বগা লেক (ফটোব্লগ)

আমাদের ইনটেকের সেরা সাতারু

প্রায় সারাদিনই বৃষ্টি হচ্ছিল বিধায় ঝিরিপথের বেশি ছবি তোলা যায় নি।

বগা লেক
আয়তন : ১৫ একর।
সমুদ্র প্বষ্ট হতে উচ্চতা : প্রায় ২৭০০ ফুট ।
উপজেলা সদর হতে দুরত্ব : প্রায় ১৫ কিলোমিটার ।

প্রায় ২হাজার বছর আগে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাহাড়চুড়ায় সচ্ছ জলের মনোরম সরোবর । এ লেক নিয়ে অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস এ লেকের ভিতর ড্রাগন দেবতা বাস করে। গঠনশৈলি দেখে বিশেষজ্ঞগন মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বলে ধারনা করেন। বছরে একবার (এপ্রিল-মে) এ লেকের পানি প্রাকৃতিকভাবে ঘোলাটে হয়ে যায় যা নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন কৌতুহল বিদ্যমান।

রুমা থেকে ২টি পথে বগা লেক যাওয়া যায়। চাদের গাড়ীতে করে বা ঝিরিপথে হেটে। রাস্তার বর্তমান যে অবস্থা তাতে চাদের গাড়ীতে করে গেলেও প্রায় ১ ঘন্টা হাটা লাগবে। বর্ষাকালে ঝিরিপথ মারাত্মক সুন্দর। বিভিন্ন স্থানে বাড়ী বানিয়ে বাকী জীবন পার করে দেওয়ার ইচ্ছা হবে। বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে ওঠা প্রচন্ড ঝুকিপূর্ন এবং ঝিরিপথে এই লেকে গেলে আছাড় খাওয়া বাধ্যতামুলক। প্রচুর হাটার শারীরিক এবং মানসিক সামর্থ্য প্রয়োজন ।

৪,৮৮১ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “বগা লেক (ফটোব্লগ)”

  1. রাকেশ (৯৪-০০)

    ছবিগুলা চমতকার, ওখানে ইচ্ছা করলেও খারাপ ছবি তোলা সম্ভব না।

    বগা লেক নিয়ে কিছু মিথ আছে ওখানে, এখানে দিলে ভালো হত। তারপর, ভুতাত্বিক ভাবেও কিছু রহস্য আছে এলাকায়, সেটাও লেখা যেত। যেমন বগা লেকের সঠিক গভীরতা এখনো বের করা যায় নাই। আবার যতদুর দেখা গেছে, বগা লেক থেকে বাইরে কোথাও পানি বের হয় না, আবার অন্য কোথা থেকে পানি আসে না। শুধু কি বৃস্টির পানি জমেই এত বড়ো লেক হয়েছে না আন্ডারগ্রাউন্ড সুরঙ্গ আছে?

    পরেরটাই মনেহয় ঠিক, কারন প্রতিবছর মৌসুমের সাথে সাথে যখন লেকের পানির রঙ চেঞ্জ হয়, তখন ওই এলাকার অন্য সব পানিধারের রঙও চেঞ্জ হয়। আহারে, পানি ডুবা পাহাড়ী সুরঙ্গ, কতই না রহস্য আছে নীচে!

    জবাব দিন
    • রাজীউর রহমান (১৯৯৯ - ২০০৫)

      লেকে অনেকক্ষন সাতার কেটেছি। গতবার যখন বগা গিয়েছিলাম তখন এর গভীরতা সম্পর্কে প্রধানত ২টি মত শুনেছিলাম। একটি ১৫০০ফুট এবং ২০০ ফুট। কিন্তু ভিতরের দিকে বেশ কিছুদুর পর্যন্ত সাতার কাটার সময় শ্যাওলা, লতানো টাইপের জলজ গাছ পায়ে বাধে। যদি গভীরতা অন্তত ২০০ফুটও হয় তবেও এরকমটি হওয়ার কথা না।

      বেশ কিছু মিথও শুনেছি। সবচেয়ে প্রচলিত যেটা পাহাড় ফুড়ে একবার ড্রাগন বের হয়ে এসেছিল সেই থেকে লেকের সৃষ্টি। যে মিথটি মাত্র একবার শুনেছি তা গতবার গাইডের কাছ থেকে। এখানে নাকি বিরাট এক অজগর বাস করতে। সে নিয়মিত অধিবাসীদের গরু - ছাগল ধরে নিয়ে খেত ( কেন মানুষ খেত না ? আর ২০০০ বছর পূর্বে সেখানে কতজনই বা বাস করত ? ) পরে পাড়ার লোকেরা ফাদ পেতে তাকে ধরে হত্যা করে। তারপর এই লেকের সৃষ্টি হয়।

      মৌসুমের সাথে পানির রং বদল হয় নাকি বছরে একবার পানি ঘোলাটে হয়ে যায় ? প্রতি মৌসুমে রং বদল হওয়ার ব্যাপারটা জানতাম না।

      এই লেকের পানি শুধুমাত্র পাড়ার অধিবাসী এবং আর্মি ক্যাম্পের লোকজন ব্যবহার করে থাক। সম্ভবত বৃষ্টির পানিই এই লেকের একমাত্র উৎস। একটু পাশে নিচে আরেকটি পাড়া আছে। তাদের সম্ভবত আলাদা পানির উৎস আছে।

      জবাব দিন
  2. স্যার -
    অাপনি বগালেপ নিয়ে ওয়েবসাইটের পৃথিবী সকল মানুষকে প্রকাশ করেছি বলে
    অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই ?
    অামি ভাবতে পারি-না !
    স্যার এতকিছু ভালো কাজ করবে !
    তাই দীঘজীবি কামনা করছি !
    অামার ঠাকুর দের জম্ম স্থান - বগালেপ পাশে গ্রামে ! অামি যখন ক্লাস ওয়ান পড়তান তখন রাতে ঘুমানো সময় ঠাকুর এই বগালেপ গল্পটা পড়ে অামাকে ঘুম পেড়েতান ! গল্পটা অনেক ভালো লেগেছি ! তাই প্রতিদিন অামাকে শুনাতেন ! অামি প্রতিদিন শুনতাম ? মাঝে মাঝে অামার ঠাকুর মা বলতেন - বগালেপ ভবিষ্যৎতে ইতিহাস রয়ে যাবে অামরা মরলে ! ঠাকুর মা যখন মরে গেল ঠাকুর মা কথা একদমি সঠিক হয়েছে !অার
    স্যার অামি অাপনার সাথে সরাসরি দেখা না হাওয়া অাপনি অাপত্তি না থাকলে অাপনার মোবাইল নাম্বার দয়া করে দিবেন ! অামি অাপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাই ?

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।