অকবিদের কবিতা

অকবিদের কবিতা-
হয়তো সবই যাচ্ছে তা,
উর্বর বাংলার জনসংখ্যার মত
অগণিত…
অসহায়…
জন্মায় আগাছার মত।

তবুও আশায় থাকি-
একদিন আগাছার মধ্য থেকেই
সবার অলক্ষ্যেই-
কেউ কেউ উচ্চশির হবে,
মহীরুহ হয়ে দাঁড়িয়ে রবে,
গাছ আগাছার মাঝে, সগৌরবে!!!

অকবি’র কথাঃ একথা অনস্বীকার্য, সিসিবি’তে যারা কবিতা লিখেছেন এবং এখনও লিখছেন, তাদের সবার কবিতার মান (আমার নিজেরগুলো মতই) উচ্চ নয়।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি – ৬ঃ মাউন্ট ড্যান্ডিনং রেঞ্জে এক পড়ন্ত বিকেলে

এর আগের পর্বটি দেখতে পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি – ৫ঃ নতুন বছরের (২০২০) প্রথম কয়েকটা দিন

প্রতি বছরের জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের প্রথম শুক্রবারে ব্রাইটন বীচের বেলাভূমি সংলগ্ন ভূমিতে খোলা আকাশের নীচে “Soul Night Market” এর আয়োজন করা হয়। Night Market বা “নৈশ বাজার” কেবল নামেই, আসলে এটা শুরু হয় মধ্যাহ্নের পর পরই, শেষ হয় সূর্যাস্তের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই।

বিস্তারিত»

নারী ও প্রকৃতি

নারী ও প্রকৃতি

নারী ও প্রকৃতি
একে অপরের প্রতিকৃতি,
শোভায়, স্বভাবে, মননে, মেজাজে
দেখি তাদের আমি একই সাযুজ্যে।

তারা উভয়ে প্রাণের ধারক ও বাহক,
ঝড় ঝঞ্ঝায়, ক্ষুধায় প্রতিপালক।
গর্ভে, ক্রোড়ে, বক্ষে, আঁচলে রেখে
লালন করে নবজাতককে সস্নেহে।

সকল সৌন্দর্যের উৎস প্রকৃতিমাতা
নারী তার থেকে আহরণ করে স্নিগ্ধতা।
ঋতুতে ঋতুতে প্রকৃতি যে রূপ বদলায়,

বিস্তারিত»

কতোদূর এগোলো মানুষ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামের এক শব্দবন্ধের সঙ্গে আমাদের তারুণ্যের বেড়ে ওঠার অনেক স্মৃতি জড়িত। মনে পড়ে, তখন হঠাত করেই পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া, বিজ্ঞাপন কিংবা জনমুখে ‘ডিজিটাল’ শব্দের ব্যবহার বেড়ে গেলো। সে সময়ে মানুষের মস্তিষ্কে তা এমন অভিঘাত তুলেছিলো যে শহর কিংবা মফস্বলে বিভিন্ন দোকানপাটের নামের সঙ্গে দেদার্চে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত হওয়া শুরু করলো। ‘মায়ের দোয়া ফুচকা’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল ফুচকা শপ’, ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল বিরিয়ানি হাউজ’ এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে।

বিস্তারিত»

যৌথ প্রয়াস (অনুবাদ কবিতা)

সে বুদ্ধি আঁটে, আমি সাহস দেই।
সে শেখায়, আমি শিখি।
(এভাবেই) আমরা কাজ করি।

সে মাপ নেয়, আমি চেরাই।
সে ধরে, আমি ছিদ্র করি।
(এভাবেই) আমরা বিনির্মাণ করি।

আমরা যোগাই, আমরা গজাল ঠুকি।
আমরা পালাবদল করি, করে সরি।
আমরা (একে অপরের) প্রশস্তি করি।

মূলঃ Moira Cameron
অনুবাদঃ খায়রুল আহসান

কবি পরিচিতিঃ কানাডার টরন্টো তে জন্ম হলেও,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি – ৫ঃ নতুন বছরের (২০২০) প্রথম কয়েকটা দিন

এর আগের পর্বটি দেখতে পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি-৪ঃ ঘরোয়া জন্মদিন পালন এবং ঘরের বাহিরে ইংরেজী নতুন বর্ষবরণ


(আমি দিনভর সময়ে সময়ে ব্যালকনিতে এসে আমার প্রিয় আকাশটাকে দেখে গিয়েছি)

আগের রাতে দেরী করে ঘুমালেও, বেশ সকাল সকাল ঘুম ভেঙে যাওয়ায় ইংরেজী ২০২০ সালের প্রথম প্রত্যুষে ব্যালকনিতে এসে দেখি তখনো মেঘের কোলে রোদ হাসেনি, তবে দূর থেকে আসা রাঙা প্রলেপ মেঘের গায়ে গায়ে লেগে আছে।

বিস্তারিত»

নক্ষত্রবাসী

ছোটবেলায় বাবা অফিস থেকে সন্ধ্যায় ফিরতেন।
হাতমুখ ধুয়ে উঠোনে রাখা একটা ইজী চেয়ারে
গা এলিয়ে তিনি আমায় ডেকে নিতেন।
আমি তার পেছনে দাঁড়াতাম,
তিনি মুখে মুখে ইংলিশ ট্রান্সলেশন ধরতেন,
পাটিগণিতের আর্যা ধরতেন,
মুখে মুখে অংক কষাতেন,
আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেন,
ওরিয়ন, গ্রেট বীয়ার, পোল স্টার, আরো কতো কি!

সেই থেকে আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল,

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি-৪ঃ ঘরোয়া জন্মদিন পালন এবং ঘরের বাহিরে ইংরেজী নতুন বর্ষবরণ

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি (৩)… আজ বাইরে কোথাও যাচ্ছিনা, তাই ইতিহাস নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটি

আমরা যখন অস্ট্রেলীয় ভিসার জন্য অপেক্ষমান ছিলাম, তখন হঠাৎ একদিন আমাদের বিয়াই সাহেব (মেজ বৌমার বাবা) আমাদেরকে টেলিফোন করে জানালেন যে ওনারাও নিতান্ত আকস্মিকভাবেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটা ভাল অফার পেয়ে মেলবোর্নে যাওয়া-আসার টিকেট করে ফেলেছেন। ওনাদের যাত্রার তারিখ ২৭ ডিসেম্বর রাতে, ফেরত আসার তারিখ ১৬ জানুয়ারী ২০২০ রাতে।

বিস্তারিত»

পথ হারানো শিশুর মতন

সুখে দুঃখে যাকে খুঁজি,
সে তো আছে আমাতে ডুবি,
রক্তধারায় শিরায় শিরায়
মগজে মননে,
শয়নে স্বপনে,
তবু তারে খুঁজি অবচেতনে।

ব্যথা বেদনায় তারেই খুঁজি,
নিশীর আঁধারে, দিবার আলোতে,
নিদ্রা সজাগে, মন্দ ভালোতে,
হাসির ঝিলিকে, অশ্রুজলে।
এক পথ হারানো শিশু যেমন
মাকে খোঁজে, চোখের আড়ালে!

ঢাকা
১২ জুন ২০২০

বিস্তারিত»

এই ভালো, তবে এই ভালো….

তুমি একটা কিছু বললেই,
আমি চুম্বকের মত আকর্ষিত হই,
অভিভূত হই, আলোড়িত হই।
তোমার অদেখা মুখটা খুঁজতে থাকি,
চোখ দুটো খুঁজি, চোখের তারা খুঁজি।
আমার কান দুটো অতন্দ্র প্রহরীর মত
জেগে থাকে, শিশিরের শব্দ শোনার মত
তোমার মিহিসুর কন্ঠ শোনার জন্য।

কিন্তু এসব কোন কিছুই যখন হবার নয়,
যখন জানি, এ দু’চোখ তোমাকে
খুঁজে পাবে না,

বিস্তারিত»

করোনা কালের দুটো লিমেরিক

একঃ ভুলো মন

করোনা ভয়ে ভীত হয়ে ঘরেই বসে আছি,
ঘরের বাইরে বের হবো না শপথ করেছি।
খাচ্ছি দাচ্ছি যখন তখন,
গল্প করছি ইচ্ছে মতন,
গোঁফ দাড়ি যে কাটতে হবে, সেটাও ভুলেছি!

ঢাকা
১৯ এপ্রিল ২০২০

দুইঃ নিষ্ফল প্রচেষ্টা

লকডাউনে আটকে আছি সারাটা দিন ঘরে,
এই সুযোগে লিস্টি করি গভীর চিন্তা করে।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি (২)… ‘মেরী ক্রিস্টমাস ডে’ – ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি (১)…..

আজ ‘মেরী ক্রিস্টমাস’ দিবস। সরকারী ছুটির দিন। ছেলে বললো, সন্ধ্যায় আমাদেরকে নগরীর আলোকসজ্জা দেখার জন্য সিটি সেন্টারে নিয়ে যাবে। এখন এখানে সন্ধ্যা নামে নয়টায়। আমরা রওনা দিলাম সাড়ে সাতটার দিকে, তখনো বিকেলটা রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল। এসব দিনে রাস্তাঘাটে সহজে পার্কিং স্পেস পাওয়া যায় না। ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে কোন রকমে একটা পার্কিং স্পেস পাওয়া গেল। সেখানে গাড়ী রেখে আমরা পায়ে হেঁটে মেট্রোরেল স্টেশনে এলাম।

বিস্তারিত»

স্বপ্নিল ধোঁয়া

চায়ের পেয়ালা থেকে
কুন্ডলী পাঁকিয়ে উড়ে যায় কিছু ধোঁয়া
খানিক পরেই মিলিয়ে যায়
শূন্যতায়!

মনের গহীন থেকে
অগোচরে বের হয়ে যায় কিছু ইচ্ছে ঘুড়ি
দীর্ঘশ্বাস হয়ে মিলিয়ে যায়
সপ্তাকাশে।

রঙিন সেই ঘুড়িগুলো
স্বপ্ন হয়ে থিতু হয়ে যায় মেঘের কোলে।
কোন এক শাওন রাতে আবার ফিরে আসে
বৃষ্টি হয়ে!

ঢাকা
০৮ মে ২০২০

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি (১)…..

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (৩) …. অবশেষে মেলবোর্নের মাটিতে!!!

দিবাকরে দেখা প্রথম দিন (২৪ নভেম্বর ২০১৯):

দুয়ারে দুয়ারে প্রায় ২১ ঘন্টা জার্নীর পর (ঢাকার বাসা থেকে থেকে মেলবোর্নে ছেলের বাসা) গতরাতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তার উপর রাতে শয্যা নিয়েছি অনেক দেরীতে। তাই সকালে ঘুম ভাংলো অনেক দেরীতে। আমার ছেলে ও বৌমা মেলবোর্নে সংসার শুরু করার পর ওদের এই বাসাটা দ্বিতীয় বাসা।

বিস্তারিত»