একটি সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি এবং…

কাল তারিফের জন্মদিন, একটা স্পেশাল দিন। আর কারো জন্য না হলেও তারিফের জন্য অবশ্যই। তাই এই উপলক্ষ্যে প্রীতি তারিফকে একটা সারপ্রাইজ দেবে বলে ঠিক করেছে। গার্লফ্রেণ্ড হিসেবে এটা তার দায়িত্ব বলেই ধরে নিয়েছে সে।

তারিফ তার কলেজের বন্ধুদের খুব মিস করে। প্রীতির পরিকল্পনা হলো, তারিফের সেই বন্ধুগুলোকে একসাথে ডেকে নিয়ে একটা সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি দেবে। পরিকল্পনামত তারিফের কলেজের বন্ধু নুর-এর সাথে যোগাযোগ করলো প্রীতি।

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে-২

ততদিনে আমাদের সুদিন চলে আসছে। কোন জায়গায় চান্স না পাওয়ার সামাজিক,মানসিক গ্লানি কাটিয়ে ততদিনে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছি। “ক্যাডেট কলেজে পড়লেই কি সবাই ভাল জায়গায় চান্স পায়” বলা নিন্দুকের মুখে তখন “জানতাম এই ছেলেই একদিন…” বানী শোভা পায়।

শীতের কোন কোন কোন সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে চলে আসে নাসিম। আমরা সারাদিন সারা টাঙ্গাইল চষে বেড়াই। শহর পেড়িয়ে,নদী পাড় হয়ে চলে যাই কোন এক চরের গ্রামে।

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে…

প্রসঙ্গক্রমে কিছু কাল্পনিক ঘটনার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে।কারও কারও বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে লেখক দায়ী থাকবে না 😉

সবই আছে,সবাই আছে।কাঁধের উপর পাঁচ দাগ আছে।আছে পিছনে হাত বা পকেটে হাত দিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাবার রাজকীয় ক্ষমতা।এত সব ক্ষমতা আর পাঁচ দাগের ভারে ডান কাঁধটা কবে যেন একটু বাঁকা হয়ে গেছে খেয়াল করার সুযোগই হয়নি।ক্লাস ইলেভেন কলেজের ক্যাডার।মন যা চায় মোটামুটি সবই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।খাকী পোশাক গায়ে জড়াবার প্রথম দিন থেকে এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা।এখন সবই হাতের নাগালে।এতসব কিছুর মাঝেও বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা শূন্যতা কাজ করে।কিছু যেন একটা মিসিং।শুধু আমার একার না মোটামুটি সবারই এক অবস্থা।

বিস্তারিত»

মুক্তিদাতা

ঘটনাটা স্মৃতির পাতায় এখনো রয়ে গেছে; যদিও বেশ আবছা। কলেজে পা রাখার পর দ্বিতীয় দিন। দুপুরে হারানো চুলের শোক বুকে চেপে ডাইনিং হল থেকে বেরুচ্ছি, হঠাৎ হুনাইন হাউসের সামনে বেঞ্চিতে বসে থাকা রেজওয়ান ভাই ডাক দিলেন, “এই পিচ্চি এদিকে আসো।” বেশ করুণ মুখে হাজির হলাম। চার-পাঁচ জন ক্লাস ইলেভেন বসে আছেন (উনারা পরের টার্মেই ক্লাশ টুয়েলভ হবেন)| দৌঁড়ে গিয়েই বুঝলাম ভুল করে ফেলেছি; আমার পাশেই ওমর হাঁটছিল,

বিস্তারিত»

শিভি জিন্মদিন

বহুকাল আগের কথা। তখন সিসিবিতে মানুষজন সমাগম সবে শুরু হয়েছে; ধীরে ধীরে জমাট বাঁধতে শুরু করেছে সিসিবির রণাঙ্গন। বিদেশ-বিভূয়ে একা বসে সিসিবিই তখন আমার একমাত্র সম্বল। নিত্যদিনের কাজ ছিলো ব্লগে বসে নতুন পোষ্ট আসলেই গুতাগুতি করা; সবার মন্তব্য পড়ে সময় কাটানো। আর মাঝে সাঝে বিশাল দুঃসাহস দেখিয়ে একটা মন্তব্য টাইপ করে তারপর খুব গাম্ভীর্যের সাথে ব্যাকস্পেস চেপে মুছে ফেলা। তখনো কি রেজিস্ট্রেশন করেছি কি না মনে নেই।

বিস্তারিত»

সুদর্শন-নামা

নিজেকে সুদর্শন ভাবতে আমার মন্দ লাগে না, যদিও এই যাত্রায় সেরূপ ভাবার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয় না। বড়ই পরিতাপের বিষয়, জীবনের এতগুলো বসন্ত পেরিয়ে গেলো, তবু কেউ হেসে এসে বললো না, “হাই হ্যান্ডসাম।” একবার কারে যেন বলতে শুনছিলাম, ‘ছেলেটাকে কেমন ছুট ছুট লাগে, মনে হয় ক্লাশ এইট নাইনে পড়ে।” অথচ আমি তখন দিব্যি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। হায়রে অভাগা নারী, তোমারে দিতাম গয়না-শাড়ী; খালি একবার যদি বইলা দিতা,

বিস্তারিত»

কলকাতা ভ্রমনঃ অতঃপর

১।
ঠা ঠা রোদ পড়েছে আজ; দোকানের ঝাপির নিচে বসে হালকা শীতলতার প্রশ্রয় খুজছি। এই গরমে চায়ের ব্যবসা তেমন জমছে না, ঠান্ডা কিছু রাখা লাগবে দোকানে। হঠাৎ-ই ভাঙ্গা রাস্তায় পোয়াখানেক ধুলা ছিটিয়ে লাবলু ভাইয়ের কালো মার্সিডিজটা এসে থামলো। আগে অবশ্য উনিই চালাতেন মাঝে মাঝে, এখন একটা ফুল টাইম ড্রাইভার রেখে নিয়েছেন আহসান ভাইকে; আগে পার্ট টাইম সায়েদাবাদ টু ফার্মগেটের দোতলা বাসগুলো শখ করে চালাতেন।

বিস্তারিত»

আজ স্বপ্নের দিন

১.
পুরানো কাগজপত্রগুলো গুছাচ্ছিলাম। হঠাৎ কাগজটা চোখে পড়লো, ১২ লাইনের ছোট্ট একখানা কবিতা। আমার খুব প্রিয় একজন মানুষের লেখা। বয়সটা আমার চেয়ে খানিকটা বড়, কিন্তু মনটা বোধহয় বয়সের সাথে পাল্লা দেয়া গাম্ভীর্যের আতিশায্যে আটকা পড়েনি। দেশ ছেড়েছে প্রায় বছর আটেক হলো, আর দেশে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়েছিল বলে বাংলার সাথে তার সখ্যতাটা সেভাবে গড়ে উঠেনি। কথা ঝরঝরে বাংলাতেই বলেন, কিন্তু লিখতে গেলেই অশনি সংকেত।

বিস্তারিত»

আজ স্বপ্নাহতের জন্মদিন

স্বপ্নাহত নামটা বিনা অনুমতিতে চুরি করে টাইটেল এ বসানোর জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।ওটা উনার সচল-নাম। তার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ওয়ার্ডপ্রেসের অন্যরকম খাওয়া দাওয়া দিয়ে। আর আফটার দ্য লাইটস আউট ( সবার পায়ে পড়ি, অন্য কোন ভাবে নিয়েন না কিন্তু :no: ) পড়ে তো রীতিমত গুরু মানতে শুরু করেছি। সত্যি বলতে, সিসিবি শুরু থেকে যাদের হাত ধরে চলতে শিখেছে উনি তাদেরই একজন।

বিস্তারিত»

আজ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষটার জন্মদিন

সি সি বি র আকাশে তার আবির্ভাব অনেকটা ধুমকেতুর মতই। একদিন তিনি এলেন, কচি কাঁচাদের কথা ভেবে বিশেষভাবে রচিত একটি পোস্ট দিলেন এবং ছোট বড় সবার মন এক সেকেন্ডের দশভাগের একভাগ সময়ের আগেই জয় করে নিলেন। তারপর?…

মানুষটার আবির্ভাব যদিও ধুমকেতুর মতই। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি আসলে ধ্রুব তারা। হুট করে এলেও হুট করে চলে যাবার জন্য তার আগমণ নয়।

বিস্তারিত»

তেসরা জুন

আজ থেকে অনেক বছর আগে একটা মেয়ে চুপচাপ প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢুকেই কেঁদে দিয়েছিলো, পেছন ফিরে বাবা-মাকে শেষ বারের মত দেখতে দেখতে,

তার কয়েক বছর পরে কোন এক রাতে দারুণ বিষ্টি হচ্ছিল, সে রাতে মেয়েটা তার ডায়রীর পাতায় একা একাই শুভেচ্ছা জানিয়েছিল চারপাশের খুব প্রিয় কিছু মানুষকে,

তার পর আরও অনেক সেই রকম রাত গিয়েছে,

তারপর একদিন প্রিন্সিপাল রুমের সামনের করিডোরে গম্ভীর মুখে মেয়েটা দাঁড়িয়ে ছিল আর কয়েক জনার মাথায় মাথা ঠেকিয়ে,

বিস্তারিত»