ছোট অযোধ্যা শহরে এসে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রধান সাধু নিত্যগোপাল দাসের ‘নির্মোহী আখড়া’য় ঢুকে শুনলাম তিনি উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলায় গেছেন। ভোট দিতেও অযোধ্যায় ফেরেননি। ফেরেননি আরো কয়েক শ সাধু-সন্ন্যাসী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতারা বারবার অনুরোধ জানালেও নিত্যগোপাল দাস ফেরেননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার ভোট দেবেন না।
আখড়ারই একজন জানালেন, কথা বলতে হলে ফৈজাবাদ ‘নাকা হনুমান গড়ি মন্দিরে’ যেতে হবে। ফোন করে যোগাযোগ করে সেখানে পৌঁছুতেই মন্দিরের বাইরে উৎসাহী পুজারি রাম দাস স্বাগত জানালেন। ভেতরে নিয়ে নিজের ছোট্ট ‘ছাপড়ায়’ বসিয়ে জানালেন, কিছুক্ষণ আগে ভোট দিয়ে এসেছেন। স্বীকারও করলেন ভোট দিয়েছেন কংগ্রেসকে। কেন? সাম্প্রদায়িক ভিএইচপি তাদের শান্তিপূর্ণ “রাম জন্মভূমি আন্দোলন” ছিনতাই করেছে। বিজেপি এ নিয়ে রাজনীতি করছে- জানালেন রাম দাস।
তিনি আরো বললেন, এবার নির্বাচন কঠিন হবে। বিজেপির জন্য কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ‘রাম মন্দির’-এর এই ফৈজাবাদ আসনে লড়াই হবে চতুর্মুখী। বিজেপি প্রার্থী লালু সিং, কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল ক্ষেত্রি, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) প্রার্থী মিত্র সেন যাদব আর সমাজবাদী পার্টির (এসপি) অশোক সিং- যে কেউ জিততে পারেন।
গত লোকসভা নির্বাচনেও আসনটি বিজেপির ছিল। তাদের প্রার্থী বিনয় কাটিয়ার বিএসপি প্রার্থীর তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার কেন সমস্যা হলো? ফৈজাবাদের সাংবাদিকরা জানালেন, অযোধ্যার সাধুরা বিজেপির ভোট ব্যাংক। এবার তাদের বেশির ভাগই ভোট দেননি। সামান্য যারাও এলাকায় আছেন, ভোট দিচ্ছেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন এবার বিজেপি থেকে একেবারে আলাদা হতে চাইছে। কারণ এই সাধুদের কথা বলে ভিএইচপি সারা দেশ থেকে অনেক টাকা তুললেও তার কোনো অংশ রাম জন্মভূমি আন্দোলন পায়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ভালোই বেড়েছে।
উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদসহ ৩২টি লোকসভা আসনে গতকাল সোমবার তৃতীয় পর্বে ভোট হয়। রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্ণৌ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ফৈজাবাদে যেতে খুব সময় লাগেনি। ঝকঝকে প্রশস্ত মহাসড়ক গতকাল ভোটের কারণে একরকম সুনসান ছিল। নির্বাচনী এলাকাগুলোয় সাধারণ সব যানবাহন চলাচল ছিল বন্ধ। শুধু নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করেছে। বারবার পুলিশ চেকপোস্টে দিল্লি থেকে সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পাশ দেখাতে হলেও চালক মনোজ মাত্র ২ ঘণ্টাতেই লক্ষ্ণৌ থেকে একরকম উড়িয়ে নিয়ে এলেন অযোধ্যায়।
মন্দিরের শহর অযোধ্যা। ঘরে ঘরে মন্দির। দিল্লির বন্ধু সাংবাদিক শুভ্রাংশু রাম জন্মভূমি আন্দোলন আর বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ আন্দোলনের নেতাদের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন কাজে লাগতে পারে ভেবে। সেসব ফোন নম্বরই গতকাল সংবাদের প্রধান সহযোগী হয়ে গেল।
কিন্তু প্রথমেই বাবরি মসজিদ দেখা দরকার। চালক মনোজ মসজিদের কিছু জানেন না। স্মরণ করে তিনি বললেন, ‘ওহ্ রাম জন্মভূমি। চলুন।’ আলোচিত, খ্যাত- যাই বলা যাক, উপমহাদেশের সোয়া শ কোটিরও বেশি হিন্দু-মুসলমানের ‘মন্দির-মসজিদ’-এর কাছেই মনোজ গাড়ি নিয়ে গেল পুরনো ঢাকার মতো ‘চিপা অলি-গলি’ দিয়ে। সেখানে আধা সামরিক বাহিনীর এক সদস্যের কাছে জেনে ‘রাম জন্মভূমি’ দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম ধর্মপ্রাণ হিন্দু নারী-পুরুষদের সঙ্গে। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের একের পর এক তল্লাশি (গুনে দেখলাম চার বার) পেরিয়ে শেষে নোট বইটি পর্যন্ত জমা দিয়ে করিডরের মতো লোহার খাঁচার ভেতর দিয়ে অনেকটা হাঁটতে হলো। চারপাশে তাকিয়ে কোথাও মসজিদ বা মন্দির কিছু চোখে পড়ে না। তবে আশপাশে রামের সেবক হনুমানের দল ঘুরে ফিরে রাম ভক্তদের নিরীক্ষা করছে! এভাবে পথ চলতে চলতে তাঁবু খাটানো এক জায়গায় পৌঁছালাম। চারিদিকে শুধু মাটি খোঁড়াখুঁড়ির চিহ্ন।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এখানে মাটি খুঁড়ে বের করার চেষ্টা করেছে আসলে নিচে কী আছে- মসজিদ না মন্দির? তবে তারা শেষ পর্যন্ত কিছু পায়নি। সেই ’৮৬ সাল থেকে মসজিদ-মন্দির নিয়ে সাধুদের সঙ্গে বাবরি মসজিদ প্রথমে রক্ষা ও পরে পুনর্নির্মাণ নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা, আন্দোলন চলছে। এখনো এর ফয়সালা হয়নি।
তাঁবুর ভেতর দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছি দেখে এক পুলিশ কর্মী ডেকে বললেন, রাম জন্মভূমি ডানে দেখুন। ঢাকায় বসে হিন্দি টিভি চ্যানেলগুলো দেখতে দেখতে ভাঙা ভাঙা হিন্দি বলা ও বোঝার ক্ষমতা হয়েছে। ডানে ঘুরে দেখলাম দূরে খাঁচার বাইরে একটি ছোট্ট মন্দিরে রামের শুভ্র মূর্তি। সেবকের হাত থেকে ‘পানি’ আর প্রসাদও মিলল।
কিন্তু বাবরি মসজিদ কোথায়? সেটা তো দেখতে পেলাম না। সামনে আরেক নিরাপত্তা কর্মীকে জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘তাঁবুর ওপারে। দেখা যায় না।’ খাঁচার করিডরের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। তার ওপর চারপাশে শুধু পুলিশ আর আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যে গিজগিজ করছে। মসজিদ-মন্দিরকে কেন্দ্র করে চারিদিকে প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার জুড়ে এরকমই নিরাপত্তা বেষ্টনী।
১৯৯০ সালে রথযাত্রা করে বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানির নেতৃত্বে ভিএইচপির করসেবকরা বাবরি মসজিদে প্রথমবার ও পরে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর আবার হামলা চালালে ভারতের মতো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে লক্ষ্য ছিল সংখ্যালঘু মুসলমানরা, আর বাংলাদেশে হিন্দুরা। বড় অমানবিক সে সহিংসতা।
অনেক খুঁজে বাবরি মসজিদ রক্ষা মামলার বাদী ও মসজিদ পুনর্নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক হাশেম আনসারির দেখা মিলল। ৮৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বললেন, ৫৩০ বছর ধরে বাবরি মসজিদ আছে, থাকবে। সেখানে আমরা ’৯০ সালেও নামাজ পড়তাম। এখন আর পড়তে পারি না।
ধর্মকাটার পেছনে তার ছোট্ট ঘরে বসে যখন কথা বলছিলাম তখন এক ফরাসি সাংবাদিকও সেখানে ছিলেন। নির্বাচনের কথা জিজ্ঞেস করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এই বৃদ্ধ। জানালেন, সাড়ে ৪ হাজার মুসলমান আছে অযোধ্যায়, যার আড়াই হাজারই ভোটার। কিন্তু ভোটার তালিকায় তাদের অনেকের নাম নেই। এমনকি তার নামও নেই। তিনি ভোট দিতে পারেননি।
হাশেম আনসারি জানালেন, দোহারা কুয়া, মোটাউটি, বেগমপুরা, বক্সারিয়া, তোলা, কাটিয়া পাঞ্জিটোলারও অনেক মুসলমানের নাম ভোটার তালিকায় নেই। বিজেপি এ কাজ করেছে।
রামকোটা নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে কংগ্রেস কর্মী সুরপ্রকাশ মিশ্র জানালেন, বিজেপি ভোটে জিততে এখানে লিফলেট ছেড়ে বলেছে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি হচ্ছেন পণ্ডিত। তারা জাতপাতের বিষয় তুলে ভোট নিশ্চিত করতে চাইছে।
এখানে উপস্থিত অন্যরা যা বললেন, তার মর্মার্থ হলো : বিজেপি প্রার্থী ঠাকুর ও ব্রাহ্মণদের ভোট নিশ্চিত করতে এই লিফলেট ছেড়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি সহজে পার পেলেও এবার তা হচ্ছে না।
রাম মন্দির যে নির্বাচনী এলাকায়, সেই ফৈজাবাদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মি. বাজপেয়ি এক জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে আগামী পাঁচ বছরের অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করবেন। তার সেই নির্বাচনী অঙ্গীকার কি ভোটে সুবিধা দিচ্ছে না?
পুজারি রাম দাস বলছিলেন, বিজেপি রাজনীতির জন্য মসজিদ ভাঙে, মুসলমানদের ঘর জ্বালায়। সে রাজনীতির সঙ্গে তারা, সাধুরা নেই। এই রাজনীতির সঙ্গে নেই রঙ্গেশ আচারিয়াও। ২৭ বছর বয়সী এই যুবক জানালেন, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন উগ্র কর সেবকরা বাবরি মসজিদ ভাঙছিল, তিনিও তাদের সঙ্গে মিলে মসজিদে পাথর ছুড়েছিলেন। তার বয়স ছিল তখন মাত্র ১৬। ভিএইচপির প্রচারে উজ্জীবিত হয়ে কর সেবক হয়েছিলেন তিনি।
আজ ১১ বছর পর রঙ্গেশ ও তার বন্ধু ভেরু তিওয়ারি মিলে ‘অযোধ্যা কি আওয়াজ’ নামে সংগঠন গড়ে তুলেছেন। বেশ কজন সদস্যও হয়েছে সংগঠনটির। রাম নিয়ে রাজনীতির বিরুদ্ধে গত বছর অনশন করে তারা সাত দিন জেলও খেটেছেন। জেলেই এই সংগঠনের জন্ম। অযোধ্যায় মুসলমানদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাইছেন নতুন প্রত্যয়ে উদীপ্ত এই যুবকরা। এই তরুণ-যুবকরাই একদিন ভারতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নেবেন।
অযোধ্যা, উত্তর প্রদেশ
এপ্রিল ২৬, ২০০৪
[পাদটিকা : ভারতের রাজনীতি নিয়ে সিসিবি সদস্যদের আগ্রহে আমি মুগ্ধ। আর এ কারণেই ২০০৫ সালে “ঐতিহ্য” থেকে প্রকাশিত আমার একমাত্র বই “ভারতের ভোটের রাজনীতি” থেকে কিছু কিছু লেখা এখানে দিচ্ছি। ২০০৪ সালে প্রথম আলো থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন কাভার করতে গিয়ে যা লিখেছিলাম তা দিয়েই ১২৯ পৃষ্ঠার এই বইটি হয়েছিল। একটি বাড়তি তথ্য জানানোর লোভ সামলাতে পারছি না। ৪০ দিন ভারত ঘুরে আমি নির্বাচনে কংগ্রেস জোটের জয়ের সম্ভাবনার কথা লিখেছিলাম। আমার সে ধারণা সত্য হয়েছিল। পাঠকের আগ্রহের উপর পরের লেখাগুলোর ভবিষ্যত নির্ভর করবে!]
আইসক্রিম 😀
হ, ভীষণ গরম! আইসক্রিমই ভরসা রেজওয়ান। B-) B-) B-) (সম্পাদিত)
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
কবে আইতে পারি খালি একবার কন :grr:
যে কোনো দিন ফোন করে চলে এসো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
কোন ব্যাপার না। তাও :(( :(( :(( :((
সেকেন্ড
:(( :(( :((
রিজওয়ান তুমি রেজওয়ানের চেয়ে মাত্র ১১ মিনিট পিছিয়ে দ্বিতীয়!! 😉
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এই রেজওয়ান ভাই খালি সবার ভাত মারে......
পোষ্টটা দেখে ভাবলাম একটু ঘুরে এসে কমেন্ট দেই, ফার্ষ্ট হয়ে যাবো। কিসের কি......!!!
এসব ঠিক না কিন্তু......
নিস্ফল আস্ফালনের বেইল … সিসিবি’তে নাই :grr:
কঃরাঃ তাইফুর্ভাই 😛
অসাধারণ, এসব ত আর নেট ঘেঁটে জানতে পারব না। পরে আরও লেখা দেবেন প্লিজ।
হ্যা, রিজওয়ান আরো লেখা দেবো। অবশ্যই।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
পড়তে ভালো লাগছে।( দেশে থাকতে কেন বইটা দেখি নাই? আমি আবার ঐতিহ্যের বই বেশি বেশি কিনি।)
ধন্যবাদ মেলিতা। তখন তো ভাইয়াকে চিনতে না, তাই চোখে পড়েনি হয়তো। 😕 নাহ্ মজা করলাম।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
হযরত বাল মসজিদ নিয়েও হয়ত ঝামেলা আছে। সানা ভাই যদি একটু কষ্ট করে পরে কোন একটা পোস্টে এ নিয়ে লিখতেন।
ফখরুল : এই বিষয়টা নিয়ে আমার তেমন ধারণা নেই। আর কাশ্মীর যাওয়ার সুযোগও হয়নি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানা ভাই, এই জিনিসগুলো নিয়ে বিস্তারিত কোন ধারনাই ছিল না ।
আপনার লেখা পরে অনেক কিছু জানা গেল।
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে ?
রাজনীতি না করে, দেশটাকে গড়বে ।
:dreamy: পরবর্তী পর্ব কবে আসবে ?
সুনির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে যাওয়ার আগে এসব বিষয়ে আমারো খুব ভালো ধারণা ছিল না রেজওয়ান। সংবাদপত্র পড়ে সাধারণ ধারণাটুকু ছাড়া।
এই নির্বাচনটা কাভার করার সময় আমার মাথায় ছিল ভারতের বৈচিত্র্য সম্পর্কে যতোটা বেশি জানা যায় তার চেষ্টা করা। পাশাপাশি আমাদের সাংবাদিকতার মানটাকে উঁচু করা। একে আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, দেশে ফিরে এজন্য বেশ প্রশংসাও পেয়েছিলাম। সে জন্য পড়তে হয়েছ, ইতিহাস জানতে হয়েছে, অতীত নির্বাচনগুলোর ধারা জানতে হয়েছে, প্রচুর মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। বিষয়টা খুবই উপভোগ করেছিলাম। আর এক্ষেত্রে আমার কর্মস্থল, প্রথম আলোর সহায়তা ছিল দারুণ। অর্থ ব্যয়ে কোনো কার্পণ্য করেনি। প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করেছিলাম। আর দুয়েকদিন পরপর সম্পাদকের ফোন যে কি উদ্দীপনা দিয়েছে আমাকে।
একই বছর (২০০৪) আমেরিকান নির্বাচনও কাভার করেছিলাম। ওই নির্বাচনের জন্যও এক মাস ছিলাম আমেরিকায়। সেখানেও অফিস প্রচুর খরচ করেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোটে বুশ ব্যাটাই জিতেছিল!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
🙁 আমিও আমেরিকা যাপো 🙁 :((
অনেক অজানা কথা জানলাম সানাউল্লাহ ভাই। খুব ভাল লাগছে পড়ে।
বইটা দিবেন না বস ?? 🙁
সিরিজ পড়ে বইটা কালেকশান এর লোভ সাম্লাইতে পারতেছি না।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আপনার লেখাগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি লাবলু ভাই। বইটা হাতে পেলে আরও ভালো লাগত।
বড়ই অমানবিক- সংখ্যালঘু হওয়া বড়ই কষ্টকর এ ধরণের পরিবেশে।
আগেই পড়েছি। ব্যস্ততার কারণে কমেন্ট করা হয়নি।
উপমহাদেশের বিষয়াদিতে আমার আগ্রহ আছে। বই তো হাতে পাওয়া সম্ভব না এখন। সিরিজটা চলুক লাবলু ভাই।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
পড়ছি লাবলু ভাই, আগের পর্বে কমেন্ট করা হয়নি। এটায় জানিয়ে গেলাম। লেখা ছাড়তে থাকেন...
বাবরী মসজিদ নিয়ে গত পর্বে জানতে চেয়েছিলাম ,এই পর্বেই সেটা পেয়ে যাওয়ায় কতটা যে ভাল লাগছে ! ভারতের তরুণ সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী অবশ্যই প্রশংসনীয় ।ভাইয়া ভারতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অবস্হান কেমন ?
আপনার লেখায় পজেটিভ জেনারেশনের ছবি দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে বাংলা পেপারে দেখলাম ঢাকায় হিন্দু-মুসলিম মিলে এক্টা মন্দির রক্ষায় করলো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
সানা ভাই,
আপনার লেখার একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম- শেষটা আপনি এক ধরণের আশাবাদ দিয়ে করেন। আমার খুবই ভালো লাগে এই আপ্রোচটা। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সানা ভাই, অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ছি...পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সি সি বি তে আপনার লিখা পরতে পরতে ব্লগে রেগুলার হয়ে গেলাম। আরো ভালো থুক্কু...এই রকম ভালো লিখা পাবো আশা করি।স্রিতির ঝাপি দিয়া শুরু করছি।থাকবো ইনশাআল্লাহ। 🙂