ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

যুদ্ধের প্রয়োজনে ধর্ম কিংবা ধর্মের প্রয়োজনে যুদ্ধ

সকালে ঘুম ভাঙল ৫ মিনিটের মধ্যে পরপর দুটো টেক্সট মেসেজ এর শব্দে।একটি মেসেজ এসেছে আরাকান(রোহিঙ্গা) মুসলমানদের সাহায্যের জন্য আরেকটি
মেসেজ এসেছে ফিলিস্তিনের মুসলমান ভাইদের সাহায্যের আবেদন নিয়ে। মেসেজগুলোতে বলা হয়েছে কত সহজে আমি মায়ানমার ও ফিলিস্তিনের মুসলমান
ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। মোবাইলের মেসেজ অপশন এ গিয়ে ARAKAN অথবা FİLİSTİN টাইপ করে নির্দিষ্ট একটা নাম্বারে পাঠালেই আমার
মোবাইল থেকে ৩ ডলারের মতো কেটে নেয়া হবে এবং তা ARAKAN অথবা FİLİSTİN এর মুসলমান ভাইদের জন্য ব্যবহার করা হবে।

বিস্তারিত»

মাইলসের সাথে এক সন্ধ্যা

গত সন্ধ্যায় মাইলসের কনসার্টে গেছিলাম, আমাদের বাসার কাছেই :awesome: । রাত ৯টায় শুরু হয়ে বারোটা পর্যন্ত চলল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মাইলসের যত বিখ্যাত গান আছে, সব হলো :goragori: ।

দূর্দান্ত!

পুণশ্চঃ আমাদের সাকেব (মকক) বাংলা সিনেমার এককালের নায়িকা ‘নীপা মোনালিসা’র সাথে ছবি তুলেছে 😉

বিস্তারিত»

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

বেশ কয়েক বছর আগে একজন সাহিত্যের শিক্ষক আমাদের ক্লাশে বলেছিলেন, একজন কবির কাছে কবিতা জন্ম দেয়া নাকি অনেকটা সন্তান প্রসবের মতই একটা ব্যাপার। যতক্ষন কবিতাটা বের না হয়, একটা যন্ত্রনা হতেই থাকে। আর বের হবার সাথে সাথেই এক অনাবিল প্রশান্তি। এ বিষয়ে আমার উপলব্ধি হল, মনের কথা বলে ফেলার মধ্যেই একটা বিরাট রিলিফ কাজ করে। তা সে সুখের হোক,

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ২২তম পর্ব

এই পর্বটা আমাদের ইসলাম(১৯৯৬-১০০২) ভাইয়ের একটি পোষ্ট (ঘুম) http://www.cadetcollegeblog.com/islam1060/15846থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয়েছে। ক্যাডেটদের সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঘুম। তারা একটু সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিতে পারে। সাধারণ ঘুমের স্থান ছাড়া ক্যাডেটদের প্রিয় ঘুমের জায়গা হচ্ছে ক্লাসরুম। আমার একটা খসড়া হিসাবে একজন মোটামুটি ঘুমপ্রিয় ক্যাডেট তার ছয় বছরের ক্যাডেট জীবনের প্রায় ৬ মাস ঘুমিয়ে কাটায় শুধু মাত্র একাডেমিক ব্লকে ক্লাস ও প্রেপটাইমে ঘুমিয়ে।

হিসাবঃ
ক্লাসের ৭ পিরিয়ডের কমপক্ষে ৩ পিরিয়ড × ৪০ মিনিট = ১২০ মিনিট
প্রেপটাইমের কমপক্ষে ১ ঘন্টা = ৬০ মিনিট
দৈনিক সর্বমোট = ১৮০ মিনিট

এই হিসাবে ১ বছরে ২০০ দিন ক্লাসে ঘুমালে মোট হবে = ৩৬০০০ মিনিট বা
= ৬০০ ঘন্টা বা
= ২৫ দিন বা ১ মাস*
তাহলে ৬ বছরে ক্লাসে মোট ঘুমানোর পরিমান হবে = ১মাস × ৬
= ৬ মাস
*(২৫ দিনে একমাস হিসাবে কারণ শুক্রবারগুলো বাদ দিয়ে)

বিঃ দ্রঃ এই হিসাবে কারও চোখে কোন ত্রুটি পড়লে লেখককে কোনভাবে দায়ী করা যাবে না।

বিস্তারিত»

উপলব্ধিঃ মায়ের ভালবাসা

সবাই বলে সময়ের সাথে সাথে মানুষের ব্যস্ততা বাড়ে কিন্তু আমার কাছে কেন যেন মনে হয় ব্যস্ততা না দায়িত্ত বাড়ে।

বাবা-মা সবসময়ই তার সন্তানদের জন্য চিন্তা করেন, সে বড় হোক আর ছোট। যখন থেকে নিজেকে বড় মনে হয়েছে তখন থেকেই আমি সবসময় এই জিনিস গুলো নিয়ে খুব বিরক্ত হতাম। রাতে বাসায় আসতে দেরি হলে আম্মু বার বার ফোন দিত। কখন আসবি, আর কতদুর,

বিস্তারিত»

নেহায়েত ভন্ডামি

শখ করে সিগারেটও খাইনি কখনো
উৎসবে।
মদ!
তওবা তওবা- ছুঁয়েও দেখিনা।
মেয়ে বন্ধু কখনোই ছিল না আমার।
রাতের আড্ডায় কেউ দ্যাখেনি আমাকে।
তাই বলে-
পুরোদস্তুর হাজী সাহেব বলেও নিজেকে দাবি করি না !

জুয়ার টেবিলেও বসিনি কখনো।
বাঈজী নাচতো রীতিমতো অবিশ্বাস্য!

সকালে ক্লাসে যাই,
তারপর খাতা নিয়ে সেমিনার-
নোটপাতি খুঁজে নিয়ে বিকেলে পাঠাগার।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ২১তম পর্ব

এক.

“পেয়ারা! ঝাল-মশলা দিয়ে পেয়ারা!” আজ সকালে অফিসে যাবার সময় রাস্তায় ফেরিওয়ালা এভাবেই ডাকছিল। পেয়ারা আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত ফল। এই ফল নিয়ে অনেক সুখস্মৃতি আমার মনে এখনও গেথে আছে। তখন আমি এক ঝটকায় ১০ বছর পেছনে চলে গেলাম।

আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলোর বিশাল আয়তনের কারণে প্রায় সবগুলো কলেজেই প্রচুর ফল গাছ বিদ্যমান। উদাহরণঃ আম, কাঠাল, জামরুল,পেয়ারা, আমলকী, জাম, ডাব, গাব ইত্যাদি।

বিস্তারিত»

একটু কঠিন ধর্ম বটে

পেয়ে হারানোর বেদনা কি একটু বেশী !
না পাওয়ার চাইতে !
হয়তোবা।
আবার নাও হতে পারে!
মনে মনে চেয়েছ অনেক
কিন্তু
পাওয়ার কোন চেষ্টাই করোনি হয়তো
তাই
হারানোর পর আজ এমন মনে হচ্ছে !
অথবা
এমনোতো হতে পারে
পাওয়ার পরে পায়ে ঠেলে ফেলে দিলে !
দূরে ঠেলে দিয়ে তুমি পালিয়ে বাঁচলে !
আজ-
চলে গিয়ে সে তোমাকে পীড়া দিচ্ছে!

বিস্তারিত»

প্রচলিত লোকাচার

আমি নষ্ট
তুমি নষ্ট
সে নষ্ট
তারা নষ্ট
এরা নষ্ট
ওরা নষ্ট
দেবী নষ্ট
কবি নষ্ট

দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট

অনষ্ট,
তাও নষ্ট
যে পষ্ট
সেও নষ্ট

দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট

নষ্টে অর্থ
নষ্টে সামন্ত
নষ্টে রতি
নষ্টে আনন্দ
নষ্টে ভক্তি
নষ্টে পূণ্য
নষ্টে পূজা
নষ্টে স্বর্গ

নষ্ট জগত
জগত নষ্ট

আমরা নষ্ট
তোমরা নষ্ট
সবাই নষ্ট
সব নষ্ট

হা
হা
হা
হা

নষ্টের দুনিয়া
দুনিয়ার নষ্টামি

নষ্ট বিধাতারা
করেছে নষ্ট নিয়ম !

বিস্তারিত»

পলাশবাড়ী কলেজ কেজি

ছোট বেলায় কলেজ কেজির মাঠে একবার কিসের যেন মেলা হল,
মনে নাই।
বিক্যাল বেলা সেই মেলায় গেছি।
হাটতে হাটতে পুরো মেলা ঘুরতেই পায়ে ব্যথা উঠে গেছে।
কানমুচরি-বাতাসা খাইছি,
তবে চিনির ছাঁচের হাতী-ঘোড়াগুলার জন্যই মনটা টানতেছিল বেশী।
তেল দিয়া পিঠা ভাজা দেখছি,
জিল্যাপি ভাজা!
আহা!
হাওয়াই মিটাই! বড় বড় বেলুন, মিনি এয়ারগান,
দশ টাকা দামের স্টিল কালার পিস্তল,

বিস্তারিত»

ভাদর জোছনা

এমন কোমল রাতে-
কবিরাও ভয় পেয়ে ভুলে যায় কবিতা লিখতে
চিত্রকর ছবি আঁকে না।
গায়কের গলা খুলে যায় মাঝে মাঝে
কখনো কখনো থেমে যায় থমকে…
এমন রাতে-
শুধু চোখ কথা কয়
মন কথা কয়
ইচ্ছা করলেই শোনা যায় না !

এমন রাত-
চাঁদের রাত-
আলো-ছায়ার মায়াবী খেলা
অনেকে হয়তো চোখেও দেখেনা !

বিস্তারিত»

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম প্রসঙ্গে আমার ভাবনা

সম্প্রতি সিসিবিতে বেশ কিছু ব্লগ এসেছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিষয়ক, অন্যান্য কিছু ব্লগে আলোচনার প্রাসঙ্গিকতায় মন্তব্যেও এসেছে এ’ বিষয়টি। ক্যাডেটরা এতে ক্রমশঃ আগ্রহী হয়ে উঠছে, এটা আমার কাছে খুব উৎসাহ-জাগানীয়া। কারণ, দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানের সেরা ছাত্রছাত্রীদের একটা দল আমাদের চারপাশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় উদাসীন থাকবে- এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আফটারঅল, আমাদের সকলের প্রতি বাংলাদেশ নামের দেশটি অনেক অর্থ, সম্পদ, লোকবল, ইত্যাদি ব্যয় করেছে ক্যাডেট কলেজে পড়াতে গিয়ে।

বিস্তারিত»

‘নাম নেই’ এমন একটা ব্লগ

বুঝতে পারছি না কি শিরোনাম দিয়ে লিখবো, কি লিখবো সেটাও। কিন্তু খুব ইচ্ছে করছে অনুভূতিগুলা সিসিবিতে শেয়ার করতে। আবার গুছিয়ে লেখার মতো সময় এবং শক্তি কোনটাই নেই। ভ্রমন শেষে হয়তো অনেক কথাই ভুলেও যাবো। এর কারণ হলো- পথে এতো এতো নতুন কিছু দেখছি যে, আগেরটার থেকে পরেরটাকে আরও বেশি আকর্ষণীয়, সুন্দর, নয়নাভিরাম মনে হচ্ছে। শুধু সুন্দর না, বলা উচিত ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’-

গতকাল লস এঞ্জেলস থেকে একটা সাড়ে চার ঘণ্টা ড্রাইভ করে (ঘন্টায় মোটামুটি ৮০ মাইল বেগে) লাস ভেগাস পৌঁছলাম।

বিস্তারিত»

আমেরিকার বুনো পশ্চিমে সপ্তাহব্যাপী মোটরযাত্রা

আর ত্রিশ ঘন্টা পর শুরু করবো প্রায় ২৪০০ মাইলের মোটরযাত্রা। লস এঞ্জেলস থেকে বের হয়ে I-15 এবং I-70 ধরে নেভাদা ও ইউতাহ হয়ে ডেনভার (কলোরাডো)। আমেরিকান সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে পেপার প্রেজেন্ট করার (রথ দেখা) উছিলায় একটু ঘোরাঘুরি (কলা বেচা) আর কি…। ডেনভারে দুইদিন অবস্থান করে I-25 এবং I-40 ধরে সান্তা ফে এবং আলবুকুয়ের্ক (নিউ মেক্সিকো) ও গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (এরিজোনা) হয়ে আবার লস এঞ্জেলস। মোট সাত দিনের ভ্রমন।

বিস্তারিত»