পর পর বেশ কয়েকটা ফটো ব্লগ দেয়ার পর লোকজন মনে হয় আমাকে ফাকিবাজ নাম দিয়ে দিচ্ছে। তাও ভালো তাইফু ভাই বহুদিন ধরে নাই। নাহলে অনেক আগেই নামটা দিয়ে দিতো। তাই ভাবলাম এই বেলা একটা লেখা দেয়া দরকার।
কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে ঘুরে আসলাম। ওই ট্যুর নিয়া ভাবতেছি একটা ব্লগ লেখি। ভ্রমন ব্লগ।
ট্যুর এর তারিখ অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো ১৩ই ডিসেম্বর। কারন আমাদের টিকেট করা ছিলো আরো ৩-৪ মাস আগে। মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্স এর ডিস্কাউন্ট অফারে কেটে ছিলাম। যাবার আগে কয়েকদিন বেশ ছুটা ছুটি। ভিসা, ভিসার জন্য ব্যাংকের কাগজ, ক্রেডিট কার্ডের জন্য ব্যাংক এর এনডোর্সমেন্ট, ডলার কিনা ইত্যাদি নিয়ে।
১৩ই ডিসেম্বর রাতে যথারীতি মালয়েশিয়া এয়ার এ যাত্রা করে সকাল এ কুয়ালা লামপুর এ গেলাম।
কিন্তু একটা জরুরি কাজে আমাকে ২দিন পর ঢাকায় চলে আসতে হয়। তাই এই ২ দিনের কথা তেমন কিছু বলার নাই।
১৪ তারিখ সারাদিন KL এ ঘোরাঘুরি করলাম। সন্ধায় গেলাম বিখ্যাত পেট্রোনাস টুইন টাউয়ার দেখতে। আমাদের এক দোস্ত ছিলো KL এ। সে আমাদের মনোরেল এ করে নিয়ে গেলো। আমরা নামলাম SURIA KLCC নামক একটি শপিং সেন্টার এ। সেটার ভিতর ঘুরতে ঘুরতে আরেক দিক দিয়ে বের হলাম। হঠাত সে বলে, পিছনে তাকিয়ে দেখ। আরে, দেখি ঠিক মাথার উপর টুইন টাওয়ার। সে এক দেখার মতো সীন। অসাধারন। সামনে পানির ফোয়ারা পিছনে টাওয়ার।
অনেকক্ষন ফটো সেশন করলাম। তারপর রাতে হোটেল এরিয়াতে ফিরলাম। আমাদের হোটেল এর এরিয়া এর নাম ছিলো BUKIT BINTANG. মোটামুটি দেখলাম সব টুরিস্ট এই এলাকাতেই। সারারাত এলাকা গরম।
১৫ তারিখেও আবার গেলাম টুইন টাওয়ার এ। দিনের আলোতে ছবি তুলতে হবে না? সবাই মনের সাধ মিটিয়ে ছবি তুললাম। কারন পরদিন আমাদের ৪ জনের মাঝে ২ জন চলে আসবো ঢাকায় জরুরি কাজে।
আরেকজনের আবার অন্য ডিভিশন থেকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পড়ছে। তো আসার জন্য ওইদিন গিয়ে রিটার্ন টিকেট কাটলাম বেস্ট এয়ার এ। কাজ শেষ করেই আবার ব্যাক করবো। সন্ধ্যা তে মুভি দেখতে গেলাম। “The day the earth stood still”। কেনু রিভস এর নতুন মুভি। ভালোই লাগলো। এম্নিতেই আমার সাইন্স ফিকশন জোস লাগে। রাতে আবার আমাদের কয়েকজন গেলো বডি ম্যাসেজ করতে। ফি দেখে গেছে ৫০ রিংগিট। মানি ব্যাগ রেখে গেছে আমার কাছে। একটু পর ফোন।
কি ব্যাপার।
আরো ৫০ রিংগিট লাগবে।
কেনো?
ম্যাসেজ এর সাথে কিছু এক্সট্রা সার্ভিস এর জন্য। হা হা।
পরদিন আমি আর আরেকজন ঢাকায় আসলাম। এসেই প্ল্যান চলতে থাকলো কতো তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়। থার্টি ফার্স্ট করতে হবে তো।(চলবে…)
২৮ টি মন্তব্য : “মালয়েশিয়া ভ্রমন (পর্ব-১)”
মন্তব্য করুন
মাস্ফ্যু আবার ফেরাস্ট হইছে 😀
এত্ত ফেরাস্ট না হইয়া ব্লগ দিলেই তো পার।
তুমি কি খুব ব্যাস্ত নাকি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
2nd 😀
ম্যাসেজ এর সাথে কিছু এক্সট্রা সার্ভিস এর জন্য।
কি সার্ভিস মামা?? :-/ :-/
যদি বয়স হইয়া থাকে ইশারাতেই বুঝার কথা, আর বয়স না হইলে শুনার দরকার নাই :))
আমিও এক্সট্রা সার্ভিস নিপো :(( :(( :((
চল মালয়েশিয়া নাইলে থাইল্যান্ড
বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। মাস্ফু ভাই বুঝে নাই। এর মানে কি? :-B
মাস্ফু রে জিগা
বাহ্... :dreamy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😕 😕
হুমমমম........ :dreamy: ।
:clap: :clap: :clap:
Life is Mad.
:salute:
রবিন, চালাইয়া যা তোর মালয়েশিয়ার গল্প। আরেকটু বিস্তারিত দিস, তাইলে সবাই খুব মজা পাবে।
চেস্টা করবো দোস্ত
উরি কত্ত উচা এইডা.........।
হুমমম, বুচ্ছি তো, তুমি যাও নাই। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি বাইরেই ছিলাম।
রবিন, ভাল হচ্ছে, লিখতে থাক
চলুক :thumbup:
ইনশাল্লাহ
যাক অবশেষে রবিন ভাই লেখা দিল :dreamy: :dreamy:
আমিও বডি ম্যাসেজ করতে যাপো :(( :(( (কপিরাইটঃ মাস্ফ্যু ভাই)
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
তাড়াতাড়ি যা
বহুত ঘুরাঘুরি করছোস, এইবার যদি ফ্যান্টাসিটা না নামাইছোস, তাইলে তোর পেট্রোনাস টাওয়ারের লগে লুঙ্গি পিন্দায়া লংআপ কেউ আটকাইতে পারবোনা কইলাম 😡 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাইএর কমেন্ট সমাপ্ত কইরা দিলাম... 😉 :-B O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😮 😮 😮 😮
বস যে আপনার উপর খেপছে- এইডা খুবই স্বাভাবিক... :-B
আমার যতদূর মনে পড়ে বছর দুএক আগে আপনি কইছিলেন ফ্যান্টাসির পার্ট থ্রি অচিরেই আসিতেছে... :dreamy:
ব্লগের মানুষগুলার কচি মনে দাগা দেয়া আপনার ঠিক হয় নাই... :no: :thumbdown:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভাই, তুমার এই কমেন্ট পিড়াই লিখতে বসছি। আসলে, ডিসেম্বর মাসটা খুব ব্যস্ত ছিলাম। তার উপর দেশে ছিলাম না। ইনশাল্লাহ, অচিরেই দিতে পারবো।
(আরেকটা কারন ছিলো, আগের দুই পর্বের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারবো কি না, এই ভয়)
আমিও মালয়শিয়া ঘুরতে যাপো :(( :(( (কোন কপিরাইট নাই)
যাবার সময় টিপস নিয়া যাইস