ধরিব মৎস খাইব সুখে

নিদারুন খরায় পুড়ছে সারা দেশ। আষাঢ় শেষে শ্রাবন এসেছে, মেঘের তবু দেখা নেই। সূর্যটা যেন সারাদিন এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে জ্বলতে থাকে প্রচন্ড তেজে। প্রখর রোদে বাইরে কেমন ঘোলাটে দেখায়। প্রকৃতির এমন রুদ্ররূপ আমাদের অচেনা।

গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘরের জানালাগুলি ভারী চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে । চাদরে আর মেঝেতে খানিক পর পর পানি ছিটোনো হয়, তাতে ঘরের ভেততরটা মোটামুটি সহনীয় থাকে। ফারাক্কা বাঁধ চালু হবার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে দেশটা মরূভূমি হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৮

‘জীবনের জার্নাল’ এ গত কয়েকটা পর্ব ধরে আমাদের শিক্ষকদের কথা বলে চলেছিলাম। এখনো অনেকের কথা বলার বাকী রয়ে গেছে। কিন্তু আজ আর ওনাদের কথা বলতে চাচ্ছিনা, আজ আমার নিজেরই কিছু কথা বলবো। তখন জীবনের এমন একটা সময় পার করছিলাম, যখন মানুষ কিছু বৈপরীত্যের সম্মুখীন হয়। কিশোর মনে অনেক প্রশ্ন আসে, যেগুলো সবাইকে জিজ্ঞেসও করা যায়না, যেগুলোর উত্তর সবাই দিতেও চায়না। এই বয়সের একটা কালজয়ী বর্ণনা দিয়ে গেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,

বিস্তারিত»

পঞ্চবার্ষিক প্রকাশ্য অনুবেদন

২০১১ সাল থেকে অনলাইন দুনিয়ায় আমার নিয়মিত পদচারণা। শুরুটা সিনেট.কম দিয়ে। বিভিন্ন সেফ এবং ফ্রি সফটওয়ারের জন্য এটি আমার প্রিয় ওয়েবসাইট।এর পর কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন ঝৈ ঝামেলা মুক্তির জন্য সামহোয়ার ইন ব্লগ- এর নিয়মিত পাঠক হয়ে পড়ি। ঐ সাইট থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। মাঝে মাঝে ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে ঢু মারতাম।ফেসবুকে আসার আমন্ত্রণ পেতে পেতে বেশ বিরক্তও হচ্ছিলাম। ফেসবুক শব্দটা প্রথম শুনেছিলাম ‘ফার্ষ্ট ডেট’ নাটকে।

বিস্তারিত»

রিইউনিয়নঃ সুন্দর তুমি চক্ষু ভরিয়া এনেছো অশ্রুজল

স্মৃতিরা হলো ঝুলিতে রাখা আহ্লাদী বেড়ালছানার মত; এমনিতে গুটিসুঁটি মেরে সুবোধ বালিকার মত চুপচাপ থাকে কিন্তু একটু নড়াচড়া করলেই আলতো করে সে মাথা উঁচিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়ে বলে, মিঁয়াও মিঁয়াও! তারপর সেই মিঁয়াও ধ্বনির সাথে সকরুণ বিল্লি পিটপিট চোখে এমন করে তাকায় যে তখন সংসার সন্তান সব ফেলে তার মুখে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে মন চায়! আমাদের কলেজের রিইউনিয়নের আলোচনা শুরু হতে আমার সেই তুলতুলে সাদা বেড়ালবাচ্চার কথাই মনে পড়লো!

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৭

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মোঃ আব্দুল গফুর
গফুর স্যার আমাদের ফিজিক্স পড়াতেন। তিনি অতি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন, কথাবার্তায় স্পষ্টভাষী ছিলেন, নিয়মনীতি পালনে ও রক্ষায় কঠোর ছিলেন। হোমওয়ার্ক নিয়মিতভাবে দিতেন এবং নিয়মিত ভাবে তা পরীক্ষাও করতেন। ল্যাবেও বেশ সিরিয়াস ছিলেন, কোন ফাঁকিজুকি পহন্দ করতেন না। তিনি ক্লাসে কদাচিৎ হাসতেন, আর একটু নাকি সুরে কথা বলতেন। বাহ্যিকভাবে তিনি খুব কঠোর থাকলেও অন্তরে তিনি ক্যাডেটদের প্রতি স্নেহপ্রবণ ছিলেন।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৬

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ

আমরা যখন প্রথম কলেজে যোগদান করি, তার মাত্র কয়েক মাস আগে জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এমসিসিতে যোগদান করেছিলেন। মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া একজন তরুণ শিক্ষক। তাঁর বাড়ী ছিল রাজশাহী এলাকায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি অঙ্ক শাস্ত্রে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে আমাদের কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন,

বিস্তারিত»

টুকরো টুকরো গল্পেরা…

জীবন এই মতো

তুমি শুটকি ভালোবাসো জানিয়েছিলে একদিন। আমি সমুদ্র উপকূলের মানুষ। শুটকি খেতে অভ্যস্ত নই। তবুও বাজার তালিকায় শুটকি রাখলাম। আমি বললাম, শুটকি খাওয়া অমানবিক। কিভাবে মাছের লাশগুলোকে রোদে পোড়া হয়েছে দেখেছ। তুমি বললে, মৃত মাছের আবার কি অনুভূতি? তুমি যে আস্ত কই তেলে ভেজে খাও। কই মাছের ছটফটানি দেখে দুঃখ জাগে না?
আমি আর কথায় পারলাম কই। বললাম, শুটকি কখনো রাঁধতে দেখিনি মা কে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৫

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS (দ্বিতীয় পর্ব)
12080911_10206498642160036_1449238350_n
JRS taking a break from walking around Hyde Park
12067766_10206498641600022_1126490871_n
JRS at Prof Saleh’s (my batch mate) apartment.
12092728_10206498639479969_743500688_n
JRS at Albert Memorial

“কিংবদন্তী শিক্ষক JRS” এর উপর আমার আগের লেখাটা পড়ে অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। কেউ টেলিফোনে, কেউ ই মেইলে, কেউ ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে কিনা,

বিস্তারিত»

টুকিটাকি – ১


আকাশ যত অন্ধকার, তারারা ততই স্পষ্ট। এটি একটি পারসিয়ান প্রবাদ। মন খারাপের মুহূর্তে এরকম কিছু শুনতে ইচ্ছে করে। তারপরও মনে হলো এটি ঠিক মতো বুঝতে পারছি না। এর সঠিক অর্থটা কী? যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখনই আমরা জ্বলে উঠি নাকি অন্ধকার সময়েই দূরের আলোরা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হয়তো শেষেরটা। একবার আর্ট কলেজে গিয়েছিলাম একটি চিত্র প্রদশর্নী দেখতে। সেখানে একটি ভাষ্কর্যের সামনে অদ্ভুত একটি নাম দেখে তার মর্মার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

বিস্তারিত»

দাবা ও জুয়া

Jean_Metzinger,_1915,_Soldat_jouant_aux_échecs_(Soldier_at_a_Game_of_Chess),_oil_on_canvas,_81.3_x_61_cm,_Smart_Museum_of_Art
দেখেছো তোমার পুরাণ আমাকে পোঁড়ায়
আমি ভাসি নির্নিমেষ নিঃঘ্রাণে
আমিও কুয়াশায় বশ হারানো লোকের মতো
স্থানু থাকি, নির্বান্ধব সন্ধ্যায় কাঠের ক্যাম্পে বসে
একা একা বদল করি সাদা কালো সাইড
বড়ে-মন্ত্রী , দাবার গুটি,
উভয় পক্ষে বেটে দেই ট্রাম, তাসের স্পেড
তার পর বাজি ধরি তোমার নামে
জিতে গেলে সুউচ্চ প্রাসাদ বানাবো
হেরে গেলে মেনে নেবো নিঃশর্ত নির্বাসন
দুর দ্বীপে আবাস বানাবো,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৪

12077386_10206498642680049_769358395_n
JRS এর এই ছবিটা ২০১৪ এর মধ্য জুলাই এ তোলা হয়েছে, লন্ডনে।

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS
এমসিসি তে এসে প্রথম যেদিন থেকে ক্লাসে যোগদান করলাম, সেদিন থেকেই জেনেছিলাম এখানকার শিক্ষকগণ তাদের নামের আদ্যোক্ষর দিয়ে পরিচিত। যেমন নাজমুল আহসান-NA, নূরুল ইসলাম-NI, হায়দার আলী-HA, ইত্যাদি। প্রথম দিনের ইংরেজী ক্লাসের শিক্ষক হিসেবে ক্লাস রুটিনে দেখলাম নাম লেখা আছে JRS। কল্পনা করতে থাকলাম,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৩

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন আমাদের বাংলার শিক্ষক ছিলেন, তবে ইংরেজীতেও তাঁর বেশ ভালো দখল ছিলো। একইসাথে তিনি নজরুল হাউসের হাউস মাস্টারও ছিলেন। প্রতিদিন সিরিয়াসলী পড়াতেন না, কিন্তু যেদিন তাঁর পড়ানোর মুড আসতো, সেদিন তিনি পিন পতন নিস্তব্ধতার মাঝে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যেতেন। আমরা হয়ে থাকতাম তাঁর বিমুগ্ধ শ্রোতা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, গোলাম মোস্তফা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ কবিদের লেখা থেকে তিনি প্রচুর রেফারেন্স টানতেন।

বিস্তারিত»

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

এটা কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটা জনসচেতনতামূলক লেখা। নিজদায়িত্বে পড়তে হবে এবং লেখার কোন অংশের জন্য লেখককে কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না। লেখাটা কিছুটা পুরুষ মানষ থেকে লেখা; নিজের জেণ্ডার এবং বয়সের উপলব্ধির রিফ্লেকশনস মাত্র। এখানে লেখককে জেণ্ডারবিদ্বেষী না ভাবাই স্বস্তিকর, কারন এটা এই লেখাটার একটা বড় দূর্বলতা, আর নিজের দূর্বলতা কেই বা আলোচনায় আনতে চায়?

বিস্তারিত»

গোলকিপার আলিমুজ্জামান

গোলকিপার আলিমুজ্জামান

“নবীন কিশোর
তোমাকে দিলাম ভুবনডাঙ্গার মেঘলা আকাশ
তোমাকে দিলাম বোতামবিহীন ছেঁড়া শার্ট
আর ফুসফুস ভরা হাসি
দুপুর রৌদ্রে পায়ে পায়ে ঘোরা
রাত্রীর মাঠে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা।
…………………..
তোমাকে আমার তোমার বয়সী
সবকিছু দিতে বড় সাধ হয়” ।- (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা নিজের সম্পর্কে লিখি। কোন অটোবায়গ্রাফি নয়, এমনিতেই নিজের সম্পর্কে প্যাচাল পারা!অথচ লিখতে গেলে প্রতিবারেই একটা অভাবনীয় ব্যাপার ঘটে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২২

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাসউদ হাসান
সপ্তম শ্রেণীতে যাঁরা পড়াতে আসতেন, তাঁদেরকে বিষয় বিশেষজ্ঞ না হলেও চলতো। মনে আছে প্রথম দিন কিংবা প্রথম দিকের কোন একদিনে ভূগোলের শিক্ষক জনাব মাসউদ হাসান স্যার এসেছিলেন আমাদের পৌরনীতি পড়াতে। যেহেতু ইংরেজী মিডিয়াম, পৌরনীতিকে বলা হতো সিভিক্স। Civics, Geography এবং History, এই তিনটি বিষয়ের একত্রিত নাম ছিল সোশ্যাল স্টাডীজ। মাসুদ হাসান স্যার ক্লাসে এসে প্রথমে সংক্ষেপে তাঁর পরিচয় তুলে ধরলেন,

বিস্তারিত»