ভালবাসার উহ্য ভাষাঃ

“আজ সকালে Delights & Shadows কবিতার জন্য ২০০৪ সালে পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৯ বছর বয়স্ক আমেরিকান কবি Ted Kooser এর Porch Swing in September কবিতাটি পড়ছিলাম। কবিতাটি পড়ে কবি সম্বন্ধে জানতে তার ‘সংক্ষিপ্ত পরিচিতি’ তে গেলাম। সেখানে এক জায়গায় তার পরিবার সম্বন্ধে লেখা আছেঃ

He lives near the town of Garland, Nebraska, with his wife, Kathleen Rutledge, and their dogs, Alice and Howard. He also has a son,

বিস্তারিত»

শিথিল ভাবনা

মুঠোভরা সর্ষেদানা মুঠোয় ধরে রাখা যায় না।
সুরসুর করে একসময় সব পড়ে যায়,
মুঠো খালি হয়ে যায়।
কবির ভাবনাগুলোও যেন ঠিক তেমনি—
কবি যতই মাথায় ভরে রাখেন না কেন,
সুরসুর করে একসময় ওরা সবাই
কোথায় যেন হারিয়ে যায়! আবার-
শূন্য মাথায় নতুন ভাবনা এসে অকাতরে জড়ো হয়।

ঘাস বিচালি যা কিছুই মুঠোয় আঁকড়ানো হোক না কেন,

বিস্তারিত»

বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন

কোন পীর আউলিয়ার নামে নয়,
যেমন জালালাবাদ, জামালপুর।
কোন সাহসী নারীর নামে নয়,
যেমন চৌধুরাণী বা ভবানীপুর।
তবু করি সেই অখ্যাত নাম স্মরণ,
বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন!

বুকে ধরা ছিলো চারটে প্লাটফর্ম।
স্লিপার বসানো, পাথর বিছানো
সমান্তরালে আঁকাবাকা রেলপথে
দিনে রাতে ট্রেনগুলো ছয়দিকে
আনমনে আনাগোনা করতো দ্রুত।
বসত ভিটেয় কাঁপুনি লাগিয়ে যেত।

যমুনার ভাঙ্গনে তিস্তামুখ ঘাট
স্থান বদলাতো প্রায় হঠাৎ হঠাৎ।

বিস্তারিত»

একদিন এমনই হবে

একদিন সন্ধ্যা নামার আগেই,
আকাশের মেঘ ফুঁড়ে ঝিলমিল তারারা বেরিয়ে আসবে,
শুক্লা তিথির চাঁদের সাথে ওরা প্রতিযোগিতায় নামবে-
কে তোমার নজরে আগে আসতে পারে!

তোমার দৃষ্টি থাকবে দূরান্তের ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রটির ওপর,
দেখবে, সেও দূর থেকে বিচ্ছুরিত আলোর রশ্মি ছড়িয়ে
তোমাকেই ডাকছে। সেদিন তুমি বুঝে যাবে-
সত্যকে যারা বুকে বেঁধে রাখে, তাদের চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
সবাই কুর্ণিশ করে পথ দেখায়।

বিস্তারিত»

অগ্রগামী যাত্রী

আরোহী বিহীন রিক্সা কিংবা খোলা ভ্যান থেকে
যখন স্বয়ংক্রিয় একটি যান্ত্রিক ঘোষণা ভেসে আসে-
‘একটি শোক সংবাদ’ — ইত্যাদি ইত্যাদি,
আমি তখন আর আগের মত
কান পেতে উদগ্রীব থাকি না এ কথা জানতে-
হায়! কে চলে গেল!

ভেবে নেই–
যার সময় হয়েছে যাবার, সেই চলে গেল!
এ এক অমোঘ নিয়তি, অলঙ্ঘনীয়।
আমি শুরু করি আমার প্রস্তুতি,

বিস্তারিত»

রমজানের স্মৃতি-৩

ছোটবেলা থেকে আমি ঢাকা শহরে মানুষ হয়েছি। একেবারে শৈশবের প্রথম সাতটি বছর অবশ্য চট্টগ্রামে কাটিয়েছিলাম। আমার শৈশব কৈশোরের রোযার স্মৃতিগুলোও শহরভিত্তিক অভিজ্ঞতার আলোকে মনে গেঁথে আছে। ছোটবেলায় কোন কোন দিন আম্মার ইফতার বানাতে ইচ্ছে না হলে কিংবা যথেষ্ট উপকরণ তৈরী করতে না পারলে আমাকে মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে বলতেন, পাড়ার ইফতারীর দোকান থেকে কিছু কিছু সামগ্রী কিনে আনতে। রোযার মাসে এখনকার মত তখনও দুপুরের পর থেকেই দোকানীরা পাড়ায় পাড়ায় ইফতারীর পসরা নিয়ে বসতো।

বিস্তারিত»

রমজানের স্মৃতি – ২

প্রথম পুরো মাসব্যাপী রোযা রেখেছিলাম সপ্তম কিংবা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত রোযার খেলাফ হয়েছে কেবল একটি বৎসরে, যে বৎসর বিএমএ তে কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছিলাম । এর পরে আর কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। ব্যাচেলর থাকতে রাতে উঠে খেতে একটু অসুবিধে হতো, কিন্তু মোটামুটি কম বয়সেই বিয়ে করেছিলাম বলে এই অসুবিধেটুকু বেশীদিন সহ্য করতে হয়নি। বিয়ের পর পর রোযার আনন্দ অনেক বেড়ে গেল ইফতারের কারণে।

বিস্তারিত»

ভাল থেকো

ভাল থেকো শীতে হেমন্তে,
ভাল থেকো বর্ষায়, বসন্তে।
ভাল থেকো গ্রীষ্মে, খরায়,
ভাল থেকো ধূলির এ ধরায়।

ভাল থেকো তুমি অঘ্রাণে শরতে,
ভাল থেকো এ শুভ্র তুষারপাতে।
ভাল থেকো জ্যোৎস্নায় অমাবস্যায়,
নিশীথে ও দিবসে, প্রাতে ও সন্ধ্যায়।

(আনায়াকে মনে পড়ে)

ঢাকা
০৬ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

রমজানের স্মৃতি – ১

ঠিক কত বছর বয়সে রমজানের প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম, তা আজ সঠিক মনে নেই। অনুমান করি, ৬/৭ বছর হবে। আরো আগে থেকেই এ ব্যাপারে উৎসাহী ছিলাম, কিন্তু আম্মা রাখতে দেন নি। মনে আছে এখনকার মত বড় দিনেই প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম। দুপুর পর্যন্ত ভালই ছিলাম, তার পর থেকে দিন আর কাটছিল না। ঘড়ি দেখতে দেখতে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি ইফতারের সময় আসন্ন। সাথে সাথেই প্রসন্ন বোধ করতে শুরু করলাম,

বিস্তারিত»

রেডিও সাইলেন্স -২

রেডিও সাইলেন্স -১

২৬তম – ২৮তম ঘন্টা ০৯০০ – ১২০০
বুধবার সকালের প্রথম ক্লাস ম্যানেজেরিয়াল ফিন্যান্স। আজ ক্লাসে আজ সবাই প্রেজেন্ট। স্যার ডিক্লেয়ার করলেন – ইমপ্রমচু কুইজ। সবাই নড়ে চড়ে বসলো। আকাশ অনড় বসে রইলো; শুধু ওর শক্ত চোয়াল দেখে বোঝা যাবে সে মহা বিরক্ত। কারন, ঐ রেডিও সাইলেন্স এর পাল্লায় পড়ে ও এখন মোবাইল বিহীন বীরপুরুষ। আর মোবাইলে ডাউনলোড করা ফিনান্সিয়াল ক্যালকুলেটর এর অ্যাপস ছাড়া কুইজ হবে সিমপ্লি ফাল্‌তু।

বিস্তারিত»

ওদের কথা

হ্রদের পাড় ঘেঁষে পায়ে চলা পথ ধরে
হেঁটে যায় আত্মমগ্ন কিছু বেভুল পথিক।
কেউ কেউ প্রেমিক যুগল, কেউ শুধুই
আনমনে হেঁটে যাওয়া কোন মুগ্ধ কবি,
আহত হয়েও যে মনে মনে রচে যায়
অবিনাশী প্রেমের পংক্তিমালা। ওদের
কথায় কান পেতে রয় শান্ত দিঘীর জল,
নির্বাক ল্যাম্প পোস্ট, কিছু ঝরা পাতা,
আর কিছু পর্ণমোচী উদাসী ডালপালা।

বিস্তারিত»

রেডিও সাইলেন্স – ১

মঙ্গলবার সকাল, এখন সময় সকাল ৭;৫৫।
ভার্সিটির ক্যাফে’তে আকাশের সামনে দুজন ভদ্র লোক বসা; একজন কোট টাই পড়া আরেক জন ক্যাজুয়াল শার্ট। আকাশ একটা কনট্র্যাক্ট পেপারে সাইন করে নিজের মোবাইলটা সুইচ অফ করে শার্ট পড়া লোকটাকে দিয়ে দিল। সাথে সাথে স্টপ ওয়াচ এ টাইম ধরলেন টাই পড়া লোকটা।

নেক্সট ৪৮ ঘন্টা আকাশকে কোন ধরনের মোবাইল ব্যবহার না করে তার রুটিন অনুযায়ী যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

বিস্তারিত»

ন্যূনতা

পা জোড়া তো ঠিকই আছে;
হাঁটলামও অনেক।
বিশ্বের এ অনন্ত চরাচরে
কত ঘুরে বেড়ালাম,
কিন্তু কোথাও কোন পদচিহ্ন
রেখে আসতে পারলাম না।

হাত দুটো তো ঠিকই আছে;
লেখালেখিও করেছি অনেক।
থিতু মনের খেরোখাতায়
কত কিছুই তো লিখলাম!
কিন্তু কোথাও কোন স্বাক্ষর
রেখে আসতে পারলাম না।

চোখ দুটো তো ঠিকই আছে।
দেখলামও অনেক।

বিস্তারিত»

বই নিয়ে আলোচনাঃ “সুপ্ত স্মৃতি”

বই পরিচিতিঃ

বই এর নামঃ ‘সুপ্ত স্মৃতি’
বই এর ধরণঃ আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা
লেখকের নামঃ অধ্যাপক গোলাম রহমান খান
প্রকাশকের নামঃ শ্রাবন প্রকাশনী
১৩২, আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা),
শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
প্রচ্ছদঃ দিদারুল দিপু
উৎসর্গঃ “আকরামের জাগ্রত স্মৃতির উদ্দেশ্যে”
গ্রন্থস্বত্বঃ ডাঃ সেলিনা খান
প্রথম প্রকাশঃ জুন ১৯৯৩, দ্বিতীয় মুদ্রণ সেপ্টেম্বর ২০১৪
পৃষ্ঠা-১০৪,

বিস্তারিত»

সময়ের সংলাপ

বাবলু তুমি দৌড়ে চলো, দৌড় ছাড়া আর চলবে না,
থামাথামি তো চলবে না, জোর কদমেও চলবে না।
সময় তোমার বড্ডো কম, এ ছাড়া আর গতি নেই,
পিঠের বোঝা ভারী হলেও চলতে হবে তা নিয়েই!

বাবলু তোমার মনটা খারাপ? দিশেহারা বড্ডো তুমি?
বুকটা তোমার হয়ে আছে মরু সাহারার বিরাণ ভূমি?
দিনভর তুমি কিসব লিখো, কার কাছে কি বলবে বলে,

বিস্তারিত»