নান্দাইল দিঘী – জয়পুরহাট

সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে জুড়ে অসংখ্য নাম জানা-না জানা পুকুর-দিঘী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব দিঘীই আবার সকলের কাছে সমানভাবে পরিচিত বা জনপ্রিয় নয়। সাধারনতঃ বিনোদন, বনভোজন আর বৈকালিক ভ্রমণের সুবিধা-সম্বলিত অল্প কিছু দিঘীই এই তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের ‘নান্দাইল দিঘী’র যেমন রয়েছে ঐতিহ্যময় ইতিহাস তেমনি রয়েছে এর অপরিসীম প্রত্ন-মূল্য। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতা দিঘী কিংবা দিনাজপুরের রামসাগর আজ যেমন সকলের কাছে সুপরিচিত তেমনি ‘নান্দাইল দিঘী’ সকলের মনে এখনো তেমনভাবে স্থান করে নিতে পারেনি।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশের প্রাচীনতম পাথরের সেতু – জয়পুরহাট

আটাপুর-উচাই-মহীপুর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৩টি প্রাচীন গ্রাম। আটপাড়া/আটাপুর/আতাপুর ইউনিয়নের আতাপুর/নোয়াপাড়া মৌজার দক্ষিণে উচাই মৌজা। আটাপুর ও উচাই মৌজাদ্বয়কে পূর্ব ও দক্ষিন দিক দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদী ইংরেজী Y অক্ষরের মাথার ন্যায় জড়িয়ে ধরে আছে। উচাই মৌজার দক্ষিণে, তুলশীগঙ্গা নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মহীপুর/মাহীপুর মৌজা। পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে থাকা গ্রামত্রয় বাংলাদেশের সভ্যতার অনন্য পাদপীঠ। আনুমানিক ৮-১০ বর্গকিলোমিটারের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে নিদেন পক্ষে সুলতানি আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অস্তিত্ব বাঙলায় এক উন্নত নগর সভ্যতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।

বিস্তারিত»

বারো শিবালয় মন্দির – জয়পুরহাট

জয়পুরহাট জেলা সদরের হেলকুন্ডা গ্রামে বাস করতেন কান্ত মন্ডল ও তার পরিবার। পেশায় গন্ধ-বনিক কান্ত মন্ডল নবাবী আমলে (১৭০৭ – ১৭৫৭ খ্রীঃ) অর্থ-বিত্ত-ঐশ্বর্য্যে এতটাই সম্মৃদ্ধি অর্জন করেন যে, তাকে মূর্শিদাবাদের তৎকালীন ধন্যাঢ্য ব্যাক্তি জগৎশেঠের সাথে তুলনা করা হতো। এই বংশেরই অন্যতম সফল পুরুষ রাজীব লোচন মন্ডল।

সম্ভবতঃ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে অথবা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজীব লোচন মন্ডল জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বেল আমলা গ্রামে ‘বারো শিবালয় মন্দির’ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করেন।

বিস্তারিত»

রংপুর

ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত রংপুর বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন অঞ্চল। রংপুর জনপদের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য বাংলাদেশের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ করে কুচবিহার-কামতা, প্রাগজ্যোতিষ-কামরূপ-কামাক্ষ্যা বা আজকের আসাম ও বিহার অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক যুগের স্মারক বহন করে চলছে।

জেলার নামকরণ নিয়ে আছে নানা মতবাদ। পৌরানিক যুগে রাজা নরক শ্রীকৃষ্ণের সাথে যুদ্ধে বিজিত হলে তার ছেলে ভগদত্ত প্রাগজ্যোতিষ তথা কামরূপ রাজ্যের রাজা হন। প্রাগজ্যোতিস্বর ভগদত্ত (খ্রীঃপূর্ব ১৫০০ অব্দ) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কুরুপক্ষ অবলম্বন করে নিহত হবার পূর্বে অবসর যাপন,

বিস্তারিত»

আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা মসজিদ-নীলফামারী

নীলফামারী জেলার দারোয়ানী ও দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা সড়ক ধরে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার পথ চললে রাস্তার দক্ষিন পাশে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা/আঙ্গরার মসজিদ অবস্থিত।

মসজিদে প্রবেশের জন্য রাস্তা সংলগ্ন একটি প্রবেশ তোরন আছে যা সাম্প্রতিককালে নির্মিত। প্রবেশ তোরন অতিক্রম করে মসজিদ আঙ্গিনায় ঢুকলে সরাসরি দক্ষিনে একটি মাযার ও পশ্চিমপাশে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা।

বিস্তারিত»

নটখানা – নীলফামারী

সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তৎকালীন নীলফামারীর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অর্থাৎ সাকামাছাবন্দরকে কেন্দ্র করে নীল বাণিজ্যের বেসাতি গড়ে তুলেছিল বৃটিশ উপনিবেশকারীরা। বাণিজ্যের লক্ষী ভেবে অন্যান্য ভাগ্যান্বষণীদের মতই ইংরেজ ‘নট’ নামের এক ব্যাক্তি এখানে নীলের পসার সাজিয়ে বসে। নীলফামারী – ডোমার সড়কের যেখানে Danish Bangladesh Leprosy Mission অবস্থিত তার দক্ষিণ সীমানার প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্থাপনা আজও মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত সেই অধ্যায়ের স্বাক্ষী বহন করে চলছে।

বিস্তারিত»

নীলফামারী

উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গার মতো বাংলাদেশের নানা স্থানে পাট গাছের মতো দেখতে নীল গাছও জম্মাতো। ভারতীয় নীল গাছ থেকে উৎপাদিত নীল ইউরোপের নানা দেশে রপ্তানী হতো বলে ইউরোপীয়রা একে ইন্ডিগো নামে চেনে। বৃটিশ উপনিবেশ আমলে বিশেষ করে কোম্পানী আমলে (১৭৫৭ – ১৮৫৭ খ্রীঃ) সারা বাংলায় (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) নীল চাষের ব্যাপক আবাদ শুরু হয়। ১৭৯৫ খ্রীঃ পরপরই এর মাত্রা তীব্রতর আকার ধারন করে যশোহর, খুলনা, কুষ্টিয়া,

বিস্তারিত»

কুড়িগ্রাম ও রাণী সত্যবতীর প্রত্নকীর্তি

কুড়িগ্রাম

মানব সভ্যতার বিস্তৃতির আদি পর্বে বাঙলায় যে সব স্থানে প্রথম বসতি গড়ে উঠেছিল ধরলা নদী তীরের কুড়িগ্রাম তাদের মধ্যে অন্যতম। নেগ্রিটো আর অষ্ট্রিকদের হাত ধরে বাঙলায় মানব সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়। আমাদের আদিতম গর্বিত অনার্য পুরুষদের অন্যতম অষ্ট্রিক ভাষাভাষি ‘কোল’ নৃগোষ্ঠীর সভ্যতার অস্তিত্ব এখানে বিরাজমান। এদেরই একটি ক্ষুদ্র ধারা ‘কিরাত/কুরি’ নামে পরিচিত। অষ্ট্রিক ভাষায় ‘কোর বা কুর’ শব্দের অর্থ ‘মানুষ’। এই কুরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এখনো বসবাস রয়েছে কুড়িগ্রামে।

বিস্তারিত»

দেউল – সম্মৃদ্ধ জনপদ ও বৌদ্ধ ধর্মকেন্দ্র

দেউল অর্থ দেবালয়। স্বর্গের দেবতারা স্ব-শরীরে আদৌ মর্ত্যে নেমে এসেছিলেন কিনা আমার জানা নেই…কিন্তু একটু সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় দেবতাদের অর্ঘ্য দানে মানুষ কি না করেছে!! দেবতাদের নিশ্চয় স্বর্গে নিজস্ব আবাস রয়েছে। তারপরও ভক্তকুলের আকুল আবেদনে সাড়া দিতে মাঝে মাঝে মর্ত্যে তো আসতেই হয়। দেউলেও নিশ্চয় আসতেন যেমন তারা আসেন ভাটিক্যান নগরের হর্ম্য-প্রাসাদে, জেরুজালেমের মরুভূমিতে, গ্রীসের পর্বত চূড়ায় কিংবা মেসোডোনিয়ার তটরেখায়। পার্বতীপুর উপজেলার একটি গ্রামের নাম দেউল – এক সময়ের জন কোলাহলময় সভ্য নগরীর পানে দেবতাদের আজ কেন যে এহেন বিমুখতা…!!!

বিস্তারিত»

সিন্দুরমতি দিঘী

‘‘আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,
ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,
ঘরের বিছান নিয়া ক্যান অন্য ধানখ্যাত রোয়?

বিস্তারিত»

তাজহাট জমিদার বাড়ি – রংপুর

দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন তখন মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের (১৬৫৮-১৭০৭ খ্রী) অধীন। তার শাসনামলে শিখ সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি পাঞ্জাব শহরে মোঘলদের সাথে শিখদের সংঘাত বেঁধে যায়। তুমুল লড়াই হয়, শহর পরিনত হয় ধ্বংসস্তুপে, অধিকার রক্ষায় আত্মবির্সজন দেয় অগনিত শিখ। বাংলায় তখন মুর্শিদকুলি খাঁ (১৭০৭-২৭ খ্রীঃ) দাপটের সাথে মোঘল প্রতিনিধিত্ব করছে। এমনই এক উত্তাল সময়ে নিজ ভূমি পাঞ্জাব শহর ত্যাগ করে মান্না লাল রায় ও রতন লাল রায় নিজেদেরকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় বাংলায় আগমন করে।

বিস্তারিত»

কান্তজীর মন্দির – দিনাজপুর

আদি এক রত্ন মন্দির

রাজা প্রাণনাথ দিনাজপুর রাজ পরিবারের মধ্যে অন্যতম এবং তিনি নিজ গুনে তার বংশের সকল নৃপতিকে অতিক্রম করে ইতিহাসের খেরো-খাতায় অত্যন্ত সফলভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তিনি তার জীবণদশায় শুধু জনহিতকর কাজই করেননি বরং রাজ্য বিস্তারেও তার অবদান সর্বজনবিদিত। রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতায় তিনি তার বৈমাত্রীয় ভাই রাজা জয়দেব কর্তৃক অধিগৃহীত ঘোড়াঘাটের প্রজা-পীড়ক জমিদার রাঘবেন্দ্রের ৯ আনা, ভারতের মালদহ জেলার মালিগাঁও পরগনা ও দিনাজপুরের আশে-পাশের ১২টি ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জমিদারি নিজ রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করতে সমর্থ হন।

বিস্তারিত»

চেহেলগাজীর মাযার – দিনাজপুর

মাযার
দিনাজপুর শহরের উত্তর প্রান্তে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক সংলগ্ন সদর উপজেলার চেহেলগাজী গ্রামে চেহেলগাজী মাযার নামে একটি অস্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট্য মাযার রয়েছে। মাযারের নামে গ্রাম ও ইউনিয়নের নামও হয়েছে চেহেলগাজী। আপাতঃ দৃষ্টিতে মাযারের আকৃতি দেখে মনে হয়, এখানে একক কোন ব্যাক্তি শায়িত নন। সম্ভবত, যুদ্ধে শহীদ যোদ্ধাদের খন্ড-বিখন্ড দেহ একত্রে করে এখানে কবর দেওয়া হয়েছিল। মাযারটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার কোন সঠিক ইতিহাস এ যাবত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

রাজবাড়ির বহিঃঅঙ্গন

রাজবাড়ির মূল অংশ পেরিয়ে দ্বিতীয়াংশে রাজবাড়ির চতুর্পাশে দীর্ঘ ও প্রশস্ত পরিখার মধ্যে শুকসাগর, মাতাসাগর, আনন্দসাগর, ফুলবাগ, সব্জিবাগ, রাজ কর্মচারীদের আবাসস্থল ইত্যাদি ছিল। সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্যই রাজবাড়িকে কেন্দ্র করে চারিদিকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সব নিদর্শনের চিহ্ন এখনো কোথাও কোথাও দেখতে পাওয়া যায়।

পদ্ম পুকুর

রাজবাড়ির সদরমহল ও শুকসাগরের মধ্যবর্তী অংশে পদ্ম পুকুর অবস্থিত।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

হীরাবাগ

ঠাকুরবাড়ির কালীয়াকান্তের মন্দিরের উত্তরে, মন্দির ও রানীমহল সংলগ্ন রাজ পরিবারের একটি রাজকীয় বাগান আছে। রাজার আমল থেকেই চারিদিকে সু-উঁচ্চ প্রাচীর ঘেরা বাগানটি হীরাবাগ নামে পরিচিত। দেশী-বিদেশী হরেক রকম বাহারি গাছ-গাছালিতে ভরপুর ছিল রাজাদের এ বাগান। কালের পরিক্রমায় আজ সে সব কেবলই ইতিহাস। চিত্ত বিনোদনের জন্য রাজ পরিবারের সদস্যরা এখানে অবসরে ঘুরে-বেড়াতেন। হীরাবাগে প্রবেশের জন্য রাণী মহল থেকে একটি প্রবেশপথ থাকার কথা জানতে পারলাম।

বিস্তারিত»