সাতাশ বছর আগে – পাঁচ

যে জল ঝরার শব্দে
নির্জনতার ঘুম আরো গাঢ় হয়;
সেই চোখ দুটো আমি তোমার সামনে রাখছি
তুমি কি দু পায় মাড়িয়ে যাবে, নীলা?

ঘুম যখন তন্দ্রায় এসে নামে
আমি তোমাকে হাতের নাগালে পাই নীলা;
কতবার ছুয়েঁ দেখতে চেয়েছি তোমার চুল
চুলের ভেতর হাত চালিয়ে ঝর্ণা বানিয়েছি;
নীলা, আমার হাতের নাগালে নয়,
তোমাকে নি:শ্বাসের মাঝে চেয়েছি।

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৩য় পর্ব)

১ম পর্ব
২য় পর্ব

৪।

পরদিন সকাল বেলা।
ওয়ার্ম আপ শেষে সবাই মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। সুনীলদা অনিককে ডেকে বললেন,
-এখন থেকে তুই পয়েন্টে ফিল্ডিং করবি। শুধু প্র্যাকটিসের সময় নয়, ম্যাচের সময়েও।
-কেন, সুনীলদা?
-পয়েন্ট এবং গালি’তে দলের সবচেয়ে ভাল ফিল্ডারকে থাককে হয়। শার্প ক্যাচের ব্যাপারটি তো আছেই, বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যান রান চুরি করতে চাইলে রান আউটের সুযোগ পাওয়া যায়।

বিস্তারিত»

ফেসবুক বিষয়ক জটিলতা

ফেসবুক নিয়ে সম্প্রতি নাটকটি দেখে ছোটবেলার কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি ১৯৭৫ সালে, তখনই জানলাম বাংলায় একটি ‘স্পাই সিরিজ’ ছোট-বড় সবাই পড়ছে। নাম ‘মাসুদ রানা’, লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন। বাঙালি এক স্পাই সারাবিশ্বে আসাইনমেন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়ায়; প্রেমে পড়ে কিন্তু কোথাও কোনও বাঁধনে জড়ায় না। অ্যাকশন-নির্ভর মাসুদ রানার গল্পে নায়কের প্রেমের অংশটি ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার। নায়কের বিপদসংকুল জীবনের মাঝে তার ভালোবাসা আমাদের মনে এক অন্যরকম স্বপ্ন জাগিয়ে তুলতো।

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে- চার

এমন অনাহূতের মত যাওয়া আসা ভালো লাগে না।

এমনি করে এক একটা অলস দিন আসে,
ভাসিয়ে নিয়ে যায় কেনো আমায় একা, নীলা?

সময় থেমে থেমে চলে, নষ্ট ঘড়ির মত;
এমন না চলে থেমে থাকে না কেন?
চুপ করে বসে বসে সময়ের হৃদস্পন্দন গুনতাম!

এমন অযাচিত যাওয়া আসা ভালো লাগেনা, নীলা।

মড়াঁ কাঁধে নিয়ে হাঁটবার মত
সময় আমার কাঁধে চেপে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়।

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (২য় পর্ব)

বলের বদলে গ্রেনেড (১ম পর্ব)

২।

কড়া নাড়ার পর চাচা নিজেই দরজা খুলে দিলেন।
-আরে, ডন ব্রাম্মান যে! সব খবর ভাল তো?

সুনীলদা এবং চাচা দুজনেই একসাথে হেসে উঠলেন। চাচা কেন সুনীলদাকে ‘ডন ব্রাম্মান’ বলে ডাকে তা কয়েকবার জিজ্ঞাসা করতে গিয়েও অনিক সাহস পায় নি। নিশ্চয়ই কোন কাহিনী আছে! আজ কৌতূহল চেপে না রাখতে পেরে অবশেষে জিজ্ঞাসা করেই বসল,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে -তিন

নীলা তুমি হাত বাড়িয়ে কি আমাকেই খুঁজছো?

আমার আমিত্ব আমায় অস্বীকার করে,
তুমিও কি আমার অস্তিত্ব অনুভব করোনা?
তোমার এলোচুলে হাত দিয়ে দেখ
আমার দৃষ্টি এখনো প্রথিত আছে
তুমি কি কখনো অনুভব করনি, নীলা?
তোমার পরিপাটি কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে
আমার ঘ্রাণ মিশতে দাওনি;
সোনালী আর কমলা তোমার কাপড়ের ভাঁজে
আমার হাত দূর থেকে নির্বিঘ্নে ছুঁয়ে গেছে
তাও কি তুমি অনুভব করনি?

বিস্তারিত»

ফুড প্রসেসর

গল্পটা দারিদ্র্যের। গল্পটা আপেক্ষিকতার। পাথরকুচি গাছকে কেটে ফেলে দিলেও তার মৃত পাতা আর প্রোথিত শিকড় থেকে যেমন জন্ম নেয় অসংখ্য গাছ, তেমনি দারিদ্র্যেরও কোন বিনাশ নেই। অভাবকে উতরে যাওয়া অনেক সাফল্যের গল্প আছে। কিন্তু সে গল্পের পরে আরও গল্প থাকে। পড়াশোনা শেষ করেই যে কয়েকজন ভাগ্যবান ছেলে অতিদ্রুত ভালো চাকরিতে ঢুকতে পারে রকিব তাদের মধ্যে একজন। বরাবরই সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। জীবনের এতগুলি বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসলই যেন এই চল্লিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরি।

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (১ম পর্ব)

১।

জানুয়ারি, ১৯৭১।

কথায় আছে- ‘মক্কার লোক হজ্জ্ব পায় না’!!
অনিকের জন্য কথাটা শতভাগ প্রযোজ্য! ওর বাসা খুলনা পুলিশ লাইনের ঠিক পাশের গলিতেই। বাসা থেকে সার্কিট হাউজের মাঠে যেতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগে। অথচ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বিকালের প্র্যাকটিসে ও সবার শেষে উপস্থিত হচ্ছে! কোচ সুনীলদা ওকে খুব স্নেহ করেন বলে তেমন কিছু বলেন না, শুধু ওয়ার্ম আপের সময় দুই চক্কর বেশি দৌড়াতে পাঠান।

বিস্তারিত»

পাগলের দেশে

পাগলের দেশের গল্পে যাবার আগে ঘুরে আসা যাক জনির শৈশব থেকে। সাঁতার শেখার আগেই তিন বছর বয়সে সমবয়সীদের সাথে গরুর লেজ ধরে বিল পার হয়ে ওপাড়ে চলে যেত সে। বিলের ওপাড়ে তখন তরমুজের চাষ হত। সেখান থেকে বাচ্চা ছেলেদের দু একটা তরমুজ ছিঁড়ে খাওয়াকে চৌর্যবৃত্তি না বলে অধিকার প্রতিষ্ঠা বলা যেতে পারে। এরপর গোড়ালি পানিতে শাপলা ফুলের পাতার নিচে হাঁসের ডিম খুঁজে আর কিছু মাছ ধরে ফিরতি গরুর পালের লেজ ধরে আবার বাড়ি ফিরত তারা।

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে – দুই

নির্জন রাত, এখন সবাই ঘুমিয়ে
খোলা আকাশের নীচে একা একা জেগে রয়েছি;
দুরন্ত বাতাস কান ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। নীলা,
আমিই কি একা একাই হেঁটে চলেছি? তুমি কি নেই আমার সাথে?

নাকি সাথে সাথে হাঁটছিলে ছায়ার মত, কোথাও থেমে গেছো?

এখন অনেক রাত- ভোর হতে বেশী বাকী নেই,
শেষ রাতের মেঘগুলো শেষ বারের মত উত্তরে চলে যাচ্ছে।
চাঁদ খুব ঘনঘন উকি দিচ্ছে আর হারাচ্ছে,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে- এক

কদিন আগে একটা কবিতা লিখবার চেষ্টা করেছিলাম। ফেসবুক ওয়ালে পোষ্ট করা আছে। কি হয়েছে আল্লাহ মালুম, তবে রফিক আজাদের একটা কথা মনে আছে, জীবনে যার নারী নাই সে কবিতা লিখবে কিভাবে?

যাইহোক, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মাঝে মাঝে দুই এক লাইন লিখতাম, এরপর এক সময় বসে কম্পাইল করে একটা কবিতা দাঁড় করাতাম। নিশ্চিন্তে বলতে পারি এইগুলা কবিতা না। কারন কবিতা একটা সময়ে বা বিভিন্ন সময়ে একটা নির্দিষ্ট ভাব নিয়ে লিখতে হয়।

বিস্তারিত»

অত্যাচার

বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এও কি হতে পারে? সম্ভব? তবে তিনি গেছেন। এ সত্যটি জানার পর দুটি বিষয় আমাদের সবার নজরে এল। বাবাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে এই বিষয়টিই এর আগে কারো মনে হয়নি। তাঁর জন্য সবাই কাতর হয়ে পড়লাম। এ ঘটনার আগে তাঁর অনুপস্থিতি আমরা কেউ কখনো টের পাইনি। বাবাকে ভালোবাসি কি-না তা নিয়ে কখনো ভাবিনি, ভাবতে হয়নি আসলে। তিনিই বোধহয় আমাদের ভালোবাসা চাননি।

বিস্তারিত»

‘করপোরেট’ ট্রাম্প বনাম করপোরেট মিডিয়া

বোঝাই যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ওপর তিনি অনেক রেগে আছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “সাংবাদিকরা পৃথিবীর সবচেয়ে ‘অসৎ মানুষদের’ শ্রেণিভুক্ত”। শুধু তিনিই নন, হোয়াইট হাউসের প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের দোষ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে তার বৈরিতার সম্পর্ক। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার শপথ নেওয়ার দিন ওয়াশিংটনে যোগ দেওয়া লোকসংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে সব সংবাদমাধ্যম। শুধু শপথ নেওয়ার পর নয়,

বিস্তারিত»

তুমি চলে গেলে তুমি একা, আমি চলে গেলেও তুমি একা

আমরা অনেকেই ছোটবেলায় ইংরেজ কবি জন ডানের মৃত্যু নিয়ে একটি কবিতা পড়েছিলাম – ‘ডেথ্, বি নট প্রাউড’। কবিতার শেষ দু’টি লাইন ছিল এমন – ‘একটা ছোট্ট ঘুমের পর যখন আমরা চিরকালের জন্য জাগবো / মৃত্যু, তুমি তখন থাকবে না; তোমারই তখন মৃত্যু হবে।‘
কবিতাটি আমাদের অনেকের মনেই বেশ গভীর চিহ্ন রেখে গিয়েছিল। কৈশর থেকে তারুণ্যে বেড়ে ওঠার জোয়ারে এবং জীবনের চাঞ্চল্যে ডুব দেয়ার সাথে-সাথে ছোটবেলার এই কবিতা অনেকেরই মনে থাকে নি।

বিস্তারিত»

চট্টগ্রাম কি আসলেই বাণিজ্যিক রাজধানী?

একজন ‘চাঁটগাইয়া’র কাছে যদি জানতে চান, ‘চট্টগ্রামে আহামরি এমন কী আছে?’ উত্তরে সে পাল্টা প্রশ্ন করবে, ‘কী নেই বলুন?’ তারা আপনাকে জানাবেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের অন্যতম বন্দরগুলোর একটি, ভৌগলিকভাবে চট্টগ্রাম এ অঞ্চলে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রয়েছে, একটি গভীর সমুদ্র বন্দর যদি করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই! চট্টগ্রাম নদীবিধৌত অঞ্চল, সবধরনের শিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। শুধু পর্যটন নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

বিস্তারিত»