বগা লেক
আয়তন : ১৫ একর।
সমুদ্র প্বষ্ট হতে উচ্চতা : প্রায় ২৭০০ ফুট ।
উপজেলা সদর হতে দুরত্ব : প্রায় ১৫ কিলোমিটার ।
প্রায় ২হাজার বছর আগে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাহাড়চুড়ায় সচ্ছ জলের মনোরম সরোবর । এ লেক নিয়ে অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস এ লেকের ভিতর ড্রাগন দেবতা বাস করে। গঠনশৈলি দেখে বিশেষজ্ঞগন মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বলে ধারনা করেন। বছরে একবার (এপ্রিল-মে) এ লেকের পানি প্রাকৃতিকভাবে ঘোলাটে হয়ে যায় যা নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন কৌতুহল বিদ্যমান।
রুমা থেকে ২টি পথে বগা লেক যাওয়া যায়। চাদের গাড়ীতে করে বা ঝিরিপথে হেটে। রাস্তার বর্তমান যে অবস্থা তাতে চাদের গাড়ীতে করে গেলেও প্রায় ১ ঘন্টা হাটা লাগবে। বর্ষাকালে ঝিরিপথ মারাত্মক সুন্দর। বিভিন্ন স্থানে বাড়ী বানিয়ে বাকী জীবন পার করে দেওয়ার ইচ্ছা হবে। বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে ওঠা প্রচন্ড ঝুকিপূর্ন এবং ঝিরিপথে এই লেকে গেলে আছাড় খাওয়া বাধ্যতামুলক। প্রচুর হাটার শারীরিক এবং মানসিক সামর্থ্য প্রয়োজন ।
🙂 ১ম........। :)) :)) :)) :))
চলো বহুদুর.........
কি ক্যামেরা?
তোমার ছবি তোলার হাত ভালো...
NIKON D3000.
🙂
সুন্দর জায়গা , ছবিগুলো আরও সুন্দর । যাইতে চাই ।
বর্ষাকালে যাওয়ার নিয়ত করেন। শীতকালে পাহাড়ের সৌন্দর্য কিংবা নীলগিরির মেঘ কোনটাই জুত করে উপভোগ করতে পারবেন না।
বর্ষাকালে গেলে রেমাক্রি তিন্দু আর থানচি মিস করা ঠিক না, কমপক্ষে ১০ দিনের ছুটি লাগবে
এখানে নাফাখুম...... বাংলাদেশের নায়েগ্রা! নামে একটি পোস্ট পড়লাম কিছুদিন আগে। তাজিংডং হয়ে থানচি আমি আগে একবার গিয়েছি। কিন্তু রোমাক্রি , তিন্দু সম্পর্কে আইডিয়া খুব কম। আমরা কয়েকজন সামনের বর্ষায় আবার এই নাখাফুম জলপ্রপাত দেখতে যাবো ঠিক করেছি।
আপনি কি রোমাক্রি তিণ্দু গিয়েছিলেন ? থানচি থেকে কিভাবে যেতে হয় ? সাকা হাফ্লং ও যাওয়ার শখ ছিল। কিভাবে যেতে হয় (কোন পথে) সে সম্পর্কেও জ্ঞান খুব সীমিত। পারলে জানান।
সামুতে সৌম্যকে ধর, সব জানে
সাকা হাফং নিয়ে বলতে পারি, এক্সট্রিম লেভেলের কস্ট হবে। দিনের পর দিন এমন বিরক্তিকর ঘন জঙ্গল পার হতে হবে। সাকা হাফং এর আগে দুইটা ট্রিপ দেয়া যায়ঃ বলিপাড়া থেকে চিম্বুক রেঞ্জ পার হয়ে কেওকারাডং, আর আরেকটা হল সিপ্পি আরসুয়াং।
আর আরামে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে সাজেক, কিংবা বড়পাথর।
ছবিগুলা চমতকার, ওখানে ইচ্ছা করলেও খারাপ ছবি তোলা সম্ভব না।
বগা লেক নিয়ে কিছু মিথ আছে ওখানে, এখানে দিলে ভালো হত। তারপর, ভুতাত্বিক ভাবেও কিছু রহস্য আছে এলাকায়, সেটাও লেখা যেত। যেমন বগা লেকের সঠিক গভীরতা এখনো বের করা যায় নাই। আবার যতদুর দেখা গেছে, বগা লেক থেকে বাইরে কোথাও পানি বের হয় না, আবার অন্য কোথা থেকে পানি আসে না। শুধু কি বৃস্টির পানি জমেই এত বড়ো লেক হয়েছে না আন্ডারগ্রাউন্ড সুরঙ্গ আছে?
পরেরটাই মনেহয় ঠিক, কারন প্রতিবছর মৌসুমের সাথে সাথে যখন লেকের পানির রঙ চেঞ্জ হয়, তখন ওই এলাকার অন্য সব পানিধারের রঙও চেঞ্জ হয়। আহারে, পানি ডুবা পাহাড়ী সুরঙ্গ, কতই না রহস্য আছে নীচে!
লেকে অনেকক্ষন সাতার কেটেছি। গতবার যখন বগা গিয়েছিলাম তখন এর গভীরতা সম্পর্কে প্রধানত ২টি মত শুনেছিলাম। একটি ১৫০০ফুট এবং ২০০ ফুট। কিন্তু ভিতরের দিকে বেশ কিছুদুর পর্যন্ত সাতার কাটার সময় শ্যাওলা, লতানো টাইপের জলজ গাছ পায়ে বাধে। যদি গভীরতা অন্তত ২০০ফুটও হয় তবেও এরকমটি হওয়ার কথা না।
বেশ কিছু মিথও শুনেছি। সবচেয়ে প্রচলিত যেটা পাহাড় ফুড়ে একবার ড্রাগন বের হয়ে এসেছিল সেই থেকে লেকের সৃষ্টি। যে মিথটি মাত্র একবার শুনেছি তা গতবার গাইডের কাছ থেকে। এখানে নাকি বিরাট এক অজগর বাস করতে। সে নিয়মিত অধিবাসীদের গরু - ছাগল ধরে নিয়ে খেত ( কেন মানুষ খেত না ? আর ২০০০ বছর পূর্বে সেখানে কতজনই বা বাস করত ? ) পরে পাড়ার লোকেরা ফাদ পেতে তাকে ধরে হত্যা করে। তারপর এই লেকের সৃষ্টি হয়।
মৌসুমের সাথে পানির রং বদল হয় নাকি বছরে একবার পানি ঘোলাটে হয়ে যায় ? প্রতি মৌসুমে রং বদল হওয়ার ব্যাপারটা জানতাম না।
এই লেকের পানি শুধুমাত্র পাড়ার অধিবাসী এবং আর্মি ক্যাম্পের লোকজন ব্যবহার করে থাক। সম্ভবত বৃষ্টির পানিই এই লেকের একমাত্র উৎস। একটু পাশে নিচে আরেকটি পাড়া আছে। তাদের সম্ভবত আলাদা পানির উৎস আছে।
তাই মনে হয় হবে, বছরে একবার চেঞ্জ হয়, তবে বগা লেক ছাড়া অন্যান্য যেসব জলাধার আছে সেগুলার পানির রঙ ও নাকি একসাথে চেঞ্জ হয়। যাই হোক, রঙ চেঞ্জ হবে কেন?
এই যুগে গভীরতা মাপা কোন ব্যাপার না, আর্মি হয়ত মেপেছে কিন্তু পাবলিকলি জানায় নাই। আর পাহাড় ফুড়ে ড্রাগনের ব্যাপারটাই বেশী বিশ্বাসযোগ্য, আগ্নেয়গিড়ী হতে পারে।
পাহাড় ফুড়ে ড্রাগন আসার সাথে লেক সৃষ্টি হওয়ার সম্পর্কটা ঠিক বুঝলাম না।
লারাম বমের বাসায় জুমের মরিচ ,ডাল আর ডিম ভাজা দিয়া ভাত! পুরা রাস্তা হেঁটে বগা লেক পৌঁছানোর পর মনে হইসে এর চাইতে ভালো খাবার দুনিয়াতে আর নাই!
আমাদের দুপুরের খাবার ছিল বিস্কুট আর প্রান। ক্ষধার্ত, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় বগা লেক পৌছে মনে হচ্ছিল এই লেকের সব পানি খেয়ে ফেলি। ডিনারে অত্যধিক ঝালসহ রান্না পাহাড়ী মুরগী দাত দিয়ে ছিড়তে কষ্ট হচ্ছিল। অতিরিক্ত ক্ষুধায় সবই অমৃতের মত লাগে।
সিসিবি থেকে ১টা ট্যুরের ব্যবস্থা করা যায় না? সবাই এক সাথে গেলে ভালো লাগত।
বগালেক, নীলগিরি আরো ১০০ বার যাওয়ার জন্য আমি just: ১পায়ে খাড়া। :
আমিও ইন, তয় মানুষ একটু বড়ো ছুটি ম্যানেজ করলে নীলগিরী থেকে বগালেক কেওকারাডোং বড়পাহার দেখে আসতাম
আমি যাপোওওওওওওওওওও........ :((
যাইতে মঞ্চায়
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
যাইতে চাই...... :(( :((
জটিল পোস্ট রাজী!
ছবিগুলা দারুণ লাগসে। প্রিয়তে
মন ভালো করা সব ছবি... :thumbup: :hatsoff:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ছবিগুলো দারুন!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ভাই চরম জায়গা....তুলবো না কখনও....আবার যাইতে চাই....
নাফাখুম রোমাক্রি তিণ্দু বিষয়ে কিছু জানলে জানান ........ :clap:
স্যার কষ্ট করে ফেসবুকে পোষ্টটার লিংক দিলে ভালো হয়। এই ওধম্রা তাইলে সময় করে পড়তে পারে
তবে ছবি গুলা কিন্তু মারাত্তক হইছে
মুখমন্ডলপুস্তকে ছবিসকল পূর্বেই আপলোডকৃত।
:clap:
খুব সুন্দর
স্যার -
অাপনি বগালেপ নিয়ে ওয়েবসাইটের পৃথিবী সকল মানুষকে প্রকাশ করেছি বলে
অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই ?
অামি ভাবতে পারি-না !
স্যার এতকিছু ভালো কাজ করবে !
তাই দীঘজীবি কামনা করছি !
অামার ঠাকুর দের জম্ম স্থান - বগালেপ পাশে গ্রামে ! অামি যখন ক্লাস ওয়ান পড়তান তখন রাতে ঘুমানো সময় ঠাকুর এই বগালেপ গল্পটা পড়ে অামাকে ঘুম পেড়েতান ! গল্পটা অনেক ভালো লেগেছি ! তাই প্রতিদিন অামাকে শুনাতেন ! অামি প্রতিদিন শুনতাম ? মাঝে মাঝে অামার ঠাকুর মা বলতেন - বগালেপ ভবিষ্যৎতে ইতিহাস রয়ে যাবে অামরা মরলে ! ঠাকুর মা যখন মরে গেল ঠাকুর মা কথা একদমি সঠিক হয়েছে !অার
স্যার অামি অাপনার সাথে সরাসরি দেখা না হাওয়া অাপনি অাপত্তি না থাকলে অাপনার মোবাইল নাম্বার দয়া করে দিবেন ! অামি অাপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাই ?