রোদেলা দুপুরে
মনের ভিতরে
বৃষ্টিতে শ্রাবণ
বিষণ্ণতায় অবগাহন…।
তুমি আর আমি
অন্ধকার কামী
নিস্তব্দতার মাঝে
হারাবো এই সাঁঝে…।
না-পাঠানো চিঠি
‘আয়!’-
বলে ডাক দিতেই
হায়
পিলপিল করে
উঠে আসে তারা,
আসকারা
পেয়ে
টেবিল
বেয়ে
নেমে
অক্ষরের
সে বেহায়া
মিছিল
আশ্লেষে
ছড়িয়েছে
গোটা পাড়া
সবখানে
হাসাহাসির সে কি
ধুম লেগে গেছে
তুমিই বোঝনি এসব
অপ্রতিভ ইশারা
হে বীর, তোমায় সালাম
সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।
বিস্তারিত»ওরা এগারো জন: কারা এরা?
সারা রাত কেটে গেল গোছগাছ করতে। পিঠটা ব্যাথা করছিল। না পেরে ভোরের দিকে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুম গ্রাস করে নিল। বাসা থেকে বেরুতে কিছুটা দেরিই হয়ে গেল। ছুটতে ছুটতে বিমানবন্দরে পৌঁছুলাম। সম্ভবত দলের মধ্যে আমিই সবার শেষে!
কিন্তু না। আরো বিষ্ময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন পেরিয়ে দলের অন্যদের সঙ্গে মিশতেই ফিসফিসানি শুনতে পেলাম।
বিস্তারিত»বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট
ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।
বিস্তারিত»“প্রভু, তুমি ওদের ক্ষমা করে দিও”!
পচন ধরে মাথা থেকেই। আমাদেরও পচন ধরেছে একেবার শীর্ষ থেকে।সমাজপতি অধিপতি যাদের কে বলে আর কি!
তারাও প্রায় পুরো মাথাই খুইতে বসেছে।আমেরিকা-কানাডা-ওস্ট্রেলিয়ায় মাথা বন্ধক রেখে, ধড় ফেলে রখেছে এদেশে। একমাত্র কাজ, যতটুকু হাতিয়ে নেয়া যায়।
আঁখেরের শান্তিতো ওই দেশেই, এখানে একটু কষ্ট করে রাস্তাঘাট গরম করা,কালো-ধলা বিড়াল খুঁজে বেড়ানো, বিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকার মূলধনে একশ কোটি টাকার ব্যবসা ফাঁদা, ব্যাংক ম্যানেজার কে ম্যনেজ করে ভোল্ট হাতিয়ে নেয়া,
বিস্তারিত»প্রলাপ-৮
১।
এ পোড়া দেশেও হায়
বৃষ্টি নামে
চশমায়
তেরচা হয়ে….
মাঠ নয়,
শপিং মলের ধু ধু পার্কিঙে
রোরুদ্যমান দুচোখ
বেদিশা থমকে যায়
চরাচরে শুধু
করুণ গাভীর মতো ভিজে চলে
সারসার গাড়ির কাঁচ
২।
আকাশের মতো
এই জানলা জুড়ে
বৃষ্টির পরোয়ানা নিয়ে
দৈত্যের মতন মেঘ এসে
দাঁড়ালে কোনদিন,
আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?
যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।
বিস্তারিত»ওরা এগারো জন
এগার জনের দলে আগে থেকে চিনতাম একমাত্র মিনহাজকে। ফৌজদারহাটে আমাদের জুনিয়র। ঢাকায় আমেরিকান সেন্টার এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলে আমাদের কয়েক দফা ওরিয়েন্টেশন হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক। টিকেট চলে এসেছে। কোন হোটেলে আমরা থাকবো তার ওয়েবসাইটও মেইল খুলে দেখে নিয়েছি। সুইমিংপুল আছে, আছে জিমনেশিয়াম, রুমে ইন্টারনেট। বিশাল হোটেল, তার চেয়েও বিশাল এলাকা জুড়ে। দেখতেও চমৎকার। নানা ধরণের জরিপ সফলভাবেই পূরণ করেছি। ভিসার আবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে সময়মতো।
বিস্তারিত»“মাঙ্কিজ, ওইদাউট টেইল”!!!
৩০শে মে, ১৯৮১ সাল।
স্টুডেন্টস্ হোস্টেল।পিটার হিলি ওয়েগ ১৩। প্যাডারবর্ণ উনিভার্সিটাট।শনিবারের আলসে সকাল। সবাই ঘুমে বিভোর। আমার রুমের দেয়ালে কানের কাছে ধুম ধুম শব্দ পেতেই পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করি।এই এক মহা জ্বালাতন। পাশের রুমে ইরানী একটা মেয়ে থাকে।রুশি! কিছু লাগলে কলিং বেল না দিয়ে,
বিস্তারিত»সেই দেশ আর এই দেশ!
অনেক পুরানো দিনের একটা ফাইল খুজে পেয়ে নিজে নিজে বহু ক্ষন হাসলাম। পিয়নটা এর মাঝে দুইবার উকি দিয়ে দেখে গেছে। নিশ্চয়ই ভাবছে,স্যার কি পাগল হয়ে গেল?
আমাদের সাইকোলজি হেড অব দা ডিপার্টমেন্ট এমন একা একা রুমে ছাদের দিকে মুখ করে হাসতেন। একদিন ওর এসিসট্যান্ট কে কথাটা বলেই ফেলি সাহস করে, সে হেঁসে আমাকে আরো মজার উত্তর দেন। তাকে নাকি আত্মভোলা এই মানুষটি প্রায়ই প্রশ্ন করেনঃ আচ্ছা তুমি কি জান,
বিস্তারিত»“মা”
দিনটা ছিল শুক্রবার ।
সারা দিন টানা ক্লাশ ছিল। দুপুরে খাবার ও সময় মিলেনি। পেটে ইঁদুরের দৌড়োনি।হোস্টেলে এসে ভাত রেধে খাবো ভেবেই ভাল লাগছে।পিটার হিলি ওয়েগ-১৩, স্টুডেন্টস হোস্টেল, ১০০৮ নম্বর রুম। ‘এক’ নিচের তলা নির্দেশক।ইন্টারনেশনাল উইং। পার্টিকোতে থরে থরে সাজানো লেটার বক্স থেকে নিজের টাতে হাত দিয়ে একটা কার্ড পেলাম। একটা ‘প্যেকেট’ ডেলিভারি নোটিস।বাংলাদেশ থেকে এসছে। বিকাল পাঁচটার মধ্যে ‘ হোপ্ট পোস্ট আম্ট ‘
বিস্তারিত»বিকেলে-৩
আকাশে তার পড়ে যাবার ভয় –
প্রকাশ্যে একথা মানবে
এমন বেকুব কিছুতে সে নয়
বৃত্তের ভেতরে
বাইরে
বাইরের, ভেতরের
সমূহ বৃত্তে
হাঁপিয়ে ওঠা সে
বৃত্তবন্দী কাক
অগত্যা
আকাশে
চড়ে দেখে,
রয়েছে
আকাশেরো
বৃত্তাকারে
নাচবার
দু্র্বিপাক?
___________________________________________________________
রুম্মানের এই ছবিটি নিয়ে কিছু বলা সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার।
শুভ জন্মদিন ***০৩-০৯***
দেখতে দেখতে গেলো ৯ টি বছর । ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ । এখনো মনে আছে আমার গাইড ইফতেখার ভাই আমাকে নিয়ে কতো ব্যস্ত আমাকে কলেজের নিয়ম কানুন শিখাতে । নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় হল । কখনো ভাবিনি এই বন্ধুগুলো হবে জীবনের সবচেয়ে নিকট বন্ধু । শুধু একটাই আফসোস যে আমার কলেজের জিসান বেঁচে নেই । গত বছরের এই দিনেও সে বেঁচে ছিল ।
বিস্তারিত»হোয়ের হেভ অল দা ফ্লাওয়ারস্ গন ?
মেয়েটির নাম ধরা যাক লিজা। আমার দেখা রমণীদের মধ্যে একজন অনন্য অসাধারন ব্যত্তিত্ব।বয়স ত্রিশের কোঠায়, ছিপছিপে একহারা গঠন।জিন্স- টি শার্টে আরো অল্প বয়সি মনে হয়। জন্ম, বেড়ে উঠা দুটোই প্রাশ্চাত্যে হলেও বাঙালি বাবা মার কল্যানে পুরোপুরি বাঙালি। আমাকে ওর বাবার দিকের একমাত্র জীবিত আত্মীয়, -কাজিন হিসাবে ওর সমাজে, সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে গর্ব বোধ করে।
এই পরিচয় দানের পেছনের ইতিহাসটা বেশ মজার।
বিস্তারিত»