ছোট্ট বাগিচা আমার
জোটে কালেভদ্রে ফুল,
মালার জন্য সামান্য সে ।
ফুল সে কভু হয়না মালা
পায় না শোভা দেবীর গ্রীবায়।
তবু ফুল হয়ে রয় দেবীর পায়ে।
বিস্তারিত»ছোট্ট বাগিচা আমার
জোটে কালেভদ্রে ফুল,
মালার জন্য সামান্য সে ।
ফুল সে কভু হয়না মালা
পায় না শোভা দেবীর গ্রীবায়।
তবু ফুল হয়ে রয় দেবীর পায়ে।
বিস্তারিত»শ্রাবণের খরা
আষাঢ়ে নয় আষাঢ়ে নয়
শাওন মাসের কথা,
রোদে পুড়ে ঘেমে নেয়ে
গর্মী ঘোরায় মাথা!
বর্ষাকালে ভিজলো কোথায় ?
গরম হল ছাতা !
খরার চোটে হলদে হল
সবুজ ধানের পাতা !
হালকা চাপের দখিন হাওয়া
সাগর থেকে এলে,
ভরবে তবেই উত্তরের
পুকুর ণই জলে !
শ্রাবণী
চকোর হতে চাইছে এ মন
চল উড়ে যাই আকাশে !
দেউলিয়া বাঙাল
হুযুগে বাঙাল
মউজ কাঙ্গাল
দেউলিয়া কালচার
খায় শুধু ভালগার
সাধুবেশী মার্জার!
ভুতের গপ্পো শয়তানি
পরকীয়া খুনোখুনি
দেশের মুরগি ছাড়া
আর সব আকাঁড়া
পাখির লাগি তালাক
ঈদ মুবারাক!
ঈদের পাখি
দেনা শোধের আগেই ফুরিয়েছে উৎসব ভাতা
ছা পোষার হিসাব মেলাতে শেষ হল টালিখাতা
যদি নাই দাও পাখি
বন্ধ সব মাখামাখি
দেব জান তালাক যা তা !
বৃষ্টি এলো রিমঝিমিয়ে
টিনের চালে ঝমঝমিয়ে
জলের পরে টুবটুবিয়ে
কৈ টাকি শোল খলবলিয়ে
যাচ্ছে চলে উজান পানে !
বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে
গাছের পাতায় ছিপছিপিয়ে
আকাশ ছেয়ে বাতাস বেয়ে
সব কিছুকে ভিজিয়ে দিয়ে
তবু ঘেমে উঠছি নেয়ে !
[ পহেলা আষাঢ়ে যেমন দেখেছি ]
বিস্তারিত»অপেশাদার
নাক উঁচু কুলীন মশায়
মাটিতে রাখ পা
শিকড় কিন্তু কাদায়
খেয়াল আছে তা ?
এবার বলছি বাবা তোমায়
শোনো ভালো করে
শুধুই শাসন স্টিম রোলারে
সে যুগ গেছে চলে।
কি লাভ হবে জেদ বাড়িয়ে ?
কুড়াল মেরে নিজের পায়ে
কিংবা নিজের ছেলের গায়ে।
পারলে বাপু হও পেশাদার
নইলে লসের ইজারাদার !
বৃষ্টি নামে, নামে রে!
উপর নিচে, সামনে পিছে
নামে ডাইনে বামে রে!
বৃষ্টি নামে মরচে ধরা রেলিংটাতে
জানলা দিয়ে বাড়িয়ে দেয়া কোমল হাতে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি তাড়ায়
দাবদাহকে ঘা মেরে!
বৃষ্টি নামে, নামে রে!
তোলা মাটিতে কলার বাগান
ইট গাঁথা লিন্টন সমান
পাল্লা চৌকাঠ জানালা
দরজা নাই বাঁচলো তালা
মেঝের উপর আকাশ খোলা
বসবে হেথায় নিকের মেলা
তাইরে নাইরে নাইরে না
বৃষ্টি হলে ঘামবে না
রোদ হলে ভিজবে না
নিক বাবা কি কানা ?
[ ছোটবেলায় এবং ছোটদের কাছে শোনা অর্থহীন কিছু ছড়া ]
এক
গল্প স্বল্প তিলে পুড়কির ছা
গল্প যদি শুনতে চাস তো
মোড়ল বাড়ি যা
মোড়ল গেছে গাড়িতে
গু লাগিছে দাড়িতে
ধুতে গেছে গাঙে
মুতে দিছে ব্যাঙে
ধুস শালার ব্যাঙ
খাড়া দুইটা ঠ্যাং।
দুই
তাইরে নাইরে বন্ধুরে
কলা খাইছে এন্দুরে
কলার ভিতর দানা নাই
পয়সা আনতে মুনে নাই।
সুশীল অবকাশ
রাজপথে ছুটে চলে কলের দানব যত
লোকটা ঘুমায় অঘোরে জিন্দালাশের মত
মাছি বসলেও নড়ে না
কারও দিকে তাকায় না
সুশীল অবকাশে মানবতা নত।
[ শিরোনামটি মোকাব্বির সরকারের ব্লগ থেকে ধার করা]
বিস্তারিত»জ্যৈষ্ঠের দুপুর
করোটিতে সূর্যকিরণ
মগজ হলো কর্পূর
জ্যৈষ্ঠের দুপুর।
বৃষ্টি আবাহন
ডিম মুখে পিঁপড়ের দল চলছে সারি সারি
ঝালাপালা হলো কান ঝিঁঝিঁর কিরি কির কিরি।
গলা ফুলিয়ে কোলা ব্যাঙ
গাইবে শুধু ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
ঝমঝমিয়ে মুষলধারে নেমে আসুক বারি !
[০১.০২.১৪২১]
বিস্তারিত»বৈশাখের জ্বর উঠেছে
সেলসিয়াসে চল্লিশ
ঢালতে হবে মাথায় পানি
পাচ্ছে না কেউ তার হদিস।
কেউবা সিন্নী মানত করে
কেউবা ব্যাঙের বাচ্চা ধরে
কলা গাছের পাল্কী নিয়ে
আলতা মেখে দিচ্ছে বিয়ে।
যাচ্ছে তারা বাড়িবাড়ি
কাদা বানায় উল্টে হাঁড়ি
সেখানে দেয় গড়াগড়ি
হয়ে যাবে ডাল খিঁচুড়ি।
দাও আল্লা দাও পানি
ধানের ভূঁইয়ে নাই পানি
তিলের ভূঁইয়ে হাঁটু পানি
ধানের ভূঁইয়ে নাই পানি
দাও আল্লা দাও পানি।
গনগনে বৈশাখে
গনগনে গগনে
গনগনে তপন
পবন গনগনে
বরুন উবে যায় গগনে
সাথী হয় গনগনে পবনে
তপন পবন বরুন
সবই গনগনে
বিরহে ফেটে যায় জমিনে
জানান দেয় ধুলো গনগনে।
ভদ্রলোকের এই খেলাটা
বেজায় রকম শক্ত !
বুঝতে হবে এই কথাটা
সংগঠক ও ভক্ত।
জিতলে পরে সোনার ছেলে
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
গরবেতে বুক ফুলে যায়
আমিই জয়ের রুপকার !
হারলে পরে প্যাঁচায় ত্যানা,
গালি দিয়ে তুলবো ফেনা।
ঘোল খা বেটা বিড়াল ছানা
জিতলে পাবি প্রণোদনা !
ক্ষুদে বার্তায় পদ্য বিনিময়
আমার গিন্নী বাংলার ছাত্রী। এক দিন ওর এক বান্ধবীকে আমার লেখা কিছু কবিতা শুনালাম।পরের দিন বেশ ভালই ঝাড়ি খেতে হলো।রোবট আবার কবিতা লেখে । কবিতার কিছু বুঝ তুমি ? কবিতার মধ্যে থাকতে হবে প্রেম ভালোবাসা ।ও বস্তু তোমার মধ্যে আছে ? মনের আক্ষেপ প্রকাশ করা ওসব ছাইপাশ কোনও কবিতা নয়। সেটা আবার পেপারে ছাপার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছো। আরে সাধনা লাগে সাধনা ।
বিস্তারিত»