রাজধানীতে বেসরকারী কোন বিনোদন পার্ক থাকছে না। বেসরকারী উদ্যোগে পরিচালিত শ্যামলীর শিশুমেলা, গুলশানের ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক, স্বামীবাগের ওয়ান্ডার ল্যান্ডপার্ক শীগগিরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন উচ্চ আদালতের স্বিধান্ত অনুযায়ী বেসরকারী পার্ক ভেঙ্গে সরকারী ভাবে পার্ক নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সাংসদরা তা দেখভাল করবেন…
(রিপোর্ট- দৈনিক সমকাল, পৃষ্ঠা ২, বিস্তারিত দেখুন পত্রিকাতে)
সানাউল্লাহ ভাই এর পোস্টে আমরা পড়েছি সরকার ( পড়ুন ভূমিধ্বস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসা দিন বদলের সরকার) কিভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে অকার্যকর করে নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করছে। এতে আমরা পাচ্ছি মেরুদন্ডহীন কিছু রাষ্ট্রীয় অভিভাবক সংস্থা! তেমনি ঢাকা শহরকে কারাগার বানিয়ে আনন্দ উপকরণগুলিকে কেড়ে নেবার এক মারণঘাতী স্বিধান্ত এই পার্ক সরকারীকরণ।
লোড-শেডিং, পানীয় জল সংকট, যানযট, খেলার মাঠ জবরদখল করে গরে ওঠা বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ এত কিছুর পরেও মানুষের দম ফেলবার জায়গা ছিলো এই বিনোদন পার্ক গুলো। বিশেষ করে শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের সাপ্তাহিক ছুটি ও বিনোদনের একটি মাধ্যম। ১লা বৈশাখ, , ভালোবাসা দিবস বা বন্ধুত্ব দিবসে লোক সমাগমই বলে দেয় পার্কগুলোর সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতা।
আর সরকাড়ী পার্কগুলোর বেহাল অবস্থাতো সবারই জানা। কোথাও ট্রাক স্ট্যান্ড, রিকশার গ্যারেজ, মাদকসেবীর আখড়া দু দন্ড শান্তির পরিবর্তে আশংকা! শাহবাগ শিশু পার্ক শহীদ জিয়ার নামে নামে শেখ রাসেলের নামে হবেএই বিতর্কে আর গেলাম না!
আবাসন সংকটে খুপড়ী খুপড়ী ফ্ল্যাটবাড়ীতে কোমলমতি শিশুরা কম্পিউটার আর পিএস২ এর স্ক্রীন এর দিকে তাকিয়ে অল্পতেই চোখে বড় চশমা নিয়ে ডিজ়িটাল বাংলাদেশের নাগরিক হবে, বই এর বোঝা কাঁধে নিয়ে স্কুল কোচিং হোম-ওয়ার্ক এর মাঝে এই টুকু অবসর এভাবেই কেটে যাবে। আর আমরা পাবো ২০২১ সালের মানসিক ভাবে পঙ্গু একদল ডিজিটাল নাগরিক।
২০ টি মন্তব্য : “মানসিক পঙ্গুত্বের দিকে আরেক ধাপ”
মন্তব্য করুন
১ম হইছি। এখন পইড়া লই 😀
x-( x-( x-(
অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।
মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছা করে এর শেষ কোথায়??
সোনার বাংলা কি আমরা আর দেখতে পাবনা???? 🙁 🙁
eikhane PCC(pabna) ailo koithika? :-B
:-/ :-/ :-/
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আসলেই অনেক চিন্তার বিষয়। খুব ভালো হলো না কাজটা।
@সামীউর বানানগুলো একটু দেখো আরেকবার।
@ তৌফিক ভাই,
দেখলাম ভাইয়া, কতগুলো ভূল রয়ে গেছে, নিজ গুণে ক্ষমা করে দিয়েন সবাই। আগামীতে আর সতর্ক থাকবো।
আহ ভাবতেই ভালোলাগছে। টেন্ডারবাজি, চান্দাবাজির আরেকটি রাস্তা পাওয়া গেলো।
ছোট বেলায় এইম ইন লাইফ পড়তাম বড় হয়ে ডাক্তার হবো, ইঞ্জিনিয়ার হবো। কয়েকদিন পর পোলাপান নিশ্চয়ই পড়বে- বড় হয়ে সাংসদ হবো ।
আমি বড় হয়ে সংসদের মাননীয় স্পিকার হতে চাই। তারপর প্রতিদিন আপ্যায়ণ ভাতা তুলবো ষাট লাখ টাকা, ঘাস কাটার জন্যে এক কোটি টাকা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে আশি লাখ টাকা।
সবাই দোয়া করবেন 😉 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
এখনো আশা করো? দুরাশা। কিছুদিন আগেও ভাবতাম নাহ বোধহয় কিছুটা ঠিক হয়ে যাবে রাজনীতিবিদ রা। কিসের কি? এরা হলো ********। আসলে আমার মনে হয় আমরা এখনো গনতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত বা উপযুক্ত হই নাই।
রবিন ভাই, আমি এখনো স্বপ্ন দেখি, একদিন আমরা মাথা উচু করে দাড়াবো।
একমত। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবো।
বাংলাদেশে গনতন্ত্রের অপমান করা হয়
ঐ :grr:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
নাহ আসলে ইন্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হোওয়া ভুল হইসে, এর চেয়ে চাদাবাজি, খুন, সন্ত্রাসীগিরী করলেই পারতাম, তাইলে সংসদ সদস্য হিসেবে ভবিষ্যত নিশ্চিত হইত, আর ততদিনে দেশের রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, চায়ের দোকানতো আমরাই চালাব, একেবারে লালে লাল...........
ইঞ্জিনিয়ার হয়েও সাংসদ হইতা পারবা চিন্তা কইরো না। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নামে একজন ছিল না? ঐ রকম আর কি।
দুর অত কস্ট করব কেন? স্বশিক্ষীত!!!! হয়েই যদি হইতে পারি? কোন পড়া লেখা না করে, যোগ্যতা না থেকে, বাড়ি, গাড়ি, কোটি কোটি টাকা আয় করা একমাত্র সংসদ আর রাজনিতীবিদের পক্ষেই সম্ভব....
গোরস্থানের গার্ড থেইকা মানুষজন এম,পি হইয়া গেলো; আর আমি চা বেইচা মন্ত্রী হইতে পারমু না :grr: ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমিতো আপনার দোকানের হেল্পার। তাইলে কী আমি প্রতীমন্ত্রী হইতে পারমু???? 🙁
তু্মি পরধান উপুদিষ্টা :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"