শালার চেহারা ছবি এতই আনইম্প্রেসিভ যে অপরিচিত লোকজন তো বটেই, আমার খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবরাও মাঝে মাঝে সন্দেহ করে আমি মনে হয় কোন গ্যারেজে অথবা মেশিন ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসেবে পার্ট টাইম জব করি! 🙁 ড্রেস-আপ গেট-আপের জন্য জীবনে কম ধরা খাইনি। টিউশনির ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বাসায় বাবা, এক সময়ের পার্বতী, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এমনকি আমার কাছের বন্ধুরা, সবার একই অভিযোগ আমার টার্ন-আউট ঠিক নেই। ঠিক যে নেই সেটা আমিও টের পাই।
বিস্তারিত»মোবাইল বিড়ম্বনা- আমার কাহিনী…!!
[সায়েদ ভাইএর মোবাইল ফোন নিয়ে পোস্টটা পড়ে আমার নিজের মোবাইল বিড়ম্বনার কথা মনে পড়ে গেল…সবার সাথে শেয়ার করার লোভ ছাড়তে পারলাম না…]
মোবাইল ফোনের বিড়ম্বনার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সপ্তাহে দু’এক দিন ‘সরি রঙ নম্বর’ কিংবা ‘আপনি ভুল নম্বরে ডায়াল করেছেন’…এসব কথা বলতে হয় না-এমন লোক এখন খুব কমই আছে…কলরেট কমে যাওয়ার কারনে মানুষ এখন আর আগের মতন সাবধানী নেই,
বিস্তারিত»যেমন কুকুর তেমন মুগুর
অফিসের দূরন্ত ব্যস্ততার মধ্যে মেসেজটা পড়ে মেজর সোহেলের মেজাজটা গেল খচরে। হাতের কাজ ফেলে রেখে প্রেরকের নম্বরে ফোন দিলেন – ওপাশে মেসেজের মতোই উদ্ধত ব্যবহার। প্রতিটা শব্দ মেপে মেপে যথেষ্ট ওজন দিয়ে বাক্য গঠন করে মেজর সোহেল নিজের পরিচয় দিলেন। র্যাব-৪ এর অপারেশনস অফিসারের অবর্তমানে তিনিই যে দায়িত্ব পালন করছেন তাও জানালেন। কিন্তু কানে পানি গেল না। “এইরকম বহুত র্যাব দেখা আছে” বলে জানালেন ওপাশের ভদ্রলোক।
বিস্তারিত»শীতের শুরুতে আর বছরের শেষে জমে থাকা কথারা কম্বলের ওম পোহাতে চায়
শুরুঃ
শুরু বলে আদৌ কিছু নেই। সেখানে পেছোতে পেছোতে আমরা একেবারে পিছনে গিয়েও একটা আদি সুতো পাই, যার মাথায় আরো অন্য সুতোর লেজ বাঁধা থাকে। এই আপ্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিলে আমরা অনায়াসে হাল ছেড়ে দিতে পারি। তখন বাকি থাকে যেকোনও একটা শুরু বেছে নেয়া। যেকোনভাবে ঠেলা দেয়ার মতো একটা কথা বলতে শুরু করে দিলে পরের কথা গুলো এমনি এমনি চলে আসবে। এদেশে মানুষের অভাব নাই,
ক্যাডেট কলেজে জানাযার নামায
নামায পড়ি সচরাচর আমরা সবাই। আর ক্যাডেট কলেজে থাকতেও পড়তাম। কিন্তু জানাযার নামায? এমনিতেই প্রায়শঃ এই নামাযটি পড়ার সৌভাগ্য কারো হয়না, ঘটনাক্রমে হয়ত কখনো পড়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ক্যাডেট কলেজের ৬ বছরে এই নামায পড়ার অভিজ্ঞতা ক’জনের আছে?
আমি সেই ৬ বছরে কলেজে একটাই জানাযা অনুষ্ঠান পেয়েছি। তা ছিল আমাদের কলেজের বুকবাইন্ডার কাজেম সাহেবের। অশীতিপর বৃদ্ধ এই লোকটির পেশা ছিল লাইব্রেরির বই বাঁধাই করা,
বিস্তারিত»হাউস পদক
সোহরাওয়ার্দী হাউসের ক্যাডেটঃ
২০০১ এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিনে ৪*৪০০ মিটার সম্পূরক দৌড়, বড়দলের। দৌড়ের এক কৃতি দৌড়বিদ কোন এক অজানা কারণে অংশ নিতে পারবেন না। খোঁজ খোঁজ রব উঠলো চারিদিকে। কাকে পাঠানো যায়- কাকে? কাকে? কাকে? হাউসের চালনে ওয়ালারা তখন শরণাপন্ন হলেন দ্বাদশ মানের এক ক্যাডেটের কাছে। তার বড় বড় দু’ পা দেখে চালনেওয়ালাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি- তার মাঝে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনার বীজ।
বিস্তারিত»ফটো ব্লগ : মনরোভিয়া
১. ছোটবেলা থেকে লেখাপড়া করতে করতে একটা জিনিস মাথায় ঢুকে গেছে যে বাংলাদেশের সব বড় শহরই কোন না কোন নদীর তীরে অবস্থিত। সেটার সাথে মিল খুঁজতে যেয়েই ম্যাপে আবিস্কার করলাম “মনরোভিয়া” অবস্থিত “মেসুরাডো” (Mesurado) নদীর তীরে। পশ্চিমে আটলান্টিক আর পূর্বে মেসুরাডোকে রেখে মধ্যখানে গড়ে উঠেছে মনরোভিয়া শহরটি।
বিস্তারিত»আইসিইউ, ঢাকা সিএমএইচ
৯ আগস্ট ২০০৭ এর রাত সাড়ে দশটার দিকে ফোন আসল শাইখের কাছ থেকে। যশোরে একটা বাইক এ্যাক্সিডেন্ট করে নাকি তিনজন এয়ার ফোর্স অফিসার আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে অবস্থা খারাপ রাজীবের। ওকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচ’এ ইমার্জেন্সি ইভাকুয়েট করা হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পর আর বাসায় থাকা হলো না। এক ছুটে যখন সিএমএইচ এর পার্কিং লটে পৌঁছালাম ততক্ষণে রাজীবের সঙ্গীসাথী অফিসার কলিগরা এসে পড়েছে। রাজীবের বাবা মা’ও এক পাশে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিস্তারিত»আমার বিসিএসঃ কবীর ভাইয়ের বিপ্রতীপ গল্প
পড়াশুনা কইরা কে কবে দুইন্নায় কি করছে?লাস্ট ৯ মাস রেগুলার দিনে অন্তত ১০ ঘন্টা পড়াশুনা করসি-এই বিসিএস কোয়ালিফাই করলে আব্বার আগে সিভিল সার্ভিসে ঢুকতে পারুম,জীবনে কোনদিন আব্বা আম্মারে তো খুশি করতে পারিনাই এইটা একটা চান্স ইত্যাদি ইত্যাদি… এই আশায়।কোচিং থিকা শুরু কইরা মডেল টেস্ট কিচ্ছু বাদ রাখিনাই-যেহেতু আমার বয়স কম আর পরীক্ষা দিতে হইতেছে ইয়া বয়স্ক মানুষদের সাথে-ভাল করার একটা তাগিদও ছিল।শুধু এই পরীক্ষা ধরার জুন্যে লাস্ট দুই সেমিস্টারের পড়া একসাথে নিয়া এন এস ইউ রেকর্ড টাইপ প্রেশার নিছি(এক সেমিস্টারে ২১ ক্রেডিট)।আর এইটা করতে গিয়া ডিপার্ট্মেন্টে দৌড়াদৌড়ির কথা আর নাই কইলাম।প্রশ্ন যে কঠিন হইছিল এইটাও কওয়া যাইবোনা-হালকা ট্রিকি আর এক্টু আনকনভেনশনাল ছিল বড়জোর।
বিস্তারিত»আমার বিসিএস পরীক্ষা…!!!
আমার খুব শখ ছিল বিসিএস পরীক্ষাটা হেব্বি মাস্তি করে দেব…একে তো জীবনের প্রথমবার, তার উপর আবার চান্স পাব কিনা- এরকম কোন টেনশন নেই। কারন আমি নিশ্চিৎ যে আমার হচ্ছে না। জীবনে আর বিসিএস দেয়া হয় কিনা-কে জানে!! সুতরাং মাস্তি না করার কি আছে??
কিন্তু হায়! মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক…সিট প্ল্যান দেখে জানতে পারলাম, আমার সিট পড়েছে কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ, লক্ষ্মীবাজার!!! অর্থাৎ কিনা সদরঘাটের কাছাকাছি…আমি থাকি বনানী,
বিস্তারিত»ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-০৩ (শেষ পর্ব)
শেষ তিন দিন সিসিবি তে আসতে পারি নাই। এসেই দুইটা মন খারাপ করার মতো খবর। মশিঊর ভাই এর টা আগেই একক থেকে শুনেছি।
দুইটা এমব্যাসী আর ব্যাংকে দৌড়াতে দৌড়াতে জান শেষ। একবার বলে এই পেপার দাও, আবার ওইটা। টুরিস্ট ভিসা এর যদি এই হাল হয়, না জানি অন্যগুলার কি হয়।
আজকে আসলাম সিসিবি তে। অনেক গুলা লেখা জমছে। সব পড়তে পারি নাই। হিট টুসকি পড়লাম।
মেজর মশিউর : ভালোবাসা নিও ভাই
মেজর মশিউর কি আর নেই? কদিন আগে সাইফের পোস্টে ওর অসুস্থতার খবর পড়েছিলাম। আজ (২৯ নভেম্বর, ২০০৮) ইত্তেফাকের ৪-এর পাতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার জানানো শোক শ্রদ্ধার সংবাদ পড়ে আর সিসিবিতে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। কামনা করি মশিউর ভালো থাকুক। কিন্তু প্রকৃত তথ্যটা কিভাবে জানা যাবে?
বিস্তারিত»শোক সংবাদ
অনেকেই হয়তো জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটের সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেট তাসনুবা আত্মহত্যা করেছে।
গার্লস ক্যাডেটের শিক্ষিকা দেলোয়ারা ম্যাডামের কাছে ফোন করে জানা গিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হবার কারনে মেয়েটি এই পথ বেছে নেয়। বাসা থেকে তার উপর ভালো ফলাফলের চাপ ছিল- সেই চাপ সইতে না পেরে সে আজীবনের জন্য চাপমুক্ত হবার পথ বেছে নিয়েছে।
একজন চিকির আত্মকাহিনী
(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)
আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার,
বন্ধুত্বের ৩৪ বছর : জীবনের তিন চতুর্থাংশ
ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচটা একটা জিনিষ! কলেজে যেমন ছিল তেমনি বাইরে এখনো সবগুলো দারুণ প্রাণবন্ত। সুযোগ পেলেই আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো আর ছেলেমানুষি কান্ডকারখানায় প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই বালকগুলোর জুড়ি মেলা কঠিন। বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কটা যেমন দূর্দান্ত, তেমনি সম্পর্ক তাদের স্ত্রীদের মধ্যেও। রবীন ও রায়হানের প্রদর্শিত ব্লগীয় ধারা বজায় রেখে ২১তম ব্যাচের একটি ফটোফিচার।
বিস্তারিত»