বিশ্বকাপ প্রায় ফিনিশিং লাইনে। একটা মাস ভালোই কাটলো। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল করে সবাই গলা ফাটালাম। ঝগড়া, মারামারি সবই করলাম। কিন্তু অক্টোপাস পলের কথামতো এগিয়ে স্পেন। শুধু শুধু একমাস ধরে খেলা হলো। তা না করে পলের সামনে ৩২ দেশের পতাকা রেখে ২ মিনিটেই চ্যাম্পিয়ন ডিক্লেয়ার করে দেয়া যেতো।
আমরা এমনিতেই হুজুগে জাতি। তারপর উপর তাল পেলে তো কথাই নাই। এই খেলা নিতে মারামারি, আত্মহত্যা কতো কিছু হয়ে গেলো। ওইদিন এক বড় ভাইয়ের কাছে শুনলাম উনার গ্রামে উনি আর্জেন্টিনার খেলার দিন প্রজেক্টর ভাড়া করে খেলা দেখার আয়োজন করে। প্রায় ৩০০ জার্সি কিনে বিলি করেন এবং ৫ টা গরু কিনা হয় খাবার জন্য। আবার পেপারে দেখলাম কোথায় জানি এক মাইল লম্বা পতাকা করা হয়েছে। আমাদের মতো গরিব দেশে কি অপচয়।
এমনিতেই আমরা উপলক্ষ্য খুজি খেলার জন্য। তাই বিশ্বকাপের কয়েকদিন আগে থেকে চিন্তা করতেছিলাম খেলতে হবে । অনেক আলোচনার পর ঠিক হলো, ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে একটা ইন্টার ক্যাডেট কলেজ আয়োজন করলে কেমন হয়? হায়াত ভাই ( সকক-৯১-৯৭, পরিচালক, জাগো) আর এনাম ভাই (ককক, ৯১-৯৭)কে দায়িত্ব দেয়া হলো আয়োজনের। অনেক কথা , আলোচনা, মিটিং এর পর মোটামুটি নিয়ম কানুন গুলো সেট হলো এইরকমঃ
প্রতি কলেজ থেকে ১০ জনের টীম হবে যার মাঝে কমপক্ষে ৫ জনকে ক্লাবের মেম্বার হতে হবে। (যেহেতু ক্লাবের খেলা, নাহলে সবাই কলেজ টীম নিয়ে আসবে), আর মাঠে খেলবে ৬ জন যার মাঝে ৩ জন মেম্বার থাকতে হবে। যতোবার খুশি সাব করা যাবে।
তো এরপর হলো গ্রুপিং এর পালা। লটারি করে গ্রুপিং করা হলো। গ্রুপ হলো ৩ টি এবং প্রতি গ্রুপে ৩ টি কলেজ। যেখান থেকে ২ টি যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। কো।ফাইনালের ৬ কলেজ কলেজ থেকে ৩ বিজয়ী এবং বেস্ট লুসার ( আর ভালো শব্দ পেলাম না) যাবে সেমি তে।
এখন একটু বিস্তারিত বলি খেলার।
গ্রুপ সিঃ পিসিসি, বিসিসি, এমসিসি
এমসিসি থেকে কোনো টীম না দেয়ায় গ্রুপের একমাত্র খেলাটি হয়ে যায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কারা হবে তা নির্ধারনী। সে খেলায় বিসিসি ২-১ গোলে পিসিসি কে পরাজিত করে।
গ্রুপ বিঃ এসসিসি, জেসিসি, আরসিসি
দুঃখজনক ভাবে এই গ্রুপেও আরসিসি ওয়াকোভার দেয় দুই খেলায় তাদের টীম করতে পারায়। গ্রুপের একমাত্র এবং টুর্নামেন্টের ১ম খেলায় এসসিসি ৪-২ গোলে জেসিসি কে পরাজিত করে।
গ্রুপ এঃ এফসিসি, সিসিআর, সিসিসি
এই গ্রুপ টা হয়ে দাড়ায় গ্রুপ অফ ডেথ এ। কারন ৩টাই টীম আছে এবং ৩টাই টীম যতোদূর জানা গিয়েছিলো ভালো। গ্রুপের ১ম খেলায় সিসিসি ৫-০ গোলে এফসিসি কে হারায়। ২য় খেলায় এফসিসি ৬-২ গোলে সিসিআর কে হারায় এবং ৩য় খেলায় সিসিসি আরো ভয়ংকর হয়ে উঠায় সিসিআর কে ৮-১ গোলে হারায়।
এইবার আসি কোয়ার্টার ফাইনালেঃ
১ম কো।ফাইনালে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এসসিসি মুখোমুখি হয় এ গ্রুপ রানার আপ এফসিসি। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ এ সমতা থাকায় খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় যাতে এসসিসি ৩-২ গোলে জয়মাভ করে।
২য় কোফাইনালে মুখোমুখি হয় সিসিসি আর পিসিসি। যাতে সিসিসি ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে।
৩য় কোফাইনালে জেসিসি ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বিসিসি কে।
কোফাইনালে ৩ বিজয়ীর সাথে সেমির ৪র্থ দল হিসাবে উন্নীত হয় এফসিসি (এফসিসি আর পিসিসি এর গোল পার্থক্য -১ থাকায় বেশি গোল দেয়ার সুবাদে এফসিসি সেমিতে)
তো আগামীকাল হবে ২টি সেমি ফাইনাল।
১ম সেমিঃ এসসিসি বনাম এফসিসি (বিকাল ৫ টায়)
২য় সেমিঃ সিসিসি বনাম জেসিসি (বিকাল ৬টায়)
ফাইনালঃ শনিবার বিকাল ৫ টায়।
ভেন্যুঃ ক্যাডেট কলেজ ক্লাব টেনিস কোর্ট।
হাউসঃ ২০, রোডঃ ৪৭, গুলশান -২
পেরথম 😀
ভাইয়া মাথা আউলাইয়া দিলেন তো পুরা। এত সিসি একসাথে দেখলে এমনিতেই গ্যাঞ্জাম লাগে তার মধ্যে এসসিসি দুইটা আছে। গ্রুপ এ আর গ্রুপ বি দুইটাতেই এসসিসি।
নিজের কলেজ বইলা একটু বেশি উত্তেজিত ছিলাম।
সাম্প্রদায়িকতার ব্যঞ্চাই।
হাহাহাহা এসসিসি আর এফসিসি কোয়ার্টার ফাইনাল ও খেলল আবার সেমি ও খেলব। মজার ব্যাপার হইছে।
হ্যা, ৯ কলেজ হওয়াতেই গ্যাঞ্জাম।
আপ আপ সিসিসি ...... আপ আপ সিসিসি
(সাম্প্রদায়িকতা ভাবলে করার কিছু নাই)
:clap: :clap:
:clap: :clap:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এইটা ফালতু কাজ হইছে, সিসিআর এর রিপ্রেজেন্ট কে করছে? এই রকম ট্রিকস কইরা চ্যাম্পিয়ন হইলে কি হইবো নাকি? আমার কলেজের খেলা, আর আমি জানি না :thumbdown:
যাউজ্ঞা, ভাবছিলাম, ভারত পাকিস্থান সাপোর্টিং নিয়া যখন পাব্লিক লাফালাফি করে, তখন কিছু লোক দেখি অনেক বিজ্ঞের মত জ্ঞান-জ্ঞুন বিলায়, ফুটবলে সেই লোকই দেখি আবার খাইয়া না খাইয়া জার্সি টানাটানি করে। তাই মনে হয় ক্রিকেট হইলো জীবন মরন কূটনৈতিক যুদ্ধ, আর ফুটবল হইলো নিছক বিনোদনের খেলা, রাজনীতি নাই। কিংবা ভারত-পাকিস্থান সাপোর্ট এক জিনিস, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সাপোর্ট অন্য জিনিস। একটাতে মেলা পাপ, অন্যটাতে পূন্য না থাকলেও পাপ-টাপ নাই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:clap:
অসাধারণ একটা কমেন্টস করলেন ভাইয়া :clap:
বিসিসি এর এই অবস্থা হইলো ক্যান 🙁
আমি নাই তাই B-)
রবিন ভাই.....খেলার আগে ভরপেট খেয়ে নিয়েন প্লিজ.....
ক্ষুধা নিয়ে মাঠে যাইয়েন না :grr:
জেসিসি তো দেখি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লাইনেই আছে... :thumbup: :awesome: :awesome:
:clap: 😀
Life is Mad.
:clap: 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনা দা, ব্যস্ত নাকি খুব ?
খালি ইমো মারেন.... 🙁
আপ আপ সিসিসি …… আপ আপ সিসিসি
ওই ভাইরে বইলেন আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আমারেও ১ টা জার্সি দিতে বইলেন।
জেসিসি আপ আপ আপ!!! জেসিসি জিতলে ব্লগে মিলাদ দিমু। 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এইবার কাপ সিসিসির ইনশাল্লাহ! 😀
আর আমাদের গোলরক্ষক পিরা যতদিন আছে, ততদিন সিসিসির ভয় নাই। 😀
:grr: :grr: :grr:
বুঝছি খেলা ভালো হয় নাই। সিসিসির রবার্ট গ্রীন দরকার, রিবিনভি থাকলে খেলার ভারসাম্য নষ্ট হবে, উনার হাত ফস্কে কুনু গোলই ভিতরে যাবে না!! :bash: :bash:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আজকে সিসিসি ৭-০ গোলে জেসিসিতে দিসে!
আর আমাদের পিরা ভাইয়ের দুইটা সেইভ কি আর কমু। আমি তারে চিনি এইটা কইয়াই তো বিখ্যাত হইয়া যাইতেছি 🙂
তুই তো দেখোস নাই রে। কালকে আইসা ফাইনাল খেলার আগে রিপোর্ট করবি আমার কাছে
হে হে হে । যাওয়া কথা ছিলো। যাইতে পারিনা। আমার এক দোস্ত গেছিলো খেলা দেখতে। আইসা আমারে কুমিল্লার গোলকীপারের প্রশংসা কইরা ফাটায়ে লাইলো। আমি কইয়াল, আরে এইটা তো আমাদের প্রান প্রিয় প্রিরা ভ্রাই 😀
আরেকদিন আমু। আপনার লগে আলাপ আছে 😉
কালকে আয় পারলে
রবিন সেরকম খেলসে। অবশ্য গোল কীপার হইয়াও হাত দিয়া বল ধইরা একটা হলুদ কার্ডও খাইসে নাকি 😛 ফুটসালতো , গোলকীপারেরও হাত দিয়া বল ধরা নিষেধ আছিলো, অইটা এমনে না আটকাইলে জেসিসি এইরাম লাড্ডাগুড্ডা থাকতোনা। একটা সান্তনা গোল পাইতো বলে বেচারারা :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাই, কে কইলো আমি কার্ড খাইছি, ভুল তথ্য। আপনার না আজকে আসার কথা? কালকে আসেন।