বৃষ্টি-৮

কংকাবতী তোমার ফোনে আজ
অবিরল বৃষ্টির শব্দ লেগে ছিলো

এক ফালি বিদ্যুত!
ক্বড় ক্বড় করে
ভেঙে গেলো আকাশ –
তারপর কলকল
বিষ্টির পাল এসে
আমাদের কথোপকথনে
উঁকি দিয়ে গেলে
এলোমেলো কথার সুযোগে
লাল-সবুজ ট্রাফিক বাতি
নেমে গেছে টলমল পায়,
যেদিকে দুচোখ যায়
এঁকেবেঁকে চলেছে
শহর দাপাবে বলে

অনিয়মের
হুড়োহুড়ি লেগে গিয়ে
সোনা-রূপোর কাঠি
জায়গাবদল ভুলে গেলে
কি ক্ষতি
তোমার শিয়রে
না হয় আজ
বর্ষা বয়ে আনা
এই ফোন জেগে থাক!

বিস্তারিত»

যন্ত্রণা

তোমার ভালবাসা পাবার জন্য বার বার হয়েছি সম্পাদিত
তাও তুমি বুঝো নি
সঞ্চিত ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছি না পাবার যন্ত্রণায়
তাও তুমি বুঝো নি
রোদ্দুর হয়েও মেঘের কুয়াশায় বার বার সিক্ত হয়েছি
তাও তুমি বুঝো নি
বহুকাল ইটের চাপায় থেকে সবুজ থেকে হলুদ হয়েছি
তাও তুমি বুঝো নি …।।

এই ভাবে আর কতকাল তুমি না বুঝে থাকবে
আমি যে বাষ্প হয়ে বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছি তোমার অপেক্ষায় থেকে ।।

বিস্তারিত»

সে কি আসে, সে কি আসে!


আলোকচিত্র: সে কি আসে, সে কি আসে?, কাজী সাদিক(৮৪-৯০)

এমনি কত সোনাঝরা বিকেল এসে মিশে গেছে – নদীময় বয়ে গেছে আমাদের জীবনের চোরাস্রোত।হঠাৎ চুমুর বেগুনী উদ্ভাসে দুলে উঠেছে জারুল ফুল, সঘন উত্তাপে আ হা আমাদের জোড়া ঘড়ি থেমে যাবার ষড় করে কতবার পরাস্ত হয়েছে।অভিমানের কোন ধার ধারেনি কোন নদী, চোখ থেকে অশ্রুর শেষ ফোঁটাটুকুও লুটে নিয়ে গেলে হু হু করে উঠেছে খটখটে শুকনো হৃদয়।তুমি চলে গেছো রিকশায় ভর করে,

বিস্তারিত»

প্রলাপ-১০

আস্ত বনাঞ্চলটাই হাঁটিহাঁটি পায়ে
ইটভাটার পেটে ঢুকে গিয়ে
কবে হয়ে গেছে অংগার
শ্বেতবর্ণ দলা দলা মেঘ,
রঙমহলের ঠুমরি শুনবে বলে
শুয়ে আছে
সারসার অভিজাত ইট
পথের দুধার থেকে
হ্যাঁচকাটানে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো
কেউ উপড়ে নিয়ে
তারগুলোকে
সেতারের মতো টানটান ধরে
মেঘের আড়ালে
আড়াআড়ি চলে গেছে।
আমি
মাঠে শুয়ে থেকে
ভাটার লকলকে আগুনে
চোখ রেখে
নিখিল ব্যানার্জিকে
আকাশে শুধাই
রাগ হেমন্তের আলাপটা
আরেকবার বাজাবেন প্লিজ?

বিস্তারিত»

বিবর্ণ স্বপ্নগুলো

স্বপ্নগুলোকে রঙ্গিন করতে গিয়ে দেখলাম স্বপ্নগুলো সাদাকালো হয়ে গেছে।
শহরের নিয়ন আলো ছেড়ে প্রকৃতির কাছে গিয়ে দেখলাম
সেখানেও স্বপ্নগুলো অদ্ভুত আচরণ করছে,
কেমন যেন বাঘের ভয়ে আফ্রিকার বুনো মহিষের মতো ।

স্বপ্নের সাথে সারারাত সহবাস করলাম
অতঃপর সাহস নিয়ে সুউচ্চ পর্বত চুড়ায় গিয়ে দেখলাম
সেখানেও স্বপ্নগুলো ভয়ে কুঁকড়ে আছে
কেমন যেন শিকারির ভয়ে ভীত খরগোশের মতো,
পিট পিট চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

বিস্তারিত»

চাটগাঁয়

‘লন, টান দ্যান একখান’
বলে হুস করে
একপাল ধোঁয়া আকাশপানে
উড্ডীন হলে
চাঁদের আলোয়
শহরের গা
বলাকা ব্লেডের মতো
চকচক করে

মগজের গলি ঘুপচি থেকে
গানের কণাগুলো
গলায় এসে গুনগুন করে উঠতে’
রিকশাঅলার কণ্ঠেও
লালন ফকির নেমে আসে,
পেশল মুঠোয় বেলের বদলে একতারা
রিকশার হুড নৌকার ছই –
গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে

সাঁইসাঁই পাল তুলে
অতঃপর
মেহেদীবাগ,

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৪

সরক্‌তি যায়ে হ্যায় রুখ্‌ সে নকাব
আহিস্তা আহিস্তা
নিকাল্‌তা আ রাহা হ্যায় আফতাব
আহিস্তা আহিস্তা।।

দরোজার ওপারেই
নগরীর ঘরে ফেরা
ত্রিতালের মতো —
সংক্রামক, রঙিন!
অদেখায় এপারে
বেড়ে চলে দিন
বুকে হেঁটে
বিষাদ আসে
বারান্দায়
সরোদে বাজায়
উতল ঝালা..

এমন সময় —
সভয়ে
ধীরপায় এসো কালা
ভুলেও বোলোনা
গোলাপ কিংবা
অন্য তুলনা

বরং আনত হও
পিঠ ছুঁয়ে
অনুনয়
কেবল অনুনয়ে
করো জয়
রাধার এটুকু
প্রণয়

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৩

তোয়ালে নিয়ে বসে আছি
সর্বনাশের আশায়

গ্রিলের কোণে কোণে
গর্ভিণী মেঘ জমে আছে কিছু।
হাওয়ায় চুল মেলে
দুলে দুলে
ওঠে নারকেল গাছ
বর্ষার আসন্নতায়
কেঁপে যায়
শার্সি,জানলার নরোম কাঁচ

‘মিঁয়া কি মল্লার’ ধরেছেন
রশিদ খাঁ
বিদ্যুতের ঘায়
প্রতীক্ষার সুতো
ছিঁড়ে যায়…
এমন ঘোর রাত্রিতে হায়
হেঁটেই আসছো সখা!

বিস্তারিত»

রাধাকথন-২

জুলাইয়ের এই শেষ দুপুরে
হাতে হাত ছোঁয়াবার
তুচ্ছতম দ্বিধাটুকু
পুড়ে পুড়ে
ঝরে যায়
সিগারেটের মতো,
শপাং চাবুকের চেয়েও
নির্দয় লাগে
তোর ফেস,বুক আইফোনে
অগণণ গোপিনীর ছাপ..

আমাদের কোন কদমতলা নেই আর
যমুনা কবে মজে হেজে গেছে!
গাড়িতেই চল কানাই
বারী সিদ্দিকির বাঁশিতে
ভেসে যাই
ক্রন্দসী যমুনার এপার ওপার

বিস্তারিত»

রাধাকথন-১

হৃষ্টপুষ্ট দিনের কংকাল পড়ে পাশে,
মেঘেরা মেতে
আদল ভাঙার স্বেচ্ছাচারিতায় –
বেলা যায়
উনুনে ফূঁ-দেয়া লাল চোখে,
বাঁশির আশে
প্রাণ সঁপে দিয়ে
পোড়াভাতের ফেনও কেমন
যমুনাপানে ঝোঁকে,
কানু রে
কান্দন চেপে আছি
সেই কবে থেকে
এবারে আমার দিনরাতের
গতর ফিরায়ে দে!

বিস্তারিত»

মা

অদ্ভুত সুন্দর এক গোধুলীর রং-এ মাখা পড়ন্ত বিকেল। পার্কের রাস্তায় একাকী হাঁটছি। দূরের মানজানো পাহাড়ের উপর পড়ন্ত বিকেলের শেষ রোদ্দুরের আলো এসে পড়েছে। আকাশে একই সাথে সাদা, কালো এবং কমলা মেঘের আনাগোনা। বিস্তীর্ন দিগন্ত একই সাথে দেখতে পাচ্ছি। পশ্চিমের দিগন্তে যেখানে সূর্য অস্ত যাবে সেদিকেই আমার ফেলে আসা প্রিয় জন্মভূমি। হাতের ঘড়িতে দেখলাম বুধবার, ১ আগষ্ট। তার মানে বাংলাদেশে এখন ২ আগষ্ট। বিশ বছর আগের ঠিক এই দিনে মন ছুটে গেল।

বিস্তারিত»

হুমায়ূন আহমেদ

আমার এখন হিংসাই হচ্ছে। একটা মানুষ এত মানুষের ভালবাসা পায় কি ভাবে। মাত্র ঘন্টা খানেক পার হয়েছে তার মৃত্যু সংবাদের অথচ দেশ-বিদেশ জুড়ে সবাই শোক-বার্তা পাঠাচ্ছে। বন্ধুর ফোন পাচ্ছি – “শুনেছিস ?”

হুমায়ূনের লেখার ভাষা সহজ সরল – কোন অতিরিক্ত বাহুল্য নেই সেখানে। অথচ এই সহজ ভাষার লেখা দিয়েই সবার মন জয় করেছেন তিনি। এখানে অবশ্য তার লেখা সম্পর্কে কিছু লিখতে বসিনি। ইতিমধ্যে অনেক লেখা বের হবে হুমায়ূনের জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে।

বিস্তারিত»

তিন দশক পর সফল হলেন জিয়াউর রহমান

গত শতকের আশির দশকে নেওয়া জিয়াউর রহমানের ‘কর্মসূচি’র সাফল্য দাবি করতে পারি এখন আমরা! পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী : বাঙালি অনুপাত এখন প্রায় ৫০ : ৫০! তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে দুটিতে এখন আমরা বাঙালিরা সংখ্যায় পাহাড়িদের চাইতে বেশি! আমরা বাঙালি শাসকগোষ্ঠি এখন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি’ এই ভেবে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর স্বাধীন হতে পারবে না! পাহাড়িরা বড়জোর আগামী দশকে প্রকৃতভাবেই নিজভূমে পরবাসী হবে!

যারা জানেন অথবা জানেন না তাদের সবার জন্যই বলি,

বিস্তারিত»

আবারো এক পশলা বৃষ্টি

গতকাল রাতে আবারো এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিলো আমার উঠোনে
কেটেছে নির্ঘুম রাত,  ছিলে না তুমি শয়নে স্বপনে ।
বুঝি না ,  আর কতবার ভিজবো এই জীবনে
তবে বুঝি , ভালবাসা অর্থহীন যদি বার বার বৃষ্টি নামাও বিনাকারনে ।

সেদিন পূবের বাতাস যখন এসেছিল আমার জানালায়
সেদিন উম্মত্ত সুখের ভেলায় যখন ভেসেছিলাম তোমার করতোয়ায়,
সেদিন মধ্যরাতে অগাধ নীলিমায় যখন মাথা রেখেছিলাম তোমার কোলে
সেদিন কেন  বলনি আমায় বার বার ভিজাবে তুমি বৃষ্টির নোনাজলে ।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৮

প্রায় সিগারেটের সমান হয়ে এসে ছাইয়ের লম্বাটে কায়াটা আর পারলোনা, টুপ করে খসে পড়লো মেঝেয়।আরেকটা ধরাবো কি ধরাবোনা ভাবতে ভাবতে মার্লবোরোর প্যাকেটটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকি, অস্থিরতাটুকু আড়াল করবো বলে।
জানলা দিয়ে বারোতলা থেকে আকাশ দেখছে পৃ, দেখেই চলেছে।অনেকক্ষণ কোন শব্দবিনিময় নেই, কেবল মনে মনে নিরুচ্চারে পরষ্পর কথা কয়ে চলেছি দুজনে।ও জানলায়, আমি এইখানে ছাইদানের পাশে উবু হয়ে।
সিগারেটের একচোখা আগুনটাকে পিষে ফেলতে ফেলতে আমি ওকে জিজ্ঞেস করি,

বিস্তারিত»