একখানা সুসংবাদ (সাময়িক পোষ্ট- আপডেটেড)

সম্প্রতি ২৮তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। অতিশয় আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, সিসিবির সুবিশাল মহীরূহ মাসরুফ ভাই (৯৭-০৩) কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমরা আশা করবো তিনি মৌখিক পরীক্ষাতেও সাফল্যের হাসি হাসবেন 😀 । অভিনন্দন রইলো আমাদের প্রিয় মাস্ফ্যুদার জন্য। :goragori: :goragori:

আমাদের অন্য যারা ২৮ তম বিসিএসে অংশ নিয়েছিলেন তাদের ফলাফল জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
________________________________________________________

অবশেষে মাসরুফ ভাই বিজয়ীর বেশে পদার্পণ করলেন।

বিস্তারিত»

সিসিবি-ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্যান্টাসী

আসলে এটা দেয়ার কথা ছিল এহসান ভাইয়ের। কিন্তু তিনি খুব ব্যস্ত থাকায় আমাকেই লিখতে আদেশ করেছেন। ক্যাডেট কলেজের জুনিয়র হওয়ার এই এক সমস্যা। সিনিয়ররা একবার মুখ থেইকা কথা বাইর করলেই হইলো। অর্ডার ইজ অর্ডার। পরের জন্মে আমি তাই সিনিয়র হয়ে জন্মাইতে চাই। হে আল্লাপাক , আমার দোয়া কবুল কইরো। আমিন।

কাজের কথায় আসি।
বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। আমরা সামান্য লিগের সময়ই ফ্যান্টাসী-ফুন্টাসী খেইলা ফাডাইয়া ফেলাইছি আর বিশ্বকাপের সময় ফ্যান্টাসী খেলবো না তা কি হয়!

বিস্তারিত»

প-এ র-ফলা আর ত-এ হ্রস্ব-ই-কার, এর পরের অংশে প্রাধান্য কার?

একটা বিষয় নিয়ে আমি কদিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম কিন্তু পহেলা বৈশাখের নানা প্রোগ্রাম আর প্রোগ্রাম পরবর্তী পরীক্ষা সমূহের জন্য হয়ে উঠছিল না। পরীক্ষা এখনো চলছে যদিও, তাও ভাবলাম লিখি। আর সহ্য হচ্ছে না।

১৫ তারিখে সার্টিফিকেট তোলার জন্য গিয়েছিলাম JCC তে। ভালই লেগেছিল এতদিন পর আবার সেই চেনা জায়গা-তে ঢুকে। আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু নাঈম। ওর প্রায় ৭ বছর পর কলেজে ঢোকা হলো কারণ ২০০৭ এর রি-ইউনিয়ন ও মিস করেছিল।

বিস্তারিত»

নির্ধর্মকথা- এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল, মিঠা নদীর পানি (২/৩)

আগের পর্ব

অসম্ভব্যতাঃ

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামী পণ্ডিত জাকির নায়েকের বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে সাত মিনিটের লেকচারটি আমার খুবই প্রিয় 1। সাত মিনিটে প্রায় ২৮ টি মিথ্যা বা ভুল কথার মাধ্যমে জাকির নায়েক ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমান করতে না পারলেও সৃষ্টিবাদীরা কতটা অজ্ঞ তা ঠিকই প্রমান করেছেন 2। এই সাতমিনিটের মধ্যে মাত্র পাঁচ সেকেণ্ড সময় জাকির নায়েক বিবর্তন ঘটার “সম্ভাবনা” নিয়ে আলোচনা করেছেন হাসতে হাসতে,

বিস্তারিত»

স্বদেশের উন্নয়ন নিয়ে আমার ভাবনাঃ শেষকথার শুরু

[পূর্বকথনঃ এই ব্লগটা লিখেছিলাম গত আগষ্ট মাসে আমেরিকা থেকে দেশে আসার পর প্রথম রাতে। এতোদিন উন্নয়ন চিন্তা মাথায় ছিলো না। তাই এটার কথা ভুলে গেছিলাম। গত পরশু+কাল “হতে যাচ্ছে শ্বশ্বুরবাড়ি”তে যাওয়া এবং আসার পথে সু-দী-র্ঘ ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকার সময় হঠাৎ করে আবার সেই চিন্তাগুলো মাথায় উঁকি দেওয়া শুরু করেছিল। তারই ফলশ্রুতিতে এই ব্লগটার কথা মনে পড়লো।]

-এখন রাত ৩টা বেজে পাঁচ মিনিট।

বিস্তারিত»

ঈশ্বর, সমাজ ও ব্যক্তি নিয়ে আমার ভাবনা

সমাজবিজ্ঞানে ধর্মের আলোচনা শুরু করেছেন এমিল ডুর্খেইম (Emile Durkheim) তার Elementary Forms of Religiuos Life গ্রন্থে। এখানে তিনি দাবী করেন যে, সমাজই ঈশ্বর (God of a community is the community itself)।

ডুর্খেইম তার স্বভাবসিদ্ধ বিনির্মাণ (Deconstructive) ধারায় শুরু করেছেন কোনটা ধর্ম নয় তা’ দিয়ে। তিনি বলেন, ধর্ম কোন অতিমানবীয় বা রহস্যময় কোন জিনিস নয়। ধর্ম দেবদেবী বা অন্যকোন স্বত্ত্বায় বিশ্বাসও নয়।

বিস্তারিত»

ওয়াজ ডারউইন রং? ০৩ …

সবগুলো পর্ব পিডিএফ আকারে পাবার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।

বিবর্তন তত্ত্বমতে জীবনের সূচনা হয়েছিল একটি অথবা সামান্য কয়েকটি সরল এককোষী জীব থেকে। লক্ষ কোটি বছরে এই ধরণের সরল এককোষী জীবরা বিবর্তিত হয়ে পরিণত হয়েছে ভিন্ন একটি প্রজাতিতে। এভাবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে প্রজাতি থেকে প্রজাতিতে জীবন বিবর্তিত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে প্রজাতির সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে বৈসাদৃশ্য এবং প্রাণীদের গঠন হয়েছে জটিল থেকে জটিলতর।

বিস্তারিত»

ওয়াজ ডারউইন রং? … ০১

২০০১ এর ফেব্রুয়ারিতে গ্যালাপ পোল (gallup poll) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার তরুনের টেলিফোন সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। সাক্ষাৎকারে ৪৫ ভাগের বেশি তরুন মত প্রকাশ করেন যে, একজন ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছিলেন আজ থেকে দশ হাজার বছর আগে। এই দশহাজার বছরে মানুষ হয়তো পরিবর্তীত হয়েছে, তবে সেটা খুব সামান্য এবং পরিবর্তনের কারণ কখনই “বিবর্তন” নয়। ৩৭ ভাগ বিবর্তন এবং ঈশ্বরকে একই কক্ষে স্থান দিয়েছেন। তাদের মতে, বিবর্তন জন্মসৃষ্টির একটি স্বর্গীয় প্রক্রিয়া।

বিস্তারিত»

বিশেষজ্ঞ জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, প্রচার ও ক্ষমতা বিষয়ক আমার ভাবনাঃ একটি আধা-কাল্পনিক কথোপকথন

দ্রষ্টব্যঃ এই পোষ্টটি আমার আগের একটি পোষ্টের ফলো-আপ। এখানে আমি ঐ পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে পাঠকের কমেণ্ট থেকে কিছু সংযোজন করে আমার বক্তব্যকে আরো স্পষ্ট করার প্রয়াস পেয়েছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

বিশেষজ্ঞ জ্ঞান সম্পর্কে মিশেল ফুকো’র (Foucault) ‘Disciplne and Punish’ চিন্তার জগতে একটা আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই। ফুকো’র মূল কথাটা কি ছিলো?- ফুকো আধূনিক ইউরোপে বিচারব্যবস্থার মানবিকীকরণের (যেমন, মৃত্যুদন্ডের তুলনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড)প্রক্রিয়ায় জেলখানার ভিতরে এবং সেখান থেকে সমাজজীবনে ক্ষমতার রুপান্তরের বিশ্লেষণ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের স্বরূপ উৎঘাটন করেছেন।

বিস্তারিত»

পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর শিল্পায়নের অভিজ্ঞতা থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শিক্ষা

বিশ্বের শিল্পোন্নত সকল দেশ- ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে কোরিয়া ও তাইওয়ান- শিল্পায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে দেশীয় শিল্পকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা সহায়তা দিয়ে শক্ত ভিত্তির উপর গড়েছে। এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র যেসব উপায় অনুসরণ করেছে তা’র মধ্যে বিশেষ বিশেষ দেশীয় শিল্পকে সুবিধাজনক শর্তে ঋণদান, কাঁচামাল আমদানী+তৈরী পণ্য রপ্তানীতে ইনসেনটিভ প্রদান, আভ্যন্তরীণ বাজারে উদীয়মান দেশীয় শিল্পের সাথে প্রতিযোগীতাকারী বিদেশী পণ্যের প্রবেশে বাঁধা প্রদান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। প্রথম পর্যায়ের শিল্পোন্নত দেশগুলো (অর্থ্যাৎ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ)এইসব সংরক্ষণমূলক নীতিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভূমিকাকে আড়াল করতে চাইলেও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো প্রকাশ্যেই এগুলোকে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করে যা ‘Import-Substituting Industrialization (ISI)’

বিস্তারিত»

রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিল্পায়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নঃ পূর্ব-এশীয় অভিজ্ঞতা

নিও-লিবারেল ডিসকোর্সে জাতীয় উন্নয়নে রাষ্ট্রের অংশগ্রহনকে ক্ষতিকর হিসেবে দেখা হয়। কারণ, এতে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনাকাংখিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি দেখা দেয় যা’ শিল্পায়ন ও ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। বাস্তবতা হচ্ছে, যে কয়টি দেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে, তারা সবাই জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পে রাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমেই হয়েছে, যেমন জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং ও সিঙ্গাপুর। এইসব পূর্ব-এশীয় দেশসমূহের উন্নয়নের পথটা তাহলে কি ছিলো? শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি,

বিস্তারিত»

উন্নয়নের গল্পঃ নিও-লিবারেলদের আজাইর‌্যা প্যাচাল বনাম বাস্তবতা

ডিস্ক্লেইমারঃ ১। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো সিসিবি’তে উন্নয়ন-বিষয়ক একটা লেখা দেওয়ার। নানা ঝামেলায় তা আর হয়ে উঠছিলো না। আর ক’দিন ধরে এটা লিখতে গিয়ে বিশাল ঝামেলায় পড়েছি কি লিখবো আর কি বাদ দিবো তা’ই নিয়ে। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক বড় হয়ে গেল লেখাটা। তাই আপাতঃত তিন পর্বে এটা সিসিবি’তে পোষ্ট করবো।

২। এই লেখা বোঝার জন্য এন্টেনা আবশ্যক। 😀

বর্তমানে উন্নয়ন বিষয়ক প্রায় সকল আলোচনায় ‘সুশাসন’কে উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

বিস্তারিত»

ফেল রেকর্ড

“ক্যাডেট কলেজে ছয় বছর থেকে যারা পাক্ষিকে ফেল করে নাই এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়”
আমি সেই ক্যাডেট, যে প্রথম পাক্ষিকে অংকে ডাবল জিরো পেয়েও পরের পাক্ষিকে ২৪ পেয়েছিলাম :just:
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে আমি মোটেই খারাপ ছাত্র ছিলাম না । তাই বলে কিন্তু আমি কলেজকে দোষারুপ করছি না 😛 😛
আসলে সবসময় মজা করতে গিয়ে পড়াশুনা থেকে খানিকটা ছিটকে পড়েছিলাম ~x(

ছয় বছরে সেভেন ছাড়া প্রত্যেক ক্লাসের ফার্স্ট টার্ম ইন্ডে আমার ফেল করার বিরল রেকর্ড রয়েছে :just:
নতুন ক্লাসে উঠে আমি খুব ফুর্তিতে থাকতাম :tuski:
মনে হত সারা বছর কষ্ট করে কেবল নতুন ক্লাসে উঠলাম,

বিস্তারিত»

টিপাইমুখ আরেক মরণ ফাঁদ্‌

বরাক একটি আন্তর্জাতিক নদী। প্রায় পনের বছরের অধিক সময় ধরে ভারত বরাক নদির উপর টিপাইমুখ বাধ দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। স্থানীয় জনগণের বিরোধিতা মুখে তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারছিলোনা। অতিসম্প্রতি তারা টিপাইমুখ বাধ নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করে দিয়েছে।

ভুমিকা
টিপাইমুখ বাধ যে নদিতে দেওয়া হবে তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। উজানের দেশ ভাটির দেশের সাথে আলোচনা ব্যতীত আন্তর্জাতিক নদী হতে পানি প্রত্যাহার বা বাধ স্থাপন করতে পারেনা।

বিস্তারিত»

পোষ্টমডার্নিজম বিষয়ে আমার উপলব্ধি

Disclaimer: এটা একটা সিরিয়াস পোষ্ট। তাই যারা যারা ক্ষেত্রবিশেষে আমার মতো এন্টেনা-বিষয়ক জটিলতায় আক্রান্ত, তাদের দায় নিতে লেখক দুঃখ ভারাক্রান্ত চিত্তে অসামর্থ জানান দিচ্ছে। 🙂

ঢাবি’তে এসে ঘটনাক্রমে পরিচিত হয়েছিলাম কিছু আঁতেলমার্কা বড়ভাইয়ের সাথে যারা দেখি সব তাত্ত্বিকের কঠিন সমালোচনার পাশাপাশি চলমান সবকিছুকেই ‘জটিল’ সব নতুন নতুন ব্যাখ্যা দেয়। যেমন, একদিন বিকেলে মধূর ক্যান্টিনে বসে আড্ডা মারার সময় এক ভাই বললেন যে, আর্সেনিক গবেষনায় মূল লাভ হইছে কর্পোরেটগুলার।

বিস্তারিত»