সিসিবির জন্মভূমি-আই ইউ টি এবং জংগিবাদ বিষয়ে সামান্য আলোচনা

(১)
বাইরের ছাত্রদের কথা জানিনা তবে ক্যাডেটদের কাছে আই ইউ টি বেশ জনপ্রীয় । এমনকি অনেক ক্যাডেটেরই প্রথম ইচ্ছা থাকে আই ইউ টি তে পড়ার । আমরা এটাকে দ্বিতীয় ক্যাডেট কলেজ মনে করি । কারণ এখানকার পরিবেশের সাথে
ক্যাডেট কলেজের অনেক মিল । পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় কারো হস্তক্ষেপ না থাকায় কখনো একঘেয়েমীতা গ্রাস করার সুযোগ পায় না । এ কারণে একজন আই ইউ টিয়ান হিসেবে গর্বই করি । অনেক ক্যাডেট একসাথে থাকা;টায় কলেজের
ফ্লেভারটাও পেয়ে যাই এখানে বসেই । শেয়ার করি নিজেদের বিভিন্ন কলেজের গল্প । সেই সাথে অনেক এক্স ক্যাডেটকে পেয়ে পরিবেশটা হয়ে উঠেছে সম্পূর্ণই ক্যাডেটীয় । ধরা যায় আর্মির পর আই ইউ টি তে সবচেয়ে বেশি ক্যাডেটদের আধিক্য । তাই এমন পরিবেশে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্যই মনে করি ।
(২)
আই ইউ টি তে চান্স পেয়ে ভেতরে ভেতরে ভাবটা একটু বেড়েই গেল । বাংলাদেশের একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটিতে পড়ি । সবসময় মনে মনে আশা করি মানুষ জানতে চাক আমি কোথায় পড়াশোনা করি । কিন্তু বিপত্তির শুরু সেখানেই । আশেপাশে লোকজন যখন শোনে আমি আই ইউ টি তে পড়ি তখন তাদের মুখ কালো হয়ে যায় । অনেকেই আফসোস করে এই বলে তোমার মত ভাল স্টুডেন্ট কেন একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হলে । আবার কেউ বলে এইখানে ভর্তি হয়েটাকা নষ্ট করছ ,তার চেয়ে সরকারীতে পড়লে ভাল করতে । শুনে খুব কষ্ট পাই । কিন্তু বোঝাতে পারি না আই ইউ টি প্রাইভেট ভার্সিটি নয় । আমি বোঝাতে পারি না এখানে ভর্তি হতে আমাকে দুটি গোল্ডেন এ প্লাস পেতে হয়েছে এবং তারপর ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে চান্স পেতে হয়েছে ।
(৩)
আই ইউ টি সম্পর্কে মানুষের কি ধারণা জানিনা তবে একবার এক ঘটনায় প্রচন্ড বিষ্মিত হয়েছিলাম । গাজীপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার সময় এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় । অনেকক্ষন কথা হয় তার সাথে । আমি কোথায় পড়াশোনা করি জানতে চাইলে আই ইউ টির কথা বললাম । তিনি বললেন তিনি আই ইউ টি চেনেন এবং এর আশেপাশেই একটা জব করেন । কিন্তু যখন শুনলেন আমি মেকানিক্যালে পড়ি তখন তার মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়ল । তার ধারণা ছিল আই ইউ টি তে শুধু আরবী ও ইসলামিক
স্টাডিজ এর বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হয় । আমি তার কথা শুনে বিষ্মিত হলাম কিন্তু আরো কিছু বিষ্ময় বাকি ছিল আমার জন্য । আমার মুখে কোন কথা এল না যখন শুনলাম তিনি বললেন তিনি শুনেছেন আই ইউ টি তে নাকি জংগী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়
এবং অস্ত্রে ও বোমা বানানো শেখানো হয় ।
(৪)
সিসিবির সাথে আমার পরিচয় আই ইউ টি তে এসে । ল্যানে পরানের গহীন ভেতর বইটি পেয়েছিলাম এবং পড়ে খুব ভাল লাগে । এরপর একদিন সদস্য হয়ে গেলাম । তখনো জানিনা সিসিবির জন্মভূমি আই ইউ টি । কয়েকদিন সিসিবিতে যাতায়াত করে
বুঝতে পারলাম এখানে আই ইউ টির অনেক ভাইয়াই লেখালেখি করেন । তাই আমার বিশ্বাস যারা সিসিবিতে লেখালেখি করেন তারা সকলেই কম বেশি আই ইউ টি সম্পর্কে জানেন । আর সে কারণেই এই পোষ্ট দেয়া ।
(৫)
পত্রিকা আমি পড়িনা বললেই চলে । তবে সাম্প্রতিক একটি বিষয় আমাকে বিচলিত করে তুলল । তাই প্রতিদিন পত্রিকায় চোখ বুলাতে থাকলাম । বর্তমানে একটি অন্যতম আলোচনার বিষয় লস্করে তৈয়বার সদস্য সন্দেহে তিন পাকিস্তানি জংগী গ্রেপতার । এর
মধ্যে একজন আই ইউ টিয়ান । প্রথম আলো এবং আরো কয়েকটি পত্রিকায় লিখছে এই আই ইউ টিয়ানকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । অথচ আমারা আই ইউ টিয়ানরা জানি তাকে ধরে নেয়া হয়েছে আই ইউ টি থেকেই । কেন এই মিথ্যাচার জানিনা । তবে
দু একটি পত্রিকা পড়ে আরো বিভ্রান্ত হয়েছি । এক পত্রিকায় লেখা হয়েছিল তথের অভাবে এবং সুষ্পস্ট অভিযোগ না থাকায় তাদের নামে মামলা করা যায় নি । আবার অন্য একটি পত্রিকায় লিখেছে তারা স্বীকার করেছে তারা লস্করে তৈয়বার সদস্য এবং
আন্তর্জাতিক অনেক সংগঠনের সাথে তারা জড়িত । তাই কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক নয় বুঝে উঠতে পারছি না । আবার কিছু কিছু পত্রিকা বিষেশ করে প্রথম আলো পড়ে আমার মনে হয়েছে তারা এদের চেয়ে আমাদের ভার্সিটিকেই ফোকাস করতে চেয়েছে
বেশি । আমার ভয় হয় এ কারণে যে আমাদের ভার্সিটির সাথে ইসলামী নামটা জড়িত । এখন সমাজটা এমন হয় গেছে কারো টুপি দাড়ি দেখলে কিংবা ইসলামের সাথে যুক্ত থাকলে তাকে জংগী হিসেবে ধরে নেই । তাই এখন কেউ যদি বলে আই ইউ টি জংগী তৈরির কারখানা তাহলে আমাদের বলার কিছু থাকবে না । আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আই ইউ টি তে পলিটিক্সের কোন সুযোগ নেই । আর এ কারণেই চুপেচুপে কে কি করল সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই কারো , যদি না কেউ কাউকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করে । আর এখানে আমার বিষয় তারা নয় বরং সে অর্থাৎ একজন আই ইউ টিয়ান । তাই একজন আই ইউ টিয়ান হিসেবে মনে প্রানে চাইব প্রমাণিত হোক তিনি জংগীদের সাথে জড়িত নয় । আর সত্যিই যদি সে জংগী হিসেবে প্রমানিত হয় তবে অবশ্যই তাকে ঘৃণা করব এবং পাশাপাশি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা যেন আই ইউ টি কে এবং আই ইউ টিয়ানদেরকে ভুল না বোঝেন ।

৮,৯৯৫ বার দেখা হয়েছে

১২৩ টি মন্তব্য : “সিসিবির জন্মভূমি-আই ইউ টি এবং জংগিবাদ বিষয়ে সামান্য আলোচনা”

  1. রেশাদ (৮৯-৯৫)

    প্রথম আলো আমার নিজের খুব পছন্দের পত্রিকা, কিন্তু ইদানিং এরা সবকিছুই বদলে দিচ্ছে। জোর করেই অনেকটা, তাই খুব সাবধান থাকি আজকাল প্রিয় পত্রিকার রিপোর্টিং পড়ার সময়। তোমার লেখাটা দরকার ছিলো।

    জবাব দিন
  2. তৌফিক

    ১।

    আমার এক নন ক্যাডেট ফ্রেন্ড (পাশাপাশি রুমে চারবছর একসাথে কাটিয়েছি) আই ইউ টি-তে ভর্তি হওয়ার পর বাবার বন্ধুর কাছে বাণী পেয়েছিল, বাবা, প্রাইভেটেও চান্স পেলে না? (প্রাইভেট ভার্সিটির প্রতি আংকেলের ঢালাও উন্নাসিকতাও সমর্থনযোগ্য নয়।)

    যতোদূর মনে পড়ে, বন্ধুটা বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় পনেরতম হয়েছিল। 😛

    ২।

    ফার্স্ট ইয়ারের ঘটনা, মজা করার জন্য পাশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে গিয়ে আমাদের কিছু পোলাপান জিজ্ঞাসা করল দারোয়ান ভাইকে লাল দালানগুলোতে কি হয়। উনি বলেছিলেন হাদিস-কুরান বিষয়ক রিসার্চ হয়। 😉

    ৩।

    আই ইউ টি-তে ভর্তি হওয়ার পর বহু মানুষের মুখ ভেংচানি খেয়েছি। প্রথম প্রথম আঁতে ঘা লাগত, পরে সয়ে গিয়েছিল। 🙂

    ৪।

    বুয়েটের এক JMB ধরা পড়ার পর আই ইউ টি-র এক বড়ভাই ফেইসবুকে খুব রস করেছিলেন এটা নিয়ে। এখন তার পাত্তা পাওয়া যাইতেছে না। :))

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    তিনি শুনেছেন আই ইউ টি তে নাকি জংগী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়
    এবং অস্ত্রে ও বোমা বানানো শেখানো হয় ।

    নিতান্ত তৃতীয় শ্রেনীর মূর্খ ছাড়া আইইউটিতে জঙ্গী প্রশিক্ষন দেওয়া হয় এমনটা কারো বলার কথা না-কাজেই এইসব কথা একেবারেই পাত্তা দিবিনা।
    আবার কেউ বলে এইখানে ভর্তি হয়েটাকা নষ্ট করছ ,তার চেয়ে সরকারীতে পড়লে ভাল করতে । শুনে খুব কষ্ট পাই । কিন্তু বোঝাতে পারি না আই ইউ টি প্রাইভেট ভার্সিটি নয়

    এই যে প্রাইভেট ভার্সিটি মানে খারাপ, আইইউটিতে একটা জঙ্গী ধরা পড়ছে মানেই হইল সেইটা জঙ্গী তৈরির কারখানা-এইভাবে স্টেরিওটাইপিং করাটা আমাদের একটা জাতিগত সমস্যা।বাইরের মানুষের কথা কি বলব,নিজের অতি নিকটের আত্মীয় স্বজনদের কথা বার্তা শুনলে কান দিয়া গরম ধোঁয়া বাইর হয় মাঝে মাঝে। আমি আর্মি থিকা চইলা আসার এই ৫ বছর পরেও আমার এক কাকী আমাকে দেখায়া পাশের এক মেহমানকে বলছেন-"ওর পক্ষে তো আর্মির পরিশ্রম সহ্য করা সম্ভব হয়নাই তাই ভয় পেয়ে পলায় চলে আসছে"।যেই কথাটা গত ৫ বছর ধরে মানুষজনকে বুঝাইতে বাধ্য হইছি,এমনকী অনেকরে আমার বিএমএ থেকে দেওয়া ছাড়পত্র দেখাইছি যে আমি স্বেচ্ছায় আর্মি লাইফ পছন্দ না হওয়ার কারণে ট্রেনিঙ্গের খরচ সরকারকে দিয়া তারপর আসছি-এইটাও ইনাদের ঘিলুতে কোনদিন ধরবে বলে মনে হয়না।কারণ সেই স্টেরিওটাইপিং-আর্মি থেকে চলে আসা মানেই হয় বের করে দেয়া নাহলে পলায় আসা।

    আর নর্থ সাউথের লাইফের কথা কি আর বলব-ওইখানে পড়ি শুনলে প্রথম যেটা কথা-"কত টাকা ডোনেশন দিয়া ভর্তি হইছ?"
    আমি মানলাম যে ব্যাকডোর দিয়া নর্থ সাউথে প্রচুর পোলাপাইন ঢুকে( 😀 আমার এপার্টমেন্টেই আছে দুইজন) কিন্তু তার মানে তো এই না যে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কেউ ঢুকেনা।ডনেশন দেইনাই এইতা বলার পর জিজ্ঞেস করে প্রাক্তন সরকারি চাকুরিজীবীর ছেলে হয়ে এত টাকা কিভাবে দেই।হাজার বইলাও বুঝান যায়না যে স্কলারশিপ আর টিচিং এসিসটেন্টশিপের মাধ্যমে যে কেউইীকটু কষ্ট করলে আর সদিচ্ছা থাকলে ফুল ফ্রিতে নর্থ সাউথে পড়তে পারে।ইয়াবা কন্যা নিশি ধরা পড়ার পর তো আরো মজা-আমারে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করত এন এস ইউ ক্যান্টিনে ইয়াবার রেট কত!

    বিসিএস ভাইভাতেও এই একই কাহিনী-"ও আপনি নর্থ সাউথের?ওইখানে আবার ইকোনমিক্স পড়ায় নাকি?তা আপনি যাবেন প্রাইভেট সেক্টরে,সরকারি চাকরি করে কি করবেন?" ঠিক করছি পরের বার পরীক্ষায় শালার রিটেনে এমন মার্ক তুইলা রাখার চেষ্টা করব যে ভাইভাতে এরা ইচ্ছামত বাঁশ দিলেও যেন সমস্যা না হয়।
    এতগুলা কথা বলার মূল উদ্দেশ্য আমার ভার্সিটিকে ডিফেন্ড করা না। কে না জানে সব যায়গাতেই কিছু না কিছু সমস্যা আছে! আমার কথা হইল কে কোথায় পড়ে এইটা নিয়া আগে থেকেই একতা ধারণা নিয়ে বসে থাকাটা কি উচিৎ? কে কোথা থেকে আসছে এইটা বিচার না করে কে কিরকম পারফর্ম করছে সেটাই কি মুল বিবেচ্য হওয়া উচিত না?

    স্টেরিওটাইপিং টা আসলেই আমাদের একটা জাতীয় সমস্যা।আমি নিজে এর চরম ভুক্তভোগী।একদিনে যেমন এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না তাই আমার মতে সেরা কাজ হল এক কান দিয়ে ওইসব কথা ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দেয়া।

    জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    বাংলাদেশের একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটিতে পড়ি ইয়ে মানে এখন এইটা দুইমাত্র হইবো।চিটাগাঙ্গে আরেকটা আছে-এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উয়োমেন।ওইটা হইল তগো ভইন ভার্সিটি 😀 😛

    জবাব দিন
  5. ম্যাস্ফু ভাই, ঐ তৌফিক ভাই কেমব্রিজ থেকে পিএইচডি শেষ করেছেন গত বছর।

    আর প্রথম আলো কে নিয়ে কিছু বলার নাই, আমাদের সমাবর্তন ছিল এই মাস এর ৪ তারিখ, সে দিন কম করে হলেও ১০ জন রাষ্ট্রদূত, শেখ হাসিনা, ওআইসি মহাসচিব, দীপু মনি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, কমপক্ষে পাঁচ জন সাংসদ, ৮/১০ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থাকার পরও তা প্রথম আলো তে আসে না।

    এটা না আসলেও, জঙ্গী না হওয়ার পরও, যা তা লিখতে প্রথম আলো'র কোন কার্পণ্য নেই। সুফিয়ান কে ধরে নিতে ডিবি পুলিশ কে ভিসি আর প্রোভোস্ট দের সাথে রীতিমতো বৈঠক করতে হয়েছে।

    আর কোন কমেন্ট করার শখ,প্রথম আলো কে নিয়ে আমার করার ইচ্ছা নেই।
    😡 😡

    জবাব দিন
  6. আইইউটিতে চারটা বছর কাটালাম, বলতে দ্বিধা নেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যাডেট কলেজের চেয়েও বেশি ঋণী এই আইইউটির কাছে। সেই আইইউটি কে ঘিরে জংগীবাদের অপবাদ কানে যাবার পরও চুপ করে আছি। মনে খানিকটা আশা, সুফিয়ান নামের ওই পোলাটা যেন জঙ্গী না হয়। কারণটা আর কিছুই না, আমার নিজের স্বার্থ। চাকৃবাকৃ তো আর পামুই না , বিদেশের ভার্সিটি গুলা আইইউটিরে ব্ল্যাকলিস্টেড কইরা দিতে পারে। সুতরাং, মনে প্রাণে চাই, না হোক।

    সুফিয়ান নামের ওই পাকিস্তানিটাকে ভদ্র হিসেবেই চিনতাম। কারো সাতে পাঁচে নাই, কোন ঝামেলায় নাই। কাউকে কোনকিছু নিয়ে মোটিভেট করার চেষ্টা করছে বলেও শুনি নাই। মেকানিকালের পোলাপান (যারা ওর ডিপার্টমেন্টের) তারাও বিশ্বাস করতে পারতেছে না যে এই পোলা জঙ্গী হইতে পারে।
    তবু, কার মনে কি আছে বলা যায় না। আফটার অল হাজার হইলেও ওর গায়ে পাকিস্তানী রক্ত(কিছু করার নাই, পাকিস্তানিদের আমি বিশ্বাস করি না)। হয়তো ভাল সেজে ছিল এতদিন আসলে বদমাইশ, হয়তো ছেলেটা আসলেই ভাল ছিল, কোনটা সত্যি কে জানে।

    দুঃখের বিষয়টা কি জানেন?
    আইইউটি থেকে জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার হইছে এইটা ফলাও কইরা হেডলাইনে আসল, অথচ প্রধানমন্ত্রী, ওআইসি মহাসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অনেক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের উপস্থিতিতে সমাবর্তনের খবর আসল না।
    আইইউটি আবারো হেডলাইনে আসবে যদি ওই পাকিস্তানী সুফিয়ান জঙ্গী বইলা প্রমাণিত হয় এবং আমরা বিশাল ধরা খাব।
    আইইউটি হেডলাইনে আসবে না, যদি ওই পাকিস্তানী সুফিয়ান নির্দোষ হয়, বড়জোর ভিতরের পেজের এককোণায় ছোট্ট একটা খবর আসবে কিংবা আসবেই না।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      ঠিক একই কারণে এন এস ইউএর একজন ইয়াবা খাইলে সারা দুনিয়ায় খবর হয় অথচ দেশে এইরকম বদনাম থাকার পরেও প্রতিবছর বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইখানকার ছেলেপুলে পড়তে যায় এইটা ৯০% মানুষকে জানানো হয়না।

      জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
      আইইউটি থেকে জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার হইছে এইটা ফলাও কইরা হেডলাইনে আসল

      কোন পত্রিকা?

      আমি তো দেখলাম সব পত্রিকার হেড লাইন ছিল বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি জঙ্গী গ্রেফতার হইছে। খবরের ভেতর লেখা ছিল, সুফিয়ার আইইউটির ছাত্র। অসুবিধা কোথায়!

      সমাবর্তনের খবর ছাপা হয়নাই বলে ক্ষোভের তো কারণ দেখিনা। বিটিভিতে দশ মিনিটের সমাবর্তনের নিউজ দেখাইছিল, কী লাভ হইছে?

      জবাব দিন
      • হেডলাইনে আইইউটির নাম লেখা ছিল এমন কোন পত্রিকা আমার চোখে পড়ে নাই। তবে প্রত্যেকটার ভিতরেই আইইউটির নাম লেখা ছিল। আর জঙ্গী বিষয়ক এইরকম একটা হটকেক নিউজ নিশ্চয়ই কেউ না পইড়া চলে যাবে না।

        খবরের ভেতর লেখা ছিল, সুফিয়ান আইইউটির ছাত্র। অসুবিধা কোথায়!

        কেউ যখন কয় "তোমাগো ভার্সিটি থিকা তো জঙ্গী ধরা পড়ছে/তোমাগো ভার্সিটিতে কি এইসব শিখায়?/জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়?" তখন আমার বিশাল অসুবিধা আছে।

        জবাব দিন
        • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

          কে পড়ছে না পড়ছে এইটা নিয়া তো কথা হইতেছে না। কথা হইতেছে, ফলাও করে হেডলাইনে আসছে এইটা নিয়া। কথাটা মিথ্যা। তুই অতিরঞ্জিত করছস। তাহলে দেখ শুধু প্রথম আলোরে গাইল্লাইয়া লাভ নাই। আমরা নিজেরাও প্রথমআলোর মতো। নাকি?

          কেউ যখন কয় “তোমাগো ভার্সিটি থিকা তো জঙ্গী ধরা পড়ছে/তোমাগো ভার্সিটিতে কি এইসব শিখায়?/জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়?” তখন আমার বিশাল অসুবিধা আছে।

          আরে! ধরা পড়লে লিখবেনা?

          জবাব দিন
          • হ অতিরঞ্জিত করছি। সরি। আমজনতাকে বিভ্রান্ত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল।

            আর জঙ্গী ধরা পড়লে তো মাইনসে কইবোই। এইটা নিয়া কিছু বলার নাই। মাথা নিচু করা ছাড়া। কিন্তু জঙ্গী প্রশিক্ষণ হয়, এইটা কি ঠিক?

            জবাব দিন
            • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
              কিন্তু জঙ্গী প্রশিক্ষণ হয়, এইটা কি ঠিক?

              অবশ্যই ঠিকনা। লেখাটার ফোকাস এবং মন্তব্যের ফোকাস এইটা হইতে পারতো! আইইউটিতে কী হয়, এমন একটা ইনসিডেন্ট কেন ঘটলো, অথোরিটির কী ধরণের প্রি-কশন নেওয়া উচিত এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে এইটা নিয়া আলোচনা না কইরা, কোন পত্রিকা কী করছে সেইটা নিয়া ফাল পাইরা লাভ আছে?

              জবাব দিন
              • শোভন (২০০২-২০০৮)

                (১) জংগি আমাদের সবার কাছেই ঘৃনিত । তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে আমদের
                পরিচয় আমরা আই ইউ টিয়ান । আমরা যেন নিজেদেরকে নিজেরাই ছোট না করি । তবে তা বলেই সত্যকে অস্বীকার করে নেব তাও কিন্তু নয় । এখনো প্রমানিত হয় নি
                সুফিয়ান ভাই জংগি । প্রমান হবার পরই আমাদের কথা বলা উচিত ।
                (২) এরকম ঘটনা এই প্রথম ঘটল । আশা করি অথরিটি তার নিজের ভাবমুর্তি বজায়
                রাখতে অবশ্যই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে ।

                জবাব দিন
  7. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আই ইউ টি তে পলিটিক্সের কোন সুযোগ নেই।

    একদম একমত নই। একদম না। IUTISS কী শোভন? বইলোনা যে, এইটা শুধুমাত্র ধর্ম শিক্ষা সংগঠন!! বললে মিথ্যাচার হবে। আমার এইবিষয় নিয়া কথা কওয়ার কোন ইচ্ছা নাই। আইইউটিISS কারা করে, এদের পেছনের শিক্ষকটি কে এইগুলো একটু দেখো। আশা করি তুমি বুজতার্বা।

    জবাব দিন
    • শোভন (২০০২-২০০৮)

      প্রথমতঃ আই এস এস সম্পর্কে আমার সুষ্পষ্ট ধারণা নেই । তবে যতদুর জানি এদের নামে পলিটিক্সে জড়িত
      থাকার কোন অভিযোগ প্রমানিত হয় নি । তাহলে আমরা কেন তাদেরকে খারাপ বলব । আমার
      কতিপয় ফ্রেন্ড যারা আই এস এস এর সাথে আছে তাদেরকে ভালই জানি । আর আই এস এস সম্পর্কে
      কারো বিরুপ মনোভাব আছে এটাও আমার জানা ছিল না ।
      দ্বিতীয়তঃ আই ইউ টি পলিটিক্স এলাও করে না এটা সবাই জানে । যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু করে
      থাকে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার । এখানে আমাদের বলার কিছু নেই ।আর আই এস এস যদি কিছু করে
      থাকে সেটা ধরবার জন্য অথরিটি আছে । যদি প্রমানিত হয় তবে তাকে নিষিদ্ধ করলেই হয় । সঠিক
      প্রমান ছাড়া কিছু বলা কি উচিত ?
      তৃতীয়তঃ আপনার ক্লাশমেটরাই আই এস এস করত । আপনি তাদের সম্পর্কে বলতে পারতেন । আমার
      মনে হয় আপনার বক্তব্য আই ইউ টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে । আর স্বাভাবিক ভাবেই এটা আই ইউ টিয়ান হিসেবে গায়ে লাগবেই ।

      জবাব দিন
      • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
        সঠিক প্রমান ছাড়া কিছু বলা কি উচিত ?

        ক্যাম্নে বুঝলা আমার হাতে প্রমান নাই?

        ভালো মানুষির ভিত্রে যে কতকিছু হয়, এটা বুঝতে হলে আরেকটু চোখ কান খোলা রাখতে হবে। অস্পষ্ট ধারণা থাকলে হবেনা।

        মনে হয় আপনার বক্তব্য আই ইউ টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে । আর স্বাভাবিক ভাবেই এটা আই ইউ টিয়ান হিসেবে গায়ে লাগবেই

        তোমার সাথে এইখানে একটা পার্থক্য আছে আমার। সত্য প্রকাশে আমি দ্বিধা করিনা। রেপুটেশনের দোহাই দিয়ে কিছু চেপেও যাই না।

        ভালো থাইকো। অনাকাংখিত তর্কাতর্কি এড়ায়ে চলি, তবুও মাঝে মাঝে পারিনা।

        জবাব দিন
        • শোভন (২০০২-২০০৮)

          নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কি আমারো ভাল লাগছে না । তবে নিজের ব্যাক্তিগত মতামত খোলাসা
          না করে পারছি না । আমার মনে হয় এখানে পড়াশোনা করে একটা ডিগ্রী নেবার জন্য এসেছি ।
          কে কি করল তা খুজে দেখবার দায়িত্ব নিয়ে আসিনি । তবে কেউ যদি পলিটিক্সে ইনফ্লুয়েন্স করার
          চেষ্টা করে তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হব ।

          জবাব দিন
          • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
            আই ইউ টি পলিটিক্স এলাও করে না এটা সবাই জানে । যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু করে থাকে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার । এখানে আমাদের বলার কিছু নেই ।আর আই এস এস যদি কিছু করে থাকে সেটা ধরবার জন্য অথরিটি আছে । যদি প্রমানিত হয় তবে তাকে নিষিদ্ধ করলেই হয় ।

            যেখানে প্রতিষ্ঠান এলাও করবেনা সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ওই প্র্যাকটিস করলে সেটা নিজস্ব ব্যাপার কিভাবে হবে? তোমাদের কিছু বলার থাকবেনা কেনো সেখানে? আমাদের আইনতো ছিনতাই করা এলাও করেনা, এখন আমি যদি পারসোনালি ছিনতাই করি সেটা শুধুই আমার ব্যাপার হবে?? কারো তাতে বলার কিছুই থাকবেনা? নাকি এটা দেখার জন্য বাহিনি আছে আমাদের কি দরকার বলে সবাই বসে থাকবে?
            তোমাদের আইএসএস কিছু করে থাকলে তা ধরার জন্য অথরিটি আছে বলে বসে থাকলেই হবে? স্টুডেন্টদের দায় নেই কোন? তুমি যদি দেখো তোমার হলে তোমার পাশে বসে আরেকজন এসব ইল্লিগ্যাল কাজ করে যাচ্ছে, তাহলে কি অথরিটির আশায় বসে থাকবে?
            কিছুটা হতাশ হলাম।


            সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

            জবাব দিন
            • শোভন (২০০২-২০০৮)

              আই ইউ টির নিয়ম অনুযায়ী আই ইউ টির ভেতরে পলিটিক্স করার অধিকার কারো
              নেই । কেউ যদি তা করে তবে অবশ্যই আমরা বাধা দেব । আর ব্যক্তিগতভাবে সকলেরই কোন না কোন মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তু আই ইউ টি তে অন্য কাউকে
              প্রভাবিত করার অধিকার কারও নেই । আই ইউ টির ইতিহাসে পলিটিক্স সংক্রান্ত
              ঝামেলা এ পর্যন্ত হয় নি । যেহেতু পলিটিক্সে প্রভাবিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি
              সুতরাং প্রতিহিত করার প্রশ্ন আসে না ।
              পুনশ্চ আমি মনে করি রাজনীতি নেই বলেই আই ইউ টি থেকে আমরা মাত্র চার বছরেই
              বের হয়ে যেতে পারছি । আর আই ইউ টি যে রাজনীতি মুক্ত তা আমাদের অন্যান্য
              ভাইয়াদের সাথে আলোচনা করলেই স্পষ্ট হবে ।

              জবাব দিন
          • সাইফ (৯৪-০০)

            শোভন,ভাইয়া, তোমার লেখার জন্য ধন্যবাদ।কোন জুনিয়র ভাইদের কোথায় পড়ো?জিজ্ঞেস করলে যখন বলে আইইউটি তে পড়ে তখন আমার চোখ মুখে একটা চিক চিক ভাব আসে এই ভেবে যে অত্যন্ত ভালো একটা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে,এইখানে সব মেধাবি ছেলেরা পড়ে ।
            খুব স্বাভাবিক যে তোমার নিজের প্রতিষ্ঠান এর জন্য তোমার যেই ফিলিংস সেইটা তোমার থাকবেই,এইটা সবার ই থাকে ।কিন্তু এইটা কে নিয়া এত বেশি আসলে না কচলানোই ভালো।আমার ধারণা তোমার ভার্সিটির শিক্ষক রা এবং প্রশাসন এই ব্যাপারে অনেক বেশি ততপর,মানে ভার্সিটির ভাবমূর্তির ব্যাপারে,তাদের তরফ থেকে কেন এই ব্যাপারে প্রতিবাদ অথবা প্রেস রিলিজ আসে নি?
            আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় একটা কথা আছে ,আলিম মানে আলেম এর ঘরেও জালিম
            হয়।
            আর এইটা ত একটা আন্ত্র র্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়,এইখানে অনেক দেশের ছাত্র,একেকজনের সোশ্যাল,পলিটীক্যাল ভ্যাল্যুজ একেক রকম,কে যে কেমন এইটা কেউ জানে না।
            এইখানে তোমার ভার্সিটির ভাবমূর্তির চাইতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেক বড়।সেই দিক্টাও খেয়াল রাখতে হবে।জঙ্গিবাদ দমনের প্রচেষ্টায় দক্ষিন এইশিয়াতে বাংলাদেশের সুনাম আন্ত র্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে ভালো।পাকিস্তানের অবস্থা দেখো!প্রতিদিন যেইভাবে জঙ্গি হামালায় গড়ে ৫০ জনের বেশি করে মারা যাচ্ছে ,ওদের আদৌ কোন অস্তিত্ত্ব থাকবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।বেশি কিছু বলে ফেললাম।

            জবাব দিন
            • শোভন (২০০২-২০০৮)

              খুব ভাল লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে । আসলে ভাবমুর্তি যা ক্ষুন্ন হবার তা কিন্তু হয়েছেই । আমার দাবী ছিল এই ঘটনার কারণে অন্তত ক্যাডেটদের মধ্যে যেন বিরুপ ধারনা সৃষ্টি না হয় । যে তর্কে আমি লিপ্ত হয়েছি সেগুলো আই ইউ টির অভ্যন্তরীন কিছু বিষয় নিয়ে । আমার মনে হয়েছে সেগুলো সমাধানের উপযুক্ত স্থান এটা নয় । আপনার ঘরে কোন সমস্যা হলে আপনি নিশ্চয়ই তা অন্য কাউকে বলে বেড়াবেন না । বরং নিজেরাই তা সমাধানের চেষ্টা করবেন । আমার দুঃখ এখানেই যে আমাদের নিজেদের দোষ ত্রুটি গুলো আমার এখানে এসে জানতে হল । ভাইয়াকে আমরা এক
              বছর পেয়েছি । তিনি কিন্তু সেখানে এই বিষয়গুলো ফোকাস করার কোন চেষ্টা করেন
              নি । এজন্যই আমি অবাক হয়েছি । আর আপনার সাথে আমি অবশ্যই একমত ।
              অবশ্যই দেশের স্বার্থ আগে । এতএব ওদের সঠিক বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি
              দাবি করছি । ভাল থাকবেন ।

              জবাব দিন
  8. সব কিছুর প্রমাণ চাও, লিংকন হেই না! আইএসএস নিয়ে কথা লিংকন ছাড়া আর কাউকে বলতে শুনিনি আজ অবধি, কারণ আইএসএস এ জনাব শাহদাত আছে না? 😛

    আর লিংকন হারা****, সেকেন্ড ইয়ার ছুটিতে তোর চাপাবাজী কম শুনছি, কান পুরা ঝালাপালা হয়ে গেছিলো। তুই ও তো বেশ উন্নত মানের চাপাবাজ।

    আর সুফিয়ান তো এখনো প্রমাণিত হয়নি, যে ও একটা জংগী। তবে ওকে ধরা হয়েছে, ওর ফোন বেশ কয়েক দিন ট্র্যাক করার পর, এটা সত্য......

    জবাব দিন
  9. শোভন (২০০২-২০০৮)

    @ এভরিবডিঃ আমার লেখার উদ্দেশ্য কিছুটা খর্ব হয়েছে বলে মনে করছি । এখানে রাজনীতি
    বিষয়গুলো আসা উচিত ছিল না । আমি ব্যক্তিগতভাবে এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি । তবে
    যিনি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি একজন আই ইউ টিয়ান এবং তাকে বলব যদি রাজনীতি থেকেই থাকে
    তবে আমাদের কি উচিত না তা নিজেদের মধ্যেই পরিষ্কার করে ফেলা । সেটা বলার জন্য
    এটা নিশ্চয় উপযুক্ত স্থান নয় । আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা সমস্যা নিজেরা মিলে সমাধান
    না করে অন্য দেশের কাছে নাকি কান্না করে । এই ব্যাপারটা আমার কাছে ঠিক তেমনই মনে
    হয়েছে । ছোট মুখে বড় কথা বলে ফেললাম হয়ত । এজন্য ক্ষমা চাচ্ছি । একজন ছাত্র হিসেবে
    আমাদের দায়িত্ব নিজের প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়ানোর চেষ্টা করা । দোয়া করবেন আমরা যেন
    সেখান থেকে বিচ্যুত না হই । নিজেদের মধ্যে ভুল থাকতেই পারে । আমাদের উচিত হবে সেটা
    সংশোধন করা । তা বলে বেড়ানোর মধ্যে কোন মহত্ব লুকিয়ে আছে বলে জানা নেই ।

    জবাব দিন
  10. শোভন (২০০২-২০০৮)

    @রায়হান ভাইঃ আপনার সন্দেহ যদি সত্যি হয় তবে তা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক । যাই হোক এমনটা
    হলে আমাদের অবশ্যই তা প্রতিরোধ করতে হবে । এজন্য আপনারা এগিয়ে আসবেন আশা করি ।

    জবাব দিন
  11. ঐ মিয়া, এত চেতলে চলবো কেম্নে? জীবন বহুত বড়, "একটা কথা বলি, এমন অনেক মানুষ পাবা, যারা অন্যদেরকে অপদস্ত করতেই পছন্দ করে, নিজের তাতে কি হলো, না হলো তা নিয়ে কখনো ভাবে না.........বরং নিজেকে তারা সব সময় খুব বুদ্ধিমান ভাবে!"

    আমি নিজেই ছোট মানুষ, আর তুমি তো আরো ছোট......... এইগুলান কোন ম্যাটার না, ভাই...... 😉

    জবাব দিন
      • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
        “একটা কথা বলি, এমন অনেক মানুষ পাবা, যারা অন্যদেরকে অপদস্ত করতেই পছন্দ করে, নিজের তাতে কি হলো, না হলো তা নিয়ে কখনো ভাবে না………বরং নিজেকে তারা সব সময় খুব বুদ্ধিমান ভাবে!”

        এই কথাটা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা। আইইউটিআইএসএস কে অপদস্ত এইখানে আমিই করতেছি। মাইন্ড করিনাই, কারণ এর আগেও সিসিবিতে আমি "অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী" টাইপ কথা শুনেছি।

        মামুন তোর দুইদুইজন রুম মেট শিবির করেনা? তারা কী আইএসএস এর সদস্য না? তুই আইএসএস কে খারাপ ভাববি কেন? আমার নিশ্চিত তুই শিবিরকেও খারাপ ভাবিস না। ব্যাপার্না।

        জবাব দিন
  12. তৌফিক

    প্রথম আলো নিয়ে যখন কথা হচ্ছে তখন এর একটা প্রশংসা করে যাই। আমার খুব কাছ থেকে দেখা একটা ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় খবর এসেছিল। যতোগুলো রিপোর্ট পড়েছিলাম, এর মধ্যে প্রথম আলোরটা ছাড়া বাকি সবগুলোই যাদের নিয়ে খবর তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না। যাকে ধরা হয়েছে সে আই ইউ টি-র ছাত্র এটা বলাতে দোষ হয় নাই বলে আমার মনে হয়। 🙂

    জবাব দিন
  13. সামিয়া (৯৯-০৫)

    কেউ ভুল বুঝতেসে না। তুমি নিশ্চিন্তে থাকো 🙂 । তবে যাদের ভুল বোঝার, তারা বুঝতেই থাকবে, জঙ্গী ধরা পড়লেও, না পড়লেও। আমরা ইসলাম শুনলেই জঙ্গী ধরে নিতে পছন্দ করি। এদের নিয়ে কিছু করার নাই।

    জবাব দিন
  14. আন্দালিব (৯৬-০২)

    অনেক কথা হয়ে গেছে, আমি সব গরমাগরম না খেয়ে দেরি করে পাতে পাই! 🙁

    আই.ইউ.টি থেকে একজন জঙ্গি ধরা পড়েছে বলে সেখানে ষেটার ট্রেনিং হয় এমন কথা বলা হলে বক্তার বুদ্ধি নিয়া সন্দেহ জাগে আমার। তবে এটা এড়িয়ে না গিয়ে, দুঃখ না পেয়ে জোরেশোরে ডিফেন্ড করাই শ্রেষ্ঠ পন্থা।

    প্রথম আলোর সাংবাদিকতা, অন্যান্য নানা ইস্যু নিয়ে বাণিজ্য নিয়ে অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু সেগুলো এখানে অপ্রাসঙ্গিক। তবে একজন জঙ্গি ধরা পড়েছে, সে একটা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতো-- এইটা ছাপানোয় আমি দোষ দেখি না। বরং "না ছাপালে তার সম্পর্কে কিছু জানা যেতো না", এই যুক্তিটা একটু বেশি ভারি বলে মনে হচ্ছে।

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)
      যখন শুনলাম তিনি বললেন তিনি শুনেছেন আই ইউ টি তে নাকি জংগী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়
      এবং অস্ত্রে ও বোমা বানানো শেখানো হয়

      এই লেভেলের মানুষদের সম্বন্ধে আমার মত হলো, এদের সম্পুর্ণ এড়ায় যাওয়া, মাশরুফ ভাইয়ের স্টেরিওটাইপিং এরাই করে। তবে তোমার ইউনিতে পলিটিক্স নেই, এটা বোধহয় একটু খোজ নিয়ে দেখা উচিৎ তোমার ভাইয়া, নইলে বোধহয় তুমিও সেই স্টেরিও টাইপিং এর দলেই পড়ে যাবে।

      জবাব দিন
  15. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    @ সামিয়াপ্পু- মাথা ঢেকে থাকলে আর ধর্মকর্ম পালন করলেই যে জামাত হয়া যায় এইটা বইলা তোমারে যে খোঁচা দেয় আমারে এট্টু দেখায় দিও।ও হ্যাঁ,আগে থেকেই তার জন্য হসপিটালে আইসিইউতে একটা বুকিংও দিয়া রাইখো x-(

    জবাব দিন
  16. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    শোভন
    আইইউটি'র প্রতি তোমার ভালোবাসাটা দেইখা ভালো লাগলো।

    কিন্তু পোস্ট এবং কমেন্টে, সুফিয়ান ও আইএসএস নিয়ে তোমার বাকি কথাবার্তায় অনেক ফাঁক রয়েছে।

    তোমার সময় থাকলে আমি তোমার সাথে এখানে এই বিষয়ে বিতর্ক করতে উৎসাহী। আর না থাকলে কিছু বলার নাই।
    ভালো থেকো।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • শোভন (২০০২-২০০৮)

      সময় হাতে আছে ঠিক । তবে তর্ক করার ইচ্ছে নেই । আসলে আমি তাদের পক্ষের লোক নই। সুতরাং
      তর্ক করার প্রশ্ন আসে না । হয়ত আই ইউ টির প্রতি ভালবাসার কারণেই এগুলো লিখে ফেলেছি ।
      তবে এসব বিষয়ে আপনার গুরুত্বপুর্ন কোন তথ্য জানা থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । যেন আমরা
      সাবধান হতে পারি ।
      আপনার চিঠিটা ভাল লাগলো । আপনিও ভাল থাকবেন ।

      জবাব দিন
  17. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    চিঠি?
    কিরে.........শোভন???????/
    তুই- দেখছি......আইজ কাইল (এই মডার্ণ জামানায়-ও) চিঠি পাচ্ছিস্‌ (কে জা নে...হয়তো দিচ্ছিস্‌ও!!!!)
    আমার পোলারে বাংলায় চিঠি লেখা শিখাইয়্যা দিয়া যাইস্‌...
    তরে ভরপেট আইস্ক্রীম আর ভাত (খালি) খাওয়াইয়া দিমু নে! 😛


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন
  18. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    এই পোস্টে সুফিয়ানের প্রতি যারা সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং যারা আইইউটি'র ভাবমূর্তির রক্ষার দোহাই দিয়ে সেখানে জঙ্গি ও শিবিরের অস্তিত্ব থাকার খবর প্রচার না করার পক্ষে মত দিয়েছেন তাদের প্রতি আমার ঘৃনা।

    এবং এরজন্যে আমি বিন্দুমাত্র দুঃখিত নই।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • শোভন (২০০২-২০০৮)

      প্রচার নয় বরং প্রতিরোধ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে । প্রচার করে আমদের কোন লাভ হবে না । কারন আই ইউ টি তে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না । বরং প্রচারে আই ইউ টির প্রতি বিরুপ ধারনাই সৃষ্টি হবে বেশি । আর আমি আই এস এস বা পলিটিক্স এই বিষয়গুলো সম্পর্কে
      আলোচনার বিরুদ্ধে ছিলাম । কারন আমি মনে করেছি অভ্যন্তরিন বিষয়গুলো আমাদের নিজেদেরই
      সমাধান করা উচিত । ঘরের ঝামেলা নিজেই সমাধান না করে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
      করা আমার কাছে বোকামি মনে হয়েছে । উপরন্তু আমি মাত্র একবছর আই ইউ টি তে পড়েছি । আর এই এক বছরে আই এস এস বা পলিতিক্স সম্পর্কে কোন কথা আমার কানে আসে নি । যেহেতু
      রায়হান ভাই বলেছেন তার কাছে প্রমান আছে সেহেতু তার উচিত ছিল সেগুলো আমাদের সামনে তুলে
      ধরা কিংবা অথরিটিকে অবহিত করা । তাহলে আই ইউ টিয়ান রাও সচেতন হত এবং তারা
      এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হত । কিন্তু তিনি তা না করে এখানে এ বিষয় লিখছেন , এগুলো দূর করার জন্য
      কোন লাভ হচ্ছে বলে মনে হয় না ।
      যখন আমি এই পোষ্টটি দিলাম তখনি কিংবা যখন সুফিয়ান ভাই ধরা পড়ল তখনি কিন্তু আই ইউ টির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়ে গেল । আমার দাবি ছিল এটাই যে একারনে আই ইউ টি কে একেবারে
      জংগিবাদের জায়গা ধরে নিয়ে কেউ যেন ভুল না বোঝেন । যেহেতু আমরা এই প্রথম এরকম ঘটনা
      দেখতে পেলাম এতএব অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে । এবং আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ নেব ।
      উপরন্তু আমি এত কিছু ভেবে পোষ্টটা দেই নি । এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা হয়ে গেছে । কিন্তু
      এই তর্ক চালিয়ে কোন লাভ হবে না । তাই সবাইকে অনুরোধ করব আমরা পরবর্তীতে কি করতে
      পারি সে বিষয়ে আপনাদের মতামত জানাবেন ।
      আশা করি আমার প্রতি কামরুল ভাইয়ার ঘৃনা দূর হয়েছে ।

      জবাব দিন
      • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

        শোভন, 'তোমাদের আই ইউ টি'র চলমান এই ঘটনা নিয়ে সচলায়তনে এই লেখাটি দেখলাম একটু আগে। লেখাটি পড়ে রানিং কোন স্টুডেন্টের লেখা বলেই মনে হলো, সেখানে দেখলাম উপরের অনেকগুলো ব্যাপারই বিস্তারিত এসেছে। তুমি হয়তো বুঝতে পারছোনা, কিন্তু তোমারই মত বর্তমান একজন স্টুডেন্টের (ঐ লেখার লেখক) সচেতনতা দেখে ভালো লাগলো। নীচে লাবলু ভাই কিংবা মাশরুফের মন্তব্য আশা করি বুঝতে পারবে।
        ভালো থেকো।


        সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

        জবাব দিন
  19. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    শোভন, তোমার বয়স কম। তাই সহজেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেল। অভিজ্ঞতা বলে, একজন বুদ্ধিমান মানুষ "রিঅ্যাক্ট নয়, অ্যাক্ট করে"। আইইউটি নিয়ে তোমার ভালোবাসা, আবেগকে মূল্য দিই। যেমন ক্যাডেট কলেজ নিয়ে বা আমি যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিয়েছি, কাজ করেছি বা করছি; সেগুলো নিয়ে আমার ভালোবাসা থাকবে। কিন্তু আমি অন্ধ হবো না। অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না। বরং প্রলয়কে মুখোমুখি হতে হয়। সেটাই যোগ্য লোকেরা করে।

    আইইউটি'র একজন শিক্ষার্থী জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ধরা পড়েছে। সেটা চেপে যাওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ? পত্রিকায় খবরটা পড়ে আমি ধরে নেব, আইইউটি'র সবাই জঙ্গি বা সেখানে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়? জঙ্গিবাদের সঙ্গে মংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিদেশে শিক্ষা নেওয়া অনেকে গত কয়েক বছরে ধরা পড়েছে। তাতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মান ভূলুন্ঠিত হয়ে গেছে? চিন্তা করো, সম্ভবত বাংলাদেশ এই অঞ্চলে একমাত্র দেশ যেখানে শীর্ষ জঙ্গিদের ফাঁসি হয়েছে। বাংলাদেশে ২০০৫ সালের পর এ পর্যন্ত কোনো জঙ্গি হামলা হয়নি। ভারত, পাকিস্তানের তুলনায় এটা আমাদের কতো বড় অর্জন।

    তোমার পোস্টে এরই মধ্যে অনেক মন্তব্য এসেছে। আমি পড়েছি কয়েকবারই। ইচ্ছে করেই দেরিতে মন্তব্য করলাম। বুঝতে চাইলাম- অধিকাংশের প্রতিক্রিয়াটা কি। নানা তর্ক-বিতর্ক, পাল্টাপাল্টি শেষে দেখলাম শুভ চিন্তাটাই গুরুত্ব পেয়েছে। তুমিও নিজের অবস্থানের সমস্যাটা সম্ভবত ধরতে পেরেছো। ভালো থেকো। আর "রিঅ্যাক্ট করো না, অ্যাক্ট করো"


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  20. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    কিন্তু তিনি তা না করে এখানে এ বিষয় লিখছেন , এগুলো দূর করার জন্য
    কোন লাভ হচ্ছে বলে মনে হয় না

    তুমি কেমন ভাবে নিবে জানিনা কিন্তু এই লেখাটা কিন্তু আমার মতে জনসচেতনতা সৃষ্টির পর্যায়ে পড়ে যা অবশ্যই একটি লাভ।এমন তো না যে রায়হান লিখছে-"আইইউটী একটা জঙ্গী ভার্সিটি এইখানে যারা পড়ে সবাই জঙ্গী",বরং ও এখানে থাকা সম্ভাব্য দুষ্টক্ষতটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।এই জিনিসটাকে বলা হয় "হুইসেল ব্লোইং"-নিজের প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য বা বর্তমান সমস্যা-যা কিনা কিছুটা স্পর্শকাতর হতে পারে-সেই জিনিসগুলো আরাল না করে সাহস করে সামনে নিয়ে আসা। এই লেখাটি পড়ে আমার যে খালাত ভাই পরবর্তিতে আইইউটিতে ভর্তি হবে তাকে আমি বলতে পারব-খবরদার,ওখানে যাচ্ছিস পড়াশোনা করতে-জঙ্গীবাদীরা যেন তোর ব্রেনওয়াশ না দেয়।ঠিক যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নোংরা ছাত্র রাজনীতির(আমি ছাত্র রাজনীতির পুরোটার কথা বলছিনা-এর কদর্য অংশটুকুর কতা বলছি) কথা আমরা জানি বলে আমাদের ভাইবোনদের আমাদের মা বাবাই সাবধান করে দেন এটা নিয়ে।সে অর্থে রায়হানের লেখা কিন্তু আইইউটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা নয়-বরং একজন প্রাক্তন আইইউটিয়ান নিজের বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য বিষফোঁড়াটিকে শুরুতেই বিনাশ করার চেষ্টা করছে এই জিনিসটা বরং সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করে।

    আইইউটি নিয়ে তোমার আবেগকে আমি অত্যন্ত সম্মান করি,কিন্তু সানা ভাই যেমন বলেছেন-আবেগের বশে যেন আমরা কেউই অন্ধ না হয়ে যাই(তোমাকে আমি অন্ধ বলছিনা ভাই,প্লিজ খেয়াল কর)।এন এস ইউতে ব্যাকডোর দিয়ে ছাত্র ঢোকে এইটা যদি আমি অস্বীকার করি তাহলে আমি দুইটা অন্যায় করব-১)মিথ্যাচার আর ২)নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্তব্যে অবহেলা,কারণ এই অন্যায় আমি এখানকার ছাত্র হয়ে জেনে শুনে এড়িয়ে যাচ্ছি।

    অনেক কথা বলে ফেললাম-আশা করি ধিরে সুস্থে একটু চিন্তা করবা।একমত হতে হবে বলছিনা,শুধু একটু ভেবে দেখ কথাগুলা। 🙂 🙂

    জবাব দিন
  21. জিহাদ (৯৯-০৫)

    কেন যেন অনেক দেরিতে এই পোস্টের কমেন্টগুলা পড়া হলো।

    শোভন, তুমি আই ইউ টি কে ভালোবাসো। কোন সন্দেহ পোষণ করছিনা। ভালোবাসার জিনিসের দোষ ত্রুটি স্বীকার করে নিলেও কিন্তু কেউ ছোট হয়ে যায়না। তুমি বলছো সুফিয়ানকে ধরার ব্যাপারটা চেপে যাওয়াটাই যুক্তিসংগত। আই ইউ টি থেকে জঙ্গী সন্দেহে কাউকে ধরার ব্যাপারটা দু:খজনক কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অস্বীকারের কোন উপায় আছে কি ও আই ইউ টির ছাত্র না? কিংবা সেটা পত্রিকায় না ছাপানোর?

    সুফিয়ান আমার ডিরেক্ট ক্লাসমেট । চার বছর আমরা একসাথে ক্লাস করেছি। ব্যাপারটা প্রথমে শুনে আমিও শকড ছিলাম। কিন্তু তাতে তো সত্যিটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই, তাইনা? এখন পর্যন্ত যে সব খবর শোনা যাচ্ছে তা ওর বিপক্ষেই যায়।

    আই ইউ টি র ইমেজ নিয়ে ভেবে সত্যি কিছু চেপে যাওয়াও নৈতিকতা বিরোধী। আর আই ইউ টির ইমেজ বলতে আসলে কি বুঝাচ্ছি আমরা। যারা এই ঘটনা থেকে ভেবে নিবে এখানে নিয়মিত জংগী ট্রেনিং দেয়া হয় তাদের মত বোকাুদা অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। কাজেই এসব নিয়ে না ভেবে যেটা করা উচিত তা হচ্ছে ভবিষ্যতে এমন কিছু ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে সচেতন হওয়া। তোমরা যারা আই ইউ টি তে এখন আছো আশা করি এইসব ব্যাপারে, বিশেষ করে শিবির এর ব্যাপারে অনেক অনেক বেশি সচেতন হবে। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে আই ইউ টি তে শিবির আস্তে আস্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এইরকম ইমেজ হারানোর ভয়ে সব ঢেকেঢুকে বসে থাকলে সেটা বাড়বে বৈ কমবেনা।

    lets find the solution by facing the truth, not by avoiding it.


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।