১৯৮৩ সালের শেষের দিক তখন। জাপান থেকে দেশে ফিরে জোরে সোরে কাজে লেগে গেলাম। প্রিন্টিং প্রেস থেকে ১৬X১৬ ঘরের ব্লাঙ্ক টেমপ্লেট ছাপিয়ে নিলাম। আমার সহকর্মী গ্রাফিস আর্টিষ্ট আশরাফকে লাগিয়ে দিলাম বিভিন্ন অক্ষরের আকার অনুসারে প্রতিটি অক্ষরের জন্যে একটি করে ঘরের গ্রিড পূরণ করতে। দুই টাকা দিয়ে কেনা প্রথম শ্রেনীর পাঠ্য বিদ্যাসাগরের বর্ণমালা বই অনুসরণ করে সব স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জন বর্ণ আমরা মেট্রিক্সে লিপিবদ্ধ করতে লাগলাম।
বিস্তারিত»স্ট্যান্ডিং এট দ্যা এজ (লাস্ট ডেইজ ইন ক্যাডেট কলেজ)
ক্যাডেট লাইফটা শেষ হয়ে গেল।কাল আমাদের আর্টস এর এক্সাম শেষ হলো।সায়েন্সের শেষ হবে ১৮ তারিখ!এখন খালি মাস্তি আর মাস্তি।এতদিন কলেজে আমরা একা ছিলাম,আগামীকাল কলেজ আসবে।এভাবেই বোধহয় সব শেষ হয়!২৪ তারিখ মনে হয় আমাদের বিদায়!পুরাটা ক্যাডেটলাইফ এত্ত বাজে লাগতো,ইদানিং কেন যেন যেতে ইচ্ছে করে না!আগে ভাবতাম কবে মুক্তি পাবো,এখন মনে হয় না জানি কোথায় গিয়ে পড়ি।সত্যি খুব মায়া লেগে গেছে।এই ব্লক,কম্পিউটার ল্যাবে ফাঁকি দিয়ে বসে থাকা,লাইব্রেরী তে পড়া,রাত ৩ টা ৪ তা পর্যন্ত জেগে কার্ড খেলা,চান্স পেলেই করিডোর ক্রিকেট!ক্যাডেটরা যে কত নতুন নতু খেলা আবিষ্কার করে।ইদানিং প্রতিদিন রাতে টিভি রুমে খেলা দেখতে যাই!সাউন্ড অফ,পয়েন্টে পয়েন্টে গার্ড দাড় করিয়ে খেলা দেখার এই এডভেঞ্চার আর কই পাবো?জীবনে কোনোদিন কাঠাল খাই না বাসায়।গত সপ্তাহে একাই একটা আস্ত কাঠাল শেষ করেছি প্রতিযোগীতা দিয়ে।চুরি করা কাঠাল বলে কথা!এটা কি চুরি?হাউজের সামনে একটা আম গাছে আম নাই!অথচ এই জীবনে আর কোনোদিন গাছ থেকে পেড়ে কাচা আম খাওয়ার আনন্দটাই পাবো না!ক্যাডেট কলেজের প্রতি মায়া গুলোর সোর্স খুব সিম্পল!তবুও একে এড়াই কি ভাবে?
বিস্তারিত»শহীদলিপির ইতিহাস-১
[ ভূমিকা – কম্পুউটারে বাংলা ব্যাবহারের ইতিহাস জানতে চেয়ে সচলায়তন ও কাডেট কলেজ ব্লগের কিছু সদস্য আমাকে শহীদলিপির ইতিহাস লিখতে অনুরোধ করেছিলো। তাদের অনুরোধেই এই লেখা। কেউ যদি সচলে এই লেখার লিঙ্কটি দিয়ে দেয় তবে বাধিত হবো। ]
১৯৫২ সালে আমার বয়েস ৪/৫ বছর। ফলে ২১শে ফেব্রুয়ারীর কোন স্পষ্ট স্মৃতি নেই। তবে একটু বড় হবার পর থেকে দেখতাম, ঐ দিন খুব ভোরে ছাত্ররা খালি পায়ে হেটে হাতে ফুল নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারে মিছিল করে যাচ্ছে।
বিস্তারিত»এর নাম ছাত্র রাজনীতি !?! (১৮+)
রাজনীতি একটা জিনিস যা আমাকে কখনওই আকর্ষন করে না। সবচেয়ে বেশী দুরত্ব বজায় রাখি ছাত্র রাজনীতি নামক বিষয়টি নিয়ে। কারন একটাই, সুস্থ্য ধারার রাজনৈতিক চর্চার অভাব। এই দেশের রাজনীতি বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে গত কয়েকবছর ধরে যে অসুস্থ পরিবেশ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করে এসেছে তা দেখে কোন সুস্থ্য ধারার মানুষ মনে হয় না বর্তমানের ছাত্র রাজনীতির এই ধারাকে স্বাভাবিক চোখে দেখতে পারবেন।
আমি আবারও বলছি,
বিস্তারিত»ঠান্ডা লড়াই এবং সিসিবির ভবিষ্যত
ব্লগে ঢুকবো না ঢুকবো না করেও শেষ পর্যন্ত ঢুকলাম। বেশ কিছুদিন ধরে প্যারেডে ছিলাম না। তাই বলে সিসিবিকে ‘টা… টা…. বাই…. বাই’ জানিয়ে দিয়েছি এমন ভাবলে ভুল হবে। জানালাটা খুলি প্রতিদিনই। দেখি কে কি করছে, কি লিখছে, কাজের অবসরে পড়িও অনেক লেখাই। গত কয়েকদিন ধরে যে ধর্ম নিয়ে আবার একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে তাও নজর এড়ায়নি। আমার কি কিছু বলা বা করা উচিত- এমনও ভেবেছি।
বিস্তারিত»আর কোনো ফাজলামি নয় (সিরিয়াস মাইক্রো-পোস্ট)
মোস্তফা জব্বার অভ্রের বিরুদ্ধে পাইরেসি মামলা করেছে। এই যে লিঙ্কঃ
অভ্রকে কারণ দর্শাতে বলেছে কপিরাইট অফিস
আসুন আমরা এবার সিরিয়াসলি বিষয়টা গ্রহন করি। মজা করার সময় শেষ। আমাদের মধ্যে যারা আইনবিদ আছেন তারা একটু এগিয়ে আসি।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজ ডে উদযাপন ও কিছু কথা…..
Disclaimer: এখানে বলা সকল কথা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত।কাউকে দায়ী করার জন্য বা কারো দায়িত্ববোধ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা আমার উদ্দেশ্য নয়,তাই আমি চাইনা এই কথাগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক হোক।আমার কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাই আমার উদ্দেশ্য,তাই সবাই নিজ গুনে আমার অজ্ঞতা মাফ করবেন।
গত ২৮শে এপ্রিল ছিলো ক্যাডেট কলেজ ডে।২৫ তারিখে এক বড় ভাই জানালেন যে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নাকি তা ৩০শে এপ্রিল উদযাপন করা হবে।তাই ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পক্ষ থেকে রংপুর ওল্ড ক্যাডেটস এসোসিয়েশন (ROCA) এর জন্য বরাদ্দ করা কিছু কার্ড জুনিয়র ব্যাচের ছেলেদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার দায়িত্ব পড়ল আমার উপরে।এই দায়িত্ব পালন কালে এবং এই প্রোগ্রামে গিয়েই আমার মনে কিছু প্রশ্ন আসে ও নানাজনের কাছ থেকে কিছু প্রশ্ন পাই যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা তো নেইই বরং অন্য কারো কাছেই সদুত্তর পাইনি।তাই সিসিবির কাছেই আশ্রয় নেয়া এবং এই লেখার অবতারণা করা।
বিস্তারিত»প-এ র-ফলা আর ত-এ হ্রস্ব-ই-কার, এর পরের অংশে প্রাধান্য কার?
একটা বিষয় নিয়ে আমি কদিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম কিন্তু পহেলা বৈশাখের নানা প্রোগ্রাম আর প্রোগ্রাম পরবর্তী পরীক্ষা সমূহের জন্য হয়ে উঠছিল না। পরীক্ষা এখনো চলছে যদিও, তাও ভাবলাম লিখি। আর সহ্য হচ্ছে না।
১৫ তারিখে সার্টিফিকেট তোলার জন্য গিয়েছিলাম JCC তে। ভালই লেগেছিল এতদিন পর আবার সেই চেনা জায়গা-তে ঢুকে। আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু নাঈম। ওর প্রায় ৭ বছর পর কলেজে ঢোকা হলো কারণ ২০০৭ এর রি-ইউনিয়ন ও মিস করেছিল।
বিস্তারিত»অভ্রের মেহদী
আমার বাসায় কম্পিউটার আসে ক্লাস ইলেভেনে। গেমস খেলে কীবোর্ড খড়ি। এরপর টুকটাক টাইপিং শেখা। ইংরেজিটা তো মুটামুটি হাতে এল মাগার বাংলা কিছুতেই বাগে আনতে পারি না। লিখতে গিয়ে ত খুঁজে পাইনা ঢ হারিয়ে গেছে দুনিয়া থেকে। ণ এর দেখা নাই। অনেক কষ্ট করে বিজয় শিখেছিলাম। এখনও কিছুটা মনে আছে সেদিনকে একটা সার্টিফিকেট টাইপ করতে গিয়ে। কিন্তু ই-কার টা চলে যায় পরে। আগে এ-কার দিতে ভুলে যাই।
বিস্তারিত»বই: ‘The 100’ – ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যাক্তিত্বের Ranking.
এস্ট্রোফিজিসিস্ট মাইকেল এইচ হার্ট রচিত মূল The 100: The Most Influential Persons of the History বইটি ২০০৪ সালে পড়ার সুযোগ হয়েছিল। হার্ট সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যাক্তিত্বের Ranking করেছেন এই বইয়ে। পৃথিবীর ইতিহাসে ও মানুষের জীবনে যাদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি তাদের ১০০ জন স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়। বইটা পড়ে যতটা চমতকৃত হওয়ার তা তো হয়েছিই, একই সাথে ভেবেছি ভদ্রলোক এত কঠিন এক কাজে হাত দিতে সাহস পেলেন কি করে?
বিস্তারিত»বিদ্যুত সমস্যা — আওয়ামীলীগ সরকারের দায় এড়ানো ও বিএনপি সরকারের দায়
দেশে না থেকেও বিদ্যুত সমস্যার ভোগান্তিটা ভালই বুঝতে পারছি । পেপারে টিভিতে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। আওমীলীগ সরকার ২০১৫ সালে ৯ হাজার মেগাওয়াত বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতির মূলা ঝুলিয়ে রেখেছে সবার জন্য। সাথে সাথে এই মুহুর্তের ভোগান্তির জন্য সব দোষ বিএনপি র ঘাড়ে চাপিয়ে বসে আছে। আমরা কম বেশি সবাই জানি বিএনপি আমলে বিদ্যুত সেক্টরে লুটপাট হয়েছে । কিন্তু সত্যিকারের পরিসংখ্যান কি জানি ? আওয়ামীলীগের দাবিই বা কতখানি যুক্তিযুক্ত ?
বিস্তারিত»মুক্তিযুদ্ধে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ
১৯৭১ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের অনেক প্রাক্তন ক্যাডেট স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন যাদের অনেকেই ছিলেন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা। এদের মধ্যে আছেন মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, যার ওপর ভিত্তি করে হুমায়ুন আহমেদ ” আগুনের পরশমণি ” চলচ্চিত্র নর্মাণ করেন। এ কলেজের আটজন ক্যাডেট মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। নিচে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
লেফট্যানেন্ট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন, বীর উত্তম : তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরের কর্মকর্তা।
বিস্তারিত»আমার অসুস্থতা, সোস্যাল বিজনেস এবং কিছু হাবিজাবি প্যাচাল………।
ফয়েজ ভাই সচলের মাহবুব লীলেনের বরাতে একবার আমার এক পোষ্টে কইছিলেন যে, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস মধ্যপ্রাচ্যে জন্মাইলে নবী হওয়ার চান্স আছিলো। কিন্তু আমার ত মনে হচ্ছে, উনি অলরেডী নবী হয়ায় গেছেন। তা না হলে তানা’র কাছা টানাটানি করার পাপে আমার মাথায় ঠাডা পড়লো ক্যান?-
গত সপ্তাহ থেকে বিদ্ঘুটে এক রোগে ভুগছি- সময় সময় মাথা টালমাটাল করে, মনে হয় মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। ডাঃ অসীমরে কইলাম,
বিস্তারিত»ব্লগানুবাদঃ দ্য সেলফিশ জীন – রিচার্ড ডকিন্স (২)
[নিজের কথাঃ প্রথমেই যাঁরা উৎসাহ দিচ্ছেন, তাদের জন্যে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা! ব্যস্ততার মাঝেও কাজটা নিয়ে থাকার প্রেরণা পাচ্ছি আপনাদের সকলের কারণে। এই পর্বটি একটু বড়ো, বেশ কিছু খাশটা উদাহরণ আছে, এবং শেষের অনুচ্ছেদে কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আমার আজ রাতে হওয়া epiphany আছে। লিখতে লিখতে হুট করেই জামাত-শিবিরের চালচিত্রের একটা জেনেটিক, জেনেরিক ধারণা পেলাম। ডকিন্সকে ধন্যবাদ!]
আরো বিশদে যাওয়ার আগে আমাদের ধারণাগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা দরকার।
বিস্তারিত»