গণতন্ত্রের নতুন মডেল ‘বাংলাদেশ’!

প্রায় দেড়যুগ ধরে দেশে+বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া+পড়ানো+পড়ার মধ্যে আছি। গণতন্ত্রের প্রায় সব সংজ্ঞা, তাদের বৈশিষ্ট্য ও বাস্তব চেহারা সম্পর্কে জেনেছি, বেশ কয়েকটা দেখেছিও।

আমি পর্যাপ্ত তথ্যসহ বলতে পারি যে, বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়েছে, তা’ সারা বিশ্বে প্রচলিত গণতন্ত্রের থেকে আলাদা। আমরা মানব সভ্যতাকে একটা সম্পূর্ণ নতুন মডেলের গণতন্ত্র উপহার দিতে যাচ্ছি। এজন্য একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্বিত।

আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার নের্তৃত্বাধীন সরকার,

বিস্তারিত»

বাংলাদেশী নারীদের লজ্জাশীলতার শিক্ষা দিন, সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধেও সামিল হোন

ছোটবেলায় নানান প্রবাদ-প্রবচন, খনার বচন, নীতিকথা ইত্যাদি শুনে এসেছি। সেগুলোর একটা ছিল ‘লজ্জা নারীর ভূষণ’। ইদানিং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের নারীসমাজ এই কথা বেমালুম ভুলে গেছে।

বটে! এই সেদিনই ত’ ১লা বৈশাখে কেমন বেহায়াপনা করার জন্য রাস্তায় নেমে যৌনসন্ত্রাসের মাধ্যমে অগণিত নারীকে শিক্ষা দেওয়া হল। এরপরেও তাদের টনক নড়েনি? এখন শুনছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকও বেহায়াদের মত রাস্তা-ঘাটে পর-পুরুষের গায়ে হাত তুলেছে। তা-ও আবার যে সে পুরুষ নয়,

বিস্তারিত»

আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি

আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি

[আমার এই লেখাটা কোন ভাবেই কোন সিস্টেম বা ব্যাক্তিকে দায়ী বা কটাক্ষ করে লেখা নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু ঘটনার কারনে মনের মাঝে জমে থাকা অনেকগুলো বিষয়কে রিলেট করে একটা সমাধানের আশায় লেখার একটা প্রয়াস মাত্র। আমি নিজে একজন ক্যাডেট বলেই হয়তো বিষয়টা নিয়ে আমি ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটির প্রেক্ষাপটে লিখছি। কিন্তু আসলে এটা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বিস্তারিত»

বেঁচে থাকা

নিঃস্পৃহতায় বাঁচতে যেন, কেমন লাগে!
নিয়ম করে ভুলে থাকায়, ক্লান্তি লাগে,
পালিয়ে থাকার বিড়ম্বনায়, খারাপ লাগে
লুকিয়ে ফেলা ভালোবাসায়,কষ্ট বড়!
যেমন কষ্ট অভিমানে, ফিরে দেখায়;
যেমন কষ্ট মুখোশ পরে, পালিয়ে থাকায়,
যেমন কষ্ট আত্মবোধের, জেগে থাকায়,
যেমন কষ্ট সব হারিয়ে, বেঁচে থাকা । ।

বিস্তারিত»

মকবুল স্যার বাঁচবেন, আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে

ফেসবুকে Reza Shawon ভাইয়ের লেখা পড়ে আমারো একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

ক্লাস ৯ অথবা ১০ এর কথা। আমাদের B ফর্মে সেদিন ছিল ভূগোল ক্লাস। আমরা মোটামুটি সবাই বিরক্ত এই ক্লাস নিয়ে। কারণ, ভূগোল অনেক মুখস্ত টাইপের পড়া। কোন দেশ কোথায়, কোন অঞ্চলে আম গাছ, আর কোথায় বাঁশ গাছ বেশি পাওয়া যায়, এসবের বিস্তারিত বর্ণনা। আফ্রিকাতে “রকি” মাউন্টেন, নাকি “কিলিমাঞ্জারো” এই নিয়ে আমাদের কেন এত মাথাব্যথা করতে হবে তা বুঝতাম না।

বিস্তারিত»

সুখেই আছি

বলতেই হবে,সুখে আছি,
গুঁজে আছি মাথা বেশ,
রাজা হল কে? ধুর মশাই,
ভাববো কেন অতশত?
ভাববার আছে, আরও যে ঢের!
কাজের ছেলে রেখেছি একটা,
বাজার করে সেই,
যেমন রেখেছি নেতা-পাতিনেতা,
চিন্তা করুক সেই।
বরং আমি মজে থাকি নিজে,
দেয়াল একটা তুলে।
বলতেই হবে, এই বেশ আছি,
সুখে আছি, এইতো বেশ ।।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ

স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।

বিস্তারিত»

অন্তর যন্তর অথবা জাদুর শহর

অদ্ভুত জাদুগন্ধময় এক পরাবাস্তব উৎসব ছিল তার শৈশবের ঈদ।

স্কুল কমিটির ফান্ড ক্রাইসিস, বেতনের এরিয়ার আর সোনালী ব্যাংক এর চেক এর চক্কর কে আম্মা কেমন করে যেন চান রাতে বানিয়ে ফেলতেন চকচকে বাটার জুতো অথবা বাচ্চামিয়া কাপুড়িয়ার দোকান থেকে কেনা নতুন নতুন “বাশনা-আলা” শার্ট। ইব্রাহীম খাঁ এর পুটূ গল্পের মত প্রতি বছরই নিজের সন্তানতুল্য পোষা খাসি কুরবানী দিয়ে সারাদিন কাঁদতেন বড় মা।

কোন এক সোনার কাঠি রুপোর কাঠির বলে তার সাম্যবাদী বাবা আর ধর্মবাদী বড় চাচা খেতে বসতেন একসাথে ওই এক দিনই।

বিস্তারিত»

এইসব দিনরাত্রি এবং আমার ভাবনাগুলো (প্রাক-কথন)

দিনগুলো কেটে যাচ্ছে ভিষণ ব্যস্ততার মাঝে। জীবনের, আরো নির্দিষ্ট করে বললে ক্যারিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। ফলে, ইচ্ছা-থাকা সত্বেও সিসিবিতে লিখতে পারিনা আগের মতো করে। এমনকি প্রতিদিনকার হাজিরাটাও মাঝে মধ্যে মিস করে ফেলছি। কি আর করা……

ফ্রান্সে ইসলামী-টেরোরিষ্ট এটাকের প্রেক্ষিতে আমার কিছু ভাবনা সিসিবিতে শেয়ার করতে চাই। তবে সেটা গুছিয়ে নিতে আরো কয়েকদিন লাগবে। ইত্যোবসরে আমি জেনে নিতে চাই এই ঘটনা নিয়ে সিসিবি’তে লোকজন কে কি ভাবছে।

বিস্তারিত»

চুল সমাচার

ছোটবেলা থেকেই চুল আর চুল কাটানো আমার কাছে অনেক ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। পাড়ার সেলুনে চেয়ারের উপর টুল পেতে বসার সময়টা থেকেই নাপিতের অভিযোগ আমি নাকি অনেক নড়াচড়া করি,আমার চুল নাকি অনেক শক্ত ইত্যাদি ইত্যাদি। সামরিক বাহিনীতে চাকরিরত বাবার সুবাদে প্রতিমাসে অন্তত একবার নিয়ম করে চুল কাটাতে হতো আমাদের দুই ভাইকে,তা আবার যেমন তেমন চুল কাটা নয়,একেবারে সেন্টিমিটার স্কেলের চুল কাটা। প্রত্যেকবার চুল কাটানোর পর আমাকে সজারুর মতো লাগতো,মনে মনে কষ্ট পেলেও ভয়ে কিছু বলতে পারতাম না।

বিস্তারিত»

মহান বিজয়ের দিনে আমার মিশ্র অনুভুতি; প্রসঙ্গঃ ইসিএফ-এর প্রথম এক্সজিভিএল

ডিস্ক্লেইমারঃ আজ ঘন্টা দুয়েক আগে এই লেখাটা আমি ইসিএফ (এক্স-ক্যাডেটস ফোরাম)-এর ফেসবুক পেইজে দিয়েছিলাম। অনলাইনে আমার লেখালেখি কেবল সিসিবিতেই। এই প্রথম এমনটা হলো যে মনে কিছু মিশ্র অনুভুতি হয়েছে কিন্তু সিসিবিতে সেটা প্রকাশ করিনি। তাই লেখাটাকে প্রাসঙ্গিক ভাবে কিছুটা এডিট করে এখানে আবার পোস্ট দিলাম। তবে যেহেতু আজকেই ইসিএফ আয়োজিত প্রথম এক্সজিভিএল (এক্স গার্লস ক্যাডেটস ভলিবল লীগ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, তাই সঙ্গত কারনেই আমার অনুভুতি আমি ইসিএফ-এই প্রথম শেয়ার করেছিলাম।

বিস্তারিত»

উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি – ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারেরই কুফল

অতি ক্ষুদ্র পরিসরে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেহারাটি সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করতে চাই। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আজ অনেকেই ভারতের দালাল বা চর, আবার অনেকে একে পাকিস্তানের দোসর বা ভূত ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করেন। যে কেউই যে কারোরই যে কোনো উন্নত চিন্তা, চেতনা, নীতি-আদর্শ বা পদ্ধতি সানন্দচিত্তে গ্রহণ করতে চায় করুক। কিন্ত তার মানে এই নয় যে, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশকে নিজের স্বকীয়তা ও আত্মসম্মানবোধ টুকুকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেই অন্য কারোরো দাসত্ব্য বা দালালী করতে হবে।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

এর মধ্যে বেশ কয়েকদিন এই ব্যপারটা ঘটেছে। মনে বেশ দোলা দিয়েছে। পুরোনো স্মৃতির নতুন দোলা। কাকতালিয়ভাবে পরপর কয়েকদিন দেখি ঘড়িতে ৬টা বেজে ২৮ মিনিট। অর্থাৎ ৬.২৮ বাজে। আমার ক্যাডেট নম্বর ৬২৮। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনের অজান্তে ক্যাডেট কলেজের অনেক স্মৃতি স্ট্রীম অফ কনশাসনেসের মত একে একে ভেসে আসে। আর এটাই তো স্বাভাবিক! আমার মনে হয় ঘড়ির কাঁটার সাথে নিজের ক্যাডেট নম্বরের মত এমন চিরসঙ্গির সঙ্গতি দর্শনে আমার মত যে কোন ক্যাডেটের মন আলোড়িত হবে।

বিস্তারিত»