“এখানে ফুল তোলা নিষেধ”
নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তি, যাই বলি না কেনো
সেটা পড়ে নগর-পরিব্রাজকের পা ভারি হয়, সে চলতে পারে না
শরীরের ভেতরে ফুলের পাঁপড়ি-ছেঁড়ার-গান
হঠাৎ!
মুষড়ে উঠলে নিঃশব্দেই অযথা ভাঙে
অমলকান্তি শরীর- একহারা গড়নের মধুময় কায়া
টুকরোগুলো ইতস্তত ফুটপাতে
ওখানে অনেক ভীড় বলে অনেকেই গা ঘেঁষে চলে, গায়ে মেখে চলে
তাদের পায়ে পা জড়িয়ে, যায় জট, খুলে যায়
নখের ডগায়, ধাক্কা খেয়ে নগরভ্রমকের টুকরোগুলো
ছিটকে ছিটকে রাস্তায়…
প্রাচীন মেসোপটেমিক-ভিস্তিও’লা নেই- এখানে কাফ্রীর মতো
রোদে পোড়া উস্থূর ন্যাংটো এক ভারসাম্যহীন
-দেখি বনানি’র রেলক্রসিঙয়ে দাঁড়িয়ে একমনে মাথা চুলকায়
সেটা বাসস্ট্যান্ড, বাস ও মানুষের লাইন বেঁকে ধনুর মতো
ছিটকে ছিটকে রাস্তায়…
অ-শরীরে নগরে ঘুরে বেড়ানো ঠিক নয়- তাতে বহুবিধ উদ্বেগ
কালোছাই বুকে মেখে সকালে যারা বেরিয়ে আসে,
গা ঘেঁষাঘেঁষি করে, তাদের জন্যে শারীরিক জয় জরুরি!
নগরভ্রমকের ফুলতোলা আকুতি পায়ে লেগে রাজপথে একা একা পড়ে থাকে।
***
– ২৫ নভেম্বর, ‘০৯
😀
🙂 🙂
লেখাটা ধরতে পারি নাইরে। তোর সাথে আমার বেশ মিল আছে। আমি লেখা দিতে এসে দেখি তোর লেখা।
হুম। :dreamy:
(মন্তব্যের ব্যাখ্যাঃ মাথার উপর দিয়ে গেছে, বুঝি নাই 😛 )
ঐ
মনে হয় একটু একটু বুঝেছি ..... কবিতার শেষে সারাংশ থাকলে বেশ হত ....