কলেজ থেকে চলে আসার পর এখনো প্রেপ টাইমটা প্রচন্ড মিস করি ।
তার মানে এই নয় যে আমি প্রচুর পড়াশুনা করতাম । আসলে তিন হাউসের সব বন্ধুরা এই প্রেপ টাইমেই একসাথে হতাম । আলোচনা হত সারাদিনের এবং পরদিনের কার্যক্রম নিয়ে । প্রাণখুলে টিজ হত এই সময় । আর যদি কোন ইন্টার হাউস কম্পিটিশন থাকত তাহলে তো পুরো প্রেপ কোন দিক দিয়ে পার হত টেরই পেতাম না ।
উপজেলা পরিষদে আদৌ কি প্রতিশ্রুত দিন বদল হবে?? !!
বর্তমান সরকারের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারের “গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য কর্মসূচী” অধ্যায়ের ৬ (ছয়) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে
“ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা হবে।জেলা পরিষদকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন শৃংখলা ও সকল প্রকার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন সদরকে স্থানীয় উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু, পরিকল্পিত পল্লী জনপদ এবং উপজেলা সদর ও বর্ধিষ্ণু শিল্প কেন্দ্রগুলোকে শহর-উপশহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে।“
দিন বদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আগত শেখ হাসিনা ওয়াজেদ নেতৃতাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তার নির্বাচনী ওয়াদা পূরনে কতটুকু বদ্দ পরিকর তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান-ই হয়ে পড়েছি।
বিস্তারিত»সাম্প্রদায়িক, বড়ই সাম্প্রদায়িক!
ইদানীং ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে লটারিতে আইসক্রীম খাওয়ার সুযোগ লইয়া বড়ই মাতামাতি চলিতেছে। সাময়িকভাবে এই দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রমটি অনেকের আনন্দের খোরাক হইলেও আমাদের একটি বিষয় লইয়া যথেষ্ট চিন্তা করিবার অবকাশ রহিয়াছে। এই ধরনের ঢাকা-কেন্দ্রিক কার্যক্রমের ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও প্রলোভন সাম্প্রদায়িকতার একটি নতুন ধারার উন্মেষ ঘটাইতেছে। আমাদেরকে তাই এই সুপরিকল্পিত চক্রান্তের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান লইতে হইবে। চিন্তাশীল পাঠকগন চিন্তা করিয়া অবাক হইবেন যে যতো খুশি ততো আইসক্রিম এর মত এই রকম একটি সাম্প্রদায়িক পোস্টে ১৫ মে রাত্রি ৯:১১ ঘটিকা পর্যন্ত ১১৯ টি মন্তব্য পড়িয়াছে এবং পোস্টটি ৫১১ বার পঠিত হইয়াছে।
বিস্তারিত»রাজাকারনামা………………………১(বর্ধিত)
আমি এর আগে রাজাকারনামাতে জেনেভা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করেছিলাম। কতিপয় বন্ধু ও পাঠকের আগ্রহের কারণে রাজাকারনামা…………………..১ এর বর্ধির্তাংশ লিখলাম। এখানে শুধুমাত্র রাজাকার ও অন্যান্য যুদ্ধপরাধীদের বিচারের জণ্য আন্তর্জাতিক আইনের বিশ্লেষণ করলাম।
১/
জেনেভা কনভেনশন মূলতঃ ৪ টি কনভেনশনের সম্মিলিত রূপ। প্রথম ২ টি কনভেনশন অস্ত্রত্যাগ এবং যুদ্ধাহত সৈন্যদের রক্ষার জন্য। ৩য়টি হল যুদ্ধাবন্ধীদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত কনভেনশন। ৪র্থটি হল বেসামরিক জনসাধারণকে রক্ষার জন্য।
বিস্তারিত»নর ও নারী এবং নারীবাদ
নারীবাদে অসংখ্য ধারা বা উপধারা আছে। কিন্তু তিনটি শ্রেণী ভাগ মুখ্য। এগুলো হলো-
১। উদার নারীবাদ (LIBERAL FEMINISM)
২। চরম নারীবাদ (RADICAL FEMINISM)
৩। সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ (SOCIALIST AND MARXIST FEMINISM)
উদার নারীবাদ (LIBERAL FEMINISM) রাজনৈতিক এবং আইনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতা বিধান করার কথা বলে। এটি মূলতঃ ব্যক্তি ও বিষয় স্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক নারীবাদ। উদার নারীবাদ মূলতঃ নারীদেরকে তাদের সামর্থ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নারীদের সমানাধিকার অর্জনের কথা বলে।উদারনৈতিক নারীবাদেমন একটি সমাজের কথা বলে,
বিস্তারিত»দুদকের দুঃসাহসের সমর্থনে আরো এক কিস্তি
সিসিবিতে দুদক ও সংসদীয় কমিটি নিয়ে বিতর্ক করতে করতে শেষ পর্যন্ত একটা লেখা তৈরি হয়ে গেল। ০৮ মে, ২০০৯ প্রথম আলোতে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি দমনের নামে কাউকে নাজেহাল বা হয়রানি করা দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ নয়। ইতোপূর্বে যা হয়েছে তা যেন না হয়। দুর্নীতির নামে অন্যায়ভাবে, অযাচিতভাবে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়।
এটা গতকাল সোমবারের একটা খবর।
বিস্তারিত»পুনঃপুনঃ ………………অবশিষ্টাংশ
লেখাটি কিছু সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হল। লেখাটি পজে গ্রন্থের উত্তরভাব।অবশিষ্টাংশ আজ যোগ করা হল।
গ্রন্থ – পজে
লেখক – ব্লেইস পাস্কেল
অনুবাদ/সম্পাদনা – জাভেদ হুসেন
প্রকাশক – বাংলা
মানুষ নিয়মে বাধা থাকে না। নিয়মকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। তারমানে সে যে নিয়মকে ভাঙল সে আসলে কোনো নিয়মই ছিল না। নিয়ম আসলে যার নিয়ম তার পরিচয় বহন করে। তাকে পাল্টে না ফেললে নিয়মও ভাঙ্গার কথা না।
বিস্তারিত»পূর্ব হতে পশ্চিম এবং তারপর……………???
এ্যাডওয়ার্ড সাইদ এর orientalism গ্রন্থের উপজীব্য বিষয় হলো প্রাচ্য সম্পর্কে পশ্চিমাদের যে ধারণা তা সত্য কে নয় বরং পশ্চিমা কল্পনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। পশ্চিমাদের ধারণা প্রাচ্যের সকল নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী মৌলিকভাবে একইধরনের। কিন্তু ইহা পশ্চিমাদের একটি ভ্রান্ত ধারণা। প্রাচ্য সম্পর্কে পশ্চিমাদের এই ধারণা মূলতঃ গড়ে উঠেছে Limited literary text and historical records এর উপর ভিত্তি করে। আর তাদের এই জ্ঞান মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করছে।
বিস্তারিত»যতটুকু বুঝতে পারি………………………
একটা প্রশ্ন করলেন ম্যাডাম বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের ভিত্তি কি? আমরা সবাই অবাক্ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। প্রথম প্রথম প্রশ্নটি বুঝলাম না। ম্যাডাম এবার পরিষ্কার করে দিলেন। বলো এমন কি আছে যা আমাদের অন্য জাতি হতে পৃথক্ করে দিয়েছে? আমরা একে একে বলতে লাগলাম বাঙ্গালী সাহসী, অথিতিপরায়ন, বিদ্রোহী, আরো অনেক কিছু। কিন্তু তিনি একে একে দেখিয়ে দিলেন আমরা যা বলেছি তা আমাদের থেকে অন্য অনেক জাতিসমুহের মাঝে আরো বেশি পরিমাণে বিদ্যমান।
বিস্তারিত»পাঁচ কেন আমার প্রিয় সংখ্যা হবে না…
পাঁচ আমার সবচাইতে প্রিয় সংখ্যা,আমার অনেক কিছুর সাথেই পাঁচের একটা রিলেশন আছে।তার কিছু নমুনা দেই…
*আমার জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৫ মার্চ……২টাই ৫ দ্বারা বিভাজ্যা
*জন্মের সময় আমার ফ্যামিলি মেম্বার ছিলো ৫জন 😀 আমরা ৩ ভাই ,আব্বু আম্মু।
*ক্লাস থ্রীতে নতুন স্কুলে ভর্তি হলে আমার রোল নম্বর ছিলো ২৫…পরের বছর সেইটা হয় ৫
*ক্লাস সিক্সে আবার নতুন স্কুলে ভর্তি হলে আমার রোল নম্বর ছিলো ৫০।।পরের বছর সেইটা হয় ৫
*ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর ছিলো ১০৩৩৮..যার ডিজিটগুলো যোগ করলে হয় ১+০+৩+৩+৮=১৫…যা ৫ দ্বারা বিভাজ্যা :awesome: :awesome:
*কলেজে আমার সাথে আরো ৫০ জন বন্ধু জয়েন করে।(আমরা মোট ৫১ জন ,আমি ছাড়া ৫০)
*আমার ক্যাডেট নাম্বার ১১৫০
*ক্লাস সেভেন এ আমার রুম নম্বর ছিলো ১০৫
*ক্লাস এইটে আমার রুম নম্বর ছিলো ১০৬ যেখানে ৬-০-১=৫ :awesome: :awesome:
*ক্লাস টেন এ ছিলাম ১২৭ নম্বর রুমে..১+২+৭=১০,যাহা ৫ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য =)) =))
*১২ এ ছিলাম ১১৫ নম্বর রুমে
*এস.এস.সি পরীক্ষায় আমার রো নম্বর ছিলো ১০০০১৫
*আমার এস.এস.সি’র রেজাল্ট জিপিএ ৫ 😀 😀
*ক্লাস ইলিভেন এ আমার এপুলেটে ছিলো ৫ দাগ :awesome: :awesome:
*আমার এইচ.এস.সির রোল নম্বর ১০২৩০৯ যেখানে ১+০+২+৩+০+৯=১৫
*আমার এইচ.এস.সি’র রেজাল্ট জিপিএ ৫ 😀 😀
*বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর ছিলো ৩২৫
*আমি বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ৯৪ হইছিলাম …৯-৪=৫ :tuski: :tuski:
*বুয়েটে আমার রোল নম্বর হলো ৮৭ যেখানে ৮+৭=১৫
*সর্বশেষ আমি একটা নতুন মোবাইল সিম নিয়েছি যেটা হলো ০১৬৭৩১৮০৮৩৮ যেখানে ০+১+৬+৭+৩+১+৮+০+৮+৩+৮=৪৫,যাহা ৫ দ্বারা বিভাজ্য
*আমার ব্যাচ হলো ২৩,২+৩=৫ এইটা বের করে দেওয়ার জন্যে রবিন ভাইয়াকে থাঙ্কস 🙂
তাহলে পাঁচ কেন আমার প্রিয় সংখ্যা হবে না বলুন তো???
রাজাকারনামা……………#১
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নুরেমবার্গ ট্রায়াল/ জেনেভা কনভেনশন
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে যতবার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা শোনা যাছছে ততবার শুনতে হচ্ছে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের অনুকরণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সঙ্গত নয়।কেননা নুরেমবার্গ ট্রায়াল ছিল একটি special tribunal act (IMT, NMT). এছারাও তখন যুদ্ধাপরাধ সাম্পর্কিত কোনো আন্তর্জাতিক আইন ছিলোনা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পুর্বেই ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত হয়।
বিস্তারিত»বিজ্ঞান ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ে আমার অবস্থান
প্রথমেই বলে নেই যে, এই লেখায় বিজ্ঞানের সংজ্ঞাটা নিয়েছি মূলত উইকিপিডিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে। বিজ্ঞানের সিরিয়াস আলোচনায় শুধু সংজ্ঞা নিয়েই কেটে যেতে পারে কয়েক ঘন্টা। কিন্তু এই লেখাটা খুবই সাধারণ অর্থে বিজ্ঞানকে এবং এর সাথে তুলনা করে ‘জনপ্রিয় বিজ্ঞান’কে বোঝার একটা সরলীকৃত চেষ্টা মাত্র। আমি আগে কখনোই এই তুলনামূলক বিষয়টা সিরিয়াসলি নেই নাই। জনপ্রিয় বিজ্ঞানের প্রতি প্রথম আগ্রহ জন্মেছে মুহাম্মদের কাছ থেকে, তাই এই কৃতিত্ব ওরই।
বিস্তারিত»যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুভি: জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ
১। আমি কম্পিউটার সিটির রায়ানস থেকেই ডিভিডি বেশি কিনি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যানে কিছু ফাও আয় হয়। কিছু বাড়তি অর্থ পকেটে আসে আর আমি ছুটে যাই রায়ানস-এ। নতুন ছবির চেয়ে আমি বেশি খুঁজি পুরোনো ছবিগুলো। একদিন যেয়ে দেখি অনেক পুরোনো একটা ছবি, জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ। কিনতে এক সেকেন্ডও ব্যয় হয়নি আমার।
মনে আছে একসময় বিটিভিতে সাটারডে নাইট মুভিতে অনেক ভাল ভাল ছবি দেখাতো।
মানসিক পঙ্গুত্বের দিকে আরেক ধাপ
রাজধানীতে বেসরকারী কোন বিনোদন পার্ক থাকছে না। বেসরকারী উদ্যোগে পরিচালিত শ্যামলীর শিশুমেলা, গুলশানের ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক, স্বামীবাগের ওয়ান্ডার ল্যান্ডপার্ক শীগগিরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন উচ্চ আদালতের স্বিধান্ত অনুযায়ী বেসরকারী পার্ক ভেঙ্গে সরকারী ভাবে পার্ক নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সাংসদরা তা দেখভাল করবেন…
(রিপোর্ট- দৈনিক সমকাল, পৃষ্ঠা ২, বিস্তারিত দেখুন পত্রিকাতে)
সানাউল্লাহ ভাই এর পোস্টে আমরা পড়েছি সরকার ( পড়ুন ভূমিধ্বস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসা দিন বদলের সরকার) কিভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে অকার্যকর করে নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুঃসাহস দেখতে চাই
আমাদের জাতীয় সংসদের নতুন সদস্যরা ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদকে করায়ত্ত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি সব মহল থেকেই করা হচ্ছিল। এই দেশটির জন্মের পরপর সংবিধানের প্রণেতারাও এর গুরুত্ব ভালোভাবেই বুঝেছিলেন। এইরকম একটা প্রেক্ষাপটে ড. ফখরুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপজেলা পরিষদ আইন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয় সরকারের এই সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের অধীন করে আমাদের আইন প্রণেতারা প্রমাণ করেছেন তারা যথেষ্ট ক্ষমতাবান!
বিস্তারিত»