প্রভুর ক্ষমা, মায়ের আশীষ

নিজের লেখায় কখনো তৃপ্ত বোধ করি না। যতবার পড়ি, ততবারই সম্পাদনা করতে ইচ্ছে হয়। নিজের লেখা পুরনো কবিতার ঝাঁপি খুলে আজ এই কবিতাটাকে হাতের কাছে পেলাম। পড়ে ভাল লাগলো, কবিতা লেখার পেছনের অনুভূতিটার কথা মনে পড়ে গেল। সাথে সাথে মাকে ফোন করলাম, দোয়া চাইলাম। মা জানালেন, সব সময় আমরা তাঁর দোয়ায় আছি। মাথায় তাঁর অদৃশ্য হাতের পরশ অনুভব করলাম। মায়ের হাসিমাখা কথাগুলো কানে গেঁথে রইলো।

প্রভুর ক্ষমা, মায়ের আশীষ

যে আমারে করেছে সৃজন,
তাঁরে পেতে ক্ষণে ক্ষণে উতলা এ মন।
যদিও বা জানি,
কতকিছু করে গেছি তাঁর নির্দেশ না মানি!
তবুও অনুক্ষণ,
তাঁর ক্ষমার পরশ পেতে এ মন উচাটন।

আমার জীবন প্রাণ যাঁর করতলে,
সেকি মোরে ফেলে দেবে নরক অনলে?
যত করি ভুল,
তাঁর ক্ষমা পেতে ততো চিত্ত আকুল।
যদিও বা ভুলগুলো ওহুদ সমান,
প্রভুর ক্ষমার কাছে সেটা তিল পরিমাণ।

যে আমারে করেছে সৃজন,
অনুতপ্ত মনে তারে খুঁজি সারাক্ষণ।
সে আমারে কয়,
ওহে বাছা ভুল তোর যে পরিমাণে হয়,
আমার ক্ষমার দ্বার তাঁর চেয়ে উঁচু,
মায়ের আশীষ যদি থাকে তোর পিছু।

পাদটীকাঃ মায়ের আশীষ না পেলে প্রভুর ক্ষমাও মেলেনা।

ঢাকা
২১ অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

৫,৫৯১ বার দেখা হয়েছে

২ টি মন্তব্য : “প্রভুর ক্ষমা, মায়ের আশীষ”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।