আমি আশিক ,পোলাডা অতো ভালা না , তয় খুব খারাপ ও আবার না । যাই হোক ,ক্যাডেট কলেজে যখন ফার্স্ট ঢুকলাম , মোটামুটি ভালো একটা পোলা আছিলাম ,প্রথম যেদিন কলেজে ঢুকলাম এক ভাইয়া জোকস কইরা কয় আচ্ছা মনে করো আমার নাম দুলা তুমি আমারে কি ডাকবা মনে মনে কইলাম হালা, তোমার বইনরে আমি বিয়া করলে আমারে তুমি যা ডাকবা তাই ডাকুম । সামনা সামনি তো আর তাই কয়া যায় না তাই মুখে একটা ভদ্রতার হাসি আইনা কইলাম “ভাইয়া দুলা” ডাকব । হেয় আমারে কয় তুমি কি অন্য সবাই কে ডাকার সময় নামের আগে ভাই বলো না নামের পরে ভাই বলো ?আমি কইলাম,ভাইয়া নামের পরে ভাইয়া ডাকি । তখন হেয় আমারে কয় তাইলে আমারে নামের আগে ভাইয়া ডাকবা ক্যান?, আমি বললাম ঠিক আছে ভাই, দুলা ভাই ডাকবো ।
মন ঠন এমনিতেই খারাপ , মাগরিবের নামাজ পড়ে যখন রাস্তা দিয়া হাউসে যায়তাছি তখন কি মনে কইরা জানি একটা 12 এর ভাইয়ারে হাত উঠাইয়া সালাম দিলাম । ভাইয়াটা একটু অবাক হইলো । তারপর বললো ওই যে সামনে যেই গোল টুপি পড়া ভাইয়া টাকে দেখতাছ না ওকে যাইয়া এইভাবে সালাম দাও,বইলা সালাম দেয়ার একটা স্টাইল শিখাইয়া দিলো ( আগেকার রাজা বাদশাহদের সৈনিকরা আইসা যেমনে কুর্নিশ কইরা সালাম দিতো অমনে ) আমি আপত্তি জানাইলাম কিন্তু কাম হইলো না, ভাইয়া কইল জাননা ক্যাডেট কলেজ এ সিনিয়ররা যা বলে তাই শুনতে হয় । আমি উপায় না দেইখখা যা কইল তাই করলাম, নির্দিষ্ট ভাইয়াটার সামনে যাইয়া যেই কুর্নিশ করলাম ওই খাইলাম একটা চর । অইদিন অবশ্য এইডা নিয়া খুব মাখামাখি করছিলাম , but পরে আস্তে আস্তে বুঝসিলাম যে ক্যাডেট কলেজ এ চর জিনিসটা খুব্বই সস্তা । ক্যাডেট কলেজের আর কয়েকটা উদ্ভট জিনিসও লক্ষ্য করলাম , তার মধ্যে একটা হইলো এইখানে সিনিয়রদের রুমের দিকে পশ্ছাতদেশ ফিরাইয়া permission নিয়া লাগে,তখন বুঝতাম না যে রুমের বাইরে দরজার দিকে নিতম্ব ফিরাইয়া permission নিয়ার মানে টা কি? পরে অবশ্য বুঝছি যে জিনিসটার দরকার আসে । যাই হোক একদিন ক্যান্টিন থেইক্কা আইতাছি, এক ভাইয়া দার করাইয়া কয়, ক্যান্টিন এ কি কি আছে ? আমি ক্যান্টিন এ গেছিলাম আরেক ভাইয়ার চানাচুর কেনার লায়ইগগা তাই কইলাম ভাই চানাচুর আসে । হেয় তারপর জিগায় আর কি কি আছে ? আমি কই জানিনা ভাই, হেয় কয় জানছ না ক্যান? আমি মনে মনে কই হালা তোমার লাইগগা কি আমার ক্যান্টিন এ কি কি আসে মুখস্থ রাখতে হইব? হ্যাঁয়ে কয় কিরে কথা কস না ক্যান ? আমি মনে মনে কই ভাই মনে মনে কইতাসি । তারপর উনার হাতের ছাপটা আমার গালে বশাইয়া হাউসে ফিরলাম , হাউসে এ আইসা যথারিতি তার ১৪ গুশটি উধধার করলাম
কলেজে আরেকটা problem আছিলো dinning hall manner , ভাই বহুত মাইর খাইছি এর লাইগা । যাই হোক আমিও কম পুংটা আছিলাম না , যেই ভাইয়া বেশি বাড়াবাড়ি করতো dining hall এ আগে যাইয়া তার কাপটার মধ্যে সুন্দর কইরা থু থু ফেলাইয়া দুধ ঢাইলা দিতাম,ভাইজান যখন আস্তে আস্তে দুধ চুমুক দিয়া খাইত মনে মনে কইতাম খান ভাইজান মজা কইরা আমার থু থু খান আর মনে মনে এক রকম শয়তান শয়তান ভাব অনুভব করতাম । আর মাঝে মাঝে যখন ফল দিতো তখন ভাইয়াদের ফল মারা ছিল কমন বেপার , একদিন যেই একটা জিলাপি মুখে নিছি অমনি এক ভাইয়া আইছে কি করমু না বুইঝা জিলাপি খানা মুখের মধ্যে ঢুকাইয়া দাড়ায়ে রইলাম,ভাইয়া অবশ্য বুঝছিল but কিছু কয় নাই ।মনে মনে ভাইয়ারে থাঙ্কু দিছিলাম।
দেখতে দেখতে ক্লাস এইটে উঠলাম স্বাভাবিক ভাবেই নতুন নতুন জুনিয়র পাইয়া একটু আধটু মাইর দেওয়া আরাম্ভ করলাম । তো রুম লিডার থাকা কালিন সময় একদিন এক পোলা রুম এ ঢুকলও কি fault এ জানি পলারে একটু সান্টিঙ দিলাম যাই হোক মাইর খাওয়া থেইক্কা পুলাডা বাইচা গেলো । রুম থেইক্কা বাইর হয়ার সময় কি মনে কইরা জানি আমি আবার পিছনে ফিরা তাকাইলাম তহনি দেহি পুলাডা শিলা dance দিতাছে,আমার মাথা তো চরম গরম হইয়া গেলো । খাকি ড্রেস এ বুট পরা অবস্থায় পোলাডারে front roll দিয়ানো শুরু করলাম । স্বভাব অনুযায়ী late হোইলে লাথি দিতে লাগলাম । হঠাৎ একটা লাথি খাইয়া পোলাডা তিন হাত দূরে গিয়া পরলো । পাঠার মত পোলাডা কান্না আরাম্ভ করল । আমি কিছু বুঝলাম না । জিগাইলাম কি হইসে ? কইল ” ভাইয়া বুটে লাগসে । আমি ভাব্লাম মনে হয় আমার oxford shoe এ লাগসে । তাই কইতাসে বুট এ লাগসে , আমার মাথা আরো গরম হইয়া গেলো, কইলাম ওই বুটে লাগসে তো কি হইসে start frontroll । পোলা কয় ভাইয়া খুব বাথা করতাসে । আমি বললাম ক্যান ? ও কয় ভাইয়া বুটে লাগসে । তারপর আমি জিগাইলাম বুট মানে কি? তারপর পোলাডা কইল ভাইয়া বিচিতে লাগসে , আমি তহন বুঝলাম যে বুট মানে আন্ডকোষ । আমিতো বুঝতে পাইরা দিলাম হাইসআ। পরে আমার নিজেরই দুখঃ লাগলো ।অইদিন শিখলাম যে বুট মানে কি?
কলেজে ক্লাস 8.5 থেইক্কা মোল্লা হইয়া গেসিলাম । সবাইরে নামাজে ডাকতাম । কখনও টিভি রুমে যাইতাম না । but টিভি রুমের কাসেই ছিল আমার ২১ নাম্বার রুমটা , তা কইদিন ধরেই শিলা কি জাওানি গানডা খুব ডিস্ট্রাব দিতে আছিলো । তো একদিন শুক্রবার দুপুরে ঘুমের মধ্যে গানডা শুইনা ঘুম থিক্কা উইঠা একটা আরমোড়া দিয়া চিল্লাইয়া গাইয়া উঠলাম “মাই নেইম ইস শিইইইইইইলাহ,নাউযুবিল্লাহ…। দেহি রুমের পলাপাইন সব হো হো কইরা হাইসআ উঠসে । পরে বুঝলাম কামডা ঠিক হয় নাই । আরেকদিন শীতের মধ্যে ভোর বেলায় ফাজরের নামাজ পরতে জামু । but কেউ নাই ভয় ভয় লাগতেসিল তবুও অজু কইরা হউস মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম । ব্লক পার হইয়া হউস মসজিদের গলির দিকে যেই মর নিলাম অম্নি পাইলাম ভয় , দেখি মসজিদের সামনের পাপোশটা নাছতেসে । আমিত ভয়ে দিলাম দৌড় । যাইয়া আরেক নামাজি জুনওর পলারে ডাইকা কইলাম ভাই হউস মশজিদের সামনে পাপশ নাছতেসে । ভয়ংকর পাপস নৃত্ত । তারপর ও অজু কইরা গেলো আমি ওর পিছু পিছু গেলাম । যাইয়া দেখি পাপোশটা স্থির । পরে কাসে গেলাম যাইয়া দেখি অইখানে পাপশের কালারের একটা কুকুর বইশা ছিল ওইটা নড়ছিল দিখা ভান্সিলাম পাপশ নাচতেসে । পরে লজ্জা পাইছিলাম অবশ্য ।,
কলেজে আরও বহুত মজার স্মৃতি আছে । সব দিতে পারলাম না । but মনে মনে অইগুলা ভাবলে এখোনো ভালো লাগে । ইশ আবার যদি ক্যাডেট হইতে পারতাম ।
মাঝে মাঝে একটা কবিতা হৃদয়ে বেজে উঠে,
“ Backward turn Backward,oh tme in your flight
Make me a cadet again just for tonight”
আমি withdrawn cadet যেইদিন শুন্সিলাম আমি আর ক্যাডেট নাই , খুব কাদছিলাম miss all my classmates of 32nd batch।
আমার frist লেখা সবাই দয়া করে ভুল ত্রুটি মাফ করে দিবেন ।
——- CADET ASHIK (CADET NO. :-1605)
32ND BATCH (SHAHJALAL R: HOSE)
SYLHET CADET COLLEGE
🙂
লেখা চমৎকার লাগল। ক্যাডেট কলেজের মজার স্মৃতি গুলোর একটা ইউনিভার্সাল (বলা যেতে পারে কলেজভার্সাল) ভাষা আছে। সবার স্মৃতিগুলোই কেমন যেন এক রকম। তবে একটা ছেলেকে অন্ডকোষে লাত্থি দেয়াটা বেশ পৈশাচিক। ইচ্ছাকৃত না হলেও স্পষ্টতই কেয়ারলেসনেস ছিল। আর কাপের মাঝে থু থু দেয়াটাও খুব একটা রুচিকর লাগল না। ক্যাডেট কলেজে এগুলো হয়, অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। তবে এটা কোন উচিৎ কাজ না।
সহমত আপু.........আশা করি আমাদের কলেজে কোন জুনিয়র এমন কোন কাজ করেনাই। ভাবতে অরুচিকর লাগে। (সম্পাদিত)
:frontroll: :frontroll: :frontroll: sorry apu......duita e onichsakrito r thu htu dear lajta ami kori nai arekjoner karbar copy marsi....
sorry vai...duitai e onichchakrito...r cup e thu htu ami jiboneo dei nai..eida arekjener karbar copy korsi...thanks for response....
ইয়াল্লা... সামিয়া আপুকে দেখি ভাই বলে সম্বোধন করসে। এখনিতো বোমা মারবে 😛
কি যে কন না ভাই ।বমা মারবে ক্যান ?জানেন না ছেলে মেয়ে বিভেদ নাই ।
হারামজাদা স্টার্ট ফ্রন্টরোল। নাক টিপলে পানি বেরোয়, বাচ্চা পোলা আর ভাইয়া আপু চিনে না।
ছেলে মেয়ে বিভেদ নাই? তাইলে তুই ময়মনসিংহে পড়স নাই ক্যান?
রকিব, ফ্রন্ট্রোল শেষ পোলাটারে দুইটা ক্যাডবেরী দিস।
apu chance paile thiki mgcc te portam. ar apni dehi birat jollad asilen . college theke bair hoia e ei obostha college e thakte na jani ki korten..jai hok but apur monta amar moto oneekk valo , naile ki ar cadberry khaoaiten ???? :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
good work my dear .. i wish u all the best
ভাল লিখছিস।চালিেয় যা
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই :awesome:
:clap:
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই :awesome:
:boss: no comments..
ক্যান ভাই । কিছু একটা কন ।
thanx sakib vai...
পড়ার সময় একটা জিনিষ মনে পরল, আমি যদি কলেজের স্মৃতি নিয়ে লিখি হয়তবা আশিকের মত এবং অনেক ক্ষেত্রে ওর জিনিষগুলোই লিখব। সে out হয়ে গেছে এইটা একটা cadet-এর জন্য অনেক অনেক বড় একটা শাস্তি তারপরও তার এই লিখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও :awesome:
baizid vai ami out hoisi shompurno vinno ekta coz e ami ek staff re slap koira out hoisi, but thanx for the console, thanx for response vai...
thanx shihab vai, thanx mohiuddin vai...
:)) :)) :))
লিখা খুব এ ভাল..but....finissing ta aro valo hile aro valo hoto..
সরি ভাই । নেক্সট টাইম ট্রাই করবো :boss:
লেখা ভালো ছিল, মজা পাইসি।
কিন্তু কিছু লাইন এ আপত্তি ছিল। মনে মনে অনেক কিছুই ভাবি কিন্তু সেটা সব জায়গায় প্রকাশ করা ভালো দেখায় না। লাইন গুলো কোট করলামনা।
তুমি কি ফেসবুকের সেই আসিক উল্লাহ যাকে ম্যাসেজ পাঠাইসিলাম আমি ?? 😛
দশটা ফ্রন্ট্রোল দিয়ে স্টাফ কে চড় মারার কাহিনীটা লিখে ফেল, তবে হালা বইলা সম্বোধন কইরোনা।
ব্লগ এডু স্যার মাইন্ড করলে খবর আসে 😀
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
ভাই কাহিনি তেমন কিছুই না ,রাগ উঠছিলো মাইরা দিছি । আর আমিত বিয়াই করি নাই । এই হালা সেই হালা না । এই হালা মানে হইলো
H= Hey
A= are u
L= Lol by
A=Ashik
:))
onek valo laglo... :)) =)) :clap:
ধন্যবাদ ভাই । অনেক ধন্যবাদ । 😀
mama chokhom
থাংক্স ভাই থানক্স এ লট ।
ভাল লিখেছ। চালিয়ে যাও।
স্টাফ রে মারছ, করছ কি মিয়া 😮
কোন পরিস্থিতিতে তুমি কাজ টা করছ জানি না, কিন্তু কাজ টা মোটেও ভাল হয়নি।
যদিও আমি আমার লাইফের প্রথম ইডি খাইসি স্টাফ রে ধমক দেবার জন্য 😕
dhonnobad vai :boss: :boss:
আমার ৫ বছর জুনিয়র চলে আসছে? 😮 😮
নাহ বুড়া হয়ে যাইতেছি।
vai chintar kono karon nai,ami mone hoi bloger juniour most writer.. :brick: :brick: :brick: :brick: