
ব্যাচ পিকনিক ২০০৯,ন্যাশনাল পার্ক ,গাজীপুর
গত দুবছর ধরেই আমরা ব্যাচ পিকনিক চালু করেছি।আমাদের এক ফ্রেন্ডের বাবা আমাদেরকে একটা বাস দেন আর আমরা নিজেরা খাবারটা ম্যানেজ করে পিকনিকটা করে আসি।খুবই মজা হয়।সারাদিন ক্রিকেট,ফুটবল,আর একে অন্যকে পঁচানি।কি করে যে দিনটা চলে যায় টের পাওয়া যায় না।এইবার আমাদের সেই পিকনিকের দায়িত্ব পরে গেলো আমার আর সোহেলের উপর।এবং টের পেলাম ব্যাপারগুলা যতটা সহজ মনে হয় অতটা সহজ নয়।আমার কাঁধে দায়িত্ব তার জন্যেই কিনা জানি না আংকেলের দেওয়া বাসটা এবার আর পাওয়া গেলো না।বাজেট বেশি হয়ে গেলে পোলাপাইন যেতে রাজি হয়না তাই আমি একটু চিন্তায় পরে গেলাম।পরে নাহিদ জানালো বাস না দিলেও আঙ্কেল তার নিজের জীপটা দিচ্ছেন।আমিও একটু শান্তি পেলাম।২০তারিখ সকালে একটা মাইক্রো,নাহিদের প্রাডো,স্টার থেকে নেওয়া লাঞ্চ আর সাথে ৪ জন ভাবী নিয়েআমরা রওনা দিলাম গাজিপুর ন্যাশনাল পার্কের উদ্দেশ্যে। :awesome: :awesome:
ও আচ্ছা ভাবী নিয়ে যাওয়া নিয়েও বেশ মজা হলো। আমাদের এক আর্মি অফিসার বন্ধু আমাকে ফোন করছে ও পিকনিকে ওর গার্লফ্রেন্ড্র নিয়ে যাবেই।নইলে ও যাবেনা।আমি আবারো পরলাম বিপদে।সবাই বড় হইছে,শুক্রবারটা সবাই রাখে ডেটিং করার জন্য।এ জন্যেই দেখি অনেকে যেতে রাজি হয়না।ঠিক করলাম আমরা আসলেই বড় হয়ে গেছি,তাই এখন থেকে যত মিট হবে ভাবীদের এলাউ করা হবে।সুতরাং বন্ধুদের যাদের বঊ এবং বউতুল্য গার্লফ্রেন্ড আছে তাদেরকে আবারো জানানো হলো।ওরা মহা আনন্দে অন্য সবাইকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে বউ নিয়ে পিকনিক করতে চলে এলো।মোট ৪ জন কাপল পাওয়া গেলো।এবং অনেকেই আমার উপর খেপে গেলো।ওদেরকে কেন জানানো হলো না যে লেডী’স নিয়ে আসা যাবে।ওরা এখন বিদ্রোহ করবে। ~x(
যাই হোক অনেক কষ্টে সবাইকে বুঝিয়ে এবং আগামী থেকে সকল প্রোগ্রামে বঊ বাচ্চা নিয়ে আসা যাবে এই ঘোষনা দিয়ে সবার মন ভালো করা হলো।
ভাবী আর ভাইদের কে জীপে তুলে দিলাম।সাথে গার্ড হিসেবে একজন থাকলো….. :grr:
আর আমরা যারা ব্যাচেলর তারা মনে মনে আগামী পিকনিকে ঐ জীপে বসার স্বপ্ন নিয়ে :dreamy: মাইক্রোবাসে উঠে গেলাম ।

অভাগা ব্যাচেলর পার্টি
গাড়িতে উঠেই শুরু হয়ে গেলো আড্ডা আর পঁচানি।আর আমি সবার কথা শুনি আর চিন্তা করতেছি কোন গল্পটা সিসিবিতে দিবো।এর মধ্যে একটা গল্প এখনই বলে দেই।ঘটনাটা ওয়াহিদের মুখ থেকে শোনা।
“আমাদের সুরমা হাউসের কাহিনী।আমাদের প্রেয়ার রুম আর রীডিং রুমের মাঝখানের ওয়ালের উপরটা ফাকা।ইচ্ছা করলে কেউ লাফ দিয়ে প্রেয়ার রুম থেকে রীডিং রুমে যেতে পারবে।আবার রীডিং রুমটা হলো টিভিরুমের সাথেই।
আমাদের এক সিনিয়র ভাই।উনি নামাযের ইমামতি করছেন।সবাইকে নিয়ে সেজদায় গেছেন ।এমন সময় টিভি রুম থেকে ভেসে আসলো বাংলা সিনেমার গান..”অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে…”
সেই ইমাম সেই গান শুনে আর থাকতে না পেরে তার মুক্তাদিরদেরকে সেজদায় ফেলে রেখেই ওয়াল টপকে রীডিং রুম হয়ে এক দৌড়ে টিভি রুমে……..
পরে আমাদের একফ্রেন্ড ইমামের দায়িত্ব নিয়ে কোনোমতে নামাজটা শেষ করে সেও দৌড়ে টিভি রুমে…..”
আবার পিকনিকে ফিরে আসি।
একটু পরই দেখি কাপল পার্টির ফোন।ওদের বঊরা নাকি বমি স্টার্ট করে দিছে।এ।সি তে সমস্যা।এখন আমাদের গাড়ি থামাতে হবে।ওরা এইখানে উঠবে।সবাইকে
এই কথা বলার পর দেখি একটু আগে যাদের মন খারাপ ছিলো বঊ নিয়ে না আসতে পারার জন্যে তাদের মুখে একচিলতে হাসি।যাক শান্তিতেই আছি তাহলে। :))
ভাবীরা এখন আমাদের সাথে মাইক্রোতে।এইবার শুরু হলো ভাবীদের সামনে তাদের জামাইদের কে
পঁচানি।অভির ভুড়িটা একটু বেমানান ভাবেই গোলাকার হয়ে যাওয়াতে বেচারাকে ওর বউয়ের সামনে বেশ পচতে হলো।সবাই ধারনা অভি কনসিভ করে ফেলছে।যেকোনো সময় কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। 😛
বেশ মজা করেই ন্যাশনাল পার্কে পৌঁছলাম।ওখানে গিয়ে এ ফর্ম বি ফর্ম ফুটবল আর ক্রিকেট খেলা হলো।লাঞ্চের পর গানবাজনা।ভাবীদের নিয়ে পিলো পাস খেলা।কিভাবে যে সময়টা কেটে গেলো টের পেলাম না।
শেষ সময়ে সবার মুখে একটাই কথা ।আগামী পিকনিকে কেউ আর একা আসতে চায়না।সবার আশা যেন পূরণ হয় সেই দোয়া করছি।

পিলো (নাকি ফুটবল) পাসিং

আফটার লাঞ্চ আড্ডা...

আমরা সবাই
আশা করি আগামী পিকনিকটাও যেন এমন মজাই হবে।সবাই যেন ভালোভাবে আসতে পারে।
২৩ তম ব্যাচের সবার প্রতি রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।বন্ধুরা তোদেরকে অনেক অনেক
ভালোবাসি। :salute:
আহা :dreamy: :dreamy:
কবে যে ভাবী নিয়ে পিকনিকে যাবো :bash: :bash:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সবুরে মেওয়া ফলে.... 😀
আইজকাল খালি আঙ্গুর ফলে টক স্বাদ নিয়াই চিন্তা করি 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একটা ডায়লগ আছে না..."খুধার্ত কালে ভদ্রে অন্যের খাবার দেখিয়া তৃপ্তি পায়..."
ওইটা চিন্তা করা যায় না... 😛
মাঝে মাঝে ঐটা চিন্তা করি, কিন্তু তারপরই আবার সুকান্ত হয়ে যাই,
😛 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাদ যেন ঝলসানো রুটি... 😛 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কনক ভাই স্বাগতম, নিয়মিত লিখে যায়েন। 😛
ধন্যবাদ আপু
কনক, মজা পেলাম লেখাটা পড়ে।
(অফটপিকঃ শেষ ছবিটায় একজনের অর্ধেক দেখা যাচ্ছেনা। ছবিটার ক্যাপশন "আমরা সবাই-০.৫" দিতে পার। 😛 )
তানভীর ভাই, ইয়ে প্রহর শেষে রাঙ্গা আলোর ০৬ নম্বরটা... 😕 😕
সিনিয়রকে তাড়া দেয়ার জন্য আমার ভ্যাঞ্চাই :bash: :bash:
লিজ্জা পিলাম .. 😛 ঠিক কিরি দিচ্ছি...
পিচ্চিগুলা বড় হই গ্যাছে :dreamy:
বউ আর বউ তুল্য বান্ধবী নিয়া ঘুরাঘুরি করে
সিনিয়র হইয়া কি করুম আর সিটি দেই
:party: :party: :party:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আবারো খিবি লিজ্জা পিলাম .... 😛
দোস্ত বেশ ভাল লাগলো। অনেক বড় একটা জ়িনিস মিস করলাম। ফেইসবুক এ ছবির জন্য ওয়েইট করছিলাম, তারেক এর সুবাদে ফাটাফাট দেখলাম।তবে আরো বেশি ছবি আশা করেছিলাম। তোর কাছে থাকলে দিশ।কাল ছবিগুলো দেখে আসলেই খুব ভাল লেগেছিল।লিখাটা পড়তে পড়তে নিজেকেই ঐখানে আছি বলে মনে হল।সাফাত এর কাহিনী জানতাম, কিন্তু এর মধ্যে যে কতিপয় নারীকূল আমাগো ৩জনের মুখের ভাষা কাইড়া নিসে জানতুম না।
মাঝখানে তুই কই ছিলি?? কোন পাত্তাই ছিল না।পরীক্ষা ছিল নাকি?ভাল আছস তো?
দোস্ত, বেশ ইমোশনাল লাগতেসে, লাইফটা বেশি ফাস্ট।কিন্তু তার মধ্যেও যদি পাল ছেড়ে থাকতে হয় এতদিন, কিছুই ভালো লাগার কথা না। ইদানিং হোম সিকনেসটা একটু বেশি ধরেছে।দোয়া করিস, দোস্ত।
হ্যা দোস্ত পরীক্ষা ছিলোরে...
আরে আরও অনেক নারীকুল মুখের ভাষা কাইড়া নিছে..খবর পায় নাই বইল্ল্যা কেউ পিকনিকে আনতে পারে নাই... :((
দেশে আয় একবার ঘুড়ে যা...ভালো লাগবে
জুনিয়র পোলাপান বিয়াও কইরা ফালাইতেসে... খাইসে!! কই যামু আমি?????
আমাদের ব্যাচের(রকক) ১ জন বিয়ে করছে। আপনি কতো পিছাইয়া গেলেন। আহারে বেচারা :grr:
=))
দিন দিন খালি পিছায়াই পড়তেছি... :bash: :bash: :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ ভাই চিন্তা কইররেন না ...আল্লাহ ভরসা ... 🙂
খুবই দুঃখজনক =)) =))
:thumbup:
ব্যাচমেট :hug:
আমি সিসিআর এর............
সিলেটের একজনকে চিনি: তৌহিদ......আইএসএসবিতে একই গ্রুপে ছিলাম..... বুয়েটে ছিল ও, পরে তো মনে হয় ডিইউ বায়োতে চলে গেল......
ব্লগে স্বাগতম 🙂
হেহে...কনক হইল পুরান পাপী। 😀 😀
দোস্ত ধন্যবাদ... 😛
তোকেও স্বাগতম :hug:
হুমম তৌহিদ ডিইউতে আছে।,টিচার হবে হবে ভাব... 🙂
তোরা ? :clap: ।
চমতকার ব্যাপার স্যাপার ঘটাইয়া ফেললি দেখি। সাবাস
😛
বাহঃ রায়হান...তোমরা তো আমাদের ব্যাচরে এই একটা দিক দিয়া (ভাবীদের সংখ্যা) দিয়া পিছনে ফেইলা দিলা...। ভালো ...ঐটাকে নীহার না...কি করতেসে ও?
সামিউর ভাই...একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন...দেখবেন চিপাচাপা দিয়ে অনেকেই ভাবী বানায় ফেলছে.. 😀
আমাদের লিগ্যাল ভাবী হইলো ৪জন ।এখানে খালি একজন লিগ্যাল ভাবীই আছে :))
নীহার আর্মিতে আছে....
যতবার এই ব্লগটা দেখতেছি আমারও পিকনিকে যাইতে মন চাচ্ছে খালি 🙁
যাও যাও আপু সবাই মিলে ঘুরে আসো।খুব খুব মজা পাবা.... :party:
তোরা কি ভাইদের নিয়ে যাবি নাকি? 😀 ;))
রায়হান,
নীহার বিয়ে করছে নাকি? :clap: সেদিন DU ক্যাম্পাসে দেখা হলো,ব্যাটাতো কিছু জানালোনা............
যাইহোক খুউউউউব ভাল লাগছে লেখাটা পড়ে। বিশেষ করে টি.ভি রূমের ঘটনা টা শুনে।আমাদের তিতুমীর হাউসে ও একবার এমন ঘটছিলো। 😀 😛 :))
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
শাওন ভাই
নীহার এখনো বিয়ে করে নাই...আর্মিতে আছে তো....পারমিশন না পেলেতো করতে পারবে না... :((
াপনাদের এই আইডিয়াটা খবই জোশ। :clap: :clap:
🙂
:party: :party:
Life is Mad.
প্রাণবন্ত পোস্ট।
🙂
অনেক দিন পোলাপান্দের লগে পিকনিক এ যাওয়া হয়নি।
আড্ডাও হয় না ম্যালা দিন।
পোস্ট টা পড়ে মন টা কেমন জানি খালি খালি লাগতেছে।
বন্ধু তোদের মিস্ করছি ভীষন।
সৈয়দ সাফী
ভাল ছিল কনক :clap: । আমিও পিকনিকে যাপো ।
বড়ই হিংসিত হইলাম :((
আমাদের ব্যাচে ব্যাচ পিকনিক করার জন্য ডাক দিলে দেশে দশটা পোলাপানরেও পাওয়া যাবেনা...নর্থ আমেরিকা পার্টি শুনছি উল্টা টরেন্টোতে পিকনিক করসে... x-(
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
কন কী???? সাকেব ভাই, নর্থ আমেরিকা প্রবাসী ক্যাডেটদের কোন অর্গানাইজেশন আছে?????
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব,
তোমার চায়ের দোকানটা কি কানাডায়?
কোন ভার্সিটির ক্যান্টিনে?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আমেরিকায় এক্স-ক্যাডেটদের অনেক অরগানাইজেশন আছে
সাকেব ভাই
পোলাপাইন এরেঞ্জ করে অনেক টাফ।সবাই খালি এক্সকিউজ খুঁজে।এই জন্যেই তো এদের জন্যে বিভিন্ন অফারের লোভ দেখাইতে হয়... 😀
সুন্দর পোস্ট! ছবিগুলোও চমৎকার!!!!! :thumbup:
ব্যাচমেট...... :hug:
রায়হান দোস্ত BLOG টা পইড়া মজা পাইসি...থাঙ্কস এই ভাবে লিখার জন্য...ভাল থাকিস...।
হা হা... গুড হাউস গুড হাউস 😉
দোস্ত... লিগ্যাল ভাবী ৪ জন কারা কারা? মিস করলাম পিকনিকটা... খুব দেশে আসতে মনে চায় 🙁
তুই শালা দেশে আয়...তুই আর ভাবীর সম্মানে আরেকটা পিকনিক হবে..কি বলিস?? :))