কলকাতা ভ্রমনঃ অতঃপর

১।
ঠা ঠা রোদ পড়েছে আজ; দোকানের ঝাপির নিচে বসে হালকা শীতলতার প্রশ্রয় খুজছি। এই গরমে চায়ের ব্যবসা তেমন জমছে না, ঠান্ডা কিছু রাখা লাগবে দোকানে। হঠাৎ-ই ভাঙ্গা রাস্তায় পোয়াখানেক ধুলা ছিটিয়ে লাবলু ভাইয়ের কালো মার্সিডিজটা এসে থামলো। আগে অবশ্য উনিই চালাতেন মাঝে মাঝে, এখন একটা ফুল টাইম ড্রাইভার রেখে নিয়েছেন আহসান ভাইকে; আগে পার্ট টাইম সায়েদাবাদ টু ফার্মগেটের দোতলা বাসগুলো শখ করে চালাতেন। পেছনের সিট থেকে লাবলু ভাইয়ের সাথে চকচকে কালো স্যুট (স্যুটের পেছনে অবশ্য দড়িতে বাঁধা বঙ্গবাজারের এক ব্র্যান্ড দোকানের মনোগ্রাম ;)) ) পড়া এক লম্বা চওড়া ভদ্রলোক নেমে এলেন; আরে এযে দেখছি মাস্ফ্যুদা। আমার দিকে তাকিয়ে একগাল হাসি দিয়ে বললেন, “কিরে ব্যাটা, আছিস কেমন?” উত্তরদেবার আগেই আবারো বলে উঠলেন, “দু’কাপ চা আর গোটা দশেক টোস্ট পাঠিয়ে দিস লাবলু ভাইয়ের রুমে।” লাবলু ভাই একটু চমকে বললেন, “দশটা !!! এই না কেবল রেডিসন থেকে লাঞ্চ করলে আমার সাথে।” “ভাইয়া, এই বয়সে একটু আধটু না খেলে কি আর শরীর টেকে। রকিব আর চারটা বিচি কলাও পাঠিয়ে দিসরে ভাই।”- বলেই লাবলু ভাইয়ের সাথে লিফটের দিকে পা বাড়ালেন। উনি চলে যেতেই নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাসের সাথে আপন মনেই বলে উঠলাম, দেনেওয়ালা যাবভি
দেতা, দেতা ছাপ্পড় ফাড়কে।

চা-নাস্তা দিয়ে ফিরে আসার সময় মাস্ফ্যুদা ডাক দিলেন। “সামনের সপ্তাহে কলকাতা যাচ্ছি অফিসের কাজে, যাবি নাকি? প্লেনে যাবো, খরচ আমার। 😮 কি বলিস?” এ যে দেখছি মেঘ না চাইতেই বর্ষা থুক্কু বৃষ্টি। হলদে দাঁতগুলো বের করে বললাম, “এআবার জিজ্ঞেস করতে আছে নাকি? অবশ্যই যাবো।” “বেশ, বেশ। তবে একটা কথা; আমার সাথে আরো একজন যাবে, ভুলেও যাতে তোর ভাবী না জানে।”- বেশ লাজুক একটা হাসি দিয়ে বললেন মাস্ফ্যুদা। “দাদা, একি বলছেন যে। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, তবে দিনকাল যা পড়েছে; পত্রিকাওয়ালাদের মুখ বন্ধ রাখতে কিছু খরচাপাতি আছে, কিছু মালকড়ি দিলে ওটাও আমি সামলে নিবো দাদা।” চোখ রাঙ্গানি দিয়ে মাস্ফ্যুদা চলে গেলেন।

২।
প্লেন ভ্রমণটা ভালোই ছিল, তবে বাংলাদেশ বিমানের সার্ভিস ওতোটা খারাপ না, যতটা লোকে বলে। নাহয় শৌচাগারে পানি না থাকায়, দুবোতল মিনারেল ওয়াটার আর টিকেটের উলটো পাশটা দিয়েই কাজ সেরে নিতে হয়েছে। শখ ছিল একবার ফ্যান্টাসি কিংডমে যাবো আমার ইয়েকে নিয়ে, তবে এযাত্রায় যেই ঝাকুনি খেয়েছি, ফ্যান্টাসি কিংডমে যাবার ফ্যান্টাসি উবে গিয়েছে। তবে ওদের রান্নাটা এখনো জিভে লেগে আছে, উচ্ছেভাজি আর পুঁটি মাছের চচ্চড়িটা যা হয়েছিলো না। মাস্ফ্যুদা অবশ্য এসব চেখে দেখার সময় পাননি, পুরোটা সময় ঐ তৃতীয় একজনের হাত ধরে কেমন যেন কবিতা আবৃতির চেষ্টা করছিলেন। আমার পাশের সিটের ভদ্রলোক অবশ্য অন্য অভিমত দিয়েছেন, ওব্যাটার নাকি মনে হয়েছে মাস্ফ্যুদা দাঁতের ব্যাথায় কিড়মিড় করছিলেন।

৩।
ফিরবার আগেরদিন মাস্ফ্যু ভাই বললেন, “রকিবরে একটা মহা মিস্টিক হয়ে গেছেরে।” আমি ইতিউতি করে উনার শার্টে লাল দাগ খুঁজবার চেষ্টা করছি দেখে উনি লাজুক হাসি দিয়ে বললেন, “আরে না ব্যাটা, সেসব কিছুনা, এই মাস্ফ্যু সেন এতো কাঁচা কাজ করে না। ঘটনা হলো কলকাতায় এলাম, কিন্তু কলকাতার প্রাণ-আকাশবাণীর পরিচালক আকাশদার সাথে তো দেখা করা হলো না। দাদা জানলে বড্ড রাগ করবেন রে মাইরি।” আমিও আঁতকে উঠলাম, তাই তো আকাশদার সাথে দেখা করা হয়নি। ভদ্রলোক বিয়েথা করে আকাশবাণীর পরিচালক হয়ে আপাতত কলকাতায় থিতু হয়েছেন বছরখানিক হলো। কলকাতায় এসে উনার সাথে দেখা না করে ফিরেছি শুনলে উনি জব্বর মাইন্ড খাবেন। মাস্ফ্যুদা মানিব্যাগ হাতড়ে (আমার মানিব্যাগ, উনারটা না; :bash: টিকেট ভাড়া ছাড়া বাকী সব কিছু উনি আমার মানিব্যাগ থেকেই নেন, আর বলেন, “আরে তোর মানিব্যাগ মানে তো আমার মানিব্যাগ। আমরা আমরাই তো।”) আকাশদার ঠিকানাটা খুঁজে নিয়ে বললেন, “আরে এযে দেখছি কাছেই, চল চল এখুনি বেরিয়ে পড়ি, না হলে হয়তো দাদা রাতের খাবার সেরে নিবেন।”

কোন রকমে একটা ট্যাক্সি ডেকে দুজনে বেরিয়ে পড়লাম (আমি অবশ্য হেঁটেই যেতে চেয়েছিলাম, কারনটা আর না হয় নাই বলি)। কজনকে আকাশদার ঠিকানা সুধাতেই সোজা উপরের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলো। বহু খুঁজ়ে-টুজে ধর্মতলার মোড়ে এক জাত ভাইকে (চায়ের দোকানী) জিজ্ঞেস করতেই মুখ বেকিয়ে দেখিয়ে দিলো। নক করতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন আকাশ মিত্তির, মানে আমাদের আকাশদা। আমাকে দেখে ঠিক চিনতে না পারলেও, পাশে দাঁড়ানো মাস্ফ্যুদাকে দেখেই চিক্কর মেরে বলে উঠলেন, “সে কী, এযে মাস্প্যু, কেমন আচিস??” “দাদা এইতো চলে যাচ্ছে কোনরকমে। আপনি, বৌদি কেমন আছেন?”

“এই যেমন দেকচিস, বড় ব্যস্ত থাকতে হয়রে। তো এখানে কবে এলি?”
“এইতো দিন চারেক হলো। অফিসের টাকায় কিছু আনফিসিয়াল কাজে স্যুরি অফিসিয়াল কাজে আসা হয়েছে আর কী। তো চলুন ভিতরে গিয়ে খানিকক্ষণ আড্ডা হয়ে যাক।”
“ভিতরে আসবি, আমি মনে করলাম তুই বুঝি ব্যস্ত। তো আয়, বস।”- প্রমাদ গুনে হাল্কা একটু সরে জায়গা করে দিলেন আকাশদা।
“দাদা আমায় চিনেছেন, আমি রকিব। ঐযে এবিসি রেডিওর পাশে দাঁড়িয়ে চা বিক্রি করতাম। আপনি যে কত বাকি খেয়েছেন মনে আছে।” -বেশ হাসিমুখে বলে উঠলাম।
“তুই কি ব্যাটা পাওনা টাকার জন্য কলকাতা এয়েচিস?”- একটু সন্ত্রস্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলেন আকাশদা।
“ছি ছি দাদা, কি বলছেন এসব। মাস্ফ্যুদা বললো কলকাতায় এলাম, অথচ দেশি মানুষের সাথে দেখা করবো না, তাও আবার ক্যাডেট, তাই দুজনেই ছুটে এলাম আর কী।”
“ওহ তাই বল।”- স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আকাশদা।

৪।
প্রায় ঘন্টা চারেক কেটে যাবার পরো যখন দুকাপ চা আর প্রমাণ সাইজের (ছুটু মার্বেলের চেয়েও ছুটু) তিনখান গুড়ের নাড়ু ছাড়া এখনো কিছু পেটে পড়েনি। যদিও মাস্ফ্যুদা দুটো আর আর্ধেক খেয়েছেন, আর আমায় দিয়েছেন আর্ধেক নাড়ু। বেশ কয়েকবার ঘড়ি দেখার ছুতোয় মাস্ফ্যুদা কি যেন বোঝাতে চেষ্টা করলেন আকাশদাকে, বৃথা চেষ্টা। ভাবছিলাম আসবার পথে গড়ের মাঠের কোণে লুচি মন্ডা ভাজতে দেখে এসেছিলাম, এতক্ষণে বোধহয় তাও ফুরিয়ে গিয়েছে। রাত ১১ টা নাগাদ আকাশদা মাস্ফ্যুদাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলেন, “তোরা কি খেয়ে এসেছিস; নাকি হোটেলে ফিরে গিয়ে খাবি?” মাস্ফ্যুদা কিছু বলবার আগেই আমি বলে উঠলাম, “দাদা, মানে রাত অনেক হলো তো, ভাবছি গিয়েই খাবো।” মাস্ফ্যুদা কেমন করুণ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “দাদা, মানে……”
শেষ করতে না দিয়ে আকাশদা বললেন, “বুঝলি খুব ইচ্ছে ছিল একদিন তোদের পেটপুরে খাওয়াবো। কিন্তু তোরাও সময় নিয়ে এলি না। কি আর করা, বেটার লাক নেক্সট টাইম। হে হে হে।”
বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমে এসে মাস্ফ্যুদা একটা বড় নিশ্বাস ছেড়ে বললেন, “রকিবরে মান্না দের কফি হাউসটা যেন কোনদিকে ??” :no: :no:

৫।
উপরে বোধহয় একটু বেশি ফাজলামী হয়ে গেলো। সত্যি বলতে আমাদের আকাশ দা কিন্তু মোটেও তেমনটি নয়। বরং যতদূর শুনেছি, ভালো মানুষের মন্দাকালে উনি দারুণ একজন ভালো মানুষ (অবশ্য লোকে এও বলে যে শোনা কথায় নাকি কান দিতে নেই)। মাঝে মাঝে খোমাখাতায় গুতো দিয়ে যখন আন্তরিকভাবে কুশল জিজ্ঞেস করেন, কখনো চোখে না দেখা মানুষটার প্রতি প্রবল এক টান অনুভব করি। নিয়মিত সাপ্তাহিকের নেশা পাইয়ে দিয়েছেন সিসিবিয়ানদের। হালকা কিপটে হিসেবে আজকাল অবশ্য দেখছি উনার কিঞ্চিত দুর্নাম তৈরী হচ্ছে (তথ্যসূত্র- সামিয়া আপু)। এবারে বোধহয় দাদা আমায় কেয়ামত পর্যন্ত ফ্রন্টরোলই দেয়াবেন। :duel: আচ্ছা আসল কথা বলি, আজকে আমাদের সকলের প্রিয় আকাশদার জন্মদিন।

:awesome: :party: শুভ জন্মদিন আকাশদা। :party: :party: :awesome:

মাস্ফ্যুদা এবং সকল সিসিবি মেম্বারদের তরফ থেকে ইস্পিসাল শুভেচ্ছা রইলো। আশা করছি ভাবীকে নিয়ে একটা দারুন জন্মদিন পালন করবেন। আর সিসিবির জন্য একটা জম্পেশ পার্টি দিতে ভুলবেন না যেন দাদা।
আরো একবার,

শু ভ জ ন্ম দি ন

১১২ টি মন্তব্য : “কলকাতা ভ্রমনঃ অতঃপর”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    রকিব আর চারটা বিচি কলাও পাঠিয়ে দিসরে ভাই x-( ওই আমি বিচি কলা মোটেও পছন্দ করিনা-বিচি কলা সবচে বেশি হয় বান্দরবান অঞ্চলে ওইখানে ৪ বছর থাইকাও কোনদিন ছুঁইয়াও দেখিনাই x-(

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ইয়ে আমি একটা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাবো ভাবচি-কল্কাতার আকাশদার সম্মানে আজ এ পোস্টে আমরা নাহয় ওপার বাংলার ভাষাতেই কথা বলি-রকিব তুই কি বলিস এ ব্যাপারে?আজ নাহয় বাঙ্গাল ভাষা না-ই বললুম,কল্কাতার ভাষাতেই বলিঃ আরে আকাশদা যে,শুভ জমমোদিন!!!

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    রকিব রে,আমি সিরিয়াস্লি কৈতাছি-আমি ব্লগের জেপি(জন্মদিন পিরিফেক্টের) পদ তোরে ছাইড়া দিলাম,আমি উপদেষ্টা হমু।আই এম প্রাউড অফ ইউ মাই ট্রি!

    জবাব দিন
  4. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ;)) ;)) ;))
    শুভ জন্মদিন আকাশ...
    ফয়েজ ভাই আসার আগেই পরিবার পরিকল্পনা করে নিস...উনি এসেই তো খায়া না খায়া শ'খানেক সন্তানের জনক হবার দোয়া দেবেন... :dreamy: :-B :dreamy:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    রকিব... কি লিখলিরে, পড়ে চোক্ষে পানি চইলা আসলো...

    দেশে আইসা সবার আগে আমার কাছে রিপোর্ট করবি... তোরে পেট চুক্তিতে খাওয়াবো...

    (অফটপিকঃ যে অবস্থা চলতেছে তাতে ব্লগে নতুন লোকজন এসে আমাকে আসলেই ঐপারের লোক বলে ধরে নিতে পারে :bash: :bash: )


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    শুভ জন্মদিন।

    বড় হও দাদা ঠাকুর
    তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব। 🙂


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      সবই ঠিক ছিলো। সেদিন আকাশদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে মান্না দের কফি হাউস থেকে পাকোড়া আর মালাই চা খেয়ে হোটেলে ফিরেছিলাম, ঐ বিলটাও আমারেই দিতে হইছে। :bash: :bash:


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  7. দিহান আহসান

    শুভ জন্মদিন আকাশ, :party:
    আমার এইখানে মাত্র ১২টা বাজলো বলে 😀

    অনেক অনেক ভালো থেকো ... অনেক বড় হও, এত বড় যাতে কামরুল ভাইয়ের সাথে তিন প্রহরের বিল দেখতে যেতে পারো 😛

    ছোট্ট তুই রক করিস :hug:

    জবাব দিন
  8. আন্দালিব (৯৬-০২)

    প্রথমেই আকাশকে জন্মদিনের অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা! :clap:

    তারপরে রকিবকে ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটা রম্য লেখার জন্য। একটা শুভেচ্ছামূলক পোস্ট হওয়ার পাশাপাশি যারা আকাশকে বা অন্যদের চেনেন না তারাও লেখাটা পড়ে মজা পাবেন। এটা রম্যের সবচেয়ে বড়ো গুণ! যে চরিত্রগুলোকে নিয়ে লেখা, তারা যেন পাঠকের 'পরিচিত' মনে হয়, সেই প্রয়াসটা এখানে খুব স্পষ্ট।

    আর মাসরুফকে ধন্যবাদ একটা যে সে নিজে না লিখে আরেকজনের হাতে দিলো। এতে করে জন্মদিনের পোস্টের মান আর বৈচিত্র রক্ষাও হলো! সামনে যারা কারো জন্মদিন নিয়ে লিখবেন তাদের খবরই আছে!! হাহাহা...
    ====

    অনেক সিরিকাস কতা বলে ফেলেচি একন একেবারে আকাশের বাড়ি হানা দিতে চাই। অবনী, থুক্কু, আকাশ বাড়ি আচো? 😀 :grr:

    জবাব দিন
  9. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    শুভ জন্মদিন আকাশ .........
    আশা করি, আগামি কাল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের চমৎকার একটা প্রিভিউ পাবো তোমার কাছ থেকে।

    খুব সুন্দর পোস্ট রকিব ...... তবে তোমাকে গোধূলী কথনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে লাভ হবে কি ???

    জবাব দিন
  10. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    ইয়ে আমি একটা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাবো ভাবচি-কল্কাতার আকাশদার সম্মানে আজ এ পোস্টে আমরা নাহয় ওপার বাংলার ভাষাতেই কথা বলি-রকিব তুই কি বলিস এ ব্যাপারে?আজ নাহয় বাঙ্গাল ভাষা না-ই বললুম,কল্কাতার ভাষাতেই বলিঃ আরে আকাশদা যে,শুভ জমমোদিন!!! 😀 😀

    জবাব দিন
  11. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    শুভ জন্মদিন আহসান :party:

    এখানেই থেমে গেলে চলবে না কিন্তু, তোকে শতেক পুলাপাইনের বাপ হইতে হবে দ্যান তিন প্রহরের বিলে ফুল ব্যাটালিয়ান দিয়া কামরুলের সামনে ফলইন দিতে হবে 😀


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  12. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    কালকা রাইতে বাসায় লগ-অন না কইরা রকিব্বার পোস্ট পড়তে পড়তে হাসতে হাসতে গিরগিরাইয়া পিরা গেছিলাম। বউ ঘুমাইতাছিল বইল্যা মুখ চাইপ্যা হাসতে গিয়া বারবার চোক্ষু ভিজ্যা গেছে!! এইডা কি লিখছস ব্যাটা?? শেষ পর্যন্ত কারে ডুবাইলি আমারে, মাস্ফ্যুরে নাকি আকাশরে!! তোরে সিসিবির "সেরা রম্য গদ্য লেখা"র জন্য টিনের একটা পদক দিলাম, যা। :grr: :grr: :grr:

    শুভ জন্মদিন আকাশ। বিয়া খামু কবে, কোথায়? কলকাতা, চট্টগ্রাম না ঢাকায়?? :dreamy:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  13. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    অমা অকি, পুরো একস কমেন্ট হয়ে গেল দেকচি। অরে কে আচিসরে বলি আমাদের আকাশ কে পুরো একটা বেলা বিস্কুটের আধাটা এনে দে দেকিনি :grr:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।