ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (২)

ক্যাডেট নাম্বার, পোষাক, পিটি, গেমস, হাউস মাস্টার এবং প্রথম হাউস এসেম্বলি

তখনো আমাদের ক্যডেট নাম্বার দেয়া হয়নি কারন আমরা আগে এলেও আমাদের অনেক সিনিয়র ( ক্লাস ১১ এবং অন্যান্য ক্লাসের বাকীরা) এখনো ক্যাডেট হয়ে যোগদান করেনি। এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবার পর ক্লাশ ১১ এর ছাত্র ভর্তি নেয়া হবে যারা মুলত কলেজকে লীড করবে, অন্যান্য ক্লাশের বাকী ক্যাডেটদের নেয়া হবে তারপর ক্যাডেট নাম্বার দেয়া হবে।আমদের ক্যাডেট নাম্বার দেয়া হলে তো আমদের সিনিওরদের ক্যাডেট নাম্বার আমাদের পরে হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (১)

প্রথম কিছুদিনঃ উদবাস্তু জীবন

আমি ক্যাডেট কলেজ এ আসার পূর্বে রংপুর জিলা স্কুলে পড়তাম। তাই এখানে ৭/৮ জন পুরাতন বন্ধু পেলাম।আমি ছিলাম তিতুমির হউসে আর অন্য বন্ধুরা ওমর ফারুক হউসে। আমার প্রথম রুম ছিল দোতলা পশ্চিম পাশের ২য় রুম সম্ভবত বর্তমানে ২০২ নম্বর। কারন তখন যে রুম নম্বর ছিল তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। তখন পর্যন্ত ক্লাশ ১১ এবং ১২ এর কোন ছাত্র ছিলনা।

বিস্তারিত»

অনুস্বপ্ন -১

এক শাওন রাতে
অঝোর বৃষ্টির সাথে,
চাদর পেতে বারান্দায় আধশোয়া হয়ে
বৃষ্টি, কফি আর তুমি,
মাতাল বাতাস বয়ে যায়
তোমার এলো চুল চুমি,
ভাবি আমি মনে মনে
একি স্বর্গ নাকি ভুমি ?

বিস্তারিত»

সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে

কাডেট কলেজ ব্লগ এ এটা আমার প্রথম লিখা। ইচ্ছা ছিল সহজ কিছু লিখব কিন্তু পারলাম কই ? আমাদের খুব প্রিয় ইতিহাসের আহমেদ হাসান সার প্রায়ই এই উক্তিটা করতেন। উনি এখন সম্ভবত ইউ এস এ তে সেটেল্ড।

আমি এখন উনার বিষয়ে কিছু লিখব না। আমি লিখব আমার কাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা ( ভীষন বেদনার কথা- সেদিনের জন্য) এখন আপনাদের জানার জন্য বলছি।
আমরা রংপুর কাডেট কলেজের ৫ম ব্যাচ কিন্তু সপ্তম শ্রেনী থেকে আমরাই প্রথম পড়া শুরু করি।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা- সাদা পেখম

ডুল-হাজারা সাফারী পার্কে যাওয়ার আক্ষরিক অর্থেই আমার কোন ইচ্ছে ছিল না।

কক্সবাজারে একটা পুরো টিম নিয়ে যাওয়া, রাতে থাকার আনজাম করা, বীচে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা, মেয়েদের দিকে আলাদা কেয়ার, বউকে নিয়ে ঘুরাঘুরি, বার্মিজ মার্কেটের দামাদামি, বিভিন্ন মত আর পথ, ক্লান্ত আমি চাচ্ছিলাম ট্যুর শেষ হোক। ভালয় ভালয় সবাই চট্টগ্রাম ফিরি। বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা গুলো নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ভালো না, সাফারী পার্কের পাহাড়ে পাহাড়ে বিকেল বেলা হাটা,

বিস্তারিত»

আজ একটি বিশেষ দিন

আজ একটা বিশেষ দিন,কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি ?
পাচ্ছেন না কোন ক্লু ইন্টারনেট, পেপার খুঁজি ?

কেন আপনি দেখেননি ,
আজ দুই পাহাড়ের মাঝে সূর্য কেমন রাঙ্গা হয়ে ওঠে,
আজ বাগানের সবগুলো ফুল যেন একসাথে ফোঁটে ।

আজ কেমন নীল হয়ে সেজেছে ঐ আকাশ,
আজ সদ্য ভুমিষ্ঠ শিশুটাও নেয় বুক ভরে শ্বাস ।

আজ ফসলের মাঠে কৃষকের মন ভোলানো হাসি,

বিস্তারিত»

খেরোখাতাঃ তোমাকে অভিবাদন

আচ্ছা কতদিন কাটালাম ঝিম ধরে? এখন কটা বাজে ঘড়ির কাটায়?

অফিস থেকে বের হয়ে যাবার সময় হয়ে গেছে। এইতো আর কিছুক্ষন পর ল্যাপটপ গুটিয়ে ফেলব। রুটিন মাফিক জানতে চাইব রনির কাছে, কোন কিছু বাকি আছে কিনা। বরাবরের মত মাথা ঝাকিয়ে ও বলবে “এভরিথিং আন্ডার কন্ট্রোল”। এ্যাকাউন্টের সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চাইব, কোন ভাউচারে সই বাকি আছে কিনা, জানি বরাবরের মত মাথা নাড়বে শোয়েব, “না,

বিস্তারিত»

৯৯% ভেজাল বৈজ্ঞানিক ছড়া

আপেল গাছের নিচে বসে ভাবে শুধু নিউটন
ব্যবসাটা হতো ভাল, আপেল পেলে few ton

গ্যালিলিও লাগিয়ে চোখে মস্ত এক টেলিস্কোপ
দেখে সূর্যের চারপাশে গ্রহ করে ছোঁক ছোঁক ।

হ্যালি দেখে আকাশে, তেড়ে আসছে ধুমকেতু
ভয় পেয়ে একলাফে পার হয় কর্নফুলী সেতু।

আইনস্টাইন ভাবে বসে সময় কেন মানে না আইন ?
ভাবতে গিয়ে রং রোডে ট্রাফিক পুলিশের ফাইন।

বিস্তারিত»

প্রেমিকার ঠোঁটে নিউইয়ার উদযাপন

সবুজ নিবিড় বনের মাঝে
তুমি আমি এতো কাছে,
ক্যাম্পফায়ারের আগুন আঁচে
তোমার মায়াবী মুখ, আরো মোহনীয় লাগে
যেন এমন রহস্যময়ী কেউ দেখেনি আগে।

তুমি আমি আরো ঘন হয়ে বসি
দুজনে মিলে বিগত বছরের,
ভালোবাসার হিসেব কষি।

বিস্তারিত»

বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন

আজকে বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন। বুক ফুলিয়ে সবাইকে বলেছি যে আজ বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এবং নির্বাচনে বাংলা বিরোধী, ধর্মব্যবসায়ী ধরাশায়ী হয়েছে। গর্বে বুকটা ফুলে উঠেছিল। আর চোখটা কেমনজানি ভিজে আসছিল।

স্যালুট সেক্টর কমান্ডারদেরকে। তারা আবার ৭১ এর মতো বিজয়ী হয়েছে। বাংলার মানুষ তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেয়নি। নিজামী, মুজাহিদকে আবার বাংলার মাটিতে অপমানিত হতে হলো। যুগে যুগে এভাবেই বাংলা সাজা দেবে তার মাটিতে জন্ম নেয়া বেজন্মাগুলোকে।

বিস্তারিত»

বাছারা, সুখে থাক আজীবন

বহু দিন পরে অদ্য সকাল দশ ঘটিকার দিকে সচলে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। আগে এই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল আমার, যদিও নানা কারনে সম্পর্ক টিকিয়া রাখিতে পারি নাই। তবে আমার আত্নীয় স্বজনের মধ্যে অনেকেই উক্ত বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করে বিধায় আমিও মাঝে মাঝে একটু উকি মারিতে যাই। তাহাদের তরকারিতে মাঝে মাঝেই ঝালের পরিমান বেশি হইলেও খাইতে মন্দ লাগে না। যাই হোক, খাইতে খাইতে তাহাদের দুই নম্বর আইটেমে গিয়া আমার পিত্তিটা একেবারেই জ্বলিয়া উঠিল।

বিস্তারিত»

রুপসী বাংলা আমার …..( ও একটা ক্যাডেট বুদ্ধি )

দেশ ছেড়েছি অনেকদিন হলো। প্রায় দেড়বছর। এমন না যে একটানা দেড় বছর কাটিয়ে দিয়েছি, একই প্রবাসে পড়ে আছি তাও না । প্রায়ই তিন মাস, ছয়মাস পরেই বাংলাদেশে যাই। চাকরীর কোম্পানী চেন্জ্ঙ হয়, দেশ চেন্জ্ঙ হয়। নতুন নতুন মানুষ, পরিবেশ দেখি । তাই হিসেব অনুযায়ী খুব বেশি হোমসিক হওয়ার কথা না। তারপরও হোমসিক হই । একসপ্তাহ , দুইসপ্তাহ দেশে গেলে খালি অফিসিয়াল কাজগুলোই করা হয়। দুচোখ ভরে বাংলাদেশ দেখার যে আগ্রহ তা কিছুতেই মেটে না ।

বিস্তারিত»

বৃত্ত ভাঙ্গার গান গাই

(একান্ত নিজের ভাবনা, তথ্যগত ভুল থাকলে কেউ ধরিয়ে দিলে ঠিক করে নিব)

আমার ব্লগে সুশান্ত একটা কাজের কাজ করেছে। “হ্যাটস অফ” টু সুশান্ত। আর এক বুড়ো খোকা বলেছেন, তিনি সহজে হাল ছেড়ে দেবেন না। খুব আশা পাবার মত একটা খবর।

গত বেশ কয়েকমাস ধরে ভাবছি আমাদের মুল সমস্যাটা আসলে কোথায়। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটা চলছে কিভাবে?

বিস্তারিত»

খ্যাপ

আর কেউ বুঝে কিনা কে জানে, তবে অন্ধকারের যে একটা নিজস্ব আলো আছে তা রুস্তম শেখ বেশ ভালো মতই বুঝে। আলোটা ধরতে পারে বলেই ঘোর অমাবস্যায়ও পচিশ তিরিশ হাত দুরের জিনিস সে স্পষ্ট দেখতে পায়। এই যেমন এখন। ডাকাতিয়া নদীর যে জায়গায় সে গলা পানিতে দাঁড়িয়ে আছে, একটা শত বছরের পুরনো পাকুড় গাছের আড়ালে, তা একহাত দূর থেকেও কোন মানুষ বুঝতে পারবে না। অথচ রুস্তম শেখ তিরিশ হাত দূরে খালের ওপারে বড় একটা বন বিড়ালকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা- হুররে হুররে ইটস আ হলি হলিডে

ব্যাপারটা একদম ঠিক করছিনা। এখন একটা গল্প দেয়া উচিত সিসিবিতে। তা না, আমি লিখছি খেরোখাতা। গল্পের একটা প্লট আছে, একটু বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্য বাংলাদেশের মানচিত্র কিনতে পাঠিয়েছি অর্জুনকে দিয়ে, সাতক্ষীরা আর সুন্দরবনের এক নাপিতের খ্যাপ মারার গল্প। গল্পের নামটা “খ্যাপ” রাখব ঠিক করেছি। পুরা দুনিয়া এখন খ্যাপের উপর চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একটু ভাল নামওয়ালা ডাক্তার, উকিল, ব্যবসায়ী, মৌসুমি রাজনীতিবিদ, সবখানে খ্যাপের জয়জয়কার। কেউ যদি দু’পয়সা রোজগারের জন্য খুন করাকে খ্যাপ হিসাবে নেয় তবে এ আর এমন কি?

বিস্তারিত»