একজন অসুস্থ মানুষ

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন —– আমার প্রথম পোস্ট। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, মত – কাউকে আঘাত দিতে লিখিনি। তারপরেও আঘাত পেলে ক্ষমা করে দেবেন। আর কারো জীবনের সাথে এই গল্প মিলে গেলে …… আসলে কিছুই করার নেই, আমি আমার কল্পনা থেকেই লিখেছি। —————

আমাদের কোন বৈশিষ্ট্য আমাদের মানুষ হিসেবে আলাদা করে ? আমাদের ভালোবাসা ? নীতিবোধ ?
কিন্তু ভালোবাসা বা নীতিবোধকেই বা কিভাবে সঙ্গায়িত করা যায় ………

— একটা ব্যাপার কি জানো?? আমার মনে হয়, ওর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে তারপরে এই সব ভারিক্কি জিনিস পড়া উচিত। তুমি প্রায় আধাঘন্টা ধরে শুধু পাঁচটা লাইন পড়ছো……
— আমি যদি সব উচিত কাজ করতে পারতাম, জীবনটা তো লাইফ হয়ে যেতো …
— তুমি কি আদৌ কোনো চেষ্টা করেছো বা করে যাচ্ছো বা কোনো প্ল্যান করেছো ???
— চোপ …

আমি অয়ন। একটা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ি, হলে থাকি। আমার সাথে আমার রুমমেটদের পাশাপাশি, ফাহিমের ভাষায়, আমার বিবেকও বাস করে। মাঝে মাঝে আমি তাকে বেশ ঈর্ষা করি। এই হলে সিট পেতে আমাকে কতো কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে, আর সে কোনো পারমিশন, এমনকি, কোনো বোর্ডিং ফী ছাড়াই বছরের পর পর আমার মাথার মধ্যে আস্তানা গেড়ে বসে আছে। আমি এখনো তাকে কোনো নাম দেইনি …
— রাজন ……
— দেখো, তুমি যখন তোমার নাম ব্যবহার কর, নিজেকে সিজোফ্রেনিয়াক রোগী বলে মনে হয়।
— তুমি সিজোফ্রেনিয়াক হলে আমি তোমার কন্ট্রোল নিয়ে নিতাম। হয়তো তোমার জন্য সেটাই ভালো হতো। কারন ……
— চোপ …

যা হোক, অন্য সব ব্যাপারগুলোর মতই, আমার কোনো তোয়াক্কা না করে, সে নিজের নাম দিয়েছে রাজন। প্রথম প্রথম আমি একটু বিরক্ত হলেও এখন আর কেয়ার করিনা।
এই ব্যাপারটা বাইরের কারো মধ্যে প্রথম খেয়াল করেছিলো ফাহিম, আমার ক্যাডেট কলেজের ক্লাশ টুয়েলভের রুমমেট, যতো দূর মনে পড়ে টেস্ট পরিক্ষার আগে ……
–প্রিটেস্ট পরীক্ষার আগে …
… প্রিটেস্ট পরীক্ষার আগে। আমরা সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছিলাম, আমরা কি দূরবীন বইটা পড়বো, নাকি কেমিস্ট্রি পড়ার চেষ্টা করবো। আমি দূরবীন পড়ার পক্ষে ছিলাম। কারন আমাদের কেমিস্ট্রি স্যার প্রশ্ন করার স্টাইলটা খুব অদ্ভুত ছিলো। সাধারনত, ছয়টা প্রশ্ন – ১, ২, ৩ …… এমন করে থাকতো, এই ১, ২, ৩ … প্রতিটার মধ্যে, ক, খ, গ … এভাবে চারটা বা খুব বেশি হলে পাঁচটা করে প্রশ্ন থাকতো। কিন্তু আমাদের কেমিস্ট্রি স্যার ওই ক, খ, গ এর মধ্যে a, b, c … এমনকি এই a, b, c এর মধ্যে রোমান সংখ্যায় ১, ২, ৩ … দিয়ে প্রশ্ন করতেন। ক্লাশ ইলেভেনে প্রথম টার্ম ফাইনাল দেবার পরে আমি আমার বিবেকের সাথে কোনো তর্ক ছাড়াই একমত হয়েছিলাম, ভাগ্যিস, এই স্যার আরবি জানেননা। তাহলে হয়তো আলিফ, বে, তে … এইসবও ঢুকিয়ে দিতেন। আমার পয়েন্ট ছিলো, কোনোভাবেই পুরোপুরি পরীক্ষা শেষ করতে পারবো না। আর ৭৫% উত্তর তো আমি না পড়েই করতে পারি, শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দিয়ে লাভ আছে? রাজন কিছু একটা উত্তর দিতে যাচ্ছিলো, এমন সময় ফাহিমের গলা …

– দোস্ত, তোরা যদি আরো কিছুক্ষন তর্ক করবি বলে মনে হয়, তাহলে বইটা আমাকে দে।
– মানে ??!!!!
– তুই আর তোর বিবেক, গত পনের মিনিট ধরে তর্ক করছিস। তোরা যদি না পড়িস, বইটা আমাকে দে।
আমি একটু ইতস্তত করে ওকে বইটা দিলাম। পাতা উল্টাতে উল্টাতে ফাহিম বললো,
– আমি জানি তুই কি বলবি। আমি গত ২ মাস হল খেয়াল করেছি। না, সুমন এখনো কিছু জানেনা। তোর দুশ্চিন্তার কিছু নেই, ব্যাপারটা গোপন থাকবে। তবে আমার মনে হয় পরীক্ষার আগে তোর আরেকটু টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করা উচিত।
– থ্যাংকস দোস্ত।

এরপর থেকে খুব সাবধান হয়েছি। তবে মাঝে মধ্যে হলের রুমমেটরা বা স্টাডি পার্টনারেরা কিছু শুনে ফেললে, থিংকিং আউট এলাউড বলে পাশ কাটিয়ে যাই। আমার মনে হয় ভালোই চলে যাচ্ছে, কারন এখনো কেউ ঢিল মারা শুরু করেনি।
— তুমি যদি আজকে টিউশনিতে যেতে চাও, তাহলে তোমার রওনা দেয়া উচিৎ।
— আমি যে সমস্ত জিনিস মনে রাখতে চাইনা, সেগুলো মুখস্ত না করে তুমি যদি আমার জন্য পড়া মুখস্ত করতে, তাহলে আমি টিচার ফাইটে থাকতে পারতাম।
— আমার কখনো মনে হয়নি তুমি টিচার হতে চাও ………
— তা চাইনা কিন্তু ……
তাহলে কি দরকার?

মনে মনে গজ গজ করতে করতে রওনা হলাম। আমার ছাত্রীর বাসা মগবাজারে। যেতে এক ঘন্টা, আসতে আরো এক ঘন্টা। এই দুই ঘন্টা আমি বসে বসে ওর কথা চিন্তা করি।
— ছাত্রীর কথা?
— মস্করা করো শালা ……
— মস্করার কি আছে?? তুমি ভালো করেই জানো সে তোমাকে পছন্দ করে।
— আমার ছাত্রী আমার অনেক জুনিয়র।
— তো ??…
— তো মানে ?? এটাই সমস্যা, সে জুনিয়র।
— দেখো, তুমি যাকে চাচ্ছো, তাকে তোমার প্রোপোজ করার মতন সাহস নেই ……
— শুধু তাকেই না, গর্বের সাথে বলতে পারি, কাউকেই প্রোপোজ করার সাহস আমার নাই। কোনো ঝামেলা আছে?
— অথচ তোমার ছাত্রী তোমার মতন স্টুপিডের জন্য অর্ধেক পা বাড়িয়ে রেখেছে। কমপক্ষে সে সাহস করে কিছু একটা করেছে, যেটা তুমি আজ তিন বছরের মধ্যেও করতে পারনি।
— হুমমম …… আমি মনে মনে তার খুব প্রশংসা করি। এবং আমার মনে হয় তাই যথেষ্ট।
— কিন্তু তোমার উচিত …………
— চোপ ……
— কিন্তু …………
— চোপ ……

বাসার দরজাতে নক করতেই আমার ছাত্রীর আম্মা দরজা খুলে দিলেন। বিনয় বিগলিত হাসিমুখ বানিয়ে সালাম দিলাম,
– স্লামালাইকুম আন্টি।
উনিও হাসিমুখে আন্তরিকভাবে জবাব দিলেন,
– ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা, ভেতরে বসো। তৃণা ……… তোমার টিচার এসছে।

আমি যখন প্রথম এই টিউশনিটা শুরু করি, উনি আমাকে কেন জানি সন্দেহের চোখে দেখতেন। মাঝে মাঝেই হঠাৎ রুমে এসে হাজির হতেন কি করছি দেখার জন্যে। অবশ্য ওনাকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। প্রচুর ছেলেপেলে আছে ছাত্রীর সাথে প্রেম করার জন্যে বিখ্যাত। প্রেম তো ভালো, আরো অনেকেই আছে টেবিলের তলে ছাত্রীর সাথে, বল ছাড়াই, পায়ে পায়ে ফুটবল খেলে। সে কথা আর নাই বা বললাম। পরে যখন দেখলেন, আমি সব সময় ওনার মেয়ের থেকে সন্মানজনক দুরত্ব বজায় রাখছি, সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকানোটা কমলো।
একদিনের কথা মনে আছে, একটা গল্পের বই ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করছিলোনা দেখে বই নিয়েই পড়াতে গেলাম। আমার ছাত্রী তার মতন পড়ছে, ওকে ফিজিক্সের কয়েকটা অংক করতে দিয়ে আমি আমার মতন বই পড়ছি। মিনিট পাঁচেক পরে খেয়াল করলাম, তৃণা কলম কামড়ানো শুরু করেছে।
– কি সমস্যা তৃণা ?
– ভাইয়া, এটা হচ্ছেনা।
মোটামুটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম,
– তুমি আমাকে হতাশ করলা। তিন নম্বর সুত্র এপ্লাই করো।
– ও………………
– এবার পরেরটা দেখো।
কিছুক্ষন পরে তৃণা বললো,
– ভাইয়া, আমার মনে হয় আমি আবার আপনাকে হতাশ করসি।
– হুমমম। কোন সুত্র এপ্লাই করসো।
– দুই নম্বরটা।
– ওকে, কিন্তু কেনো ? খেয়াল করে দেখো, তোমাকে যে ডাটা দেয়া আছে, আর তোমার কাছে যে ডাটা চাচ্ছে, পুরোপুরি এক নম্বরটার সাথে ম্যাচ করে। তোমার কাছে কি চাচ্ছে সেটা খেয়াল না করে হুট করে সুত্র বসিয়ে দেয়া কি ঠিক হইসে? তুমি হয়ত চার নম্বরটা এপ্লাই করতে পারতা, কিন্তু তখন তিন নম্বরটারো হেল্প লাগত, আর ব্যাপারটা হতো, উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতন। কিন্তু তুমি যে কাজটা করসো, সেটা হইসে উধোর পিন্ডি সুলাইমানের ঘাড়ে চাপানোর মতন ………
হঠাৎ ভ্যাক করে একটা শব্দ শুনে চমকে চেয়ার উলটে পড়ে যাওয়া থেকে কোনোরকমে নিজেকে বাচিয়ে পেছনে ফিরে দেখি তৃণার আম্মা হাসছে। অনুযোগের সুরে বললাম,
– আন্টি, আপনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিসেন।
– সরি বাবা। ওই তৃণার পড়া কেমন চলছে দেখতে আসলাম। হাসতে হাসতেই জবাব দিলেন উনি।
– ও একটু স্লো স্টার্টার, কিন্তু একবার কন্সেপশন ক্লীয়ার হলে, মাশাল্লাহ, আর ভুল করে না।
কন্যা গর্বে উজ্জ্বল হলেন মাতা। হাসিমুখে বললেন,
– কথা না শুনলে ঝাড়ি দিতে দুইবার চিন্তা করবানা। ভালো করে ঝাড়ি দিবা।
আহ, টিপিক্যাল ………… বিনয়ের অবতার হয়ে বললাম,
– আসলে আন্টি, ঝাড়ি দিয়ে তো লাভ নাই। লেখাপড়া এনজয় না করতে পারলে তো ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না।
দেখলাম মা মেয়ে দুজনেই আমার চিন্তাশীলতায় বড়ই খুশী। এর পরে যখন ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে তৃণা প্রথম দশজনের মধ্যে আসলো, আন্টি হঠাৎ হঠাৎ পাহাড়া দিতে আসাও বাদ দিলেন।

এখন মোটামুটি আমার সাথে হাল্কা জোকস টোকসও করেন।

– ভাইয়া শুনছেন ?!!
চিন্তার ট্রেন থামিয়ে ছাত্রীর দিকে মনোযোগ দিলাম।
– কি ব্যাপার ??
– এক নম্বর, আমি আপনাকে সালাম দিয়েছি। দুই নম্বর, আপনি অনেকক্ষন ধরে আমার বইয়ের আলমারির দিকে তাকিয়ে আছেন।
সর্বনাশ! এও তো দেখি আমার বিবেকের মতো করে কথা বলছে। তবে, ভাগ্যিশ, আলমারির দিকেই তাকিয়েছিলাম। একটু এদিক ওদিক হলে তো………
– কোনো বই পছন্দ হয়েছে ভাইয়া?
– না, ওয়ালাইকুম আসসালাম। আসলে আমি তোমাকে পড়ানোর প্ল্যানটা চিন্তা করছিলাম। তোমার টেস্ট এর কতদিন বাকি আছে?
– চার মাসের মতন।
– হুমমম …… আমরা ম্যাথ প্রায় শেষ করে ফেলেছি, ফিজিক্স ………………
জ্ঞানের কথা বকবক করতে থাকি, দেখলাম, তৃণা আমার দিকে ঠোঁটের এক কোনে পাতলা একটা হাসি ঝুলিয়ে তাকিয়ে আছে। আজ হঠাৎ মনে হচ্ছে বয়েসটা তিন বছর কম হলে বোধ হয় খারাপ হতো না।

— তোমার কি মনে হয়, তোমার বয়েস তিন বছর কম হলে সে তোমার কাছে পড়তে আসতো?
— খুবই গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট ………
— এতো ঝামেলা মনে হলে এই টিউশনিটা বাদ দিলেই তো হয় ……………
— তা হয়। কিন্তু দেখো, আমি সিগারেট খাই, মাঝে মাঝে গাঁজা টানি, খুব মাঝে মাঝে পান করি। এগুলোর জন্যে আমি নিশ্চয় বাপের থেকে পয়সা চাইবো না, তাই না? আর এই মৌসুমে আমাকে আরেকটা টিউশনি কে জোগাড় করে দেবে ?
— তাইলে আর কি ……… থাকো দৌড়ের ওপরে। ভালো পরামর্শ দিলাম তো গায়ে লাগলো না ………

কোনোরকমে আড়াই ঘন্টা কাটিয়ে হলে ফিরছি। ওর একটা এসএমএস পেলাম। কাল টি এস সি তে সবাই আসবে, আমাকেও তাই যেতে হবে। গত দুইমাস ফাঁকিবাজি করেছি দেখে ও আমার ওপরে খুব রেগে আছে। বন্ধু, ইচ্ছে করে তো আর ফাঁকিবাজি করিনি। তুইই তো আমার মাথা খারাপ করে রেখেছিস। আসলেই, ওর মধ্যে কিছু একটা বা অনেকগুলো আছে, যেটা বা যেগুলো ওর প্রতি আমাকে আকৃষ্ট করে রেখেছে। আমি এখনো ব্যাপারগুলো ধরতে পারছিনা ………
— চোখ …… এইটা ওইদিন আমরা বের করেছিলাম ……
— ধন্যবাদ ……
হ্যা, ওর চোখদুটো অসাধারন, যাকে বলা যায় তরল চোখ …… মনে হয় টোকা দিলেই পানি হয়ে ঝরে যাবে। সাধারনত ও চশমা পরে থাকে দেখে বোঝা যায় না, কিন্তু মাঝে মাঝে যখন চশমা খোলে ………

— আরো হতে পারে ……………
— চোপ …… তোমার নীচে যাবার কোনো দরকার নাই …… শালা পারভার্ট ……
— ওকে ওকে … বি কুল ম্যান ……
— চোপ ………

ওকে ফিরতি এসএমএস করলাম, আচ্ছা আসবো। কিন্তু তুই শাড়ী পড়ে আসলে গাট্টা খাবি।
আমি জানি, ঠিক এই মুহূর্তে সে আমার মেসেজটা পড়ে হাসছে ……

— অনেক হইসে …… আগামিকাল ক্লাস টেস্ট আছে খেয়াল আছে ?
— ঠিক আছে, ঠিক আছে ………
এখন আবার ঠেলা শুরু। এই ঠেলতে ঠেলতেই আমার আর একটা দিন চলে যাবে।
শান্তি পেলাম নাহ …………

পরের গল্প ————-
ও, আমি এবং আমরা
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………
বলতে চাই … তোমাকেই চাই
তুমি আজ ভালোবাসোনি ………
আজ কাজলের বিয়ে ………

৬,২৭০ বার দেখা হয়েছে

৫৫ টি মন্তব্য : “একজন অসুস্থ মানুষ”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    দোস্ত দারুন লাগলো, চমৎকার :boss:
    নিজের সাথে নিজের ইচ্ছেযুদ্ধটা সেরকম লিখছিস। সিসিবিতে হয়তো প্রথম পোস্ট, কিন্তু লেখার ধরণতো তা বলে না দোস্ত। :hatsoff:
    জট্টিল ওপেনিং সিসিবিতে :hug: :hug:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    আমার মনে হয়...
    পড়ালেখাটা নিজে কইর‌্যা তুমি রাজন-রে দিয়া এই লেখাটা ধারাবাহিক আকারে চালাইয়া যাও। :clap: :clap:
    Best of luck!! 🙂
    অনেক ভালো লেখকের চেয়ে-ও (ইস্পেশালী আমার মতন...চামে একটু পাট নিলাম আরকি!! 😉 ) প্রথম লেখায় বেশী ভালো লেখার জন্যে তোমারে ভ্যাঞ্চাই!!! 😛 😛


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন
  3. মাই গড..........জটিল লিখছেন ভাইয়া........আমার খুব ভাল লাগছে.... পুরোটাই পড়ছি একটানে....আরো বড় হলেও সমস্যা ছিলনা......

    অফ টপিক: আপনি কি বুয়েটিয়ান ???? ( বুয়েটিয়ান হলে ভাল, টিউশনি নিয়ে আমাদের মত আর কারো বাহারি অভিজ্ঞতা নাই...ভবিষ্যতে তাহলে আরো কিছু লেখা পাওয়া যাবে এটা নিয়ে )

    জবাব দিন
  4. রকিব (০১-০৭)

    চ্রম লিখেছেন ভাইয়া। প্রথমে ডিসক্লেইমার না দিলে সহসা বুঝতে পারতাম না যে এটা আপনার প্রথম লেখা। :boss:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
    • মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

      ধন্যবাদ অর্ণব।
      অফ টপিক, তোমার আগের পোস্টে দেয়া লিঙ্ক থেকে তোমার বাজানো মিউজিকগুলো শুনলাম। অসাধারন বাজিয়েছ। আমিও মোটামুটিভাবে সাত্রিয়ানির ফ্যান হয়ে গিয়েছি। তবে আমি তোমার নিজের compose করা মিউজিক শুনতে চাই। 🙂 🙂

      জবাব দিন
      • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

        আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নচারী ভাই। আসলে আমার ইচ্ছা আছে আমি এই জুন মাস থেকে নিজের মিউজিক কম্পোজ করা শুরু করবো। আসলে আমি যদি সেটা করি আমার ইচ্ছা আছে গুরুত্বের সাথেই করার। আর সেটার জন্য সময় প্রয়োজন যেটা কিনা আবার অপ্রতুল, পড়াশুনাও দরকার প্রচুর। যাই হোক আশা আছে জুন জুলাইয়ের দিকেই হাটিহাটি পা পা করে প্রথম পদক্ষেপটা নিয়ে নিব, আর নিলে আপনারা তো সেটা অবশ্যই শুনবেন। ভালো থাকবেন।

        জবাব দিন
  5. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    :boss: :boss:

    বঙ্কিম ব্যাটার কৃষ্ণকান্তের উইল পড়েছিলাম, সেটাতে অবশ্য সু আর কু ছিল। কিছুক্ষন পর পর মারপিট করত।

    তোমার লেখাটা খুব ভাল লেগেছে। প্রথম ব্লগিং বুঝাই যায় না। মনে হচ্ছে অনেক গুছায়-গাছায় অনেক ব্লগ পড়ে তার পর লিখেছ।

    এটা কি শেষ? নাকি পরের পর্ব আসবে?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  6. তানভীর (৯৪-০০)

    মইনুল ভাই, অসাধারণ! :boss: :boss:
    ভাইয়া, আপনার লেখা দেখে মনেই হয়নাই এইটা আপনার প্রথম লেখা।
    অনুভূতিগুলো স্পষ্টভাবে টের পাওয়া গেল।
    প্লিজ ভাইয়া, আপনি নিয়মিতভাবে লেখালেখি কইরেন। :salute:

    জবাব দিন
  7. এত সুন্দর একটা লেখা ভাই দেরিতে পড়ার জন্য আমার ব্যাঞ্চাই।
    মইনুল ভাই, আপনার এই লেখার ধরনটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে এইটাকে ফলো করার চেষ্টা করব।
    এককথায় দারুণ । :hatsoff:

    জবাব দিন
  8. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    বস,
    আপনি তো পুরা কড়া... :hatsoff:
    জটিল লেখা হইসে...জাস্ট অবাক করে দেওয়ার মত...
    এতোদিন লেখেন নাই কেন?


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  9. দোস্ত,

    লেখক হিসেবে সিসিবিতে স্বাগতম :boss: । অনেকদিন ধরে কমেন্ট করছিলি দেখেছিলাম, কিন্তু আমি তোর লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাসুম আর নিহাদকে তো বলার পরও লেখেনা।

    লেখাটা চরম হইছে :clap: । গুড ওপেনিং :gulli2:

    সানবীর ভাই সিনিয়র হইলেও অনিয়মিত। আমি কিছুটা নিয়মিতই ছিলাম এতদিন B-) , কিন্তু আর মনে হয় পারবনা 🙁 । হিলে যাওয়ার আগে কুমিল্লার ঝান্ডাটা তোর হাতেই দিয়ে যেতে চাই ;;; । নিয়মিত লিখিস কিন্তু। :guitar: । বেষ্ট অফ লাক :thumbup:

    জবাব দিন
  10. জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

    অসাধারণ!

    "ও" এর আবির্ভাবটা বুঝতে একটু সময় লেগেছিল। আরেক "ও" এর দিকে আমাদের এত মনোযোগী করে রেখেছিলে! ধরে রাখার ক্ষমতা অপূর্ব! কে বলে 'কশাই'-রা গল্প লিখতে পারে না!

    তুমি কিন্তু মিয়া এখনও বুয়েটিয়ান, এই সীল সারাজীবনের জন্যে লেগে গেছে!

    জবাব দিন
  11. আন্দালিব (৯৬-০২)
    আমারো ধারাবাহিক বানানোর প্ল্যান আছে।

    এইটা পড়ে আশ্বস্ত হলাম। আমি পাঠক হিসেবে সর্বভূক টাইপের। কিন্তু পড়ার ব্যাপারে ভোজনবিলাসী। সব লেখা আমার ভাল লাগে না, যেগুলো ভাল লাগে সেগুলোর মাঝে অল্প কিছু লেখাই থাকে যা আমাকে মুগ্ধ করে। যে লেখাটি মুগ্ধ করে সেটার যদি এমন ক্ষমতা থাকে যে আমাকে লিখতে উদগ্রীব করে তুলে, তাহলে সেটাকে আমি অন্য কাতারে রেখে দিই!

    আপনার এই লেখাটা সেই লেভেলের হয়েছে! পুরো গল্পের প্রবাহ একমুখী থাকেনি, বরং ছড়িয়ে গেছে তিন দিকে। প্যারালাল চরিত্রটা শুরুর দিকে খুবই আগ্রাসী। শেষের দিকে কিছুটা বন্ধুসুলভ, এটা ভাল লেগেছে!

    পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিবেন!

    জবাব দিন
  12. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    লেখাটা পড়ে গিয়েছিলাম অনেক আগে । ভাইয়া আপনার নতুন লেখা পড়ে সেটা থেকে আবার আসলাম আপনার লেখা অন্যরকম, মনোযোগ কেড়ে নেয়। একেবারেই অন্যরকম। খুব ভাল লেগেছে। নিয়মিত লেখবেন, এইটা আবদার।

    জবাব দিন
  13. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আসলে গত একমাস নানা কারণে নিয়মিত-অনিয়মিত থাকায় এই দারুণ গল্পটা আগে পড়া হয়নি। খুব ভালো লাগলো। একরকম মুগ্ধ করে রাখার জন্য তোমার ইনটেক ১০টা :frontroll: মাফ।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  14. রকিব (০১-০৭)

    সিসিবিতে চলা খুব প্রিয় তিনটা সিরিজ গল্পের একটা এইটা। আফসোস, মইনুল ভাই এখন আর নিয়মিত লেখেন না 🙁


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।