অল্প কিছুদিন হলো আমার এক পুরোনো ছাত্র শিক্ষকতা শুরু করেছে। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইদানিং লিখছে। আমার সেসব পড়তে বেশ লাগছে। তার এক লেখার মন্তব্যের ঘরে নিচের কথাগুলো একান্ত নিজস্ব কিছু অনুধাবন হিসেবে লিখেছিলামঃ

১. ক্লাসে কেউ পড়া/বিষয় না বুঝলে আমার খারাপ লাগে না। নাও বুঝতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার সময় কেউ যখন আলোচনার বাইরে অন্য কোন কাজে ব্যাস্ত থেকে নেহায়েতই গাফিলতির কারনে পড়া বোঝে না,

আমার বাবার কর্মজীবনের শুরু হয় বগুড়ায়, সরকারি আজিজুল হক কলেজের সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে, ১৯৭৩ সালে। আমার জন্মও বগুড়াতেই, ১৯৭৬ সালে। খুব ছোটবেলা থেকেই বাবার বন্ধুদের এবং সমবয়সী ও সমসাময়িক কলিগদের সান্নিধ্য পাবার সুযোগ হয়েছে। সেসময়ের জেলাশহরগুলোতে কলিগদের মাঝে পারিবারিক যোগাযোগ এবং মিলননেলাগুলো ছিল সত্যিই আজকের যুগে প্রায় অকল্পনীয়।

বাবার সমবয়সী তবে অন্য ডিপার্ট্মেন্টের কলিগ ছিলেন সুধীর কাকু। কাকুর সাথে অনেক স্মৃতি আছে আমার।

এটা কোন প্রকারের একাডেমিক, বা মনের দায়বদ্ধতার, বা ব্যাক্তিপর্যায়ের কাউকে ফোকাসের উদ্দেশ্যে লেখা নয়। লেখার প্রসঙ্গ ও চরিত্রগুলো আমার ব্যাক্তিজীবন, বেড়ে ওঠা, একাডেমিক ডিসিপ্লিন, প্রফেশনাল স্টাডিজ, পরিচিত মহল, এ-সবকিছুর সংমিশ্রণের প্রতিফলন হলে হতেও পারে। আপাতত শুধু এটুকু জানি, মাথায় কিছু চিন্তা কাজ করছে; কাজেই, লেখাটা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা এই মুহূর্তে বলা মুস্কিল। মনের মাঝে উঁকি দেয়া চিন্তাগুলো অনেক ক্ষেত্রেই লিখতে বসলে ডায়রির পাতার মত এদিক-ওদিক চলে যায়।