কলেজে ক্লাশ টেন এ থাকা কালীন এটা লিখা শেষ করছিলাম।ইচ্ছা ছিল কোন একদিন সুযোগ হলে কারও কাছে সাবমিট করবো চলমান ছবি হিসেবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।সেই স্বপ্নটা সত্যি হতে চলেছে শীঘ্রই ইনশাল্লাহ :-)যা হোক সিসিবি তে সবার সাথে ধারাবাহিক হিসেবে শেয়ার করার চেষ্টা করছি…( এটা একটা সত্য ঘটনা,চরিত্র গুলোর নাম অনেক গুলোই বাস্তব,ঘটনার কিছু কিছু অংশ শুধু লেখার জন্য একটু আলাদা করে ফুটিয়ে তোলা)
****************************
আমি এই মুহুর্তে কোথায় আছি সেটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি,বোধ হয় হাসপাতালে।আশেপাশের সবাই সম্ভবত আমাকে নিয়ে দারুন ব্যস্ত আর উৎকন্ঠিত।জানিনা কেন তাদের এত ব্যস্ততা আমার জন্য।হয়তো আমার প্রতি এ মুহুর্তে তাদের প্রচন্ড ভালবাসা জন্মে গেছে,সে ভালবাসা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রকম,যা রঙ বদলায়।ভালবাসার কি আদৌ কোন নির্দিষ্ট রঙ আছে?ঠিক জানিনা।তবে আমি এটুকু বলতে পারি,প্রত্যেকের মাঝেই ভিন্ন ধরনের ভালবাসা আছে।আমি এমন কেউ নই যে এরা আমাকে নিয়ে এতটা উৎকন্ঠিত হবে,আমি আমার নিজের কাছে খুব সাধারন,হয়তোবা অন্যদের কাছে আলাদা।আমি এ মুহুর্তে আমার বুকের সব জায়গা জুড়ে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছি,এক ধরনের তীব্র যন্ত্রনায় আমার সর্বাঙ্গ ভরে যাচ্ছে।আমার মুখে অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হয়েছে।আমি শুধু চেয়ে চেয়ে সবার কাজ দেখছি।কেবল চেয়েই আছি,চোখ বুজতে ইচ্ছা করছেনা,কেমন যেন একটা অদৃশ্য ভয় আমাকে ছেয়ে আছে।সে ভয়ের জন্য আমি চোখ বুজতে পারছিনা,বুঝতে পারছিনা কি সে ভয়।সেটা কি মৃত্যু?আমার আশেপাশে যারা আছে তারা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছে তবে তাদের কথার বিষয়টা বুঝতে পারছিনা,হয়তোবা আমাকে নিয়েই কথা হচ্ছে এদের মাঝে।আমায় এখানে নিয়ে আসার আগে কি ঘটেছে আমার খেয়াল নেই।তবে,এটা মনে আছে যে কেউ একজন আমার হাতটা চেপে ধরে কেঁদেছিলো,কিন্তু কে কেঁদেছিলো?না,মনে পরছেনা।অনুভব করতে পারছি যে তার হৃদয়ে আমার জন্য ভালবাসার এতটুকু কমতি নেই।কিন্তু কে সে?আমি প্রচন্ড চেষ্টা করছি মনে করার;না মনে পরছেনা।আচ্ছা সবারই কি এমন হয়?যে মানুষটা তাকে ভালবাসে,প্রচন্ড রকম ভালবাসে অথচ তাকেই সে অনুভব করতে পারেনা কিংবা তার অস্তিত্বকে সহজে আবিষ্কার করতে পারেনা।কি জানি,তবে আমার মনে হচ্ছে আমি আবিষ্কার করতে পারবো।
আমার মাথার ঠিক উপরে কিছু বাতি জ্বলছে।খুব উজ্জ্বল আলো।হয়তোবা একসময় নিভে যাবে।যখন বাতি গুলো নিভে যাবে মনে হচ্ছে তখন আমি গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাবো।কেমন যেন নিজেকে শুন্য শুন্য মনে হচ্ছে।আমার সবকিছু থেকে হয়তো আমি অনেক অনেক দূরে।খুব ইচ্ছে করছে আমার ফেলে আসা অতীতকে ফিরে পেতে,আমি জানি তা সম্ভব নয়,আমি অনেক অনেক দূরে চলে এসেছি।আমার স্বপ্নীল একটা অতীত ছিলো যা আমার অস্তিত্বে ছায়ার মত লেগে আছে।সেই অতীত আজ আমায় ছেড়ে যেতে চাইছে।যে অতীত আমার প্রিয় সঙ্গী ছিল সর্বক্ষনের,সে বহুদূরে যেতে চাইছে।আমার অতীতের মাঝে আমার কিছু পরিচিত,অপরিচিত অস্তিত্ব জায়গা দখল করে নিয়েছিল,সেই অস্তিত্বেরা মৃত আত্মার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার অতীত জুড়ে।অতীত আমার সামনে এখন স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠতে চাইছে।উহ!কি তীব্র যন্ত্রনা।চোখ বুজবো কিনা বুঝতে পারছিনা।সেই ভয়ে আমি কুঁকড়ে যাচ্ছি।বাতি গুলোর উজ্জ্বল আলোর মাঝে আমার অতীত স্পষ্ট হয়ে উঠছে,আমি সেই অস্তিত্ব গুলোকে দেখতে পাচ্ছি।বেশকিছু চরিত্র,কিছু চেহারা চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।জানিনা অতীত আজ কেন তার ভেতরকার অস্তিত্ব গুলোকে মেলে ধরছে আমার সামনে। তবে এটুকু বুঝতে পারছি সেই অদৃশ্য ভয় আমাকে গ্রাস করতে চাইছে,শেষ করে দিতে চাইছে।
( চলবে………)
৮ টি মন্তব্য : “অতঃপর সেই আমি-১”
মন্তব্য করুন
চলুক...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup: :thumbup:
পরের পর্বের অপেক্ষায় । :boss:
পরেরটা ছাড় কুইক......হারি আপ!!
পরের পর্বের অপেক্ষায় । :clap:
🙂 🙂 হাত পা বিথা করে...পা ঝি ঝি করে...লিখতে বসলে...আজ বা কাল রাতের মধ্যে হয়ে যাবে...মস্ফু ভাই কুই কুই?????
একটা বেল্ট দরকার।
কই যে পাই 🙁 😕 😕
=)) =)) সবচেয়ে সহজ উপায় ...ফার্মগেট এর বাসস্ট্যান্ড এর আশেপাশেও পাওয়া যাবে অথবা সেই বেল্ট খানা পাইতে চাইলে কলেজে যাও,হাউসে ঢুকে ...যে কোন ফার্স্ট হাই টেবিল এ বসুয়া পাবলিক এর রুম এ হানা দাও...