আর কত দিন এভাবে চলা ?
পারিনা তবু হয়না বলা
সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
ভাবনার জগতে আসি ফিরে।
হিসাব মেলেনা ইট পাথরের
কিংবা শাড়ী গয়নার,
না পারি অংক না পারি বিজ্ঞান
তবু তাকে বলি বাস্তব জ্ঞান।
হে মোর আধুনিক পাঠশালা
দেখি শুধু ছলাকলা।
গা ভাসিয়ে সাগরে জলে
ঢেউ গুনে গুনে
করি নিজের অবহেলা।
ক্রিকেট স্বপ্ন
মাখন মাখা থাবা গলে
জয়টা যেন গেল পিছলে।
শুনছি এখন নতুন বাণী,
টাকার চেয়ে অনেক দামী
ছাগদুগ্ধে পরিপুষ্ট আফগানী।
সেলাম সিংহ লংকা
আবার হলে রাজা।
তোমায় দেখে বাড়লো জোশ
মনটা আবার তাজা।
সাবধান বেটা কাবুলিওয়ালা
ঘাড় মটকে খাব এবার
থলি ফেলে পালা।
শেরপা শ্রেষ্ঠা নেপালী
ভোঁতা হবে ভোজালী
চামড়া বড্ড শক্ত আছে
খাই না তো ঘাস বিচালী।
পিলখানা
পিলখানা
বিদ্রোহ কি এতই সস্তা ?
মুর্খ আর জালিম !
বর্বরতায় প্রাণ হারালো
মাকসুম উল হাকিম।
কেমন ধারা দাবী দাওয়া
আদায় করতে দরবারে ?
ভাই বন্ধু নেতার প্রাণ
কলংকিত বলাৎকারে !
পিলখানাতে একাত্তর
ফিরে এলো নারকতা !
বাকরুদ্ধ শোকে মোরা
ডুকরে কাঁদে মানবতা !
কাদা ছিটিয়ে ঘোলাপানি
ধরা পড়ে পুঁটিমাছ !
সহপাঠী বন্ধু
[ একটি বুমেরাং ছড়া ]
বন্ধু আমার বড্ড ব্যস্ত,
ফোন ধরতে পারে না।
মাউস ক্লিকও জমিয়ে রাখে,
অপচয় করে না।
চাষার ছেলে ছিলো আছে
এখনও যে অভাবী।
ফোন ধরতে বয়েই গেছে
করবে বুঝি ধার দাবী।
ছিল বেটা অসামাজিক
বেজায় রকম বিরক্তিকর।
বইয়ের পোকা ছিল বটে
হবে নাকি জ্ঞানধর !
পাঁচটি মোটে নাম্বার আছে
এসিআরে সততায়।
বিষন্নতা
হুজুগে ভালোবাসা
সূর্যোদয়ে দিনের শুরু।
ধার করা মন্ত্রে
পাল্টে গেল গুরু !
বসন্তবরণ এপ্রিলফুল।
হুজুগে বাঙ্গালী
আইডিয়া কুল !
আধুনিক উৎসবে ব্যবসা হল খাসা।
সাধু সন্ত ভ্যালেন্টাইন
আরেক নাম ভালোবাসা !
[১৪.০২.২০১৪]
শীতল বিষন্নতা
আকাশে কাল মেঘ ঘন কুয়াশা।
ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে নেমে এল
শীতল বিষন্নতা !
জাগরণ
হৃদয়ে শাহবাগ
তোরাই খাঁটি বাংলাদেশী
তোরাই আসল বাঙ্গাল।
আমরাতো সব বকধার্মিক
আবর্জনা জঞ্জাল!
আমরা হলাম ঘাটের মড়া
নইতো কারো বি-টিম !
কাদা আটকা হাতির মত
পরিস্থিতির ভিকটিম।
মসনদী খাব সত্য হতে
পেয়ারা সখার মান রাখতে
আখ্যা দিলাম দালাল এবং নাস্তিক !
গরল ঢাকা আছে মধু
অন্তর্যামী জানে শুধু !
মন্তব্য সংকলন
এক
একটি পারুল বোন
জেগে ওঠো সব ক্যাডেট,
সাত ভাই চম্পা।
রুপালী পর্দায়,
একটি পারুল বোন,
হাসনাইন শম্পা ।
( ০১.০২.২০১৪)
[ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট চিত্র নায়িকা শম্পা হাসনাইনের সমর্থনে]
দুই
২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পঞ্চম শ্রেণীর গণিত বইতে ২৪ নং পৃষ্ঠায় গড় অংকের ৫নং উদাহরণে ক্রিকেট দলে উইকেট রক্ষক নাই।
বিস্তারিত»বেহায়া শীত
[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইহা সুশীলদের জন্য নহে ]
কয়েক দিন হল মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে । কেমন মৃদু ? হরতাল ঠেঙ্গাতে পুলিশ যেমন মৃদু লাঠিচার্জ করে সে রকম আর কি । যাই হোক মৃদু শীতে গুরুতর কম্পন ঠেকাতে হীটার ফ্যান কিনলাম। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। একটু বেশী দরেই উষ্ঞতা কিনতে হবে । এখন তো আর ভার্সিটিতে পড়িনা যে ফ্রি বিদ্যুত ব্যবহার করব! সেই সময়ের কথা মনে পড়লে এখন খারাপই লাগে।
বিস্তারিত»তুমি আমার
তুমি আমার নিরাশার হাহাকারে
মেঘে ঢাকা তারা।
পেয়েও হারিয়ে হয়েছিলাম
খুজে খুজে সারা।
তুমি আমার একরত্তি মুক্তো
খুজেঁ পেয়ে নিমেষেই হাওয়া।
তুমি আমার অজস্র চাওয়ার মাঝে
একবিন্দু পাওয়া।
তুমি আমার
সারা অংগে জড়িয়ে থাকা
শাড়ীর মত ভালবাসার ছোঁয়া।
তুমি আমার ছেঁড়া কাঁথায়
ছারপোকার উপদ্রব।
তবু না পাওয়ার মাঝে
তুমিই আমার সব।
মরলে হিঁদু তোর কী তাতে???
কে বলেছিলেন ঠিক মনে নেই, মেবি প্লাটো/ প্লাতো।
“ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ যে আমাকে নারী করে তৈরি করোনি।”
আমি নিজে ঈশ্বর বিশ্বাসী নই। মা মারা গেলেন নভেম্বরে। বাবা বললেন,
“তুই তো আল্লাহ-খোদায় বিশ্বাস করিস না। তোর মার জন্য দোয়াও করতে পারবি না।”
আমি জবাব দিই,
“হু।”
বৌ বললো,
“সূরা ইয়াসিনটা একটু পড়ো।”
নীরব ভালোবাসা
ছাতা হাতে খোলা চুলে সতর্ক হরিণী।
“নীলচে জামা!” তুমি বলেছিলে, খেয়ালই করিনি।
লাজুক হাসি, “কোথায় যাবেন? বলুন কিছু?”
“যেদিকে বলো, দুচোখ যাবে তোমার পিছু।”
কপট রাগে উল্টো ঘুরে হাঁটা দিলে।
“এই মামা যাবে নাকি কার্জন হলে?”
রিকশায় বসে হয়না দেখা ঘাড় ঘুরিয়ে,
আলতো করে হাতটি ধরি চোখ সরিয়ে।
দুপুর গড়িয়ে শেষ বিকেলের লাল দালানে,
বসে আছি তুমি আমি আপন মনে।
জাপানী মামার সনেট
আহা কি সুন্দর দেখো, পূর্ণিমার রাতি
আকাশেতে উড়িতেছে একপাল হাতি।
শরীরেতে নেই কোনো উড়িবার পাখা
পদগুলো নীচে থেকে মেলে দেয় শাখা॥
পদের শাখার দ্বারা জুড়িয়া আঘাত্
হাতি গুলো উড়ে যায় মেলে দিয়ে হাত॥
গগনে দেখিয়া হাতি তেলাপোকা ভাবে,
আমি কি পারিব কভু এভাবে উড়িতে?
হাতিদের আছে মুখে শুঁড় একখানা,
দুইখানা শুঁড় মোর, সাথে আছে ডানা॥
যেই ভাবা সেই কাজ,
বাংলার গ্রাম
প্রতি ঈদে অপেক্ষায় থাকি কবে গ্রামে যাব
প্রানভরে মাঠে দাড়িয়ে সতেজ বাতাস খাব।
চোখজুড়ে দেখব আমি গ্রামবাংলার সবুজ,
গ্রামে যাওয়ার জন্য তাই মনটা আমার অবুঝ।
বুক ভরে ঘ্রান নেব সরিষা ক্ষেতে যেয়ে
আমি নদীর ওপাড়ে যাব ছোট ডিঙ্গি বেয়ে।
কখনো বা হারিয়ে যাব ধান ক্ষেতের মাঝে,
গ্রাম ঘুরে নগ্ন পায়ে ফিরব ঘরে সাঁঝে।
নদিতে নেমে সাঁতার কাটব আরও ধরব মাছ
খালে আমি শাপলা তুলবো লুঙ্গি দিয়ে কাছ।
অনাকাঙ্খিত পরিচয়
বাসে ভীড় চমৎকার,
তার মধ্যে আবার-
যাত্রী নেওয়ায় ব্যস্ত কন্ডাক্টর,
সিট অবশ্য পেয়েছি একটা,
আর পাশে বসা মহিলাটাকে দেখছে আমার উৎসাহী চোখটা,
চেনা চেনা লাগে,
মনে হচ্ছে দেখেছি অনেকবার আগে-
কোথাও,
মনে পড়ছে না নামটাও ।
“ওহে টিকিটটা-”, আনমনে দিলাম তা,
“ওহে”- বলে কলেজের এক বন্ধুও ডাকত সবাইকে,
বিস্তারিত»মিঠু-মন্টির ছড়ার বাকী অন্তরা
ক–এ কলা খ–এ খাই
এতো বেশী খেতে নাই।
গ–এ গরু ঘ–এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস।
‘ঙ’ বলে, “কোলা ব্যাঙ,
সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ!”
ক – খ – গ – ঘ – ঙ॥
চ–এ চাচা ছ–এ ছাই
দাঁত মাজো। ছাই চাই?
জ–এ জাম ঝ–এ ঝড়
ঝড় এলো জাম পড়।
‘ঞ’–বলে, “মিঞা ভাই,
বিয়ে খাব।