটা মেনে নেওয়া অবশ্যই বোকামি। আমার ক্ষেত্রে হলেও। তাই এই সম্পর্কটা খোলামেলা হতে হবে। এটাতেই আমি বিশ্বাস করি।
শহীদুল আহসানের (১৯৯৫-২০০১) সর্বশেষ পোস্টটি নিয়ে এবার সিসিবিতে যে অসহিষ্ণুতা দেখলাম তা আমার কাছে কল্পনারও বাইরে। এতোটা নিচে নেমে গেলাম কেন আমরা? শহীদুল তার পোস্টে মুহাম্মদ সম্পর্কে পশ্চিম ও প্রাচ্যের কয়েকজন বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সংস্কারকের কিছু মন্তব্য তুলে ধরেছে। এসব বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেউ কেউ। আবার অনেকে শহীদুলের এই পোস্টের প্রশংসাও করেছে। এতোদূর পর্যন্ত ঠিক আছে। এভাবে একটা বিতর্ক হতেই পারে এবং তা সুস্থভাবেই এগোতে পারে। কিন্তু ক্রমেই এই বিতর্কটা অশ্রদ্ধা, অমর্যাদা ও অশ্লীল তর্কে রূপ নিয়েছে।
ভীষণ খারাপ লেগেছে, আমার স্নেহের মরতুজা, সাব্বির, কামরুল, রায়হান, আহসান (৯৯), তুহিন, জাকারিয়া, আদীবের কিছু মন্তব্য পড়ে। মরতুজা অবশ্য দ্বিতীয় মন্তব্যে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছে। কিন্তু প্রথম মন্তব্যটা এভাবে না করলে ভালো লাগতো। সাব্বির এবং শহীদুলের মধ্যে চমৎকার বিতর্ক হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাব্বির নিজেকে সামলাতে পারেনি। অবশ্য শহীদুলও যুক্তি-তর্ক না মেনে নিজের অবস্থানকে যথার্থ প্রমাণের চেষ্টা করে গেছে। কামরুল এবং রায়হানও ভালোভাবেই মন্তব্য করছিল। কিন্তু তারাও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললো। ওদের দুটো মন্তব্য রুচিশীল মনে হয়নি। এ বিষয়গুলো ব্যক্তি পর্যায়ে আলোচনার জন্য ঠিক হলেও ব্লগে এভাবে না আনলে মনে হয় ঠিক হতো। আমার ধারণা ওরা আবার সেসব পড়লে তেমনটাই মনে করবে। শহীদুলের যতোটা ধৈর্য্য আছে আহসান আর তুহিন তো তা নেই দেখলাম। আর জাকারিয়া ও আদীব ইতোমধ্যে বুঝে ফেলেছে, সিসিবিতে আর থাকা যাবে না!! আরো কিছু অরুচিকর মন্তব্য মনে হয় ছিল। আমাকে আর মরতুজাকে উদ্দেশ্য করে। জানতে পেরেছি মডারেটররা সেগুলো প্রকাশ করেনি। আমি অবশ্য খুশি হতাম সেগুলো প্রকাশ পেলে। তবে তাতে সিসিবির পরিবেশটা হয়তো আরো খারাপের দিকে যেতো বলে মডারেটরদের ধারণা। কিন্তু মন্তব্যকারী হয়তো ধারণা করেছে, আমি নিজের সমালোচনা সহ্য করতে পারি না। তাই তা প্রকাশে বাঁধা দিয়েছি। আর এসব পাল্টপাল্টির প্রেক্ষাপটে কামরুল ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে সে আর মডারেশন প্যানেলে থাকবে না।
আমরা সব বিষয় নিয়ে কথা বলবো, লিখবো, ধর্ম নিয়ে লিখবো বা বলবো না; এটা হতে পারে না। আর ধর্মের পক্ষে কেউ লিখলে সংশয়বাদী বা নাস্তিকদের ঝাপিয়ে পড়ে প্রমাণ করতে হবে সেটা ভুয়া এমন মনোভাব কী ঠিক? আবার ধর্মের বা মুহাম্মদের সমালোচনা করলে সব গেল এমন ভাবনা কী বাস্তব? আমরা যুক্তির মধ্যে থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধার জায়গা রেখে কী সমালোচনা বা বিতর্ক করার মতো ম্যাচিউরড হবো না? যারা সুস্থ ও যুক্তির মধ্যে থাকতে পারেন না, তারা সেসব পোস্ট না পড়লেই হয়।
হোক ভারচ্যুয়াল, আমরা একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। অনানুষ্ঠানিক একটা পরিবারের মতো। সিসিবি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা আমাদের কতোজনকে একসঙ্গে করেছে! গত কয়েক মাসে অনেক নতুন সদস্যের অংশগ্রহণে আমি উৎসাহী হয়ে উঠেছিলাম, সিসিবিটা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা পুরনোরা সক্রিয় না থাকতে পারলেও নতুনরা জায়গা করে নেবে, দায়িত্ব নেবে। সিসিবি এগিয়ে যাবে। কিন্তু আর সব ‘বাঙালি’র মতো, অন্য প্রায় সব ব্লগের মতো আমরাও সম্ভবত নিজেদের কলহপ্রিয় প্রমাণ করার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠেছি।
সবার কাছে প্রশ্ন, আমরা কি আরেকটু বিনয়ী হতে পারি না? আরো ধৈর্য্যশীল হলে ক্ষতি কী? নিজের যুক্তিটা আরো নমনীয়ভাবে, শ্রদ্ধার সাথে, মর্যাদাপূর্ণ ভাষায় প্রকাশে সমস্যা কোথায়? সিসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন আর কারো একক কাজ নয়। এটা আমরা যতো দ্রুত বুঝবো ততোই মঙ্গল। সবার জন্য ভালোবাসা।
ধন্যবাদ ভাই...আজকে সকাল থেকে আশা করছিলাম এই ব্যপারে আপনার কাছ থেকে একটা লেখা.....
:boss: :boss: :boss: :clap: :clap:
ধন্যবাদ প্রিন্সিপাল স্যার,
আসলে সারাদিন ধকলের পর সিসিবি তে আসি শুধুই প্রাণ খুলে হাসার জন্য মনটা হালকা করার জন্য
কিন্তু ব্লগের অবস্থা দেখে আসলেই কয়েকদিন হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম
আশা করি খুব শিগগিরই আবার আগের পরিবেশ ফিরে পাব
পাবি না
লাবলু ভাই, অনেক কথা বলতে গিয়েও বললাম না। এবেলা শুধু বলে যাই, আপনার প্রতি আমার আকাশ-ছোঁয়া শ্রদ্ধা এবার আকাশটাকেও ছাড়িয়ে গেল। :boss:
আপনাকে অনলাইন দেখেই পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম।
আশা করবো আমরা সবাই আরো বিনয়ী ও ধৈর্যশীল হবার চেষ্টা করবো, সিসিবির পরিবেশকে কোন ভাবেই দূষিত হতে দেয়া যাবে না।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup: :thumbup: এরকম একটা পোষ্ট এ সময়ে বড় জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমার ছোট্ট কিছু পয়েন্ট আছে; যদিও ব্লগের কনিষ্ঠ গ্রুপের সদস্য হওয়ায় কথাগুলো হয়তো আমার বলা মানায় না এবং উচিৎ-ও না; তবুও বলা।
সিসিবি আমাদের কাছে কেবল একটা ভার্চুয়াল ব্লগ মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নেই, সিসিবি একটি পরিবার, ক্যাডেট পরিবার। আর পরিবার মানেই যেহুতু সেখানে বড় এবং ছোট দুবয়সেরই সহাবস্থান, তাই আমরা নিজেদের বাসায় বড়দের সাথে যেটুকু সহনশীলতা বজায় রাখি, ততটুকু অন্তত এখানে কাম্য। আমাদেরকে এখানে সুষ্ঠুভাবে গঠনমূলক আলোচনার সুযোগ দেয়া হয়েছে, আমরা তার সদ্ব্যবহার করবো। ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিতর্কের (কাউকে উদ্দেশ্য করে) ফলাফল কিন্তু বিষয়বস্তুর মাহাত্ম্যকে ঢেকে দেয়, এটুকু অন্তত খেয়াল রাখা উচিৎ আমাদের সবার। কারো মতামত পছন্দ না হলে একটু সহনশীল ভাষায় সমালোচনা করার মাঝে কোন অপরাধ নেই। কিন্তু এভাবে না বলার জন্য অনুরোধ রইলো যে, ক্যাডেট কলেজে পড়েছি বলেই সিনিয়রকে সম্মান করতে হবে। কারণ বাইরের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও কিন্তু পায় সম আচরণই কাম্য হয়ে থাকে।
সবার প্রতি অনুরোধ রইলো, সিসিবিতে হয়তো নানা কারনে ঝড় ঝাপটা আসতেই পারে, তাই বলে চলে যাবার কথা চিন্তা করবেন না। বরং কী ভাবে সুষ্ঠু সমাধান করা যায়, সেটা একবার ভেবে দেখার চেষ্টা করেবন প্লীজ। আমরা জুনিয়ররা ভুল করবো, সেটাই স্বাভাবিক, কারণ আমরা অপরিণত এবং অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধারণাবোধ অপরিপক্ক।কলেজে যেভাবে কোন ভুল করলে শুধরে দিতেন, সেভাবেই না হয় শুধরে দেবেন। মাথা পেতে নেব। এটুকু সৌজন্যতা অন্তত ক্যাডেট কলেজ আমাদের দিয়েছে ভাইয়া।
সবশেষে একটা কথাই বলা, ঝড় উঠলেই নাকী জাহাজের মাস্তুল কতটা শক্ত তার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেহুতু নানান মতের মানুষ নিয়েই আমাদের এই পরিবার, তাই দ্বিমতের ঝাপটা আসবেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সিসিবি চিরন্তন চির উন্নত মম শিরে দাঁড়িয়ে থাকবে। :salute: (সম্পাদিত)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমি আছি এবং থাকবো সিসিবির সাথে,ভবিষ্যতে আরো সহনশীল হবার চেষ্টা করব এবং আমার বক্তব্যে যেন অযাচিত ঝাঁঝ প্রকাশ না পায় সে চেষ্টা করব।কথা দিচ্ছি।
মাস্ফ্যু : একাধিক পোস্টে দেখলাম তুমি প্রচুর মন্তব্য-বিতর্ক করেছো। ভালো লেগেছে যতোদূর দেখলাম পুরো বিতর্কে তুমি একবারও ধৈর্য্য হারাওনি। :thumbup: (সম্পাদিত)
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া আমার প্রচুর ভুলত্রুটি হত,অনেক সময়ই অকারণে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠতাম কিন্তু আপনার কাছেই শিখেছি যে সংশয়বাদী হলেই উগ্র এবং আক্রমনাত্মক হতে হবে এমনটি সত্য নয়।আর আক্রমণ করে আসলে কখনোই কারো মত পালটানো যায়না-যতটা যায় ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে শুনিয়ে।সিসিবিতে মাঝে মাঝেই উল্টাপালটা কমেন্ট করে বড়ভাইদের বিরক্তির উদ্রেগ করেছি এবং অনেকের ঝাড়ি খেয়েছি(পজিটিভ অর্থে)।এখনো যে ভুল করিনা তা না,তবে আপনার এই উৎসাহ ভবিষ্যতে আমাকে আর সহনশীল হতে এবং অযাচিত উগ্রতা এড়াতে অনুপ্রেরনা দেবে বলেই আমি মনে করি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও অনিয়মিত হয়ে আছি অনেকদিন থেকেই, তবে মাস্ফুর কমেন্ট যতগুলো চোখে পড়েছে তাতে মনে হয়েছে পোলাটা গুলিয়ে ফেলেনি, মাথা ঠান্ডা রেখেছে।
হ্যাটস অফ টু মাস্ফু :hatsoff:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঐ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:shy: :shy:
ঐ
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
মাসরুপ ভাই
শহীদ ভাইয়ের পোষ্টে আপনার মন্তব্যের জবাব দেয়া হয়েছে।
একটা কথা। এখানে যাদের নাম নিয়েছি, সমালোচনা করেছি, আশা করি তোমরা সবাই সেটা ইতিবাচকভাবে নেবে। আরো লেখা পড়ে দেখলাম, বিষয়টা অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগত রেষারেষি পর্যন্ত নিয়ে গেছে। খুবই দুঃখজনক। এতোটুকু সহনশীলতা নেই!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানাউল্লাহ ভাই এই কথাটা খুব খারাপ লাগলো। ক্যাডেট কলেজ থেকেই তো শিখে আসলাম সেটাকেই সম্মান করি সিনিয়রদের অধিকাংশ জিনিস আমার মনে হয় ঠিকই আছে।
ব্লগে প্রথমে এসেই আমি একটা ভুল করে ফেলেছিলাম মডারেটর এর কিছু কমেন্টস নিজের ব্লগ থেকে মুছে দিয়ে। তার জন্য আমাকে কামরুল ভাই ফোন করে আমাকে ঝাড়ি দিয়েছিলেন। আমার মন খারাপ হলেও আমি সত্য বলছি সেদিন আমি বুঝলাম আমরা আজীবন একরকম থাকব। সামুতে ভুল করলে তো আমাকে এই জিনিসটা কেউ ফোন করে বলতো না।
আমার এক ব্যাচমেট একটা পোষ্ট লিখেছিল যা ছাপা হয়নি বোধহয় অশ্লীলতার কারণে।
তাকেও ফোন করে ঝাড়ি দেয়া হয়েছিল সেও আমার মত মন খারাপ করেছিল কিন্তু আমাদের যারা সেখানে ছিল তারা বলেছিল দোস্ত এরকম না করলে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ ক্যাডেট কলেজের মত হতনা :boss:
আজকে আমাদের ইন্টেক বার্থডে গতকাল রাতে একটা পোষ্ট লেখা শুরু করে পরে আর লিখলাম না চিন্তা করলাম এই পরিস্থিতীতে লিখা ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়েই ভাবছিলাম পরে অবশ্য লিখে পোষ্ট করে দিয়েছি।
কামরুল ভাই ফিরে আসুক সেটা চাই 🙂
আর ব্লগে কোন মন কষাকষি দেখতে চাইনা 🙂
আমি লিখে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারিনা 🙁 অনেকেই বুঝেনা আমার লেখা
তাই প্রথম লাইন্টা আবার বলি।
ভাইয়া আপনার কোনো কিছু আমরা খারাপ ভাবে দেখিনা আমরা খুব ভাল পাই আপনাকে 🙂
ভাইয়া,
আমার অবস্থানটা পরিষ্কার করতে চাচ্ছি। আমি ধর্ম নিয়ে যুক্তি তর্ক এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি। বোকা কিংবা অন্ধের মত, সৃষ্টিকর্তা আছেন সেটা বিশ্বাস করতে চাই। সে জন্যই সিসিবি তে আগের মত বার বার আসা হয়না। এই কথাটাই শুধু বলতে চেয়েছিলাম। সিসিবি ছাড়ায় সময় হয়েছে কিনা সে বেপারে আমি কিছু বলিনি। কারন আমরা সবাই সিসিবিকে ভালবাসি। এর পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাক তা কেউ ই চাইনা। আমার কথায় কেউ আঘাত পেলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি।
জাকারিয়া : আমি কিন্তু সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। তুমি যদি তোমার বিশ্বাস নিয়ে থাকতে চাও, কেউ তাতে তো আপত্তি করছে না। কিন্তু ধর্মের পক্ষে-বিপক্ষে লিখলে সেটাতে আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কি আছে? আমি যদি বিবর্তনবাদকে অযৌক্তিক মনে করি, কেউ সেটা নিয়ে লিখলেই আমার ধর্ম চলে যাবে? মানব সভ্যতা এগিয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনো বাধা থাকলে, ভয় থাকলে তো সভ্যতা স্থবির হয়ে যাবে। আমরা সবাই সিসিবিকে ভালবাসি। কিন্তু সিসিবিতে শুধু স্মৃতিচারণ, গল্প, রম্য রচনা থাকবে; রাজনীতি, ধর্ম, বিজ্ঞান, অর্থনীতি নিয়ে লেখা হবে না, বিতর্ক হবে না এমন ভাবলে এটা তো শিশুদের ব্লগ হয়ে থাকবে। (সম্পাদিত)
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সালাম লাবলু ভাই,
আপনার লেখাটা পড়ে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা অনেকদূর বেড়ে গেল।আমি নিজেও স্বীকার করছি,আমি ধৈর্য্যের অভাব দেখিয়েছি।কিন্তু তখনি দেখিয়েছি,যখন কমেন্টে আমার প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমন করা হয়েছে।একই কমেন্ট আমার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে না করে যদি কমেন্ট হিসাবে লেখা হত,এতটা ধৈর্য্য হয়ত আমি হারাতাম না।কাজটা করা যে আমার ঠিক হয়নি আমিও জানি।
তবে বিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত।তবে তাঁর নিজের বিশ্বাসকে প্রমান করতে গিয়ে অনেক সময় কটাক্ষ/ব্যঙ্গ/উস্কানিমূলক মন্তব্য হয়,তা বিশ্বাসীদের ধর্মীয় অনূভুতিতে প্রচন্ডভাবে সাড়া দেয়।এরকম স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে পারলে বিতর্ক চলতে তো সমস্যা নেই।
:thumbup: :thumbup:
সিসিবি কে চ্যাটরুম হিসাবে দেখতে চাই না । একে সস্তা জুকসের জায়গা বললে কষ্ট পাই । আর হ্যা একে সবাই একমত হওয়া পিঠ চাপড়ানোর জায়গা হিসেবে দেখতে চাই না । খুব সংক্ষেপে বললাম । মোবাইল থেকে লিখছি বলে অনেক কথা বলতে পারলাম না । আর সানা ভাইকে স্যালুট কঠিন কথা সহজ করে বলে দেয়ার জন্য ।
কি বলব ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারছি না.......
তবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লাবলু ভাই.....
সুস্থ বিতর্কে কোন বাধা নেই, থাকা উচিত ও নয়। সমস্যাটা হল, কটাক্ষ/ব্যঙ্গ/উস্কানিমূলক মন্তব্য হলে মাঝে মাঝেই ধৈর্য্যের বাঁধটা ভেঙে যায় (আমার ক্ষেত্রে) । দেখা যাচ্ছে তখন নিজেও সেই পথেই আগাই। সেজন্যই আমার করা মন্তব্যগুলোও ব্যঙ্গাত্মক এবং উস্কানিমূলক ছিল।
আপনার লেখা থেকেই কোট করিঃ
:boss: :boss: :boss:
********
বেয়াদবি না নিলে, আমি আরেকবার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ চাই এবং অবস্থানটা পরিষ্কার করতে চাই।
কামরুল ভাইয়ের (কিংবা সিসিবির মডারেশনের) বিরুদ্ধে আমি নই। বলতে চেয়েছিলাম, "যে কোন ধরনের মডারেশনের বিপক্ষে আমি"। কিন্তু লিখে ফেললাম, "মডারেশন পুরাই গান্ধা লাগে আমার"। সিসিবিতে যাতে মডারেশনের প্রয়োজন যাতে না হয়, সেজন্য আমরা স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে পারি কি না, সে কথা বলছিলাম। কিন্তু কথাটা এমন ভাবে লিখে ফেললাম যে পড়ার পর সকলেরই মনে হচ্ছে আমি বলতে চেয়েছি "সিসিবির মডারেশন পুরাই গান্ধা।" আমাকে দুইজন ফোন করে বলল, তুই এটা কি লিখছিস? আমি ঢুকে কমেন্টটা আবার পড়ে দেখলাম আসলেই নেগেটিভ মিনিং বোঝাচ্ছে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। এডিট করার ক্ষমতা রহিত করা হয়েছে আমার এবং কামরুল ভাই কষ্ট পেয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন মডু প্যানেল থেকে।
কামরুল ভাইয়ের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভাই আপনার সিদ্ধান্ত বদলাতে বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। একটাই অনুরোধ, ব্যাপারটা আমার ভাষাগত অসতর্কতার কারণে ঘটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং, এইটুকু অন্তত বুঝুন। আপনাকে পাবলিকলি এইভাবে হিউমিলিয়েট করতে আমি কেন চাইব?
সানাউল্লাহ ভাই, পুরোপুরি একমত পোষণ করি। আপনার বক্তব্য আমি নিয়েছি এইভাবে......
পারস্পরিক সমঝোতা, গঠনমূলক সমালোচনা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা এইসবই সুযোগ দেবে ভদ্রভাবে আমাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে। সিসিবি দিনে দিনে আরও পরিণত হউক এবং আমাদের সকল শুভবোধের প্রকাশ ঘটুক সবখানে।
সানা ভাই,
প্রচন্ডরকম লজ্জিত হচ্ছি। আমার কথার পরবর্তী ঘটনা সমূহের দায় দায়িত্ব নিতে আপনাকে আসতে হলো তাই। এটা যতোখানি না আপনার দায়িত্ব তারচেয়ে বেশী আমার ব্যার্থতা বলেই আমি মনে করি। তাই নিজেকে স্পষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।
ধরা যাক আমি আপনার "এরশাদকে কালো কাপড়" দেখানোর ঘটনা জানিনা।
আপনার কী ধারনা আজকে যদি এখানে একটা লেখা আসে যে "বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একনায়কতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা -সানাউল্ল্যাহ লাবলু"। আপনার কী মনে হয়না যে আমি সন্দেহ প্রকাশ করবো? আমি করবো।
এখন কথা হচ্ছে কেনো? ব্যাপারটা বোঝানো মুশকিল। কিন্তু কথা হচ্ছে আপনার প্রত্যেকটি বাক্যে বুঝি সেটা সম্ভব না। আপনার কথার ভঙ্গীতে বুঝি। আপনার শব্দচয়নে বুঝি।
আমি নিজে মাঝে মাঝে গল্পের বই কিছু পরার চেষ্টা করি। বার্নাড শ আমি পরেছি। আমি জানি একজন আধুনিক লেখক ভুলেও বলতে পারেন না যে,"ইউরোপে একনায়ককে তিনি স্বাগত জানাবেন" সেটা স্বয়ং বিধাতা একনায়ক হিসেবে এলেও সম্ভব না।
আমি সন্দেহ করেছি এবং তার প্রমান পেয়েছি।উত্থাপন করেছি। ঘটনা শেষ।
"মি্থ্যা যখন একবার বলবেন তখন সেটা আপনাকে টেনে নিয়ে যেত্তেই হবে তাই বোধ হয় মেনে নেয়াটাই ভালো।"
এটা হচ্ছে মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। কথাটা সবার জন্যই কমবেশী প্রযোজ্য।
এর পর থেকেই ঘটনা শুরু হয়েছে।
আমি জানি এখানে হয্রত না হয়ে আব্দুল কুদ্দুসের সম্পর্কে লেখা হলে লেখক(পোষ্টের) প্রথমেই তা মেনে নিতেন।
তিনিও মেনে নেননি। আমিও ছাড়িনি(সেটা হয্রত বলেই আরো না!!)।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি আমার ছাড়া উচিত না।
আপনি যদি বলেন "হয্রত বলে ছাড় দিতে হবে, আব্দুল কুদ্দুসের বেলায় হবেনা" তবে আমি তার সাথে তীব্র দ্বিমত পোষন করি।
যদি বলেন পুরো বিষয়টিতে আপনি কথা বলতে চাইছেন, "পারস্পরিক সমঝোতা, গঠনমূলক সমালোচনা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা " নিয়ে। তবে আমি বলবো এগুনাগুনগুলো খাটানো সম্ভব কোনো প্রানীর ক্ষেত্রে, যে ভাবতে পারে, চিন্তা করতে পারে, শিখতে পারে।
(অন্তত নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি এখানেই আগে সিনিয়রদের সাথে তো তর্ক অল্প কয়েকবার হয়েছে। মেনে তো নিয়েছি ভুল হলে। মাহমুদ ভাই বলতে পারবেন শ্রাদ্ধাশীল ছিলাম কীনা।তার সার্টিফিকেট আশা করছি। ভালো খারাপ যাই হোক)
ল্যাম্প পোষ্টের (বিশেষ করে ক্ষতিকর) সাথে সহিষ্ণু, ধৈর্যশীল হওয়া সম্ভব না (অভিজ্ঞতা তাই বলে)।
আমি মনে করি "অতিরিক্ত বিনয়" সময়ে সময়ে মেরূদন্ডহীনতারও প্রমাণ।
হয়তো ভবিষ্যতে এর চেয়ে ভালো কোনো উপায় খুজে বের করার চেষ্টা করবো।যূক্তির দিক দিয়ে আরো শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করবো কিন্তু তারপরো আমার সারাংশ পরিবর্তিত হবে না।
আমি আন্তরিক ভাবে দূঃখিত কারন আমার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত কিংবা অনুতপ্ত হতে পারছি না।
আপনার মন্তব্যে হতাশ হলাম ভাইয়া। অতিরিক্ত বিনয় এবং সহজাত শ্রদ্ধাবোধ কিন্তু একই জিনিস নয়। আর ধর্মে আপনার বিশ্বাস না থাকাটা দোষের কিছু নয়। আপনি যে পোষ্টের কথা উল্লেখ করলেন সেখানে কিছু চরম আপত্তিকর মন্তব্য আপনি করেছেন। সিসিবির রেডবুক বলে,
* স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার আছে। তবে সেই স্বাধীনতা ব্যবহার করতে গিয়ে অন্যকে আক্রমণ করবেন না।
কিন্তু আপনি সেটা উপেক্ষা করে কিছু কথা বলেছেন যেটা ব্যক্তি তথা সম্প্রাদায়ের প্রতি কটাক্ষ রূপে প্রতীয়মান হয় যেটা অলরেডি কামরুল ভাই বলেছেন।
আর যদি ২ মিনিটের বড় বলে কাউকে সম্মান করাটা আপনার জন্য কেবল মাত্র ক্যাডেট কলেজ এবং ইসলামিক মূল্যবোধের অন্তর্গত হয়ে থাকে, তাহলে আমার আর কিছুই বলার নেই। ক্ষমা করবেন ভাইয়া, যদি অযাচিত কিছু বলে আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কষ্ট পাচ্ছি না, মজা পাচ্ছি। আগেও এ ব্যাপারটা নিয়ে বলেছো এবং আমার ধারনা প্রতিবার বলে বলে "শ্রদ্ধা" ব্যাপারটাকে বেশ খেলো করে ফেলছো।
সহজ দুটো উদাহরন দেই।
* মুহাম্মদ আমার জুনিয়র। একজন নির্ধর্মী। (ইচ্ছে হলেই কলেজে পাঙ্গাতে পারতাম। পাঙ্গাই নি বোধহয়!!)
*সালাদীন একজন ধর্মপরায়ন মুস্লিম।
দুজনকেই আমি শ্রদ্ধা করি। এটা কী প্রমান করে?!!!
"শ্রদ্ধা অর্জন করার জিনিস। উপহার পাওয়ার নয়।"
অবশ্যই আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া; শ্রদ্ধা অর্জন করার জিনিস। কিন্তু অশ্রদ্ধা না করাটা তো বোধহয় আমাদের আয়ত্বাধীন। আর কাউকে শ্রদ্ধা না করতে পারলেও কটাক্ষ করতে কিন্তু রেডবুকেই মানা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কী আপনি নিয়মের পরিপন্থী কিছু করেননি?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কিন্তু অশ্রদ্ধা না করাটা তো বোধহয় আমাদের আয়ত্বাধীন
খুবই ভালো পয়েণ্ট!!!
যেমনঃ রাস্তায় এক বৃদ্ধকে চার জন মারছে। এ সময় জীবন বাঁচানোর স্বার্থে বামের গলিতে ঢুকে পড়াটা আমাদের আয়ত্বাধীন ।
কোন ব্যাপারটি অশ্রদ্ধা করার মতো তা যদি আমি না জানি, কীভাবে জানবো কোনটি শ্রদ্ধা করার মতো? অন্ধকার কী আলোকে সংগায়িত করেনা?
আর কাউকে শ্রদ্ধা না করতে পারলেও কটাক্ষ করতে কিন্তু রেডবুকেই মানা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কী আপনি নিয়মের পরিপন্থী কিছু করেননি?
একটা হিন্দি মুভি থেকে ডায়লগ কোট করি।
" আপ কেহেতেহে মে কানুন কো খিলাফ হো।(বহুত কঠিন হিন্দি!)
৪০ বছর আগে আরেকজন আইনের বিপক্ষে ছিলো। আজকে আমরা তাকে বাপু বলি। ওনার সময় দাসত্ব আইন ছিলো। উনি নতুন নিয়ম বানান। স্বাধীনতার............ব্লা ব্লা ব্লা "
(মুল সুরটি বোধ হয় বুঝতে পেরেছো। !"গুরু")
অফটপিকে একটা অনুরোধ করি। আমি প্রচন্ড রকম বিরক্ত হই কেউ অযথা রেডবুক নিয়ে আসলে (অথবা এ জাতীয় ব্যাপার তুললে। তুমি কী নিশ্চিত যে সিসিবি এর রেডবুক ড; জহির রচনা করেছেন? তোমার বোধ/বুদ্ধি কী বলে? সবাইকে মানুষের সম্মান দিতে চাও? নিজামী/গোলাম আযম কী দোষ করলো?)
আমার বোধবুদ্ধি যাই বলুক না কেন, যখন আমরা কোন নির্দিষ্ট ফোরামের সদস্য হিসেবে কোথাও অবস্থান করি, তখন সংশ্লিষ্ট ফোরামের নীতিমালাই কি আমাদের মেনে চলার কথা নয়?? সিসিবির রেডবুক ড. জহির রচনা করেছেন নাকি অন্য কেউ তাতে তো কিছু যায় আসে না। যতক্ষণ আমি সিসিবির একজন সদস্য হিসেবে থাকবো, ততক্ষণ ওটা মেনে চলাই তো আমাদের দায়িত্ব। নিজের বিচার বিবেচনার সুষ্ঠু প্রয়োগই যখন দেখানো হবে, তখন হয়তো আর কোন নীতিমালার প্রয়োজন হবে না।
৪০ বছর আগে আরেকজন আইনের বিপক্ষে ছিলো। আজকে আমরা তাকে বাপু বলি। ওনার সময় দাসত্ব আইন ছিলো। উনি নতুন নিয়ম বানান।
ঠিক আছে, নতুন নিয়ম যখন আসবে তখন তা যদি আপনার আচরণকে সমর্থন করে, তখন আমি কোন প্রতিবাদ করবো না। যতক্ষণ আগের নিয়মগুলো থাকবে, ততক্ষণতো সেগুলো মানতে হবে। আমি অযথা কোথাও রেডবুক নিয়ে আসিনি ভাইয়া; বরং আপনি বাধ্য করেছেন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
@সাব্বির-নিধর্মী হতে হলেই উগ্র এবং আদবকায়দাবিবর্জিত হতে হবে এরকম কোন কথা নেই,দুঃখের বিষয়- তোমার আচরণে এ দুটি জিনিস খুব তীব্রভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।তোমার যুক্তিগুলো নিয়ে আমার দ্বিমত নেই কিন্তু যে ভঙ্গিতে তুমি প্রকাশ করেছ তা একজন কমিউনিটির সদস্য হিসেবে আপত্তি তোলার যোগ্য বৈকি।আমি জানি আমার/আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদেও তোমার হয়তো কিছু যাবে আসবে না/এর বিন্দুমাত্র মূল্যও হয়তো তোমার কাছে নেই।কিন্তু সিসিবি একটি কমিউনিটি ব্লগ-এখানে আমরা সবাই সব সদস্যদের প্রতি নূন্যতম একটা ভদ্রতাবোধ বজায় রাখার চেষ্টা করি। তোমার কাছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ না-ও হতে পারে কিন্তু সিসিবি নামক কমিউনিটিতে তোমার কথাবার্তায় এর অভাব যে সবার তীব্র বিরক্তির উদ্রেগ করছে তা আশা করি বুঝতে পারছ। খেয়াল করে দেখ- তোমার বক্তব্যের কনটেন্ট নিয়ে নয়,আপত্তি হচ্ছে প্রকাশভঙ্গি নিয়ে। আর সিনিয়র-জুনিয়র নির্বিশেষে তোমার প্রকাশভঙ্গির প্রতি যে আপত্তি,সেটি উপেক্ষা করে তুমি মহাত্মা গান্ধির ব্রিটিশ-বিরোধি সংগ্রামের মত কোন মহৎ কাজ করছনা সেটা বোঝার মত বোধ-বুদ্ধি তোমার আছে বলেই আমার ধারণা।
জ্বী ভাইয়া আপনি আপনার যুক্তি থেকে সরে দাড়াবেন কেন যদি আপনে জানেন আপনি যা বলছেন তা ১০০ ভাগ সঠিক।
কিন্তু ভাইয়াকে করা আপনার কিছু কমেন্টস জুনিয়রদের কেও আশ্চর্য করেছে যা কোট করে এখানে দিলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন।
আরেকটা কমেন্টস যেটা আমি আবার লিখতে চাইনা(মুসলিমদের সম্পর্কে)
ক্ষমা চোখে দেখবেন ভাইয়া আমি ছোট মানুষ তারপর ও খুব খারাপ লাগল বলে লিখলাম
সরি 🙁
ভাই সাব্বির,
তুমি কিসের সাথে কিসের মিল দেখাইলা এইখানে? তোমার যুক্তি (তোমার ডেফিনিশনে যুক্তির মানে মনে হয় ভিন্ন) দেবার ক্ষমতা অতুলনীয়। এর মধ্যে আবার গান্ধিজীর কি জানি মিল দেখানোর চেস্টাও কর্লা। হিন্দীও ভাল বল দেখি। এলা ক্ষ্যান্ত দাও বাপু।
কে দাবী করেছে সিসিবির রেড বুক ডঃ জহির রচনা করেছেন? কিসের মধ্যে কি বল তুমি? কঠিন কঠিন কতগুলো কথা বললেই যুক্তি হয়ে যায় না।
হাস্যকর।
:salute: :salute: :salute:
Life is Mad.
ভাইয়া আপনার পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কাল রাত থেকে খুব খারাপ লাগছিল।
সবার জন্য একটা কথাই মনে পড়ছে। কার বলা ভুলে গেছি এবং ঠিকভাবে বলতেও পারবনা হয়ত, কথাটা এরকম
"তোমার কথা কে আমি সমর্থন নাও করতে পারি কিন্তু তোমার কথা বলার অধিকার আদায় করার জন্য আমি জীবন দিব"
সবার কথা সবাইকে বলতে দেই ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে। যুক্তিতর্ক হোক এবং কখন যুক্তিতর্ক শুধু তর্কের দিকে চলে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পেরে থামতে পারাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার বলে মনে হয়।
ভলতেয়ার বলেছেন।
:thumbup: :thumbup: :salute: :salute:
প্রচন্ড হতাশা নিয়ে এই কয় দিন ব্লগএ আসি নাই। ভাইয়ারা কঠিন কঠিন যুক্তি দেখাব না। সরল ভাবে কিছু কথা বলি।
১. লন্ডন আসছি প্রায় ১বছর, এই ccb এর কল্যানেই আমি এই ৫০০০ মাইল দূরে থেকেও আমার family রে কাছে পাই।
২. দুনিয়াতে সবার সব কিছু ভাল লাগবে সেইটা আশা করাটা বোকামি, so আমি যখন জানি এই বিষয়টা বিতর্কিত সেইটা সবার মঙ্গল এর জন্য এড়িয়ে গেলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয় ?
৩. নিজ়স্ব বিশ্বাস নিয়ে কেউ post দিতেই পারে, কিন্তু সহনশীল আলোচনা করে আমরা আমাদের জানার পরিধিটাকে বাড়াতে পারি, যুদধে দুই পক্খেই ক্ষতি হয়, একান্তই আবশ্যক না হলে যুদ্ধ না করাটাই কি শ্রেয় নয় ?
৪. সব শেষে ব্যক্তিগত একটা অনুরোধ, সারাদিন ১১/১২ ঘন্টা কুত্তা কামলার পর ccb তে এই জ়াতিয় অসুস্থ জিনিষ দেখতে অসহ্য লাগে।ccb কার্টুন রাজনৈতিক কোনো জিনিস না, আমাদের সবারই নিজেদের cadet সত্ত্বা নিয়ে গর্ব আছে, আমরা আমাদের এই গর্বটাকে plz নষ্ট না করি।
ভাইয়া বেশি কিছু বলার নাই। শুধু আপ্নার লেখার অপেক্ষায় ছিলাম। এবং তানভীরের কমেন্ট এর সাথে একমত জানিয়ে গেলাম।
জানি ভাইয়া। এই কদিনে বিভিন্ন ধরণের পোস্টে আমি শুধু একটা মন্তব্যই করেছি যেটা নিয়ে পরে আমার মনে হয়েছে-এভাবে বলাটা ঠিক হয়নি। দুঃখিত।
খুব সরাসরি কিছু কথা বলি ভাইয়া। এখানে কয়েকজন আছেন যারা ধর্ম নিয়ে কোন পোস্ট আসলে (পক্ষে/বিপক্ষে) সেটা পড়েনও না। শুধুমাত্র হেডিং দেখে চলে আসেন মন্তব্যে ঝগড়া করতে। মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায় লেখাটি তিনি পড়েননি । এরা সিসিবির জন্যে ক্ষতিকর। এদের সিসিবিতে থাকার কোন দরকার নেই।
কয়েকজন থাকেন ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ঝারার তালে। হয়তো আগে কখনো কথা-কাটাকাটি হয়েছিল, সেটা মনে রেখেছেন, সুযোগ খুঁজছেন জায়গামত পেলে একটা ধোলাই দেবার। নাস্তিক-আস্তিক আসলে উছিলা মাত্র। আসল উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত ঝাল মেটানো। ৯৯ ব্যাচের কয়েকজনের মধ্যে এই অভ্যাস ভালোমতোই আছে। এমন কাউকে কী আমাদের দরকার আছে?
মডারেটর হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি, কিছু অপরিচিত বা কম পরিচিত মানুষ দেখবেন অফলাইনে মন্তব্য করে। এদের দেখা যায় শুধু ধর্ম নিয়ে পোস্ট আসার পর। শুধুমাত্র তখন তারা নিজের নামে-বেনামে মন্তব্য করতে আসেন। কখনো ছেলে, কখনো মেয়ে, কখনো জুনিয়র, কখনো সিনিয়র এইসব পরিচয় নিয়ে এরা আসেন আফলাইনে কিছু মন্তব্য করে ঝগড়া উসকে দিতে। পরিচয় লুকালেও এরা বোধহয় জানেন না আইপি এড্রেস দিয়ে ২ মিনিটের মধ্যে বের করে ফেলা যায় এরা কারা। ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় নিলেও আসলে এইসব কাজগুলো করছেন দুয়েকজন ক্যাডেট। মডারেটররাও এদের চিনেন ভালোমত। এদের তো সিসিবিতে দরকার নেই।
কিছু হলেই- পরিবেশ ভালো না, চলে যাওয়ার সময় এসেছে , এমন কথা বলতে আসেন অনেকে। আসলে এরা কোনদিন যাবেন না। এদের কাজ শুধু এইসব বলে পরিবেশ আরো খারাপ করে মজা দেখা। গত দুই বছরে এদের কেউ যান নি। যে যাওয়ার সে সবার অলক্ষ্যেই চলে গেছে, তার ঘোষনা দিয়ে যেতে হয়নি। যাওয়ার হুমকি (!) যারা দেয় সবসময় তাদের আসলে সিসিবিতে থাকারও খুব একটা দরকার নেই। এরা সিসিবি থেকে চলে গেলেই ভালো হবে।
মডারেটরদের উপর গোপন রাগ পুষে রাখা মানুষ আছেন কিছু। হয়তো মন্তব্য করছেন সাধারন কোন সদস্য, কিন্তু ঝালটা সইতে হয় মডারেটরদের। হয়তো অত্যন্ত নিম্নমানের পোস্ট দিয়েছিলেন, প্রকাশিত হয়নি। ব্যস অপেক্ষা করতে থাকেন কবে মডারেটরদের কাউকে বাগে পাওয়া যাবে যাতে ঝালটা ঝাড়া যায়। এরাও বেশ ক্ষতি করছেন সিসিবির।
এসব কথা হয়তো আগেই বলা উচিত ছিল। কিন্তু এতদিন নিজের নামের সঙ্গে মডারেটর পরিচয়টা ছিল। বললে অনেকে আবার নিরপেক্ষতা, সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন।
এখন যারা মডারেশন প্যানেলে আছেন তারা আশা করছি এরপর থেকে ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাববেন।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ধর্ম নিয়ে আলোচনা পোস্টে কিছু অদ্ভুত প্রবণতা দেখা যায় যেমন কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের আভাস পান(কেন খালি ইসলাম নিয়ে টানাটানি, যেন রায়হান মুহাম্মদ রা ইসরায়েলের টাকা খেয়ে ইসলামের কুৎসা রটাচ্ছে, নেহায়েত পরিচিত পোলাপান দেখে এটা হয়ত বলে না, অপরিচিত হলে অবশ্যই বলত। সামুর হয়রান কাগু একবার আমি মুহাম্মদের একটা পোস্টের লিংক দেয়ায় মুহাম্মদকে ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারী বলেছিল। আরও কষ্ট লাগে যখন শুধুমাত্র ব্লগ লেখার অপরাধে অনেকে তাদের মোকাবেলা করার জন্যে বৈঠক বসায়। বুয়েটে সত্যিই এরকম বৈঠক বসেছিল যার লক্ষ্য ছিল প্রধানত রায়হান আর মুহাম্মদ। এসব বৈঠক বসানো মানুষেরা ব্লগে অথবা বাস্তবে তাদের আপত্তির কথাটা কখোনৈ ঠিকভাবে বোঝাতে পারেন না এবং রেগে যেতে থাকেন। সিসিবির কোন ঝামেলায় আমি সাধারনত জড়াই না কিন্তু এবার খারাপ লেগেছে আমাদের ব্যাচের কিছু পোলাপাইনের অপ্রাসঙ্গিক এবং মডারেশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের কারনে। আমি এরকম ব্যভারের সাথে যখন আমার বন্ধুকে তার ইন করে শার্ট পরে ক্লাসে আসা নিয়ে টিজ করতে গিয়ে শুনি আমি নাকি ব্লগে এক্সট্রিমিজম করে বেড়াচ্ছি, আমার ভার্চুয়াল কার্যকলাপ নিয়ে সভা সমিতি হচ্ছে, রায়হান মুহাম্মদ কে নিয়েও তখন আসলে কষ্ট পাই। ব্লগের বাইরের ঘটনা ব্লগে বলার কোন মানে নেই। কিন্তু তাও বললাম কারন গত কয়েকদিন আমি সেই একই আচরন দেখলাম আমার ব্যাচমেটদের কাছ থেকেই।
আসলে ব্লগে সহনশীলতার চর্চা করা কঠিন যখন এখানে পক্ষ/প্রতিপক্ষ ইত্যাদি বিভাজনে ভাগ করে ফেলার জন্যে মানুষের অভাব নেই।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
আমার পোস্টকে উদ্দেশ্য করে কয়েকজনের মন্তব্য আছে, যারা বলেছে আমার জ্ঞানের পরিধি কম, জানিনা কিছু, কতটুকু জানি সেটা তাঁদের অলরেডি জানা আছে ব্লা ব্লা ব্লা। এমনকি "আবাল" গালিও শুনতে হয়েছে। আমি অন্তত কাউকে এভাবে সজ্ঞানে গালি দেইনাই। যতটা সম্ভব যুক্তিতে থাকতে চেয়েছি।
নাকি কান্না করছিনা। কিন্তু কয়েকজন মানুষ শুধুমাত্র এই ধর্ম নিয়ে পোস্টগুলোয় হাজির হন, পূর্ববর্তী ক্ষোভ ঝেড়ে চলে যান। প্রথম আলো কেন আইইউটির ফেয়ারওয়েলের খবর ছাপেনাই, এই টাইপ এক পোস্টে কয়েকজনের বিরাগভাজন হয়েছি- বিভিন্ন ব্লগে হঠাৎ হঠাৎ তাদের টিপ্পনী কাটা কমেন্ট প্রায়ই দেখা যায়।
তবে সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যপার হলো, এরা কেউই একবারের জন্য পোস্ট পড়ার মতো ভদ্রতা দেখায় না [হয়তো দৈববানীতে জানে, পোস্টে গারবেজ ছাড়া আর কিছু লেখা নাই] এবং কোনওদিনই পোস্টের কনটেন্ট নিয়ে মন্তব্য করেনা।
হোসেন এর মন্তব্যটা উল্লেখযোগ্য। একই বিষয়েই ঘুরে ঘুরে বিতর্ক হয়, বৃত্তাধীন বিতর্ক। শিরোনাম অথবা লেখকের নাম দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়া। এরা অনেকেই ধর্ম কতটা পুংখানুপুংখ মানে আমার জানা আছে/নেই, তবে শর্টকার্টে বেহেশত পাবার লোভে "যাই একটু বিরোধীতা করে আসি" কাজ করতে কেউই দ্বিধাবোধ করেনা।
আমার লাস্ট পোস্টের শেষাংশ নিয়ে অনেকের কমপ্লেন ছিলো। তাইফুর আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। আমি সানন্দে আমার ভুল স্বীকার করেছি। এর আগেও আমার "ভুল করে ভুল করা" পোস্টে সামিয়া একটা অবজেকশন দিয়েছি, ওর কথা যুক্তিযুক্ত হওয়ায় আমি সেটা ঠিক করেছি। এইভাবে সমালোচনা কাম্য। যৌক্তিক সমালোচনা। কিন্তু পোস্টে যেয়ে " ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত", "রেডবুক", "আমরা স্মৃতিচারণ করবো শুধু", "ভাংগন ডেকে আনান কী দরকার" মতো মন্তব্য পীড়াদায়ক।
লেখকের মনে রাখা দরকার, তিনি যখন একটা পোস্ট দিবেন তখন এর কনসিকোয়েন্স তাঁকে ভোগ করতে হবে। শহীদুল ভাইয়ের পোস্টে আমি মক করেছিলাম অপ্রাসংগিক ভাবে- এইভুল আমি স্বীকার করি, এবং ভবিষ্যতে আর না করার চেষ্টা করবো। তবে যৌক্তিক সমালোচনা এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। "ক" একজনের কাছে মহাপুরুষ হলেই যে সবার তাঁকে মহাপুরুষ মানতে হবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
যাই হোক, যাদের কাছে সিসিবি আস্তাকুড় তাঁরা যেন দয়া করে চুপচাপ সটকে পড়ে, ফিরে ফিরে মন্তব্য করে ব্লগ অসুস্থ করার খেলায় না মাতে এই আবেদন রইলো। আমি হাজার গালি খেলেও সিসিবি ছেড়ে যেতে পারবোনা, কারণ আমি লিখতে চাই, এবং সেই লেখা কাউকে পড়াতে গেলে সিসিবির দ্বারস্থই হতে হবে। কারও এইটাইপ সমস্যা না থাকলে চলে গেলেই পারে।
আমাদের জীবন আলোকিত হোক।
তাইফুর কি তোর নানা লাগে ... :grr:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:))
:shy: উনি আমার মামা হন।আমি উনার ভাগিনা :shy:
থুক্কু! 🙁
আমি আমার আইডি ডিলিট করতে বলেছিলাম মনে হয় তাই লগ ইন হচ্ছে না। ভাইয়া আমার মন্তব্যের সুনির্দিষ্ট কারন আছে। এখানে জুউক্তি তর্ক করে জ্ঞান দিলে আমার কোন সমস্যা নেই। যার কারনে ভাল না লাগলেও রায়হান এর লেখা আমি মনযোগ দিয়ে পড়ি। কিন্তু আমি আপনাকে অনেক উদাহরণ দিতে পারি, যেখানে ধর্মকে অপ্রোয়জনীয় ভাবে কৌতুক করে হেও করা হয়েছে। আমি ধর্ম বিশ্বাসী। তাই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমার কাছে রাসুল। উনি অনেক খারাপ কাজ করেছেন এটা যুক্তি তর্ক করে বলেন আমার সমস্যা নেই। কিন্তু উনি ধর্ষক ছিলেন, বা ছেলে মজা করে গেছে ভাল এই ধরনের কথা শোনার মত উদার মানসিকতা আমার নেই। আমার সীমাবদ্ধতা আমি দুঃক্ষিত।
সিসিবি বা কোন ব্লগেই ইদানিং নিয়মিত নই। মাঝে মাঝে শুধু এক আধটা পোস্ট দিয়ে উধাও হয়ে যাই। দেখা যায় কমেন্টের উত্তরও দেয়া হয় নি। কিন্তু সিসিবি তে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এটা কিন্ত্উ আমার কাছে বেশ ইতিবাচক লাগে। আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের হিসেবে আমি ধর্মে অবিশ্বাসী এবং আগে ধর্মের অসাড়তা ইত্যাদি নিয়ে লেখা লিখিও করেছি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে একটি বিষয়ে আমার ঈশ্বর ও ধর্ম নিয়ে অথবা জাকির নায়েক টাইপ লোকদের বিরুদ্ধে লেখা অথবা জেসাস ক্রাইস্ট কে নিয়ে লেখা পোস্ট গুলোতে যে ফীডব্যাক পেয়েছি সেটা খুবই ইতিবাচক। আমার ধর্মে বিশ্বাসী বন্ধুরাও সেখানে কমেন্ট করেছে, সিনিওর ভাইরাও করেছেন। দীর্ঘদিন অনলাইনে লেখালিখি করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সামু বা আমুতে এই পোস্ট দইলে প্রথমেই কিছু গালি খেতে হত। আলোচনা আর হত না। মুক্তমনায় সমস্যা হচ্ছে সেখানে সবাই মোটামুটি একই মানসিকতার। যার ফলে একটি আলোচনা অনেকক্ষেত্রেই বৈচিত্র হারায়। সিসিবির এই বৈশিষ্ট্য কে আমি অবশ্যই ইউনিক ভাবতাম। এখানকার সহনশীলতা বেশ টানতো আমাকে। গত কয়েকদিন যা কিছু হল তাতে খারাপ লাগল। কারন বিষয়টা এত জটিল কিছউ ছিল না। পুরো তর্কাতর্কির মধ্যে কিছু বিষয় আমার কাছে হাস্যকর লেগেছে। আমি অবিশ্বাসী দেখে হয়ত আমার পর্যবেক্ষণ বায়াসড হবে তারপরও যা মনে হয়েছে তা বলছি।
প্রথমত সেই পুরাতন যুক্তি যে অবিশ্বাসীরা শুধু ইসলাম কে খারাপ বলে। অন্যন্য ব্লগেও এই কথা শুনতে শুনতে মাথা খারাপ হবার দশা। মজার বিষয় হচ্ছে আহসান প্রথম বোধহয় ঐ পোস্টে কথাটা তুলেছে, কিন্তু আহসান পোস্ট সম্পর্কে কোন কমেন্ট করে নাই, পোস্টের দেয়া বক্তব্য এর অথেনটিসিটি নিয়েও তার বক্তব্য নেই, সাব্বির ভাই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বার্নাড শ এর কোট টা নিয়ে। এটা প্রকারান্তে কি এটাই তুলে আনলো না যে অবজেকটিভ ডিবেট করতে গেলে এরকম অপ্রাসঙ্গিক জেনেরিক স্টেটমেন্ট শুনতে হবে।
তারপর শুরু হল নীতিমালা দেখানো। এটাও অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে আমার কাছে। পুরো পোস্টে কয়টি মন্তব্য পোস্টের সাথে রিলেটেড সেটাও গুনে দেখা দরকার। আমরা আসলে লুপে পরে যাচ্ছি। ধর্ম নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে। সবাই বলবে এর প্রধান কারন অসহনশীল বিশ্বাসী/অবিশ্বাসী ব্লগাররা। কিন্তু তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে টেম্পার হারানো কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। বরং আমরা প্রোগরামড রোবট না বলেই এটা ঘটে থাকে। আসল সমস্যা নিহিত আসলে অন্যখানে।
আমাদের আসলে ধর্মানুভুতি কে ডিফাইন করা দরকার। কারন এটা খুব আনডিফাইন্ড জিনিস। ঠিক কি কি বলা যাবে আর কি কি বলা যাবে না সেটা নিয়ে বিশ্বাসী দের ভাবা দরকার আগে। অবিশ্বাসীদের কাছে ধর্মের দাম নেই। সুতরাং বিশ্বাসীদেরই একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরী করা দরকার যে কতটুকু তারা বলতে দেবে। কারন ধর্মানুভুতির প্রচলিত ধারনায় কোন সঠিক চিত্র পাওয়া যায় না। সকল ধর্ম অন্য ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করে নীতিগত ভাবে। হিন্দুরা বলে অনেক দেবতা, মুসলিমরা বলে এক দেবতা। হিন্দুদের বিশ্বাস মুসলিম দের সাথে সাংঘর্ষিক। যদি হিন্দুরা অনকে দেবতা আছে বলার মাধ্যমে মুসলিম দের বিশ্বাসে আঘাত হানার সুযোগ লাভ করে তাহলে নাস্তিকেরও বলার অধিকার আছে যে ঈশ্বর নেই। হিন্দুদের কাছে যেটা উপাসনা(অনেক দেবতার পুজা) মুসলিমদের কাছে সেটা পাপ। মুসলিম রা প্রচার করার অধিকার পাবে যে একদেবতা ছাড়া অন্যকারো পুজা পাপ, তাই হিন্দুরা পাপী তাহলে একই যুক্তিতে অবিশ্বাসীদের বলার অধিকার চলে আসে জিজিয়া কর বৈষম্যসৃষ্টিকারী বার্বারিক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এটা একটা কমন কথা যে যার যার বিশ্বাস তার কাছে রাখলেই হয়। কিন্তউ এটা কি সামাজিক ভাবে সম্ভব? একজন মুসলিম কি আরেকজনএর সাথে ইন্টারেকশনের সময় তার ধর্মীয় মূল্যবোধের দ্বারা প্রভাবিত হয় না?তাহলে একজন অবিশ্বাসীও তার নিজস্ব মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হবে। একজন মুসলিম যদি বলতে পারএ লিভ টুগেদার পাপ একজন অবিশ্বাসীও বলার সুযোগ থাকা উচিৎ চার বিয়ে করা খারাপ।
মানুষের মাঝখানে পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। এটা অস্বীকার করাটাই ভন্ডামি। আমার কথা হচ্ছে কাউকে বলতে বাধা দেয়াটা ঠিক নয়। যে যার কথা বলুক। যদি কারও সেই বলা কথাটা বেঠিক মনে হয়ে তাহলে সে সেটা ডিফেন্ড করবে। কিন্তু "নাস্তিকরা নিজের বিশ্বাস নিজের কাছে রাখলেই পারে, আস্তিকরাও পারে নিজেদের কাছে রাখতে" এই স্টেটমেন্ট আসলে ভয়েড স্টেটমেন্ট। প্রত্যেকেই তার নিজের ভ্যালু সিস্টেম দ্বারা তাড়িত হয়। সুতরাং বিশ্বাস নিজের কাছে রাখতে পারে না। সোসাল ইন্টারেকশনে প্রকাশ পেয়ে যায়।
স্বাধিনতার সীমা হচ্ছে অন্যের স্বাধীনতায় বাধা না হওয়া পর্যন্ত। ধর্মের সমালোচনা করলে সেটা ধার্মিকের ধর্ম পালনে বাধা হয় না, তার ধর্ম প্রচারেও বাধা হয় না। এই সত্যটা উপলব্ধি করাটা দুরহ ব্যাপার।
এজন্যেই যতদিন ধর্মানুভুতির আসল অর্থ মানুষ না বুঝতে পারছে, অথবা ফ্রীডম এর আসল অর্থ মানুষ না বুঝতে পারছে ততদিন এইসব অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
কমেন্টটা সবার পড়া দরকার।
দয়া করে এই কমেন্টটা পরে অতি ধার্মিক কিংবা নিধর্মী লোকজন মন্তব্য করবেন।
ধর্মের অন্যতম বড় শিক্ষা হল -সহিঞ্চুতা ।নবী-রাসূল কিংবা যিশু এই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছেন।তাই আপনার সৃষ্টিকর্তার দোহাই লাগে,বুঝেশুনে মন্তব্য করুন।
আর নিধর্মীদের সবচেয়ে বড় ভিত্তি মূলতঃ তার নৈতিকতা আর বিবেচনাবোধ।সেটা মাথায় রেখে তারা এগোবেন বলে আমরা আশা করতে পারি। 🙂
সিসি পরিবারের বাইরের লোক হিসেবে আমার সাজেশান অনধিকার প্রবেশের শামিল। যদি কিছু মনে না করেন আমার কিছু সাজেশান ছিলো-- আপনাদের স্মৃতিচারণগুলো আমরা যারা সিভিলিয়ান তাদেরও খুব ভালো লাগে যদিও কিছু টার্ম বোঝা হয়ে ওঠে না। যদি শুধু সাহিত্য/স্মৃতিচারণই হয় মূল উদ্দেশ্য তাহলে সিরিয়াস টপিক বাদ দেয়াই ভালো। আর যদি সিরিয়াস টপিকের প্রবেশাধিকার থাকে তবে তা সীমাবদ্ধ করে ফেলা উচিত না। যেকোন লেখার মান ভালো বা তথ্যসমৃদ্ধ হলে তা প্রকাশ করতে দেয়া উচিত। আর আপনাদের মতো মেধাবীরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে তা খুব খারাপ দেখায়।
সব কমেন্ট পড়লে আর লাবলু ভাইয়ের লেখার কথা বলা হবেনা।
লাবলু ভাই,শহীদুল ভাইয়ের লেখার প্রতিটা কমেন্ট পড়েছি আর মনে মনে বলেছি আপনিকি কিছুই দেখছেন্না?আপনিকি কিছুই বলবেন্না?আজকে আপনার লেখাটা পড়ে শান্তি পাইলাম।কিন্তু নিচের ১২/১৩টা কমেন্ট পড়তে পড়তে বুঝলাম আপনি বেশী নরম সুরে আমাদের ঠিক হতে বলেছেন।আর একটু কঠোর হওয়া উচিত ছিল।(আশা করি আপনি বুঝবেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি)
আপনার পরিবারের কথার সুন্দর উদাহরণ দিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন সেটা মনে হয় সবার বোধগম্য হয়নি।
শুধু একটাই অনুরোধ সিসিবি কে মুক্তমনা আর সচলের সাথে তুলনা করে আমাদের এই ব্লগকে আম জনতার ব্লগ না বানালেই খুশি হব।কারন আম জনতার ব্লগে কিন্তু আমরা স্মৃতিচারণ করতে পারিনা।আর করলেও সেটার কমেন্ট কি আসবে আমরা জানি। আমরা একটু আলাদা।তাতে কার কি যায় আসে।মুক্তমনাদেরতো ব্লগের অভাব নাই।তারা সেখানে তাদের মনের বিকাশ ঘটাক।আমাদের পরিবারটাকে ভাংতে আসারতো দরকার নাই।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
স্যরি শুধুমাত্র প্রথম লাইনটা কোট হবে, বাকিটা কোটের বাইরে:(
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
বাঁধন, তোমার স্মৃতিচারণ করতে ভালো লাগে, আমার লাগেনা। আমার নাস্তিকতা নিয়ে লিখতে ভালো লাগে। এবং সেইটা সিসিবিতেই। নাও ডিল উইথ ইট।
রায়হান আবীর তোমার কথা শুনে মনে হল তুমি মনে হয় আমার জন্যই লেখো।ধন্যবাদ ...জেনে খুশি হলাম।তোমাকে এটাও জানায় রাখি, তোমার বা তোমার লেখার সম্পর্কে আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নাই।সেটা তুমি যত বড় knowledge r কথাই লেখনা কেন। তোমার লেখা আমি পড়িও না।পড়বও না so প্লিজ ক্যারি অন ডিস্ট্রিবিউটিং ইওর ভাস্ট এন্ড গ্রেট নলেডজ।
ব্যক্তিগত আক্রোশ এত ছেলেমানুষি আকারে প্রকাশ করেছো দেখে মজা পাইলাম।
মেহবুবা
যদিও কথাটা রায়হান কে বলেছ তারপরও একটু নাকগলালাম। এই এটিটিউড টাই তো সমস্যা। তুমি যা বলবে সেটার কন্সিকয়েন্স তোমাকে ফেস করতেই হবে। তুমি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, তোমার কথাবার্তার দায়িত্ব তোমার নিজের। তোমার প্রথম কথায় যে মনোভাব প্রকাশ করেছ সেটা কিন্তু বিতর্কের অবকাশ রাখে। সিসিবিতে অধিকাংশ ব্লগারই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং সেইজন্যে পৃথিবীর যেকোন বিষয় এখানে আলোচিত হতে পারে এবং এটা দরকারও। যেকোন কমিউনিটি যদি কন্ডিশনাল ইন্টারএকশনে বদ্ধ থাকে তাহলে সেটা ক্ষতির কারন ছাড়া আর কিছু নয়। সুতরাং মুক্তমনাদের জন্যে মুক্তমনা আছে সিসিবিতে তাই মুক্তমনাদের দরকার নেই এইরকম স্টেটমেন্ট শুধু হাস্যকরই নয় আমার ব্যাক্তিগত যায়গা থেকে আপত্তিকরও বটে। মানুষ কে যদি তার ইডিওলজির(যে ইডিওলজির জন্যে কারও স্বাধীনতাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না বা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না) জন্যে ক্রুসিফাই করা হয় তাহলে আমদের পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় দেখি না। এখন যদি ব্লগে ব্লাসফেমীর নোটিশ ঝোলে, ইনকুইজিশন করা হয়(এই ঘটনার পরে আমার কিছু বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস আসলেই হতাশাজনক) তাহলে রেনেসাঁ পূর্ববর্তী সময়ে ফিরে যাওয়া উচিৎ। তোমার কমেন্টের জবাব আমিও দিয়েছি রায়হানও দিয়েছে। দুটো জবাবেরই সাড়বস্তু একই কথা। শুধু আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলেছি আর রায়হান টেম্পার লুজ করেছে। ষেটার জবাব যেটা দিলা সেটা তো ব্যাপক প্রতিক্রীয়াশীল আচরন। রায়হান কিন্তু তোমাকে ব্যাক্তি আক্রমন করে নাই। এইটা খুব খিয়াল কৈরা। সে শুধু কর্কশ কন্ঠে নিজের অধিকার চেয়েছে। অনেকটা মিছিলের স্লোগানের মত। কিন্তু তার জবাবে তুমি রায়হান কে আক্রমন করলা কিন্তু না তুমি নিজের পূর্ববর্তী বক্তব্য ডিফেন্ড করলা না আমার বা রায়হানের কথা খন্ডাইলা। এরকম অসহনশীল প্রতিক্রীয়াশীলতা এড়ানোটাই দরকার। আমি জানি না সেটা তোমার ব্লগ নহির্ভুত আক্রোশ থেকে কি না, যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে আরও দু:খজনক।
আশা করি আমার উপর ক্ষেপবা না।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
যাক, তোর কথার সূত্রে স্ট্যাটাসগুলো দেখা হলো। নৈতিকতার ষাণ্ডাধারীরা যেভাবে চমৎকার ভাষায় কথা বললো, শ্রদ্ধায় মাথা নতো পুরা।
কই থেকে পাইলা এই কথা? আমিও আকাশ থেকে পড়লাম। তোমার জন্য লিখবো কেন? আমি লিখি, যার ইচ্ছা সে পড়বে। প্রেমিকার জন্য ব্লগ লিখছি তাও যদি কইতা, তুমি কই থেকে আসলা?
অতঃপর নিজেই কী বুইঝা না বুইঝা পরবর্তী প্যারায় ঝাল ঝাড়লা।
কী আশ্চর্য।
ব্যক্তিগত আক্রোশ এত ছেলেমানুষি আকারে প্রকাশ করেছো দেখে মজা পাইলাম।
বাপ্পি,আপনার এই মন্তব্যে আমাদের চোখ না খুললে আর কিছুতেই হবেনা।
আমাদের স্মৃতিগুলা এবং আমাদের নিজেদের ধরে রাখতেই আমাদের এই ব্লগ।
মেহবুবার সাথে সহমত, ভালো থাক দোস্ত! :thumbup:
সিসিবির লেখা নিয়ে আরো বই বের করতে হবে। একে আরো এগিয়ে নিতে হবে।
সিসিবি এই দূরবস্থার জন্য মুহাম্মদ, রায়হান, অর্নব সরাসরি ও কমরুল পিছন থেকে দায়ী।
এদের শুভ বোধোদয় কাম্য।
এই মন্তব্যটা স্বনামে দেয়ার সাহসের অভাবই প্রমান করল আপনার ক্লেইমটাও আপনার মেরুদণ্ডের মতই ভঙ্গুর।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
জনাব "ano" , এই রকম একটা অসাধারন সত্য উদঘাটনের জন্য আপনার জন্য একটা সংবর্ধনা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দয়া করে একটু সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আপনার পরিচয়টা জানাবেন? এই জাতির আজ আপনার মত মানুষদের পরিচয় জানা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে, যারা নিজের পিতৃ প্রদত্ত পরিচয় প্রকাশে লজ্জিত।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই মন্তব্যটা খুবই দুঃখজনক।
ano ভাইয়া
বোধহয় কামরুল লিখতে চেয়েছিলেন। ভুলে 'কমরুল' হয়ে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ। যে কথাটা আপনি সরাসরি বললেন, এটা সিসিবির আরো অনেকেরই মনের কথা। কেউ বলেনি এতদিন, এই যা!
তো দূরবস্থার জন্যে দায়ী যেহেতু হয়েছি, এখন আমাকে কী করতে হবে? সেটা একটু বলে দিন। কথা দিচ্ছি, সে চাওয়াটাও পূরণ করবো।
দেখি, শুভ বোধোদয় হয় কিনা। 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
=)) =)) =)) ano নামের এই জোকারটার কথায় পাত্তা দেওয়ার কোন কারণ দেখিনা।
ano ভাইজান,সিসিবি দুরবস্থায় আছে এইরকম মনে হওয়ার কারণ কি? আপনার কি মনে হয় আমাদের মধ্যে মন কষাকষি হইছে দেখে আমরা একে অপরের শত্রু হয়ে গেছি?? আমি মোটামুটি নিশ্চিত আপনি ক্যাডেট পরিবারের কেউ না-তাহইলে ক্যাডেটদের বন্ধন সম্পর্কে কিছুটা হইলেও জানতেন।একটা উদাহরণ দেইঃ আমাদের ধার্মিক ব্লগার কুচ্ছিত হাঁসের ছানা যখন ছিনতাইকারীর দ্বারা ছুরিকাহত হয়েছিল তখন সবচেয়ে বেশি ছোটাছুটি করেছিল যে কজন তাদের মধ্যে নিধর্মী রায়হান আর মুহম্মদ পড়ে।আমি নিশ্চিত,কালকে আমার মত নিধর্মী যদি ছুরিকাহত হয়, এই ব্লগে যার সাথে আমার সবচাইতে ভয়াবহ বিতর্ক হয়েছে সেই মানুষটাও পারলে সবার আগে এগিয়ে আসবে।এই বিতর্কের মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক মতবিনিময় করছি এবং নিজেদের সহনশীলতাকে আরো পরিশীলিত করছি মাত্র। ক্যাডেটদের এমন দুর্দিন এখনো আসে নাই যে ধার্মিক-নিধর্মী বিতর্কের ফলে তাদের মধ্যে বন্ধন টুটে যাবে।সুতরাং সিসিবির দুরবস্থার কথা চিন্তা করার আগে আপনার নিজের দূরবস্থা (দীর্ঘ ঊ কার যুক্ত 😛 ) নিয়ে চিন্তা করেন 😀 (সম্পাদিত)
(সম্পাদিত)
ভাই ano জীবনে ব্লগে কাউরে গালি দেই নাই, কিন্তু আপনার পিছন দিয়ে আছোলা বাঁশ না দিতে পারাটা মনে হয় জীবনের সব থেকে বড় আফসোস থেকে যাবে। :(( :((
আর ভাই, শান্তির পথে আপনার অবদানের জন্য ওবামার পর next শান্তিতে নোবেলটা আপনাকে দেবার জন্য আকুল আবেদন পেশ করছি।
শা* বোকাচো* x-( x-( 😡 😡
অটঃ offensive মন্তব্যের জন্য দুঃখিত (তয় আনো মামুর কাছে না)
তিন চারমাস আগে //cadetcollegeblog.com/mashroof/20287 পোস্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম আপনি এখন যেই নিকটি নিয়ে আছেন সেই নিকটি নিয়ে। নিকটি সম্ভবত আপনার খুব পছন্দ হয়ে গিয়েছে তাই আপনি ভাবলেন নিকটি মেরে দিয়ে এমন একটা মন্তব্য করে ফেলি যার রিসেপসন আমি আগে থেকেই জানি যে হবে ড্রাস্টিকালি খারাপ। সহাস্যে আমার কৌতুহল কেনো? আপনি এখন এসে বলে যেতে পারেন যে আপনি আর ঐ আগের অ্যানো একই ব্যক্তি না, যদি করেন তবে এটাই হবে ফেয়ার মুভ। আর না যদি করেন তবে বলবো গ্রো আপ ট্র্যাম্প।
এ্যানোনিম ভাই,যাক শুনে আশ্বস্ত হলাম(আগেও ধারণা করেছিলাম) আপনি আর এই মহাশয় এক ব্যক্তি না।আমার পোস্টে আপনার ওই কমেন্টের সাথে এখানে যে কমেন্ট-তার ধরণ ধারণের মিল নেই মোটেই।ওখানেরটা ছিল খুব সূক্ষ্ণ একড়া বিষয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ আর এখানেরটা হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণীর কাপুরুষতা।দুটোর মালিক এক ব্যক্তি নয় জেনে আশ্বস্ত হচ্ছি-যদিও আগে থেকেই মোটামুটি শিওর ছিলাম।
আপনি কে? নিজ নামে বলতে কি সমস্যা? যাদের নাম বল্লেন তারা সবাই নিজের নাম দিয়েই মন্তব্য করেছে।
নিজেদের ঝামেলা নিয়ে ক্লান্ত এর উপর আবার বাইরের লোক।কিন্তু ভাই আপনার কমেন্ট পড়েতো আপনাকে বাইরের লোক মনে হইলো না।আপনি কাজটা ভাল করেননি।
জনাব ano'র কমেন্টটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। শুভ বোধোদয়টা যেন আপনারই হয়!
লাবলু ভাই,আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম।আপনারে দেখেই আমার মত বিশিষ্ট ঘাড়-ত্যাড়া লোকের ঘাড় সোজা থাকে।
ইদানিং খালি বনে-বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন,দু-দিন আপনার অফিসে এসে আপনাকে পেলামনা।কবে আসবো আইসক্রিম খেতে বলেন?
গরমকালে আইসক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর...
Ano ভাই অথবা বোন অথবা উভয়ই অথবা কোনটাই নয় (স্বনামে কমেন্ট না করে আমাদের কি বিপদেই না ফেলেছেন তিনি!) এর সাথে অনেকাংশেই একমত। :-B
মুহাম্মদ, রায়হান, জিহাদ, সামিয়া, মহিব...এরা যদি সিসিবি'র গোড়াপত্তন না করত তাহলে কি আজ এই ধরনের পরিস্থিতির উদ্রেগ হবার সুযোগ থাকত? কামরুল ভাই যদি খায়া-নাখায়া সিসিবি'র প্রচার ও প্রসারে কাজ না করতেন (যা তিনি আসলেই পেছনে থেকে অর্থাৎ আড়ালে থেকেই করেছেন!) তাহলে কি আজ সিসিবির সদস্য ১৫৮৩ হত? কিংবা ৩৫৭৯ টি পোষ্ট? ১৪১, ৭০০ কমেন্ট????
নিঃসন্দেহে হত না। সুতরাং Ano'র কমেন্টে হাল্কা এবং ঝাপসা 'ঐ' দিলাম... B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ ভাই :thumbup:
Ano ব্যাটা বলদ। স্যরি, অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করে ফেললাম। ব্লগ জগতে আমার প্রথম গালি :awesome:
Ano কে তুই করেই বলি, ঐ ব্যাটা জুনু দা কি তাইলে মিছা কইছে? :thumbdown:
গতবছরে এরকম একটা সিচুয়েশন হয়েছিল (আজকেও দেখলাম সেই সময়ের 'গরম' পোস্টটায় কমেন্ট হচ্ছে)। সেইসময়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম চলমান অসহিষ্ণুতা, এবং দুইপক্ষেরই কারো কারো একগুঁয়ে আচরণ নিয়ে।
এখন দেখা যাচ্ছে সানাউল্লাহ ভাইয়ের পোস্টে নিজেদের শুধরে নেয়ার এতো এতো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেই একই বালখিল্য প্যাঁচাল এখানের কমেন্টে চলতেছে। যাঁদের 'আনো'গরু উল্লেখিত মানুষদের নিয়ে এতো সমস্যা, প্লিজ একটা ব্লগ বানান- তারপরে সেখানে হাদুমপাদুম করেন।
সব সময়ে নিরপেক্ষ থাকা যায় না, সেটা অনেক সময়েই অনেকে দূর্বলতা মনে করেন। ধর্ম সংক্রান্ত আলাপে যথেষ্ট পরিমাণ ভাবনাচিন্তা করে পোস্ট বা কমেন্ট করার পরেও অর্বাচীনদের তথাকথিত ধর্মানুভূতির শিরশিরে শিরায় যে টানাপোড়েন সেটার দায় নেওনের কোন টাইম নাই। আপনারা দয়া করে পরমতসহিষ্ণু আচরণ শেখার জন্যে কোন একটা স্কুলে ভর্তি হন, নাইলে আসলেই ব্লগমিডিয়াম আপনাদের লিগা না। যার যার বাড়ির পাশের মসজিদে গিয়ে 'সমমনা'দের সাথে জামাতে নামাজ পড়েন! (যদিও জানি সেইটাও আপনারা কেউ কেউ করেন না! খ্যাক খ্যাক!)
*********
লাবলু ভাই, খুব নিজস্ব আবেগের জায়গা থেকে এরকম অশিষ্ট মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম। আশেপাশে এরকম রিজনলেস, ব্রেইনলেস ব্লগার দেখে মেজাজ শান্ত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আপনার কাছে দুঃখপ্রকাশ করতেছি সেজন্যে। 🙁
Ano ভাই অথবা বোন অথবা উভয়ই,
প্লিজ আপনার কাছে খালি একটাই অনুরোধ, জীবনেও সামনে পইড়েন না। আর সিসিবির জন্য কে কি করছে এইটা আপনার মতো বেনামীর কাছ থেকে জানতে হবে না। আমরা সবাই জানি। দৌড়ের উপর থাকেন।
লাবলু,
তোমার সুন্দর লেখা ও মন্তব্যগুলি পড়লাম। মুক্ত আলোচনা হওয়া ভালো। এতে যদি মাঝে মাঝে কিছুটা ক্লেদ উঠে আসে এবং কিছুটা কাঁদা ছোড়া-ছুড়ি হয় তাতে অসুবিধা নেই। ক্যাডেট কলেজের ছেলে-মেয়েদের মধ্যের বন্ধন অতো ঠুনকো নয় বলে আমি মনে করি।
কামরুল, আমি তোমাদের সবার সিনিয়ার হিসাবে তোমাকে অনুরোধ করছি তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করে যাও।
এ বিষয়ে আমার লেখা একটি লিঙ্ক নীচে দিলামঃ
একমত।
:boss: :boss: :boss:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
- পুরো একমত।
আমি সিসিবিতে এসেছি এক বছরের মত হলো। ইতোমধ্যে একটা কম্যুনিটি ব্লগ হিসেবে সিসিবি এখন অনেক বড় হয়েছে, এর বৈচিত্র্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই উন্মেষকালে যেসব উচ্চারিত+অনুচ্চারিত শ্রেয়বোধের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হতো, সেগুলো সময় সময় চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হবে স্বাভাবিক নিয়মেই। টিকে থাকতে হলে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের উপযোগী নিয়ম-কানুন গ্রহন এবং অচলগুলোর বিয়োজনের মাধ্যমেই চলতে থাকবে সিসিবি। এই ক্রান্তিকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা এর পরিচালনায় আছে+থাকবে। তাদেরকে এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে যেতে হবে। তা নাহলে ব্লগের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়বে (অলরেডী খানিকটা পড়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে)। - এই কারণে, আমি অন্যান্য ভাইদের মত কামরুলকে আবার ফিরে আসার অনুরোধ করছি। সেই সাথে আন্দালিব এবং এই রকম আরো যারা রেগে+ধৈর্যহারা হয়ে কতিপয় সদস্যকে ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছো, তাদেরকে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি।
সবশেষে, সমাজে বা কম্যুনিটিতে কিভাবে শ্রেয়বোধ (Norm)-এর উদ্ভব হয়, কিভাবে তা' সদস্যদের ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রন করে, কিভাবে তা' বদলায়, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে হালকার উপ্রে ঝাপসা কিছু ভাবনা নিয়ে একটা ব্লগ পোষ্ট করবো, শীঘ্রই। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বিবাহের অজুহাত দিয়া আপনে খালি পলাই পলাই-পরে দিবো এইরকম কইরা অনেক দিন লেখা দেওয়া বন্ধ রাখছেন।এইগুলা ছাইড়া ভালো হয়া যান।
সাইফ ভাইয়া আমারও তাই মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের অনেকের মনের কথা বলাতে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বুঝলাম ... একটা গেট্টুগ্যাদার অতীব জরুরী হয়া পরছে ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
গেত্তুগ্যাদার এর সিল...টা এইবার কাকে দেয়া যায় চিন্তা করতেসি। হিজ হিজ হুজ হুজ আইডিয়াটা কেমন। আমি আসলে বারবার তোমারে আর লাব্লু ভাইরে সিল মারতে চাই না। ৯৯ ব্যাচটা বেশী পুচকা। ৯৪ ব্যাচ এইবার গেত্তু গেদারটা স্পন্সর করলে কেমন হয়!!
হেঃ হেঃ হেঃ
নিজে সিল খাইছিলেন ... সেইটা মনে নাই ?? :grr:
(সিসিবি'র সিল খাইয়াও শান্তি)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:)) :))
ভাইয়া ইংরেজী খটমট লাগে, বাংলা অনুবাদ সিসিবিতে ছাপাই দেন প্লিজ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
লাবলু ভাই,
আপনি যতদিন আছেন, সিসিবি নিয়া টেনশান নাই ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আমি সাইফুদ্দাহার শহীদ ভাইয়ের সাথে এক মত, কামরুল, তোমার যাওয়া হবে না। কালা কুর্তাওয়ালা তাইফুর কোথায়, মোড়ে মোড়ে গার্ড বসিয়ে দাও, কামরুল যেন কিছুতেই পালাতে না পারে (মু হা হা হা হা-----!!! )
সানা, চালিয় যাও--- :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2:
ঐ
:grr: :grr: (মু হা হা হা.........)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমার মতে, ব্লগে ধর্ম নিয়ে লিখতে দেয়া উচিত হবে না। কেউ যদি এ নিয়ম ভংগ করে তবে তাকে বের করে দেয়া উচিত।
সরি ভাই, ইহা মানিতে পারিলাম না... ব্লগে সব বিষয়ে লেখার স্বাধীনতা থাকা উচিত!
লাবলু ভাইয়ের পোস্টের পর এর সাথে প্রায় সবারই মন্তব্যে প্রায় সবকয়টি বিষয়ই উঠে এসেছে। তাই নতুন করে আর কিছু বলার পাচ্ছিনা। সব জায়গায় দেরির মতো এখানেও দেরি করে ফেললাম মনে হয়। তাও দুইয়েকটা কথা বলার দুঃসাহস দেখাই...
১. লাবলু ভাইয়ের পোস্টের একটি লাইনই তুলে দিই,
এই কথাটা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবো ততই মঙ্গল। ধর্ম-নিধর্ম-অধর্ম-কুধর্ম যেকোন ব্যাপারেই বহুমত-বহুবিশ্বাস থাকাই স্বাভাবিক। কোথাও প্যাচাল-ক্যাচাল লেগে গেলে বার বার লাবলু ভাইকেই এগিয়ে এসে আমাদের বুঝাতে হচ্ছে, আমরা নিজে থেকে কেনো বুঝতে পারছিনা যে আমাদের যুক্তি তর্কের মধ্য থেকে শালীনতা আর সহিষ্ণুতার সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছি। পেশাগত জীবনের অতি ব্যস্ততার মধ্য থেকে উনি এই সময়টুকু বের না করে দিলে কি আমরা এভাবেই চালিয়ে যেতাম? অভিজ্ঞতা যে কি অমূল্য সেটা আমরা লাবলু ভাইয়ের নিজের জীবনের উদাহরণগুলো থেকেই জানতে পারলাম, আশা করি এটি থেকেও আমাদের শিখবার ঝুলি সমৃদ্ধ করে নিবো সামনের জন্য। সেই সাথে উনার লেখার যে লাইনটি কোট করলাম সেটিও আশা করি সবাই মাথায় রাখবো। সিসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন আর কারো একক কাজ নয়।
২. সাইফ ভাইয়ের একটি কথার সাথে সর্বান্তকরণে একমত পোষণ করছি।
৩. আমরা শিখছি নিশ্চয়ই। আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখনকার এসব অনেকের দৃষ্টিতে বিতর্কিত লেখায় লেখার কন্টেন্টের সাথে মিলিয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তি আসছে প্রচুর। একটা পর্যায়ে যেয়ে হয়তো কেউ কেউ আবেগের কাছে হার মানছেন, কিন্তু তার আগ পর্যন্তই যেটুকু আসছে সেটি আমাদের মতো স্বল্পজানা লোকদের জন্য খুবই উপকারি নিঃসন্দেহে। হোসেন'এর করা একটা কমেন্ট মনে ধরেছে খুব, সিসিবিতে এসব কন্টেন্ট আলোচনাতে ভালো রেস্পন্স পাওয়া যায় কারণ এখানে এসব বিষয়ের দুই সাইডের মতামতই উঠে আসে প্রবলভাবে, হয়তো অন্যান্য ডেডিকেটেড সাইটের সমমনাদের মধ্যে বিপরীত মতের চর্চা ততটা হয়না তাই সিসিবিতে সবধরণের লেখার বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাবেশই দেখতে চাইবো শুধু মাত্র স্মৃতিকাতরতা বা হাস্যকৌতুকের লেখার চেয়ে।
৪.আমরা অনেকেই ধর্ম বনাম নিধর্ম টাইপের পোস্ট বা কমেন্টে আপসেট হয়ে যাই, কেনো? নিজেরটা বুঝলেইতো বরং কম আপসেট হওয়া উচিত তাইনা? যদি শুধু নিজেরটাই বুঝি তাহলেতো আপসেট হবার কথাইনা! আর এধরণের লেখায় কিছুটা এরোগ্যান্ট আচরণ হয়তো কেউ কেউ দেখিয়ে ফেলেন, তাতেই সব গেলো সব গেলো রবই বা উঠার মানে কি? সব চলে যাওয়া কি এতই সহজ? চলে গেলাম, পরিবেশ নাই তাই কম আসি, আইডি মুছে দেই এসব থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে আমাদের।
৫. কে একজন যেন কমেন্টে বলেছে সারাদিন বিভিন্ন ঝামেলা শেষে সিসিবিতে আসি শুধু প্রাণখুলে হাসতে, তাই এসব বিতর্কিত বিষয় এখানে এড়িয়ে চলা উচিত। আবার অনেকে শুধু স্মৃতিচারণেই সীমাবদ্ধ থাকতে চান। সিসিবি হয়তো প্রথমদিকে এমনই ছিলো, আমি নিজেই আমার অনেক বন্ধুদের সিসিবির কথা বলতে প্রথমদিকে এর লঘু রসাত্মক লেখাগুলোর উদাহরণই দিতাম। কিন্তু এখন বোধহয় আর সেই অবস্থা নেই। সিসিবিকে এখন সব ধরণের লেখার আধার হিসাবে দেখতে চাই। কেউ সিসিবিকে শুধু হা হা হি হি'র জায়গা বললে খারাপই লাগে। শিশুদের ব্লগ হয়ে থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই আসলেই। সকল মতের সকল বিষয়ের লেখার এবং এগুলোতে খোলামেলা আলোচনা করার জায়গা হয়ে উঠুক সিসিবি, আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটাই চাইবো।এবং এই দায়িত্বটা আসলে কারো একার নয় আমাদের সবারই। এমন একটা দিনের প্রত্যাশায় যখন শুধু সিসিবিতে লিখতে পারাটাই অনেকের জন্য আরাধ্য হবে। এই পরিবেশটি লেখকদের তৈরি করে দেয়ার দায়িত্ব কিন্তু আসলে আমাদেরই।
নিজের প্রচন্ড ব্যস্ত কাজ কর্মের মধ্য থেকে এত সময় বের করে আরো একবার আমাদেরকে সেই ইউনিক স্ট্রেইট লাইন দেখাতে সাহায্য করার জন্য লাবলু ভাইয়ের প্রতি আবারও একরাশ কৃতজ্ঞতা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
খুবই ম্যাচিউরড একটা উপসংহার হইসে
বস, এই জন্যই আপনারে আমি এত ভালা পাই... :salute:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আজ দেখি ভাইয়া আপনি বহুক্ষণ ধরে সিসিবিতে। আমার মত পুরা সিসিবি আজ অবাক হয়ে আছে। :frontroll: :frontroll:
আমারে কইলা নাকি তপু? আসলে অফিসে আইস্যাই জানালাটা খুলি। তা লগ-ইন বা আউট যাই হোক না কেন। বস হওয়ার সুবিধার অপব্যবহার আর কি! গতকাল একবার লগ-ইন হওয়ার পর আবার সিসিবি নিজে আমারে আপনা-আপনি লগ-আউট না করা পর্যন্ত এমনই দেখবা।
সবার মন্তব্য পড়তাছি। এখনও চুপচাপ আছি। আরো সময় দিই। দেখি নিজেরা উপলব্ধিতে আনে কিনা? পুলাপাইন পুরা মাস্তান হইয়া গ্যাছে! প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব আছে না!!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া আপনার এই পোস্টের জন্য উপরে আগেই আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েছি।
আপনাকে সবসময় সিসিবিতে দেখলে সেটা আমাদের জন্য বিশাল ব্যাপার ।
উপরের মন্তব্য অবশ্য সাকেব ভাইরে বলছিলাম। উনি তো সিসিবির ডুমুরের ফুল।
ইয়ে...না...মানে...মনে একটা সুপ্ত বাসনা নিয়ে উঁকি দিতে আসছিলাম যে কেউ রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী নিয়ে কোন পোস্ট দিলো কিনা :dreamy:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সাকেব : খন্দকার দেলোয়ার কইছে খালি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় করলে হইবো না, একটা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ও করতে হইবো!! ওই মাতালটারে কে বুঝাইবো, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে একটা করা হইছে! রবীন্দ্রনাথ আনলেই নজরুলের নাম আনতে হবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি, আবাহনী-মোহামেডান, হিন্দু-মুসলমান!!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ইয়ে মানে লাবলু ভাই একটা গল্প কই, এইটা কিন্তু চাপা না। আমার বুয়েটের রুমমেট একটা চাকুরির ভাইভায় গেছে। কোনরকম রাখঢাক ছাড়া চাকুরিদাতার প্রথম প্রশ্ন, তুমি বিএনপি না আওয়ামী লিগ? আমার রুমমেট ভালো ছেলের মত বললো , আমি রাজনীতির পছন্দ করি না। চাকুরিদাতা সাহেব এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনি বললেন, তুমি ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা? জার্মানি আমার রুমমেটের কনফিডেন্ট উত্তর। তারপরের কথা এরকম,
-- তুমি ভারত না পাকিস্তান ক্রিকেটে কোন দল সাপো্রট করো?
--- অস্ট্রেলিয়া।
--- তুমি মোহামেডান না আবাহনীর সমর্থক?
--- আমি ব্রাদার্স।
--- তোমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ না নজরুল?
--- জ্বী জসীমউদদীন।
এই বেলা চাকুরি দাতা হাল ছেড়ে তাকে চলে যেতে বললেন।
উল্লেখ্য এই অতি চালাকির কারণে তার চাকুরিলাভও সেবারের মতো হয়নি।
লাবলু ভাই, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বাদ গেল কেন?সামনে ত অইটা নিয়াই গরম থাকব সব। :gulli2: :gulli2: :gulli:
না ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় আস্তিক-নাস্তিক লাগালাগি নাই!! উপরের তিনটায় লুকনো হলেও ধর্ম প্রধান ইস্যু।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানা ভাই কী আর বলবো? আপনার রেফারীত্ব সত্যিই প্রশংসনীয়।
লেখার আগ দিয়ে ধর্ম রাজনীতি আনবো না ভেবেও লেখার পর দেখি তা এসে গেছে। ব্লগের মধ্যে আমি এখন সিসিবিতেই সক্রিয়। আর সবার মতো এটাও আমার আরেক পরিবার। আউট ল হতে চাই না। নিজের পরিবারের মতো সিসিবির নিয়ম নীতিও মেনে চলতে চাই।
আশা করছি শেষে একটা ফলো আপ পোস্ট দিবেন।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi