রমজানের স্মৃতি-৩

ছোটবেলা থেকে আমি ঢাকা শহরে মানুষ হয়েছি। একেবারে শৈশবের প্রথম সাতটি বছর অবশ্য চট্টগ্রামে কাটিয়েছিলাম। আমার শৈশব কৈশোরের রোযার স্মৃতিগুলোও শহরভিত্তিক অভিজ্ঞতার আলোকে মনে গেঁথে আছে। ছোটবেলায় কোন কোন দিন আম্মার ইফতার বানাতে ইচ্ছে না হলে কিংবা যথেষ্ট উপকরণ তৈরী করতে না পারলে আমাকে মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে বলতেন, পাড়ার ইফতারীর দোকান থেকে কিছু কিছু সামগ্রী কিনে আনতে। রোযার মাসে এখনকার মত তখনও দুপুরের পর থেকেই দোকানীরা পাড়ায় পাড়ায় ইফতারীর পসরা নিয়ে বসতো।

বিস্তারিত»

রমজানের স্মৃতি – ২

প্রথম পুরো মাসব্যাপী রোযা রেখেছিলাম সপ্তম কিংবা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত রোযার খেলাফ হয়েছে কেবল একটি বৎসরে, যে বৎসর বিএমএ তে কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছিলাম । এর পরে আর কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। ব্যাচেলর থাকতে রাতে উঠে খেতে একটু অসুবিধে হতো, কিন্তু মোটামুটি কম বয়সেই বিয়ে করেছিলাম বলে এই অসুবিধেটুকু বেশীদিন সহ্য করতে হয়নি। বিয়ের পর পর রোযার আনন্দ অনেক বেড়ে গেল ইফতারের কারণে।

বিস্তারিত»

ভাল থেকো

ভাল থেকো শীতে হেমন্তে,
ভাল থেকো বর্ষায়, বসন্তে।
ভাল থেকো গ্রীষ্মে, খরায়,
ভাল থেকো ধূলির এ ধরায়।

ভাল থেকো তুমি অঘ্রাণে শরতে,
ভাল থেকো এ শুভ্র তুষারপাতে।
ভাল থেকো জ্যোৎস্নায় অমাবস্যায়,
নিশীথে ও দিবসে, প্রাতে ও সন্ধ্যায়।

(আনায়াকে মনে পড়ে)

ঢাকা
০৬ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

রমজানের স্মৃতি – ১

ঠিক কত বছর বয়সে রমজানের প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম, তা আজ সঠিক মনে নেই। অনুমান করি, ৬/৭ বছর হবে। আরো আগে থেকেই এ ব্যাপারে উৎসাহী ছিলাম, কিন্তু আম্মা রাখতে দেন নি। মনে আছে এখনকার মত বড় দিনেই প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম। দুপুর পর্যন্ত ভালই ছিলাম, তার পর থেকে দিন আর কাটছিল না। ঘড়ি দেখতে দেখতে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি ইফতারের সময় আসন্ন। সাথে সাথেই প্রসন্ন বোধ করতে শুরু করলাম,

বিস্তারিত»

রেডিও সাইলেন্স -২

রেডিও সাইলেন্স -১

২৬তম – ২৮তম ঘন্টা ০৯০০ – ১২০০
বুধবার সকালের প্রথম ক্লাস ম্যানেজেরিয়াল ফিন্যান্স। আজ ক্লাসে আজ সবাই প্রেজেন্ট। স্যার ডিক্লেয়ার করলেন – ইমপ্রমচু কুইজ। সবাই নড়ে চড়ে বসলো। আকাশ অনড় বসে রইলো; শুধু ওর শক্ত চোয়াল দেখে বোঝা যাবে সে মহা বিরক্ত। কারন, ঐ রেডিও সাইলেন্স এর পাল্লায় পড়ে ও এখন মোবাইল বিহীন বীরপুরুষ। আর মোবাইলে ডাউনলোড করা ফিনান্সিয়াল ক্যালকুলেটর এর অ্যাপস ছাড়া কুইজ হবে সিমপ্লি ফাল্‌তু।

বিস্তারিত»

ওদের কথা

হ্রদের পাড় ঘেঁষে পায়ে চলা পথ ধরে
হেঁটে যায় আত্মমগ্ন কিছু বেভুল পথিক।
কেউ কেউ প্রেমিক যুগল, কেউ শুধুই
আনমনে হেঁটে যাওয়া কোন মুগ্ধ কবি,
আহত হয়েও যে মনে মনে রচে যায়
অবিনাশী প্রেমের পংক্তিমালা। ওদের
কথায় কান পেতে রয় শান্ত দিঘীর জল,
নির্বাক ল্যাম্প পোস্ট, কিছু ঝরা পাতা,
আর কিছু পর্ণমোচী উদাসী ডালপালা।

বিস্তারিত»

রেডিও সাইলেন্স – ১

মঙ্গলবার সকাল, এখন সময় সকাল ৭;৫৫।
ভার্সিটির ক্যাফে’তে আকাশের সামনে দুজন ভদ্র লোক বসা; একজন কোট টাই পড়া আরেক জন ক্যাজুয়াল শার্ট। আকাশ একটা কনট্র্যাক্ট পেপারে সাইন করে নিজের মোবাইলটা সুইচ অফ করে শার্ট পড়া লোকটাকে দিয়ে দিল। সাথে সাথে স্টপ ওয়াচ এ টাইম ধরলেন টাই পড়া লোকটা।

নেক্সট ৪৮ ঘন্টা আকাশকে কোন ধরনের মোবাইল ব্যবহার না করে তার রুটিন অনুযায়ী যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

বিস্তারিত»

ন্যূনতা

পা জোড়া তো ঠিকই আছে;
হাঁটলামও অনেক।
বিশ্বের এ অনন্ত চরাচরে
কত ঘুরে বেড়ালাম,
কিন্তু কোথাও কোন পদচিহ্ন
রেখে আসতে পারলাম না।

হাত দুটো তো ঠিকই আছে;
লেখালেখিও করেছি অনেক।
থিতু মনের খেরোখাতায়
কত কিছুই তো লিখলাম!
কিন্তু কোথাও কোন স্বাক্ষর
রেখে আসতে পারলাম না।

চোখ দুটো তো ঠিকই আছে।
দেখলামও অনেক।

বিস্তারিত»

বই নিয়ে আলোচনাঃ “সুপ্ত স্মৃতি”

বই পরিচিতিঃ

বই এর নামঃ ‘সুপ্ত স্মৃতি’
বই এর ধরণঃ আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা
লেখকের নামঃ অধ্যাপক গোলাম রহমান খান
প্রকাশকের নামঃ শ্রাবন প্রকাশনী
১৩২, আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা),
শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
প্রচ্ছদঃ দিদারুল দিপু
উৎসর্গঃ “আকরামের জাগ্রত স্মৃতির উদ্দেশ্যে”
গ্রন্থস্বত্বঃ ডাঃ সেলিনা খান
প্রথম প্রকাশঃ জুন ১৯৯৩, দ্বিতীয় মুদ্রণ সেপ্টেম্বর ২০১৪
পৃষ্ঠা-১০৪,

বিস্তারিত»

সময়ের সংলাপ

বাবলু তুমি দৌড়ে চলো, দৌড় ছাড়া আর চলবে না,
থামাথামি তো চলবে না, জোর কদমেও চলবে না।
সময় তোমার বড্ডো কম, এ ছাড়া আর গতি নেই,
পিঠের বোঝা ভারী হলেও চলতে হবে তা নিয়েই!

বাবলু তোমার মনটা খারাপ? দিশেহারা বড্ডো তুমি?
বুকটা তোমার হয়ে আছে মরু সাহারার বিরাণ ভূমি?
দিনভর তুমি কিসব লিখো, কার কাছে কি বলবে বলে,

বিস্তারিত»

জল ও জোছনা

আকাশে জল এলে জোছনা হারিয়ে যায়
ধরণীর জলাধার বলে চাঁদনি আয় আয়!
জোছনার আলোয় ভাসে সাগরের বুক,
নাবিকের মনে ভাসে ফেলে আসা মুখ।
রূপোলী তরঙ্গ কাঁপে চন্দ্রালোকের মায়ায়,
কবি ও শিল্পী মগ্ন হয় কবিতায়, আঁকায়।
জল-জোছনা মিলে মিশে হয়ে একাকার,
রাতের পৃথিবীকে দেয় স্বর্গের বাহার!

ঢাকা
১৭ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত ভাবনাঃ হক সাহেবের হালচাল

হক সাহেব কবিও নন, লেখকও নন, তবে একনিষ্ঠ সাহিত্যানুরাগী। জীবনে খুব যে বেশী সাহিত্য পড়েছেন তাও নয়; কিন্তু সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলার প্রতি তার একটা আকর্ষণ সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল। নিজে ভাল গাইতে না পারলেও ভাল লাগা গানের কলি সবসময় তার কন্ঠে আশ্রয় খুঁজতো। গলা যেমনই হোক, সময় সুযোগ পেলেই তিনি নিবিষ্ট মনে সেসব কলি মেলে ধরতেন, সুর মেলাতেন। বিশ্বের বড় বড় কবি লেখকদের সম্পর্কে তিনি কিছুটা ধারণা রাখতেন,

বিস্তারিত»

উজ্জ্বল পিঙ্গল কৈশোর

যে দুরন্ত বালকটি আজ দাপিয়ে দাপিয়ে
বন্ধুদের সাথে পাড়াময় খেলে বেড়াচ্ছে,
নোংরা ডোবায়, নালায় অনায়াসে নেমে
দু’হাত ভরে উল্লাসে ডানকানা মাছ ধরছে,
হৈচৈ করে কর্দমাক্ত হয়ে বাড়ী ফিরছে,
হায়! সে মোটেও জানেনা- এর পর
কিশোর বয়সে এসে সে একা হয়ে যাবে!
বন্ধুরা যদিবা থাকে আশে পাশেই, তবুও-
সে একা হয়ে যাবে, একা রয়ে যাবে!
একা পথ চলতে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

সর্বংসহা তুমি, সর্বভূক তুমি

তোমার গর্ভে রোপিত হয় বীজ,
সে বীজে লুকিয়ে থাকে জীবন।
বীজ থেকে অংকুরোদ্গম হয়,
ফুলে ফলে শোভিত হয় কানন।

তোমার বুকে বড় হয় মানুষ,
সরীসৃপ, তৃণলতা, শস্যক্ষেত্র।
নীরবে সরবে বড় হতে থাকে,
তুমি বুক পেতে রাখো দিবারাত্র।

যে মানুষ এখন তোমার বুকে
চলেছে সদর্পে পদাঘাত করে,
সেই একদিন স্তব্ধ, জড় হয়ে
হারিয়ে যাবে তোমার গহ্বরে।

বিস্তারিত»

দৌড়

এক অদৃশ্য হুইসেলের ফুঁৎকারে আমাদের দৌড় শুরু হয়।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা দৌড়াতেই থাকি।
শেষ সীমারেখা দৃশ্যমান নয়।
যার পথ যত দীর্ঘ, স্মৃতির সম্ভার তার তত বেশি ভারী।

যার যার পথসীমা নির্দিষ্ট, তবে ট্র্যাক পৃথক।
রেলপথের মত কখনো দুটো ট্র্যাক এক হয়ে যায়,
আবার কখনো বাঁকা পথ নেয়।
পথ শেষ হওয়া সতীর্থরা পড়ে রয়, আমরা দৌড়াতে থাকি।

বিস্তারিত»