“সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ধূমপান সাস্থ্যের ক্ষতিকর।“ এই পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে ধূমপায়ীগণকে উৎসর্গ করা হল।
ক্যাডেট কলেজে সবাই আমরা কম-বেশি স্মোক করতাম(কতিপয় মুসল্লি ও ভাল ক্যাডেট ব্যতিত)। কিন্তু এই সিগারেটের সাপ্লাই ছিল অতি সীমিত। এই পোস্টে আমাদের আমলে কিভাবে আমরা সিগারেটের সাপ্লাই নিশ্চিত করতাম তার স্মৃতিচারণ করতে চাই।
পদ্ধতি একঃ আমরা ছুটি শেষে কলেজে ফিরতাম খাকী পোষাকে। মোবাইল প্যান্টে যেমন হাটু বরাবর পকেট থাকে, খাকী প্যান্টেও আমরা পকেট বানাতাম। মোবাইল প্যান্টের সাথে তফাত থাকত শুধু, মোবাইল প্যান্টে পকেট থাকে বাইরে আর খাকী প্যান্টের থাকত ভেতরে। আর তাতে অনায়াসে এক এক দু’প্যাকেট এটে যেত।
পদ্ধতি দুইঃ ছুটি শেষে কলেজে ফিরলে কেউ ব্যাগ অথবা কেউ ট্রলি ভর্তি জিনিস নিয়ে ফিরতাম। ব্যাগের গোপন পকেটে আনাটা একটু রিস্কি ছিল। কিন্তু ট্রলির গোপন কম্পার্টমেন্টে সহজেই পাচ-দশ প্যাকেট আনা যেত(ট্রলির সাইজ অনুযায়ী)।
মাস খানেক পর যখন সাপ্লাই শেষ তখন শুরু হত আমাদের বিলাপ। কিভাবে সিগারেট সাপ্লাই আবার পাওয়া যাবে…………
পদ্ধতি তিনঃ এই পদ্ধতি ছিল একদম সহজ। প্রথমেই মনস্থির করতে হবে কলেজ পালানোর। ধরা খাইলেই কলেজ আউট। তারপর কলেজ পালিয়ে দোকান থেকে পকেটের ফাইন্যান্স বুঝে যত প্যাকেট কেনা যায়। তারপর অতি সাবধানে আবার কলেজে ফিরে এসে আরাম করে একটা ধরিয়ে মনের সুখে টানতে হবে।
মাস খানেক পর আবার সাপ্লাই ফুরিয়ে গেল। কিন্তু দেখা গেল আবার কলেজ পালানোর মত পরিস্থিতি নেই। কিন্তু সামনেই অভিভাবক দিবস। আহ! মোণে পড়ে গেল(সামনের পর্বে থাকবে অভিভাবক দিবসের যত স্মৃতিকথা)……………
পদ্ধতি চারঃ অভিভাবক দিবস মানেই ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। তো খানাপিনা পর্ব সেরে বাবার মোবাইলটা নিতে হত। তারপর লোকাল নন-ক্যাডেট বন্ধুকে কল করতে হত। তাকে দয়া করে বলতে হবে, যে করেই হোক টাকা ম্যানেজ করে প্যাকেট দু’য়েক সিগারেট মোজার ভেতর করে কলেজে চলে আসতে। সে আসলেই টয়লেটে গিয়ে প্যাকেটগুলো নিয়ে ওকে কিনতে যা খরচ হয়েছে তার থেকে কিছু বেশি টাকা দিতে হত(সদ্য বাবার নিকট থেকে প্রাপ্ত)। ফলাফল পরের টার্মে আবার ওর থেকে এই সার্ভিস পাওয়া যেত।
তো এই সাপ্লাই দিয়ে হয়তো সপ্তাহ দু’য়েক চলবে। তারপর আবার বিলাপ। কলেজ পালাতে পারলে ভাল। তা না হলে বিকল্প ভাবতে হত……………
পদ্ধতি পাচঃ কলেজ নতুন করা রঙ করা হবে। কলেজে প্রচুর মিস্ত্রী কাজ করছে। তাদের দিয়ে প্যাকেট প্রতি ১০-২০ টাকা বেশি দিয়ে সিগারেটের সাপ্লাই পাওয়া যেত অনায়েসে। তবে রিস্কিও ছিল। যেমন, টাকা নিয়ে আর কাজ করতে না আসা। সেক্ষেত্রে বিচক্ষণভাবে আগে সিগারেট আনিয়ে পরে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে নেগোসিয়েশন করতে হত।
পদ্ধতি ছয়ঃ আমাদের হাউস ছিল তিনতলায়(ওমর ফারুক) এবং কলেজের সীমানা ঘেষে। তো আমরা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বাইরের দু’তিন জনের সাথে ভাব জমালাম। আমরা তাদের কাছে আমাদের ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম। তাদেরকে জানালাম তারা যদি আমাদের সিগারেট এনে দেয় তবে তাদের আমরা প্যাকেট প্রতি ১০ টাকা লাভের সুযোগ দিব।
এরকম আরও অনেক পদ্ধতি ছিল সিগারেটের সাপ্লাই পাওয়ার। আমি ক্যাডেটদের অনুরোধ করব তারা যেন দয়া করে তাদের পদ্ধতিগুলো মন্তব্যে শেয়ার করে তাদের পুরনো স্মৃতিগুলো আবার মনে করে আমাদের নস্টালজিক করে দেয়………………………(চলতে থাকবে)
with the help of barber and dhupi.most reliable source.
আমি একজনকে টাকা দিয়া দিতাম। আর রুমের ভেতরে জানালার পাশে বালতি রেখে দিতাম। ক্লাশ অথবা প্রেপ থেকে এসে দেখতাম বালতিতে সিগারেটের প্যাকেটগুলি আমার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে। 😀
বাইরে না ভিতরে?
ধুমপান না ধূমপান?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শুদ্ধিকরণ সম্পন্ন হয়েছে, বাংলায় কাচা আছিলাম আরকি 😛
লেখা ভালো তবে বানান ভুল আছে কিছু। আবার পড়লে পাবি।
এভাবে এতো খোলাসা কইরা বইলা তো প্রেজেন্ট ক্যাডেটদের তো বিপদে ফেলে দিলি।
আমার মনে হয় কিছু লেখা এমন করা উচিত যাতে সদস্য ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না।
এডজুট্যান্ট ভালো বলতে পারবে এ বিষয়ে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সহমত, তবে স্মৃতিচারণের ক্ষেত্রে তো আর বাছ-বিচার চলে না।
অভিভাবক দিবসের আগে চাচাতো-মামাতো-ফুপাতো-খালাতো যত ভাই আছে সবাইকে কঠিনভাবে অনুরোধ করতাম আসতে। তাদের যেকোন একজন আসা মানেই পরবর্তী একমাস টেনশন ফ্রী। :goragori: :goragori: :goragori:
MH
আমার হাউস বেয়ারা ছিল গুরু,একটা ফোন দিলেই :gulli: :gulli: :gulli: :gulli2: :gulli2:
চলো বহুদুর.........