সে খুব ভালো বন্ধু ছিলো আমার। বন্ধুত্বের শুরু থেকেই তার প্রতি আমার ছিলো সীমাহীন আবদার।আর সে দিনেরপর দিন ক্লান্তিহীনভাবে আমার আবদারগুলো মিটিয়ে চলত।তার কন্ঠের গান শুনে, মন খারাপ থাকলেও মন ভালো হয়ে যেত আমার।আমি খুব কবিতা ভালোবাসতাম।আমি কোনকবিতা পড়তে চাইলে সে কোত্থেকে যেন সে খুজে এনে দিত কবিতাটি।সে বোধহয়পণ করেছিল আমার কোন চাওয়া অপূর্ণ থাকতে দিবে না সে।যেন আমার আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্যই তার জন্ম।তার সাধ্য হয়ত অনেক কম।কিন্তু তার সাধ্যের সবটুকু সে উজাড় করে দিয়েছে শুধুই আমার জন্য।অথচ এই আমি!কী ভীষণ স্বার্থপর!নিজের বন্ধুর সুবিধা-অসুবিধার কথা কখনো ভাবিইনি আমি।যে আমাকে দিতে দিতে আজক্লান্ত,নিঃস্ব ওরিক্ত।বিনিময়ে আমি তাকে অত্যাচারই করে গেছি সারাজীবন। তার ছোটখাটো অসুস্থতা কখনোই আমার কাছে তেমন একটা গুরত্ব পেত না, বরং কেমন একটা বিরক্তিভরা দৃষ্টিতে তাকাতাম তার দিকে।বন্ধুটির মৌনতা আমাকে জানিয়ে দিত কতটুকু লজ্জিত সে।
হায়রে,আমার নিদারুণ অনাদর অবহেলায় কখন যে একটা অজানা ভয়ঙ্কর রোগ বাসা বেধেছে আমার বন্ধুর শরীরে সেটা আমি টেরই পাইনি।আজ বুঝলাম,প্রথমবারের মত সে স্ট্রোক করার পর।অনুভব করলাম তাকে আমি কত ভালোবাসি,তাকে আমার কত প্রয়োজন। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলাম,
“হে আল্লাহ,এবারের মত আমার বন্ধুটিকে সুস্থ করে দাও”
সৃষ্টিকর্তা আমার প্রার্থনা শুনলেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলো আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুটি।
তারপর….
তারপর আবার শুরু হলো আগের সেই অত্যাচার।
ও হো বন্ধুটির পরিচয় দিতেই ভূলে গেছি।
বন্ধুটি আমার হ্যান্ডসেট।NOKIA 2700 CLASSIC 😛
৭ টি মন্তব্য : “আমার প্রিয় বন্ধুটি”
মন্তব্য করুন
:thumbup:
🙂 🙂 🙂
হা হা হা। মজা পাইসি 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ধন্যবাদ জিহাদ ভাই,আমি আপনার লেখার ফ্যান।
:clap:
NOKIA 2700 CLASSIC রে ::salute:: মজা পাইলাম :thumbup: :thumbup:
😀 😀 😀