স্মৃতিকথা- কাজলা দিদি

ঘূর্ণিঝড় ‘সি-ত্রাং’ এর প্রভাবে আজ সারাদিন ধরে ঝিরঝিরে ঝরা বৃষ্টির প্রকোপটা বিকেল থেকে যেন বেড়ে গেল। থেকে থেকে দমকা হাওয়াও বইতে শুরু করলো। বিকেল পাঁচটার দিকে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাসার কিছুটা সামনে কয়েকটা বড় বৃক্ষ রয়েছে। সেগুলোর দিকে আমি প্রায়ই তাকিয়ে থেকে পাখিদের আনাগোনা দেখি। ঐসব গাছে প্রচুর টিয়া পাখি বসে। ঘন সবুজ পাতার সাথে মিশে যাওয়া টিয়া পাখিদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করি।

বিস্তারিত»

মিনতি

মা’বুদ,
তুমি জানো, আমি আজীবন
আমার এ কল্যাণময় জীবনের জন্য
তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছি মনের মর্মমূলে।
এ জীবন ভেসে যেতে পারতো খড়কুটোর ন্যায়,
হারিয়ে যেতে পারতো দিগদিগন্তে অনায়াসে,
তোমার করুণায় প্রচণ্ড ঘূর্ণনের মাঝেও আমি
স্থৈত্য পেয়েছি, স্বস্তি ও শান্তি পেয়েছি,
ক্লান্তিতে ও শ্রান্তিতে বিশ্রাম ও ভরসা পেয়েছি,
অপ্রত্যাশিত সাফল্যে উজ্জ্বল ও বিহ্বল হয়েছি,
ক্ষণিকের তরে একটি ঠাঁই-ঠিকানাও পেয়েছি।

বিস্তারিত»

নির্বাক হৃদয়ে, বিহ্বল চোখে শুভ্র সফেদ মেঘপুঞ্জের সখ্যে অতিবাহিত মনোমুগ্ধকর কিছু মুহূর্ত (ছবিব্লগ)

প্রায় চার মাসের মত সময় ধরে আমাদের প্রবাসী মেজো ছেলের বাসায় একটি চমৎকার অবকাশ কাটিয়ে আমরা সেদিন দেশে ফিরে আসলাম। কোথাও যাবার সময় যেমন মনে একটা আনন্দ থাকে, তার বিপরীতে ফিরে আসার সময় মনে অনুভূত হতে থাকে সাময়িক বিদায়ের একটা সূক্ষ্ম বেদনাবোধ। বিশেষ করে একেবারে শেষের সময়গুলোর স্মৃতি মনে ভাসতে থাকে। এবারে নবজাতক শিশুর কারণে বৌমা বিমানবন্দর পর্যন্ত আসতে পারেনি।

বিস্তারিত»

ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে ….

তখন ১৯৯৪ সাল। দাপ্তরিক কাজে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় জেলায় যেতে হয়েছিল। পাবনায় যখন গেলাম, তখন করণীয় কাজটুকু সেরে ফেলার পর হাতে কিছুটা সময় রয়ে গেল। পাবনার ডাঃ ইসহাক একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন, তার নামে একটি সড়কেরও নামকরণ করা হয়েছে। তার ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল, তিনিও এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তাকে বললাম, পাবনা মানসিক হাসপাতালটি একবার দেখে যেতে চাই। মানসিক রোগীদের ব্যাপারে আমি আজীবন কৌতুহলী।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপিঃ সৌজন্য, সহযোগিতা, সুআচরণ এবং সম্মান

উপরে যে কয়েকটি গুণাবলীর কথা উল্লেখ করলাম, তার মধ্যে প্রথম তিনটি যাদের মধ্যে আছে, শেষেরটিও তাদের মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ যিনি অপরের প্রতি সৌজন্য, সহযোগিতা এবং সুআচরণ প্রদর্শন করে থাকেন, তিনি অপরকে অবশ্যই সম্মানও করে থাকেন, এবং এ কারণে নিজেকেও অপরের নিকট সম্মানীয় করে তোলেন। অস্ট্রেলিয়ায় এটা আমার তৃতীয় সফর। প্রতিবারে আমি এখানকার পথে ঘাটে, ট্রামে বাসে ট্রেনে, শপিং মলে, রেস্তোরাঁয় এখানকার মানুষের মাঝে এই গুণগুলোর পরিচয় পেয়েছি।

বিস্তারিত»

ভারী জীবনের ভারবাহী কিছু মানুষের কথা…..

দিনটি ছিল শনিবার, ১১ জুন ২০২২। ড্যান্ডিনং স্টেশনে নেমে আমরা অন্য লাইনের একটি ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্ম বদল করতে যাচ্ছিলাম। স্টেশনটি সে সময়ে মোটামুটি জনশূন্য ছিল বলা যায়। কিছুদূর এগোতেই দেখি, প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে কে যেন শুয়ে আছে। তার পাশে একজন হাটু গেঁড়ে বসে তার মাথায়, গালে পরম মমতায় হাত বুলাচ্ছে। দু’জন ইউনিফর্মধারী স্টেশন সিকিউরিটি স্টাফ উদ্বিগ্ন চেহারায় শায়িত ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছে এবং মৃদু পায়চারি করছে।

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৪

আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩

এ পর্বে আমি যে দুটো ‘ক্ষণিকের দেখা’ স্মৃতি রোমন্থন করবো, তার প্রথমটি একটি দৃশ্যের, আর পরেরটি একটি (মানুষের) মুখের। অবশ্য প্রথমটি শুধুমাত্র একটি দৃশ্যের হলেও, তার পেছনে ছিল একটি অদেখা, কল্পিত মুখও।

সে বহুদিন আগের কথা। আমার বয়স তখন পঁচিশ-ত্রিশের মাঝামাঝি, আমি সেনাবাহিনীর একজন তরুণ অফিসার। ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়ে থাকে।

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩

এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২

২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারী, আমরা দুই বন্ধু মিলে সস্ত্রীক ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার (সম্ভবতঃ) পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যদিও এটাকে অনেকে ঢাকার ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে থাকেন, আমার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। তবে যাওয়ার পথে থেমে থেমে এটা ওটা করে বেশ আনন্দ করেছিলাম, যেমন সরিষা ক্ষেতে নেমে সোঁদা গন্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা,

বিস্তারিত»

সকাল ছয়টা বারো

আমার জীবনে ছয় কিংবা বারো,
সংখ্যাদুটোর কোনটাই–
তেমন কোন প্রভাব কখনো রাখেনি।
অথচ গত দুটো মাস ধরে ক্রমাগত
সংখ্যাদুটো একসাথে পাশাপাশি বসে
আমাকে নিত্য ডাক দিয়ে যাচ্ছে।

আমি কখনো কখনো অপেক্ষা করে থাকি
এ সময়টার জন্য। কখনো বা এমনিতেই
চোখ পড়ে যায় ঠিক এই সময়টাতেই,
ডিজিটাল ঘড়িতে। প্রত্যুষের প্রার্থনা শেষে
আমি বাইরে তাকাই।

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২

এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা এ মায়াময় ভুবনে-১

আজকের এ পর্বে ক্ষণিকের দেখা তিনটি চরিত্রের কথা বলবো, ঘটনার দিন-তারিখ উল্লেখসহঃ

০১ জনুয়ারী ২০২১, সকাল দশটা। গত চারদিন ধরে আম্মা রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল হাসপাতালের সন্নিকটস্থ ‘ডক্টর্স ক্লিনিক’ এ চিকিৎসাধীন আছেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বিধায় চিকিৎসক জানিয়েছেন যে আজ কালের মধ্যে ওনাকে ছেড়ে দিবেন। আমরা চাচ্ছি যে হাসপাতাল থেকে বাড়ী নিয়ে আসার আগে তাঁকে আমাদের প্রস্তাবিত (কল করা) আরেকজন নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে দেখুক।

বিস্তারিত»

হেমন্তের কথা

আজ পহেলা অগ্রহায়ণ। আজ থেকে শুরু হলো হেমন্ত ঋতুর দ্বিতীয় মাস। আমার জন্ম-মাস। শৈশবে-কৈশোরে পর পর কয়েকটি শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলা রচনা লিখার জন্য “তোমার প্রিয় ঋতু” একটি অবধারিত বিষয় ছিল। আমি সাধারণতঃ বাংলা বা ইংরেজী রচনা, কোনটাই মুখস্থ লিখতাম না। কারণ মুখস্থ লিখেছি বুঝতে পারলে শিক্ষক মহোদয় সে রচনায় কম নম্বর দিতেন। নিজে চেষ্টা করে লিখলে, যে রকমই লিখি না কেন, মুখস্থ লেখার চেয়ে ভালো নম্বর পেতাম।

বিস্তারিত»

আমার বুকে তোমার বসত

আমি ডাকলেই তুমি সাড়া দাও, কখনো দ্রুত,
কখনো কিছুটা বিলম্বে হলেও, পরে বুঝতে পারি,
সে সময়টাই ছিল উপযুক্ত। এমন ভাবে সাড়া দাও,
যেন চোখের আড়ালেই ছিলে, শুধু ডাকের অপেক্ষায়।
সাড়া পাই তবে কায়া দেখি না, কারণ তুমি কায়াহীন।
আমি তো এতদিনে বিলক্ষণ বুঝে গেছি,
অদৃশ্য কার কাছে চাইতে হয়, তার কায়া না দেখেও!

তোমাকে ছিলাম ভুলে বহুদিন,

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা এ মায়াময় ভুবনে-১

গত ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে অস্ট্রেলিয়া-নিউযীল্যান্ড সফর শেষ করে ঢাকা ফিরে এসে দীর্ঘদিন খুবই কঠোরভাবে ‘স্বেচ্ছাবন্দী’ (Self Quarantined) হয়ে ঘরের মাঝে নিজেকে আটকে রেখেছিলাম। যা কিছু ঘোরাঘুরি পায়চারি, ঐ ঘরের মধ্যেই। তিনমাস এভাবেই ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে এ নিয়মে শৈথিল্য আসে। এখন মাসে একবার করে ডাক্তারের পরামর্শ/ঔষধ সংগ্রহের জন্য সিএমএইচ এ যাই, ব্যাংকের কাজগুলোও জমিয়ে রাখি একই দিনে করার জন্য। কয়েকমাস পর পর পেনশনও তুলি ঐ একই দিনে,

বিস্তারিত»

ফাহিয়ানের গল্প

এ ব্লগটা একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্যক্তিগত কথা না বলাই ভাল, এ আমি ভাল করেই জানি। তবুও এখানে আমার অনেক লেখাই আছে, শুধু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নিয়ে। আমার লেখা ভ্রমণ কাহিনীগুলোতেও প্রায় সময় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বিবৃত হয় বেশী। এটা ব্লগের হয়তো অনেকে পছন্দ করেন না, তবে এর পেছনে আমার একটা লক্ষ্য থেকে থাকে। এসব পাঁচালিতে আমি মানবতার কথা বলতে চাই, আমার চোখে দেখা প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা বলতে চাই,

বিস্তারিত»

জাতিসংঘের ‘উন্নয়ন গবেষণা প্রধান’ ড. নজরুল ইসলাম কে যেমন দেখেছিঃ একজন সহপাঠীর দৃষ্টিতে

এটি মূলতঃ একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা। ড. নজরুল ইসলাম বর্তমানে জাতিসংঘে সিনিয়র ইকনমিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ তাকে ‘উন্নয়ন গবেষণা প্রধান’ (চীফ অভ ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ) হিসেবে নিয়োগ দান করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের একটি বিষয়। আমি স্কুল-কলেজ জীবনে তার সহপাঠী ছিলাম। তাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিনি। অর্ধ শতাব্দীরও কিছু বেশি সময় আগের স্মৃতির ঝুলি হাতড়িয়ে এসব কথা আজ মনে হলো। নজরুলের সাম্প্রতিক সাফল্যে আমি এতটাই অভিভূত হয়েছি যে আমার মনের ভেতর থেকে তাগিদ অনুভব করেছি,

বিস্তারিত»