আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া…

হায়দার হোসেনের এই গানটা আমাদের অব্যক্ত অনেক কথাই বলে ফেলল….আমরা কিছুই বলতে পারলাম না, শোকের ভয়াবহতা আমাদের পাথর করে ফেলেছে। নির্বাক নিস্তব্ধ হয়ে দেখে যাই ভিডিও ফুটেজ কিংবা স্বজনহারাদের স্থিরচিত্রগুলো। আমাদের বুকের লাল রক্ত শুধু বর্ণহীন অশ্রু হয়ে চোখ দিয়ে নিঃসৃত হয়ে চলে, কেউ বোঝে না এই যন্ত্রনাময় রক্তক্ষরনের রুপান্তরের নেপথ্য….

তবে আমি সারাজীবন এই যন্ত্রনা পেতে চাই। এই যন্ত্রনার রয়েছে এক অমিত শক্তি,

বিস্তারিত»

বাউলা কে বানাইলো রে


‘পিরীতেরই ঘর বানাইয়া অন্তরের ভিতর’ বাউল গানের এই লাইন দিয়েই লেখাটা শুরু করলাম। সেই কবে ক্যাডেট কলেজে আমাদের তিন ব্যাচ সিনিয়র অনুপ ভাইয়ের গলায় গানটা প্রথম শুনেছিলাম, এখনো বুকের মাঝে নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
অনুপ ভাইয়ের সেই ‘অন্তরের ভিতরে’র টান আমি আজো ভুলতে পারি না। একেবারে সত্যি কথা বাউল গানের মাহাত্ম্য সেদিন প্রথম বুঝেছিলাম যেদিন অনুপ ভাই গাইলেন ‘রেল লাইন বহে সমান্তরাল।’ এখনো মাঝে মাঝে মনে কষ্ট পেলে,

বিস্তারিত»

স্বপ্ন, আশা – আর বিষাদময় সমাপ্তি

(এইটা আমার নিজের একটা গান; সেই জ্বী-ভাইয়া বন্ধুটির সাথে ডুয়েট করার চিন্তা করছি। এখানে দিয়ে দিলাম লিরিকটা – ভাল লাগলে বা খারাপ লাগলে ফিডব্যাক গ্রহনযোগ্য)

সন্ধ্যা তারায় হারালো মন
বিষাদ ভরা চোখে খুঁজেছি তখন
তুমি নেই পাশে বুঝেও তখন
খুঁজিনি আমি হারালে কখন

অজানা এক পথিকের ধুলো বুকে জড়াবে
তুমি জানবে কি করে সেই পথ অজানাকে
আশার বাণী শুনেছি দুজনেই একই রকম
ধুলো মাখা সে পথে দুজনেই গড়বো জীবন

হৃদয় কোণে নীরব স্মৃতির মূর্ছনাতে
ভাবনাগুলো স্পন্দিত তোমার ছায়াতে

স্বপ্ন-রঙে মন কখনো সাজবে কি আর
সময় কি আছে আর,

বিস্তারিত»

নির্বাক আমি…(ভুলব আমি কেমন করে)

ভুলব আমি কেমন করে (ইউ টিউব লিন্ক)

ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত

ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত

বিস্তারিত»

হাতের ওপর হাতের পরশ রবেনা, আমার বন্ধু আমার বন্ধু হবেনা…

এক… দুই… তিন….

গুনে গুনে ঠিক তিনজন ছিলাম আমরা।

এর মধ্যে একটু আগে মারুফ এসে বলে গেল – “দোস্ত, থাকিস কিন্তু। রাতে এসে একসাথে ডিনার করবো।”
আমি জেনে শুনে সতর্কতার সাথে ঢিলটা ছুড়ে মারলাম- “ডেটিং এ যাচ্ছিস নাকি?”
মারুফ কিছু বলেনা। শুধু কেমন করে জানি হাসে। আমি আমার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই।

কাজেই রইলো বাকি দুই।

কিন্তু সেটাকে এক হিসেবেও ধরা যায় ।

বিস্তারিত»

জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা

একসময় ছিল ক্যাডেট কলেজ মানেই পুরুষরাজ্য। শিক্ষার্থী পুরুষ, শিক্ষক পুরুষ- যেদিকে চোখ যায় শুধুই পুরুষ, সে বালক হোক, যুবক হোক বা প্রবীণ। আমরা ছিলাম সেই যুগের।

তারপর এরকম একটি-একাধিক নারীরাজ্যও তৈরি হলো। তবে তারা কিছু পুরুষ শিক্ষক, কর্মকর্তা ওই রাজ্য পেত। আর পুরুষরাজ্যেও শিক্ষক হিসাবে কিছু নারীর অনুপ্রবেশ ঘটলো সময়ের দাবিতে। এই যুগের প্রডাক্ট হলো সিসিবির অধিকাংশ ব্লগাররা।

ফলে ক্যাডেট কলেজে নারী দিবস মানে কলেজের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে শিক্ষকদের স্ত্রী-কন্যাদের চকিত দেখা আর পেরেন্টস ডে’গুলো।

বিস্তারিত»

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

সেটা ছিল আশির দশক, আমার ছাত্রজীবনের শেষ দিকের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। গণসংগীত আর গণনাট্য ছিল সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা।

রূপেশ বড়ুয়া উদীচীর প্রাণ ছিল। অসাধারণ তবলা বাজাতো। সব অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মহড়া, আড্ডায় তার উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান রূপেশ জীবিকার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে একটা পোশাকের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতো।

বিস্তারিত»

সুর-১

একটা কাজ করতেছিলাম, হঠাৎ করে কম্পিউটার একটা ভালোমানুষ টাইপ মেসেজ দিল, তোমার মেমোরি কুলাচ্ছে না। বলে চুপচাপ বন্ধ হয়ে গেল, আমি শোকে মোটামুটি পাথর টাইপ হয়ে বসে থাকলাম, গতকাল রাত থেকে করা সমস্ত কাজ এক মেসেজে শেষ। আরে বাপ, আমারে একটু কপি করার সময়টুকু তো দিবি?? আর এমন এক জায়গা, যেইখানে ব্যাকআপ রাখেনা।
আচ্ছা ব্যাপার না, আমি এর খাই না পড়ি? শোকে বেশি কাতর না হয়ে আমি ব্লগ লিখা শুরু করলাম।

বিস্তারিত»

ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায়

একুশ নিয়ে ছোট ভাইরা নানারকম পোস্ট দিয়েছে। কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ বা স্মৃতিচারণের পোস্ট তাই আর নয়। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি এবিসি রেডিওতে অমর সূরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায় সকাল ৯টা, ১১টা এবং বেলা ২টার খবরের পর প্রচারিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ১১টার খবরের পর এটি আবারো প্রচার হবে।

কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে সেটা শুনেছোও।

বিস্তারিত»

ধুরোঃ এত্তো গরম ক্যান!!!!

দুইদিন পরপর জাপানের মন্ত্রিপরিষদ গরম হয় আর আসে নতুন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকদিন ধরে আবার খুব গরমে জাপানের কেবিনেট। এর মাঝে অর্থমন্ত্রী মিঃ নাকাগাওয়া কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ মাল খেয়ে টাল হয়ে অ্যাটেন্ড করে চরম আলোচিত সমালোচিত হয়ে গরম কেবিনেটে কেরোসিন ঢেলে দিছেন। তিনি নিজেও গরম সহ্য করতে না পেরে ছেড়ে দিছেন মূল্যবান পদটি। এটা নিয়েও চরম গরম কেবিনেট। সব মিলে এই গরমের চাপে আবারো জাপানের প্রধানমন্ত্রী যায় যায় অবস্থায়।

বিস্তারিত»

দুষ্ট গান নিয়া একটা পুস্ট

লাবলু ভাই, আমার বড় ভাই। আমারে গান নিয়া পুস্ট দিতে মানা করছে। তাই শুরুতেই :frontroll: :frontroll: :frontroll:

তিনদিন ছিলাম না, আইসা দেখি সিসিবি পুরা সিরিয়াস হইয়া গেছে। আমার আবার সিরিয়াস পুস্ট লেখার ক্ষমতা নাই। তাই আবার একটা হালকা পুস্ট দিলাম। এইটা আসলে একটা দুষ্ট গানের পুষ্ট।

আমরা যখন ছোট, কেমনে কেমনে যেন হাতে একটা গানের অ্যালবাম হাতে আইসা পড়ছিলো। সম্ভবত অ্যালবামের উপরের গায়িকার ছবি দেইখ্যা অতি উৎসাহে কিনছিলাম।

বিস্তারিত»

বাংলা গানের জয়যাত্রা থাকবে অব্যাহত

clip
ভেবে অবাক হই, আমাদের বাগানে এত ফুল থাকতে কেন আমরা ফুলের অন্বেষণে ছুটোছুটি করি। আমি মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ‘খুদে গানরাজ’ এর কথা বলছি। গতকাল ধানমন্ডি জাতীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এই অসাধারণ, অতুলনীয় আর আমার খুবই প্রিয় এই অনুষ্ঠানটির ফাইনালে গিয়েছিলাম। অনেকদিন থেকেই আমি এ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখার চেষ্টা করেছি। দু-একটা এপিসোড মিস করলেও অধিকাংশই দেখেছি, আর অবাক হয়েছি কিভাবে এই ছোট্ট বাচ্চাগুলো এত সুন্দর গান গায়।

বিস্তারিত»

গান

আমার সব বন্ধুরা শিরোনাম দেখে একপ্রস্থ হেসে নেবে। আমি নাকি লিখব গান নিয়ে! কিন্তু অনেকদিন লিখি না, তাই একটা কিছু লেখার লোভ সাম্‌লাতে পারছি না।

আমার বড় ভাই গান শিখে। অনেক বড় হয়ে শিখতে শুরু করল মাত্র, কিন্তু শেখার তো কোন বয়স নাই। এতদিন ধরে আমি বাংলা গানের ক্ষেত্রে কোন বাছবিচার না করে সবই শুনতাম।

বিস্তারিত»

(মনপুরা) আগে যদি জানতাম রে বন্ধু…মন খারাপ করা গান…

মমতাজের গান খুব একটা সিরিয়াসলি শুনতাম না কখনও। কিন্তু ‘মনপুরা’ ছবির এই গানটা কেমন জানি মন খারাপ করে দেয়। গানটা শুরু হবার আগেই ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিকটা অসাধারণ। আমি সাধারণ মনের ও মানের সংগীত স্রোতা। গানের কথা ও সুর আমাকে সত্যি নাড়া দিয়েছে। জানিনা আর কারও মনে নাড়া দেবে কিনা।

‘আগে যদি জানতাম রে বন্ধু, তুমি হইবা পর
ছাড়িতাম না কি বাড়ি আমার, ছাড়িতাম না ঘর
উজানে ভাসাইলাম নাও,

বিস্তারিত»

কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান

জর্জ হ্যারিসনের “বাংলাদেশ” অনেকেরই প্রিয় গান। ১৯৭১ সালে আমাদের দুঃসময়ে মূলতঃ ওস্তাদ রবিশংকরের উদ্যোগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে লড়াকু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে জনমত গঠনে “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” একটা বড় ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার ভীষণভাবে সক্রিয় থাকলেও মিডিয়া ও জনমত ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পক্ষে।

ওই কনসার্টের অর্থ ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের উদ্বাস্তু জনতার সহায়তায় ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।

বিস্তারিত»